একজন পথশিশুর জীবন কাহিনী/পর্ব:--০২ [benificiary ১০% @shy-fox]🦊
আজ - ২১ জৈষ্ঠ্যমাস| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শনিবার | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- পথশিশুর জীবন কাহিনী
- আজ ২১ শ জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- শনিবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ বিকেল সবাইকে.....!!
একজন পথশিশুর জীবন কাহিনীর প্রথম পর্বের লিংক:-- |
লিংক এখানে:- |
আমি আপনাদের গত পোষ্টে বলেছিলাম পথশিশুদের বেঁচে থাকাটাই এক কষ্টসাধ্য। বেঁচে থাকতেই হয় তাদের অনেক রকম যুদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে সেখানে লেখাপড়া টা শুধুমাত্র বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। জন্মের পর থেকেই তারা রাস্তাঘাটে স্টেশনে ফুটপাতে বড় হয়ে ওঠে। যার কারণে ফ্যামিলি থেকে সে রকম ভাবে কখনোই তারা শিক্ষাদীক্ষা অর্জন করতে পারে না। রাস্তার পাশে দোকান থেকে সকালবেলা কারো অনুরোধ করে এক কাপ চা আর একটা রুটি দিয়ে তাদের সকালের নাস্তা শুরু হয়। অনেকের হয়তো দুপুর বেলা খাবার জোটে আবার অনেকের হয়তো শুধুমাত্র সকালের খাবার দিয়েই সারাদিন রাত পার করে দিতে হয়। একবেলা খেয়ে দুবেলা না খেয়ে অথবা দুবেলা খেয়ে এক বেলা না খেয়ে তাদের জীবন পার করতে হয় সংগ্রামের মাধ্যমে। এই সংগ্রামটা মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্তদের ছেলে মেয়েরা কখনোই বুঝতে পারবে না। এদের ছেলে মেয়েরা কখনোই বুঝতে পারবে না যে,জীবন মানে কি বা জীবনে বেঁচে থাকার জন্য কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয়। শুধুমাত্র পথশিশু এদের দেখলেই বোঝা যায় তাদের কষ্টটা কতখানি। তাদের যে কতটা কষ্ট এই কষ্টটা বোঝাতে আমি আপনাদের মাঝে এখন কয়েকটি উদাহরণ পেশ করব, যে উদাহরণগুলো বর্তমান সমাজের মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত ছেলে মেয়েদের সঙ্গে একদম পুরোপুরি মিলে যাবে। সেই সাথে একজন পথশিশুর জীবন কাহিনী টা খুবই চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব।
প্রথমত আমি আপনাদের বলতে চাই পথ শিশুদের বাসস্থান নিয়ে। আমাদের সমাজের মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তরা যেখানে টিনের চালের উপর অথবা পাঁচ থেকে দশ তলা ছাদের নিচে বসবাস করছি সেখানে একজন পথশিশুরা বাস করছে চারচালা খর অথবা ছন দিয়ে তৈরি কোন ঘরের নিচে। আবার অথবা অনেকের এরকম ঘর নেই। নেই রাত্রি হলে মাথা গোঁজার ঠাঁই। সারাদিন রাস্তাঘাটে দৌড়ে বেরিয়ে যখন শরীরটা ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তারা ইচ্ছে করলেই তাদের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় যে রাতে আরাম করে ঘুমাতে পারে না। পারবে বা কেমন করে তাদের জন্ম হয়েছে কোন এক রাস্তার পাশে বাস স্টেশনে। ঘরবাড়ি বলতে শুধু তাদের রাস্তার পাশ স্টেশন অথবা ফুটপাত। এই ফুটপাতের শিশুরা আকাশকে ছাদ বানিয়ে এবং মাটিকে বিছানা বানিয়ে শুয়ে থাকে বছরের পর বছর। এভাবেই তাদের দিন কেটে যায়। কিন্তু মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তদের জীবনযাপন একদমই আলাদা। মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তদের ছেলে মেয়েরা যত কষ্টই করুক না কেন সারাটা দিন রাত্রে ঘুমানোর জন্য তাদের একটা নির্দিষ্ট জায়গা আছে। নির্দিষ্ট একটি জায়গাতে তারা আরামদায়ক ঘুম দিতে পারে যে ঘুমের কারণে পরবর্তী দিনগুলো কাজ করার প্রতি আরও স্পিড বেড়ে যায়। তাদের জীবনের সাথে পথ শিশুর জীবন কখনোই মিলবে না।
এই যেমন ধরুন পথশিশুদের সুখের সময়টা খুবই কম তাদের দুঃখের সময়টা সবথেকে বেশি। তাদের সুখের সময় শুধু ততটুকুই যখন কোন উদার মনের ব্যাক্তি তাদেরকে কিছু দেয় অথবা তাদেরকে কিছু খাওয়ায়। রমজান মাসে অনেক বিত্তবানরা স্টেশনে খাবার বিলি করে। এইটুকু সময় তাদের সুখের কিন্তু এই খাবার খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই যখন তাদের পেট থেকে খাবার ফুরিয়ে যায় তখন তাদের আবার কষ্টের দিন শুরু হয়। অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হয় না অপেক্ষা করতে করতে তারা নিমিষেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। হয়তো চাতক পাখি যেমন বৃষ্টির পানে চেয়ে থাকে, কখন একফোটা বৃষ্টি হবে যে বৃষ্টির পানিতে সে তার শরীরকে জাগ্রত করবে। ঠিক তেমনি ভাবে একজন পথশিশু অবাক দৃষ্টিতে প্রাণের চেয়ে থাকে কখন তাদের মুখে কেউ এক মুঠো খাবার তুলে দেবে। এই বর্তমান সমাজ শুধু মানুষকে উপদেশ মূলক কথা বলতে পারে কিন্তু একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারে না। এটাই হচ্ছে বর্তমান সমাজের অবস্থা।
আচ্ছা আপনি বলুন একটা মানুষ কত দিন না খেয়ে থাকতে পারে...?? কতদিন অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন যাপন করতে পারে...?? আপনি কতদিন অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে পারবেন বলে আপনার মনে হয়...?? আমার তো শুধু এটা মনে হয় যে আমরা অনাহারে-অর্ধাহারে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় মাস থাকতে পারবো যেহেতু আমরা অর্ধহারে রমজানের একটা মাস অতিবাহিত করি। আমরা যেখানে একটা মাস অর্ধহারে থেকে ইফতার মুহূর্তে অনেক রকম খাবারের আইটেম বাকি যেগুলো আমাদের শরীরকে ভালো রাখতে বা চাঙ্গা করতে সহায়তা করে। আমরা সারা দিনে 10 থেকে 12 ঘন্টা খায় না ঠিক আছে কিন্তু ইফতার থেকে শুরু করে সাহারি পর্যন্ত আমরা অনেক খাবার খাই যেগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সহায়তা করে। তাহলে এবার আপনি ভাবুন আমাদের এক মাসে যে কষ্ট হয় পথশিশুরা বছরের পর বছর সে ধরনের কষ্ট করে যাচ্ছে। তাহলে তাদের কষ্টটা কতটুকু মন প্রাণ দিয়ে একবার অনুধাবন করে ভাবুন। এই লেখাগুলো আমি মোটেও লিখতে চাইনি কিন্তু, নিজের সামনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা বা কিছু দৃশ্য দেখে এতটাই খারাপ লেগেছে এতটাই মন ব্যতীত হয়েছে যে বলে কাউকে বোঝানো যাবে না। আমি এটাই বুঝি না মানুষ কেন মানুষের মধ্যেই মিল-অমিল পার্থক্য খুঁজে বেড়ায়...?? মানুষের মধ্যে মিল-অমিল এর পার্থক্য কোথায়...?? যদিও আমি তেমন কোনো বড় মাপের একজন মানুষ নই তবে মানুষের মধ্যে মিল-অমিল এর পার্থক্য আমি কখনোই খুজিনি কখনো খোঁজার চেষ্টা করিনি। শুধু একটা জিনিসই বুঝি সেটা হচ্ছে যে ধনী সেও একজন মানুষ, আবার যে গরিব সেও একজন মানুষ। আমরা সকলেই তো মানুষ ।তাহলে কেন...? তাহলে কেন এই মিল অমিল এর পার্থক্য। আমরা কেন একজন মানুষ হওয়া সত্ত্বেও অন্য আরেকজন মানুষকে অমানুষিকভাবে নিচু করে কথা বলি। মানুষের খারাপ সময় টা চিরকাল স্থায়ী নয়, ভালো সময় টা অবশ্যই একদিন ফিরে আসবে। আমি শুধু এটাই বলতে চাই মানুষের খারাপ সময় টা যেমন চিরস্থায়ী নয় ঠিক তেমনি ভাবে আপনার আজকে যেই ভালো সময় টা আছে সেটাও আপনার কাছে স্থায়ী নয়। সময়ের ব্যবধানে সেটা অবশ্যই পরিবর্তন হবে। তাই আমি সকলের কাছে একটা মেসেজ দিতে চাই। আপনি মানুষের মধ্যে মানুষের কোন পার্থক্য খুঁজে বের করবেন না। আপনি মানুষ...!! আপনি পার্থক্য করবেন পশুর সঙ্গে। আপনি সবসময় এটা পার্থক্য করবেন আমি মানুষ সে পশু। পশুর সঙ্গে মানুষের পার্থক্য মানায় কিন্তু মানুষের সঙ্গে মানুষের কোন পার্থক্য হয় না। আমি তাই বলতে চাই আসুন, ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিই। ভালোবাসা দিয়ে একটা মানুষকে যতটা কাছে নিয়ে আসা যায় রাগ অভিমান করে ততটা কাছে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। সব সময় সকলের প্রতি ভালোবাসা শ্রদ্ধা সম্মান বজায় রাখার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। এরকম ভাবে চলতে থাকলে হয়তো আমরা এক নতুন বিশ্ব দেখতে পাব খুব শিগগিরই। যে বিশ্বে থাকবেনা কোন মিল অমিল এর পার্থক্য, যে বিশ্বে থাকবে না কোন মাস্তানি গুন্ডামি। যে বিশ্বে থাকবে শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাসা। যে ভালবাসায় রঙিন হয়ে উঠবে নীল আকাশ। আকাশের তারায় তারায় প্রতিটা ভালোবাসা মিশে থাকবে।
যাইহোক অনেক কথাই বলে ফেললাম। জানিনা কতটুকু গুছিয়ে লিখতে পেরেছি তবে আমি চেষ্টা করেছি খুবই চমৎকার ভাবে আপনাদের মাঝে সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করার জন্য। পোস্টে কোনো রকম ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। আজ আর নয়,এখানেই আমি আমার পোস্ট শেষ করছি ।ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন,পরিবারের সাথেই থাকুন। সেইসাথে প্রিয় মানুষটিকে হ্যাপি রাখার চেষ্টা করুন সবসময়। ধন্যবাদ সকলকে.....!! আল্লাহাফেজ।
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন
বিভাগ | একজন পথশিশু । |
---|---|
বিষয় | একজন পথশিশুর জীবন কাহিনী:-২ |
কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | সংযুক্তি |
সবসময় সাপোর্ট করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
মার্কডাউন ঠিক মতো হচ্ছে না, পোষ্ট করার পর একবার চেক করা উচিত, প্যারাগ্রাফগুলো ঠিক মতো সাজানো হয় নাই, ঠিক করার চেষ্টা করুন। যদি না পারেন তাহলে টিকেট ক্রিয়েট করতে পারেন। ধন্যবাদ
জ্বী ভাইয়া আমি চেষ্টা করব সঠিক মার্কডাউন ব্যবহার করার জন্য।ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমি পরবর্তী পোস্টে খুবই চমৎকার ভাবে মার্কডাউন ব্যবহার করব। আশা করছি আপনার পছন্দ হবে।
ভাই প্রথমত বলবো প্রতিটা জিনিসই আল্লাহ তাআলার হুকুমের উপরই চলছে এ কারণেই কথাটা বললাম আঠারো হাজার মাখলুকাত আল্লাহতালা দুনিয়াতে সৃষ্টি করেছেন তাদের প্রত্যেকেরই খাবারের ব্যবস্থা করছেন। সেই দিকে চিন্তা করলে প্রত্যেকে আল্লাহ তার রিজিক দিয়ে দিয়েছেন। যে যেভাবেই পাচ্ছে সবই আল্লাহতায়ালার আদেশ মতোই পাচ্ছে। আঠারো হাজার মাখলুকাত এর মধ্যে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব এবং আমরা এই জিনিসটাই সবার আগে ভুলে যাই ভুলে যাই আমাদের বিবেককে ভুলে যায় আমাদের অস্তিত্বকে শুধু আমরা বর্তমানকে নিয়েই ভাবতে থাকি। কিভাবে কারে মেরে উপরে ওঠা যায় কারে ঠকিয়ে নিজে বিত্তশালী হওয়া যায় এই চিন্তা ভাবনায় মগ্ন থাকি। আসলে পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা কোটি কোটি টাকার মালিক কিন্তু তাদেরকে আল্লাহ এই গরীব অসহায় মানুষগুলোকে সহযোগিতা করার মন মানসিকতা তা দেয় নি এগুলো আল্লাহর হুকুম আবার কিছু মানুষ আছে তার কিছুই নেই কিন্তু সে চেষ্টা করে তার যতটুক আছে ততটুকুই সহযোগিতা করার। যাইহোক ভাই খুব সুন্দর ভাবে পথ শিশুদের নিয়ে চমৎকার একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন ভালো লেগেছে, আরো লিখবেন আশা করি সেই অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুবই চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন ভাইয়া আপনার কথার সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি পথশিশুদের নিয়ে মাঝে মাঝে এরকম অনেক ভোগান্তি আমাদের রাস্তা ঘাটে আমরা দেখতে পারি যাদেরকে মানুষ তেমন একটা মূল্য দিতে চায় না তখন খুবই খারাপ লাগে। গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
ভাই আপনার বাস্তবতার নিরিখে কতগুলো পড়ে খুব খারাপ লাগলো। আবার এটা ভেবে ভাল লাগছে যে আপনি পথশিশুদের বিষয়গুলো সবার সামনে তুলে ধরতে পেরেছেন। আমরা মানুষরা সৃষ্টির সেরা জীব কিন্তু অনেক সময় আমাদের কর্মকাণ্ড সেটা প্রকাশ করে না। প্রতিনিয়তই আমরা যারা বাইরে চলাফেরা করি দু-একটা হলেও পথশিশু আমাদের নজরে আসে। কিন্তু আমারা কখনই তাদের নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবার অবকাশ পাইনা। শুধু রমজান মাস আসলেই আমরা কিছুটা উপলব্ধি করতে পারি আবার রমজান চলে গেলে পরক্ষণেই সব ভুলে যাই। পথশিশুদের নিয়ে আপনার ভাবনাগুলোর শ্রদ্ধা জানাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কথা সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি শুধুমাত্র কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমরা তাদের খোঁজ খবর রাখি পরবর্তীতে আমরা তাদের কোনো খোঁজ রাখেনা। সবসময় তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি।
ভাইয়া, একদম ঠিক কথা লিখেছেন মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা যে আরাম আয়েশ করে সেই আরাম-আয়েশ স্বপ্ন মাত্র পথশিশুদের জন্য।তাদের জন্ম হয়েছে কোন স্টেশন বা পথে সেখানে তারা বড় হচ্ছে আরাম আয়েশ তো তাদের স্বপ্নই মাএ।অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন কাটে আমি গত কয়েকদিন আগে একটি ভিডিও দেখেছি ভিডিওটা দেখে সত্যিই আমার চোখে জল এসে গেছে।দুই পথশিশু ফেলে দেওয়া ডাস্টবিনে পচা ভাত খাচ্ছে দেখে সত্যিই খুব খারাপ লেগেছে।ভাইয়া, আসলে আমরা মানুষের মধ্যে পার্থক্য করি গরিবদের নিয়ে আসলে কিন্তু এটা আমাদের জন্য ঠিক না আমরা মানুষ আমরা সবাই সমান।আমরা যদি ওই পথশিশু নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুদের জন্য প্রতিটা মানুষ এগিয়ে আসি তাহলে আমার মনে হয় না বাংলাদেশে কোন নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে অথবা মেয়েরা অর্ধাহারে-অনাহারে থাকবে । ভাইয়া,আপনার লাস্টের লেখা গুলো সত্যিই আমার খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন উচ্চবিত্ত মানুষেরা যদি নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষের দিকে একটু দৃষ্টি দেয় তাহলে হয়তো পৃথিবীটা আরো সুন্দর হতো। তাদের হয়তো কোনো কষ্ট দুঃখ থাকতো না কিন্তু আফসোস আমরা মানুষ হিসেবে বড্ড বেমানান। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রাস্তাঘাটে দেখা যায় অনেক মানুষ পথ শিশুদের অনেক অবহেলা করে মারধর করে এসকল দৃশ্য দেখলে আমার খুবই খারাপ লাগে। আপনার লেখাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো বাস্তববাদী কিছু কথা বলেছেন।
সত্যি তখন খুবই খারাপ লাগে যখন একজন মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষকে কষ্ট দেয় বিশেষ করে পথশিশুদের সঙ্গে মানুষ খুবই খারাপ আচরণ করে এই খারাপ আচরণ দেখলে নিজের কাছে অনেক বেশি কষ্ট লাগে সেই সাথে রাগ প্রচন্ড বেড়ে যায়। গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শত শিশুরাও নজরে এলে
পথশিশুরা পড়েনা কারো চোখে
তাদের আর্তনাদ আহাজারি
বাজে না কারো বুকে।।
ছোট একটি মন্তব্যের মাধ্যমে আপনি অনেক চমৎকার একটি উপমা তুলে ধরেছেন ভাইয়া। সবকিছু নজরে আসলেও পথশিশুরা কখনো কারো নজরে আসে না তারা সব সময়ই অবহেলিত।
এটাই আজ সমাজের বাস্তব চিত্র।