কিছু কিছু মানুষের কথার কারণে কাজ করে খাওয়া মুশকিল।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
যাইহোক এরপর আবার কিছু সংখ্যক ছেলেরা আছে যারা মোবাইলে পড়ে থাকে। তবে এর মধ্যে কিছু মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে আছে যারা অন্তত নিজের খরচ চালানোর জন্য কিছু করতে চাই অর্থাৎ কোনো একটা কাজের মধ্যে ঢুকতে চাই যেমন সেটা হতে পারে কোন দোকানে অথবা কোন শিক্ষার মত কাজ। কিন্তু সমাজের কিছু মানুষ যারা এদেরকে খোচাতে থাকে। অর্থাৎ বলতে থাকে তোর বয়সের কত ছেলেরা পড়ালেখা করছে আর তুই এখনই কাজে লেগে গেছিস। তবে হ্যাঁ কাজটা যদি ভালো হয় তাহলে কেউ অতটা বলার চিন্তা করে না। কিন্তু কাজটা যদি কোন দোকানে করতে হয় তাহলে আবার সবাই এটা ওটা বলতে থাকে। যাই হোক আবার দেখা যায় যে দোকানে কাজ করা ছেলেটা যদি কোন ভাল কাপড়-চোপড় পড়ে বা কোন দামি জিনিস কিনে তখন বলে দোকানে কাজ করে আবার এত ভাব কিসের তোর। এইসব ফুটানি না করে বাড়িতে কিছু দিলেই তো পারিস।
এগুলো তো বলবেই তবে এখানেই শেষ নয় কারণ এসব কথা শুনে যদি সে কাজ ছেড়ে দেয় তাহলে আবার লোকেরা বলবে যে কাজ করছিলি তখনই তো ভালো ছিলি। মানে তখন তার কয়েকদিন বাইরে যাওয়াই মুশকিল হয়ে যাবে। দেখা যাচ্ছে যে অনেকেই এরকম কথা বার্তা শোনার কারণেই সারাদিন ঘরবন্দি হয়ে কাটায়। তবে সবার ক্ষেত্রে বিষয়টা যে এক তা কিন্তু নয়।
যাইহোক যদি কেউ এতগুলো বাধা পেরিয়ে কাজে লেগে থাকে একটা পর্যায়ে তার সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে প্রথম প্রথম মানুষের কথা শুনে সেই কাজের জায়গাটাই টিকে থাকার মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। তাই আমাদের উচিত কখনো কারোর ভালো কাজে নিরুৎসাহিত না করা। কারণ কোন কাজই ছোট নয় সে যদি সেই কাজটা না করে তাহলে কাজটা করবে কে। কারণ ভালো কাজকে যদি ছোট করেই দেখি তাহলে একসময় নিজেদের কাজ নিজেকেই করতে হবে। কারণ তোমার সাথে কাজ করার মত আর কেউ থাকবে না যে তাকে তুমি টাকা দিয়ে কাজ করাবে।
যাইহোক আমার একটা বড় ভাইকে আমি বর্তমান সমাজের কিছু বিষয় বলতে বলেছিলাম তো উনি আমাকে এইগুলো বলেছিল। আর উনি বলেছিলেন যে আমি এটা সাক্ষী। তবে উনি আমাকে আরো বললো প্রথমে আমার এসব কথা শুনে কাজ করতে ভালই লাগতো না। কিন্তু এখন আস্তে আস্তে কাজ করতে করতে সবকিছুই ঠিক হয়ে গেছে যার কারণে এখন আর তেমন কোন প্রবলেম হয় না। আর মানুষগুলোও বলতে বলতে হাঁপিয়ে গেছে।তবে হ্যাঁ আমি অনেককে দেখেছি যারা একটা ছেলেকে যদি পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করতে দেখে তাহলে বেশ খুশি হয় এবং তাদেরকে আরো উৎসাহিত করে। তবে আমি আরো দেখেছি কিছু কিছু ছেলেরা কিছুই করে না শুধু সারাদিন ঘোরাঘুরি করে আবার কেউ বাজে নেশার দিকে চলে যায় আবার কেউ সারাদিন মোবাইলে পড়ে থাকে। তাই বলা চলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উভয়জনি সমান দোষী।
তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আজকের লেখাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। এবং দেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে সেটা অবশ্যই জানাবেন। তো আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে এই বিষয়টা কিন্তু একেবারে সত্য কথা। বাস্তবিক কথাগুলোকে তুলে ধরেছেন আপনি। আসলে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের কথার কারণেই করে খাওয়াও একেবারে মুশকিলের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে এরকম ক্ষেত্রে কিন্তু উভয়জন দোষী এটা একেবারে সত্য কথা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সম্পূর্ণ পোস্টটা লিখে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্যটি করার জন্য।
কুল গাছে ফুল থাকলে মানুষের ঝাঁকাবে এটা যেমন একটি উদাহরণ, ঠিক দুনিয়ায় বেঁচে থাকতে গেলে নিজের কর্মের মধ্যে অনেক মানুষ এসে উল্টাপাল্টা কথা বলবেই। তবে নিজ জ্ঞানে নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়াই উত্তম।
ঠিক বলেছেন ভাই।
আসলে আমরা যে কাজটাই করতে যাই না কেন, মানুষ বিভিন্ন রকম কথা বলতেই থাকে। এখনকার ছেলেরা কোন কাজ করতে এমনিতেই চায় না, তবুও যারা করতে চায় তাদের কাজে অনেকেই অনেক কথা বলে থাকে। যে আপনাকে এই কথাগুলো বলেছিল তিনি একেবারে সত্যি বলেছেন।
আসলেই তার জন্য আমাদের সবসময় উচিত কেউ যদি ভালো কাজ করে তাকে উৎসাহিত করা।
এটাই হচ্ছে বাস্তবতা ভাইয়া। যেসব বাচ্চারা ভালোমতো পড়াশোনা করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে তাদের এক চোখে দেখা হয়। যারা নোংরা তাদের এক চোখে দেখা হয় আসলে আমাদের সমাজটা এমন। সমাজের কাজই মানুষকে নিয়ে সমালোচনা করা। আমি যদি ভালো কিছু অর্জন করি তখন সমাজ আমাকে আরো নিচে নামাতে থাকবে। যদি আমি কিছু না করি তাহলে আরও নিচে নামাতে থাকবে। সমাজ কখনো মানুষের ভালো সহ্য করতে পারে না ভাইয়া। তাই আমাদের উচিত হবে সমাজের দিকে কান্ না দিয়ে নিজের মতো করে বাঁচতে শিখতে হবে। জীবনটা নিজের। জি ভাইয়া এসব কথা শোনার কারণে আমিও একসময় ঘরবন্দী হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু ভাইয়া মানুষের কথা শুনে তো জীবনটা ধ্বংস করা যাবে না। হাজারো বাঁধা পেরিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে কোন কাজই ছোট নয়। বেশ সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাইয়া
ঠিক বলেছেন ভাই জীবনটা যেহেতু নিজের তাই অন্যের কটুক্তিতে কান না দিয়ে নিজের মত কাজ করে যাওয়াই ভালো।
মানুষের কাজই হলো আসলে বলা সুতরাং এটা নিয়ে চিন্তা করলে হবে না। সবকিছু পেছনে ফেলে, সবকিছুই অ্যাভয়েড করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেই আপনি সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাতে পারবেন। আর একটা কথা, যেটা আপনি বললেন যে মানুষ একসময় বলতে বলতে হাঁপিয়ে যায় সুতরাং মানুষ কি ভাবছে বা আপনাকে নিয়ে কি চিন্তা করছে এটা নিয়ে আসলে ভাবলে হবে না। পৃথিবীতে কোন কাজই ছোট নয় যদি সেটা সৎ ভাবে করা হয়।