ভ্রমণ :- মুছাপুর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। (প্রথম পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব মুছাপুর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। মুছাপুর জায়গাটি অনেক সুন্দর এই জায়গাটিতে ঘুরতে গেলে বেশ ভালো লাগে। তবে মুছাপুর জায়গাটি আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূর। যদিও বর্তমান সময়ে মুছাপুর গেটটি নষ্ট হয়ে গেল। আর এই গেট নষ্ট হওয়ার কারণে আমাদের এলাকায় এবং আশেপাশে এলাকাগুলোর জন্য বিপদ সংকেত। সামান্য বৃষ্টি বা কিছু হলে এসব এলাকা গুলোতে পানি বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভাবনা আছে। যদিও আমি মুছাপুর ব্রিজ নষ্ট হওয়ার আগে এই জায়গাতে ঘুরতে গেলাম। কারণ জায়গাটি এতই সুন্দর ঘুরতে গেলে মন ভরে যায়।
বিগত এক মাস আগে গেট নষ্ট হওয়ার কিছুদিন আগে আমরা ওই জায়গাতে কয়েকজন মিলে ঘুরতে গেলাম। যদিও লোকগুলো আমরা সবাই পরিচিত ছিলাম। রকি ভাই আমি এবং ইমরান ভাই ও মারুফ ভাই চারজন ঘুরতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে সকালবেলা রকি ভাই আমাকে কল করে বলল ঘুরতে যাবে। তখন আমিও বললাম ঠিক আছে ওই সময় আমাদের জায়গাটি ঠিক ছিল না কোথায় ঘুরতে যাব। তবে রকি ভাই এবং ইমরান ভাইয়ের কাছে বাইক ছিল এই কারণে সুবিধা হল ঘুরতে গিয়ে।
তারপর আমি সকালবেলা দাগনভূঞা বাজারে গেলাম। ওইখান থেকে আমরা চারজন ঠিক করলাম মুছাপুর ঘুরতে যাব। তারপর আমরা বাইক নিয়ে চারজন দিনের বারোটার সময় রওনা দিলাম। সাড়ে এক ঘণ্টার মধ্যে আমরা মুছাপুর জায়গাতে পৌঁছে গেলাম। তবে ওই সময় এখনো নদীতে জোয়ার পুরোপুরি আসে নাই। এই কারণে আমরা হালকা নাস্তা করে নিলাম। যদিও ওই জায়গাতে রাস্তা গুলোর দাম অনেক টাকা নিয়ে থাকে। ২০ টাকার একটি পানি ওইখানে ৩০ টাকা বিক্রি করে। সত্যি বলতো ঐদিন আমরা যাওয়ার সময় বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে গেলাম।
ঐদিন সকালবেলা থেকে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় অনেক ঠান্ডা লেগেছিল। এরপর আমরা যখন নাস্তা খাওয়ার পর নদীর ধারে গেলাম। তখন বাতাস অনেক ছিল। মনে হচ্ছে কে জানি আমাদেরকে পিছন থেকে টেনে ধরতেছে। এতই বাতাস ছিল আমরা ওখানে দাঁড়াতে পারতেছি না। তারপর আমরা নদীর পানির জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। যদিও আমাদের কাপড় গুলো ভিজা ছিল এই কারণে অনেক ঠান্ডা লাগতেছে। তবে আমরা নদীতে জোয়ার আসার আগে গোসল করে নিলাম। এবং নদীর পানি গুলো পরিষ্কার ছিল না।
সত্যিই এই পোস্টটি যখন লিখতে ছিলাম তখন মুছাপুর সুইচগেটের কথা মনে পড়ে গেল। আমরা যখন গিয়েছিলাম ওই সময় মুছাপুর গেটটি তখনো ছিল। কিন্তু এখন যখন পোস্টটি লেখার সময় কিন্তু সেই গেট আর নেই। আমার কাছে এটা ভেবেই ভীষণ খারাপ লাগলো একটি বন্যা আমাদেরকে কত কিছু। যেমন সবাই এই মুছাপুর ঘুরতে গিয়ে আনন্দ করত। কিন্তু এখন চাইলেও কেউ আর ওখানে ঘুরতে যেতে পারবে না। কারণ চার পাশে শুধু পানি আর পানি। খুব মিস করবো সেই মুছাপুর গেট টাকে।
আসলে এই জায়গাটি পর্যটক জায়গা হিসেবে পরিচিত ছিল। দূরদূরান্ত থেকে লোক এখানে ঘুরতে আসতো। আমাদের বাড়ি থেকেও এ জায়গাটি অনেক দূর ছিল। সত্যিই এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে গেলে মন এমনিতে ভালো হয়ে যেত।
(চলবে)
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মুছাপুর ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। আপনারা চারজন মিলে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। বন্যার কারণে মুছাপুর গেট ভেঙে গেছে এই নিউজটা দেখেছিলাম। বেশ খারাপ লাগলো দেখে। আপনাদের ভ্রমণের পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যাঁ আপু আমরা চারজন মিলে দারুন সময় কাটিয়েছিলাম ওইখানে। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1835939721652183528?t=5e4FTQBeAbP21yuq3b3wWg&s=19
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে মুছাপুর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। আসলে এর আগে এই জায়গাটি দেখতে বেশ চমৎকার ছিল জেনে বেশ ভালো লাগলো। আপনারা বাইক নিয়ে চারজন সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আসলে যে কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর ভাবে পোস্টের মাধ্যমে আপনার অনুভূতি তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আসলে জায়গাটি সুন্দর ছিল এই কারণে দূর থেকে ওখানে আমরা ঘুরতে গেলাম। সুন্দর মন্তব্য করে সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে মুছাপুর ঘুরতে যাওয়ার প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন। আপনার প্রথম পর্বের মাধ্যমে ওইখানকার বেশ কিছু দৃশ্য দেখতে তো ভালো লাগলো। তাছাড়া জায়গাটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তাছাড়া আমি কিন্তু ভ্রমন করতে খুবই ভালোবাসি। আর অবশ্যই চলবে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।
ভবন করতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে।
ভাই আপনার লেখাগুলো সাথে সাথে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যি মুছাপুর ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় আশেপাশের এলাকাগুলোতে সবসময় আতঙ্কিত । তবে আপনারা ব্রিজ ভাঙ্গার আগেই ঘুরতে গিয়েছিলেন। সত্যি ভাইয়া এত সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গিয়ে মন ভালো হয়ে যায়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যাঁ আপু মুছাপুর সুইচগেট ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে এলাকাগুলোর জন্য বিপদ। আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আজ থেকে কয়েক মাস আগে যখন আমরাও মুসাপুর ঘুরতে গিয়েছিলাম, তখনও ওখানে সুইচগেট ছিল। কিন্তু এখন এই সুইচগেট পুরোপুরি ভাবে ভেঙে তলিয়ে গিয়েছে, এটা ভাবতেই অনেক খারাপ লাগছে। যখন এই কথাটা শুনেছিলাম, তখন সত্যি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। কারন কিছুদিন আগেও দেখেছিলাম গেটটা। বন্যা অনেকের অনেক কিছুই ধ্বংস করে দিয়েছে। আপনারা চারজন বাইকে করে মুসাপুর ঘুরতে গিয়েছিলেন শুনে অনেক ভালো লাগলো।অপেক্ষায় থাকলাম আপনাদের ঘুরাঘুরি করার পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য।
হ্যাঁ আপু বন্যার সময় এই সুইচগেট নষ্ট হয়ে গেল। আগে জায়গাটি বেশ চমৎকার ছিল। যাই হোক সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।