লাইফ স্টাইল:-বাড়ির ছোট-বড় সবাই মিলে পার্টি দেওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাড়ির ছোট বড় সবাই মিলে পার্টি দেওয়ার মুহূর্ত। আমাদের বাড়িতে কয়েকজন ছেলে আছে সবাই একসাথে যে কোন অনুষ্ঠান করার জন্য চেষ্টা করে। আর এই ছেলেগুলোর সাথে আমি আর আমার চাচাতো ভাই তারা দুইজন ও থাকি। কারণ আমার চাচাতো ভাইয়ের আমি আগে দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলাম। এবং আমি বাড়িতে আসার পর এই পার্টিগুলো আয়োজন করার চেষ্টা করি। আমার দেখায় বাড়ির আরো ছেলেগুলো আগ্রহ জাগলো। বেশিরভাগ ছেলে আমার রিস্তা ভাতিজা হয়। এবং এই ছেলেগুলো লেখাপড়া করে। রমজানের প্রথম দিন আমাকে বলল কাকা কোন অনুষ্ঠান করা যায় কিনা। তখন আমি তাদেরকে বললাম টাকা আমি ম্যানেজ করে দিব। তোমরা সবাই একসাথে সুন্দর করে সবকিছু করবে।
এই কথা শুনে ভাতিজা গুলো অনেক খুশি হয়েছে। তারপর আমি জিজ্ঞেস করলাম কি কি আয়োজন করবে তারা। চিকেন পরোটা এগুলো আয়োজন করবে। কারণ এইগুলো একসাথে সবাই মিলে করলে খেতে ভালো লাগে এবং অল্প টাকার মধ্যে হয়। তারপর আমি আর আমার চাচাতো ভাই দুইজন ৫০০ টাকা করে দিলাম। আর বাকি টাকাগুলো ভাতিজাগুলো দিয়েছে। তবে মজার ব্যাপার হলো আমাদের সাথে বাড়ির দুইজন মুরুব্বিও থাকে যে কোন অনুষ্ঠানে। তারা কোন টাকা দেয় না শুধু অনুষ্ঠানে এটেন্ড করে। এরপর যখন ছেলেগুলো বাড়ির ছেলেদের লিস্ট করলেন। তখন একজন বলে মুরুব্বী দুইজনকে বাদ দেওয়া যাবে না। তারা সব সময় আমাদের সাথে থাকে অনুষ্ঠানে।
রাত্রে অনুষ্ঠান করলে নামাজ এবং অন্যান্য কাজ থাকে। এই কারণে ভাতিজাগুলো জলদি বাজারে চলে গেলেন বাজার করার জন্য। আর আপনারা অনেকে জানেন চৌধুরী হাট বাজার আমাদের বাড়ি থেকে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে। এরপর বাজারগুলো বাড়িতে এনে রেডি করল। তারপর আমরা সবাই নামাজ পড়ার জন্য চলে গেলাম তারাবির। এবং তারাবির নামাজ শেষ করে এসে একসাথে বসে সবাই পার্টির জিনিসপত্রগুলো রেডি করতে লাগলাম। আমরা মুরগির সাথে আলু দিয়েছি। তবে আমরা বাড়ির দশজন ছেলে ছিলাম। যদিও রেডি করার সময় সবাই ছিল না। বড়দের মধ্যে আমি ছিলাম বাড়ির ভাতিজাগুলো ছিল। তবে ওইদিন আমরা পাঁচ কিলো মুরগি কিনেছিলাম। এবং কিছু আলু ও টমেটো কিনেছিলাম। যখন আমাদের পার্টি রেসিপি রেডি হয়ে গেল আস্তে আস্তে সবাই আসতে লাগলো।
এবং আমরা পরোটা গুলো দোকানে অর্ডার দিলাম। কারণ আগে ওয়াটার না দিলে পরোটা পাওয়া যাবে না। এবং আমাদের বাড়ির দশজন ছেলে ছাড়াও বাড়ি আরো কিছু লোক হলো পার্টিতে। এই কারণে আমরা একটু পরোটা পিছু বেশি অর্ডার দিলাম। তারপর আমরা দুটো বড় প্লেটের মধ্যে চিকেন রান্না করা রেসিপি ঢেলে নিলাম। এবং আমরা দোকান থেকে ঠান্ডা নিয়ে আসলাম খাওয়ার জন্য। সত্যিই সবাই একসাথে বসে খেতে বেশ ভালো লাগলো। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এতগুলো পরোটা আনার পরও খাওয়া হয়ে গেল। আর আমি একজন প্রতি করে তিনটি পরোটা ভাগ করে আগেই দিয়ে দিলাম। কারণ তিনটি পরোটা ভাগ করে না দিলে পরে কেউ বেশি বা কেউ কম পাবে।
এবং রেসিপিটি একটু টমাটো আর ঝাল দেওয়ার কারণে খেতে বেশ মজা লাগলো। কারন আমি ঝাল খেতে একটু বেশি পছন্দ করি। এই কারণে রেসিপি করার আগেই আমি বলে দিন একটু জাল বেশি দিয়ে রিসিভ করার জন্য। ঐদিন আমি চারটি পরোটা খেলাম এই রেসিপি দিয়ে। আর খেতেও খুব ভালো লাগলো। তবে আমাদের রেসিপি কিছু বেঁচে গেল কিন্তু পরোটা ছিল না। আর সবাই মিলে একসাথে বসে মজা করে খেলাম ভালো আড্ডায় দিলাম। ঐদিন আমরা সবাই পাটি খেয়ে রাতভর আর ঘুমায় নাই। একত্রে রাতে সাড়ে তিনটা সেহরি খেয়ে ঘুমিয়েছি। এবং মাঝেমধ্যে এই ধরনের পার্টি করলে বাড়ির মধ্যে মিল ও থাকে। এবং ছোট বড় সবাই আন্তরিকতাও হয়।
এবং এইখানে পার্টি দেওয়া ছেলেগুলোর মধ্যে আমি আর আমার চাচাতো ভাই দুইজন বিবাহিত ছিলাম। এই কারণে আমাদের দুইজনের ওয়াইফের জন্য পরোটা ও রেসিপি পাঠিয়েছে খাওয়ার জন্য। এবং দুইজনের ওয়াইফের জন্য তিনটি করে পরোটাও দেওয়া হল। তবে আমার ওয়াইফ রেসিপি খেয়ে অনেক মজা পেয়েছে। এবং সেই নিজেও বলল আপনাদের রেসিপিটি অনেক মজা হয়েছে খেতে। এই হচ্ছে বাড়ির সবাই মিলে ছোট বড় পার্টি দেওয়ার মুহূর্ত। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/Jamal7183151345/status/1901903344664502290?t=elFv1wzWw0DfnXATv6zDMA&s=19
কয়েকজন মিলে এভাবে পার্টি করতে খুব ভালো লাগে। যেকোনো খাবার রান্না করা হোক না কেনো,খাওয়ার সময় স্বাদ অনেকাংশে বেড়ে যায়। কারণ সবাই মিলে খাবার খাওয়ার মধ্যে বরকত থাকে। যাইহোক পরোটা দিয়ে বেশ মজা করে চিকেন রেসিপি খেয়েছেন তাহলে। এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন কয়েকজন মিলে এভাবে পার্টি করতে খুব ভালো লাগে। তবে আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
সবাই মিলে বেশ মজা করে পার্টি করেছেন দেখছি। সবাই মিলে এরকম সময় কাটাতেও বেশ ভালো লাগে। একসাথে রান্নাবান্না খাওয়া দাওয়া আলাদা রকম অনুভূতি। সবাই মিলে বেশ জমজমাট খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখছি। এরকম একটা সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ এরকম পার্টি গুলোতে একসাথে রান্নাবান্না করে খেতে মজা লাগে সময়ও ভালো যায়। ভালো থাকবেন আপু।
৫ কিলো মুরগির মাংসের সাথে আলু টমেটো দিয়ে মজাদার রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন। এরকম মাংসের সাথে রুটি খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনারা ছোট-বড় দশ জন ছেলে একসাথে অনেক সুন্দর পার্টি দিয়েছেন। তবে এখন রমজান মাস রাতের বেলা করেছেন দেখে ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ রমজান মাসে রাতের বেলা পার্টি করেছি। ভালো থাকবেন আপু।
বাড়ির ছোট বড় সবাই মিলে মজার পার্টি দিয়েছেন। আসলে এরকম পার্টি গুলো হলে বাড়ির মধ্যে একতাও থাকে সুন্দর সময় উপভোগও করা যায়। আপনারা দেখছি পাঁচ কেজি মুরগির সাথে আলু দিয়ে মজার রেসিপি করেছেন। তবে ঐদিন রেসিপিটি আমি নিজেও খেয়েছি খেতে অনেক মজা হয়েছে। আর আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বাড়ির ছোট বড় সবাই মিলে।
হ্যাঁ ঐদিন রেসিপিটি অনেক মজা হয়েছিল। তবে আপনার অসাধারণ মন্তব্য শুনে আমার কাছে ভালো লাগলো।