আজ - ২৪ বৈশাখ | ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | শনিবার | গ্রীষ্মকাল |

আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

তো চলুন শুরু করা যাক...!

শুভ সন্ধ্যা সবাইকে.....!!

আপনারা সকলেই জানেন যে আমের আচার খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। ব্যক্তিগতভাবে আমি আমের আচার অনেক বেশি পছন্দ করি। তাই কিছুদিন আগে বাসায় এসেছি আম্মু কে বলেছিলাম আমের আচার তৈরি করতে। আমার কথা শুনে আমার আম্মু খুব তাড়াহুড়ো করে আমের আচার তৈরি করেছিল যদিও আমি আমার আম্মুর সাহায্য করে ছিলাম এই আমের আচার রেসিপি তৈরি করতে। তাই আমি আজ আপনাদের মাঝে সেই রেসিপিটি শেয়ার করতে চলেছি। আশা করি আপনাদের সকলের অনেক বেশী ভালো লাগবে রেসিপিটি। তাহলে চলুন আর দেরি না করে রান্না শুরু করি।

• রসুন
• পেঁয়াজ
• জিরা
• গরম মসলা
• শুকনা মরিচ
• তেজপাতা
• ধুনের গুড়া
• হলুদের গুড়া
• পাঁচফোড়ন

সর্ব প্রথম আমগুলো পরিষ্কার পানি দ্বারা ধুয়ে নিতে হবে, তারপরে একটি আম থেকে চারটি ভাগে ভাগ করে নিতে হবে।

এরপরে একটি কড়াই এর উপর পরিমান মত তেল ঢেলে নিতে হবে তারপরে তাপ দিতে হবে তা দেওয়ার পরে যখন তেলে বুদবুদ আসবে তখন, পরিমাণমতো পেঁয়াজ শুকনা মরিচ ও মরিচ ছিটিয়ে দিতে হবে সেইসাথে কয়েকটি তেজপাতার মিশিয়ে দিতে হবে।

উপকরণ গুলো ভাজি করে নেবার পরে এবার আমগুলো উপকরণাদির উপর ছেড়ে দিতে হবে।

এরপরে একটি চামচ দিয়ে উপকরণাদির সাথে আম চমৎকার ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে এমন ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে যেন একে অপরের সাথে মিশে যায় গভীর ভাবে।

উপকরণাদি সাথে মিশিয়ে দেওয়ার পরে এবার পরিমাণমতো হলুদের গুঁড়া ধুনের গুঁড়া মিশিয়ে দিতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে হলুদের গুঁড়া যেন পরিমান মত হয় । পরিমাপের থেকে বেশি যেনো না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এবার পরিমাণমতো গুড় মিশিয়ে দিতে হবে। তবে আমি এখানে একটা কথা বলতে চাই যে গুড়ের পরিমাণ যত বেশি হবে আচার ততবেশি সুস্বাদু হবে। যেহেতু আমাদের নিজেদের গুড় ছিল তাই আমরা গুড়ের পরিমাণটা একটু বেশি রেখেছি।

এবার নিচ থেকে তাপ দিতে হবে এবং একটি চামচ দিয়ে গুড় এবং আম একত্রে মিশিয়ে দিতে হবে। এমন ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে যেন উপকরণাদি সাথে গুড় এবং আম মিশে একাকার হয়ে যায়।

এবার অনেকটা সময় ধরে তার দিতে হবে এবং একটি চামচ দিয়ে নারানারি করতে হবে। এভাবে তার দিতে থাকলে একটা সময় আমের আচার এর রং পরিবর্তন হয়ে যাবে। উপরের চিত্রের ন্যায় আমের আচারের রং এসে গেলে তাপ কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে।

এবার পরিমাণমতো গরম মসলা সহ অন্যান্য যত মসলা আছে সেগুলো আমের আচার এর উপর ছিটিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজনে মসলার পরিমান টা একটু বেশি রাখতে হবে যেন স্বাদ বেড়ে যায়।

আমের আচারের উপর মসলা ছিটিয়ে দেওয়ার পরে একটি চামচ দিয়ে নারানারী করতে হবে এবং মসলা খুবই চমৎকার ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমের তৈরি সুস্বাদু আচার।

আমের আচার এই রেসিপিটি তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে কয়েক ঘণ্টা রোদ্রে শুকিয়ে দিতে হবে। রোদে শুকানোর পর আচার কিছুটা শক্ত শক্ত হয়ে যাবে তখন খেতে আরো বেশি সুস্বাধু লাগবে। আমরা সকলেই খুবই চমৎকার ভাবে এই আমের আচার রেসিপি টি উপভোগ করেছিলাম। চাইলে আপনারাও এভাবে আমের আচার রেসিপি তৈরি করে খেতে পারেন।

আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি আশা করিছি আপনারা সবাই আমার পোষ্ট উপভোগ করবেন এবং আপনারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন