মেটে আলু দিয়ে শিং মাছ রান্নার রেসিপি
আজ - শনিবার
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছেন সকলের। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মহান সৃষ্টিকর্তার নাম মুখে রেখে উপস্থিত হলাম আপনাদের মাঝে সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য, আশা করি আমার এই রান্নার উপস্থাপনা আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে। আর এই পোষ্টের মধ্য থেকে জানতে পারবেন আমি কিভাবে রান্নার কাজ সম্পন্ন করেছি। আজকে আমি আপনাদেরকে দেখাবো মেটে বড় আলু এর সমন্বয়ে শিং মাছ রান্না করে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে, রান্নার কার্যক্রম শুরু করি। |
---|
১. | শিং মাছ | ১২ পিস |
২. | পেঁয়াজ কুচি | ২ পিস |
৩. | রসুন কুচি | ১ পিস |
৪. | কাঁচা মরিচ | ১০ পিস |
৫. | সয়াবিন তেল | ১০০ গ্রাম |
৬. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | মরিচের গুঁড়া | আধা চা চামচ |
৮. | হলুদের গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
৯. | ধনিয়া গুড়া | পরিমাণ মতো |
১০. | পানি | পরিমাণ মতো |
১১. | মেটে আলুর ফালি | ১ কেজি |
প্রথমে শিং মাছগুলো খুব ভালো ভাবে ধুয়ে কুটে আনলাম। এরপর লবণ ঝাল হলুদের গুড়ার সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম। যেন সব মাছের গায়ে ভালোভাবে এই মসলাগুলো লেগে যায়। এরপর চুলার উপর রান্না করা কড়াই টি ট চাপিয়ে দিলাম। তারপর কড়াইয়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম। কিছুটা সময় তেল গরম করলাম। তারপর কড়াইয়ের তেলের মধ্যে শিং মাছগুলো দিয়ে দিলাম ভাজার উদ্দেশ্যে। কিছুটা সময় ধরে মাছগুলো ভাজতে থাকলাম। মাছের এপিঠ ওপিঠ উল্টিয়ে পাল্টে ভাজতে ভাজতে এমন একটা পর্যায়ে আসলো, মাছগুলো সুন্দরভাবে ভাজা হয়ে গেল।
কিছুটা সময় পর মাছগুলো খুব সুন্দরভাবে ভাজা হয়ে গেল। এবার কড়াই থেকে মাছগুলো একটি পাত্রের মধ্যে উঠিয়ে নিলাম।
এরপর কড়াইয়ের মধ্যে আবারো একটু তেল দিয়ে পিঁয়াজ রসুন ঝালের কুচি গুলো সহ মসলা কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিলাম এবং সেগুলো একসাথে তেলে ভেজে নিলাম। কিছুটা সময় ধরে ভাজলাম যেন মসলার অন্যরকম ঘ্রাণ বের হয়। এবং তরকারির উপযুক্ত হিসেবে প্রস্তুত করা হয়।
এরপর কড়াইয়ের মধ্যে ভাজা মসলাগুলোর উপর মেটে আলুর ফালি গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর খুন্তি দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকলাম।
খুন্তি দিয়ে কড়াইয়ের মধ্যে নাড়তে থাকলাম, এদিকে সমস্ত মসলাগুলো মেটে আলুর গায়ে লাগতে থাকল এবং চুলা জ্বলতেছিল তাই সিদ্ধ হতে থাকলো। আমি ও আমার মত করে বারবার নাড়তে থাকলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম আলুগুলো বেশ সিদ্ধ হয়ে গলতে থাকলো।
এবার কড়ের মধ্যে হাফ কাপ পরিমাণ পানি দিলাম। এরপর কিছুটা সময়ের জন্য ঢাকনা দিয়ে কড়াইটা ঢেকে দিলাম। কিছুটা সময়ের পর আলু পরিপূর্ণ সিদ্ধ হওয়ায় করাটা নামিয়ে দিলাম।
এরপর ঝাল হলুদ লবণ সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা যাচাই করলাম এবং প্রয়োজনে লবন দিলাম। আলু পর্যাপ্ত পরিমাণ সিদ্ধ হয়ে বেশি দারুন একটি ঘ্রাণ সৃষ্টি হয়েছে। বুঝতে পারলাম সমস্ত মসলাগুলো বেশ ভালোভাবে ভাজা হয়েছিল তাই আলুর সাথে মানিয়ে গেছে।
এবার ভাজা মাছগুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিলাম। তারপর আবারও চুলা জ্বল দিতে থাকলাম দিতে থাকলাম। এরপর আর একটু ঝোল করার উদ্দেশ্যে কিছুটা পানি দিলাম, ঝাল লবণ ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা আবারো যাচাই করে নিলাম। চামচ দিয়ে মাছের সাথে আলু কিছুটা উল্টে পাল্টে ভেতরে ডুবিয়ে নিলাম। এরপর কয়েক মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে আবার ঢেকে দিলাম। যেন ভালভাবে মাছ এবং আলুর অন্যরকম স্বাদ সৃষ্টি হয়। আর এভাবে একটি পর্যায়ে আমার রান্নার কার্যক্রম শেষ হয়ে আসলো।
রান্না শেষ হয়ে গেলে আমার তৈরি এই রেসিপি কড়াই থেকে নামিয়ে একটি গামলার মধ্যে রাখলাম। এরপর রান্নার কাজ সম্পন্ন করে খাবার রুমে নিয়ে গেলাম।
পরিবেশন
খাবার টাইমে পরিবারের সবার মাঝে আমি আমার তৈরি এই রেসিপি পরিবেশন করলাম। পরিবারের সবাই কমবেশি আমার এই রেসিপি খেয়ে বেশ প্রশংসা করলো। আর এভাবে মেটে আলু আর শিং মাছের রেসিপি এর কার্যক্রম শেষ হলো।
Photos device | Itel vision 1 |
---|---|
বিষয় | সুস্বাদু মাছের রেসিপি |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
মেঠে আলু দিয়ে শিং মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন আপু।শিং মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা রেসিপি টা দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি
মেটে আলু দিয়ে শিং মাছ রান্নার অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। মেটে আলু খেতে যেয়ে আমার কাছে কতটা ভালো লাগে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। শিং মাছ ব্যবহার করার ফলে এটা খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়ে গিয়েছে।
অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য
একটা সময় আমাদের গ্রামের বাসায় মেটে আলু অনেক পাওয়া যেতো। অনেকদিন থেকে আর খুব একটা দেখি না। মেটে আলু দিয়ে শিং মাছ রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি।
মেটে আলু আমার অনেক পছন্দের তরকারি। আপনি মেটে আলু শিং মাছ দিয়ে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপিটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমারও এই আলু ভালো লাগে
যাক যাক আপনার কাছে এই আলু ভালো লাগে জেনে অনেক ভালো লাগলো।
মেটে আলু রান্না করলে বেশ ভালোই লাগে খেতে। তবে এরকম শিং মাছ দিয়ে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। মেটে আলু এমনিতেও আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন।
মেটে আলু অনেক ভালো একটি উপকারী তরকার। মেটে আলু আমার অনেক পছন্দের খাবার। আমি অনেকভাবে এটি রান্না করে খেয়েছি তবে শিং মাছ দিয়ে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। মাছ দিয়ে রান্না করলে আমার তেমন একটা পছন্দ হয় না। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এটি বেশ সুস্বাদু হয়েছে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আমিও অনেক পছন্দ করি ভাইয়া
মেটে আলু আমার ভীষণ পছন্দের। মাছ দিয়ে এই আলু রান্না করলে অসাধারণ সুস্বাদু হয় খেতে।আপনি ভীষণ লোভনীয় করে শিং মাছ রান্না করেছেন মেটে আলু দিয়ে। ভীষণ লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন আপনি।
আমাদের গ্রাম্য ভাষায় এই আলুকে মাছ আলু বলে। শিং মাছ আমার খুবই প্রিয়। তবে এভাবে এই আলু দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরির প্রসেস ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই আলু আমাদের অনেক হয়
মেটে আলুকে আমাদের এদিকে মাড়িয়া আলু বলে থাকি। আজকে আপনি মেটে আলু দিয়ে অনেক সুন্দর করে শিং মাছের রেসিপি করেছেন। তবে এই মেটে আলু দিয়ে যে কোন মাছ রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। এবং এই ধরনের রেসিপির মধ্যে একটু ঝাল বাড়ি দিলে খেতে অন্যরকম মজা লাগে। আর আপনার রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপিটা অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আমাদের এলাকায় মেটে আলু বলে