লাইফ স্টাইল :- মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি শেয়ার করব আপনাদের মাঝে মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে যাওয়ার মুহূর্ত। আপনারা অনেকে জানেন আমার মা-বাবা দুইজন অসুস্থ। মূলত আমার একটি ভাই মারা যাওয়ার পর তারা দুইজন দুইবার করে স্টক করেছে। এই কারণে তারা প্রায় অসুস্থ থাকে। তার উপর আমার মায়ের ডায়াবেটিস বেশি। আমি প্রতিমাসে একবার করে আমার মাকে বড় ডাক্তার দেখায়। কারণ সেই সব সময় অতিরিক্ত দুর্বল থাকে এবং অসুস্থ থাকে। কিছুদিন আগে আমি তাকে ডায়াবেটিস হাসপাতালে নিয়ে গেলাম চেকআপ করানোর জন্য।
এরপর ডাক্তার আমার মাকে দেখে অনেকগুলো ওষুধ লিখে দিলেন। মূলত ওই ওষুধগুলো কেনার জন্য আমি বাজারে যাই। যদিও আমাদের বাড়ি থেকে বাজার ৫ কিলোমিটার দূরত্ব। আমি আমার মায়ের জন্য ১৫ দিনের ওষুধ একসাথে নিয়ে আসি। কারণ তার ওষুধগুলো অনেকটাই পাওয়ারি ওষুধ। তাই কিছুদিন আগে যখন আমি ফার্মেসিতে গেলাম। তখন তাকে ডাক্তারি সিলিপ দেখালাম। এরপর ডাক্তার দেখে দেখে ওষুধ গুলো দিতেছে। সত্যি অবাক করা বিষয় হচ্ছে ছোট ছোট ওষুধের বাক্স গুলো থেকে সেই ওষুধ গুলো দিতেছে। কারণ এসব ওষুধ দোকানগুলো অনেক বড় এবং অনেক ওষুধ থাকে।
কিভাবে তাদের খেয়াল থাকে কোন ওষুধ কোন জায়গাতে আছে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেই সবগুলো ওষুধ দিয়ে দিলেন। এরপর দেখে দেখে ওষুধগুলো নাম দেখতেছে এবং কোম্পানি দেখতেছে লোকটি। আমি প্রথমেই বলে দিলাম যে এই ওষুধ লিখেছে ওই ওষুধ দিতে হবে। অন্য কোন কোম্পানির ওষুধ দেওয়া যাবে না। কারণ আমি সব সময় ডাক্তারি সিলিপ দেখে বরাবর ওষুধ কিনে থাকি। তবে এই ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে গেলে আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
কারণ ওষুধ কিনলে ১০% টাকা সেই কম নেই। ওষুধ থেকে সেই ১০% টাকা আমাকে ছাড় দিয়ে থাকে। যদিও এই ফার্মেসি লোকের সাথে আমার অনেক আগ থেকে সম্পর্ক। আমার স্কুল জীবন থেকে এই লোকের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। আর ১৫ দিনের ওষুধ আমি একসাথে তার দোকান থেকে নিয়ে নিলাম। ওষুধের টাকাগুলো তাকে দিয়ে দিলাম। সে আমাকে নিজ থেকে বলেন আমি আপনার থেকে ওষুধ এর দাম ১০% কম রাখি। বর্তমান সময়ে অনেক ফার্মেসি আছে বাজে কোম্পানি ওষুধ রেখে ভালো কোম্পানির ওষুধের দাম নিয়ে থাকে।
এই কারণে ভালো ডাক্তার এবং ফার্মেসী দোকান বরাবর যেতে হয়। আর আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার মাকে ভালো ডাক্তার দেখানোর জন্য। যদিও আমি বর্তমানে আমার মাকে ডায়াবেটিস হাসপাতালে একটি ডাক্তার দেখায় এবং বাহিরে অন্য হাসপাতালের ডাক্তার দেখায়। কারণ ডায়াবেটিস ছাড়া অন্যান্য অনেক ধরনের অসুখ আছে তার। তবে আমার মা-বাবার পিছনে আমার ফ্যামিলি খরচ চেয়ে ওষুধের টাকা বেশি লাগে। আর আমার মা-বাবা দুইজন আমার সাথেই থাকে। আমি চেষ্টা করি সব সময় তাদের খেয়াল রাখার জন্য। কারণ আমি মনে করি আজকে তারা বৃদ্ধ হয়েছে কালকে আমি নিজেও হতে পারি। তাই আমি আমার সাধ্যমত উনাদের যতটুকু খেয়াল রাখা দরকার ততটুকু রাখার চেষ্টা করি। আশা করি আমার আজকের এই পোস্ট আপনাদেরও অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1786738526794702898?t=xCC7taW2j5JtXIfIb1wbUQ&s=19
আমি বেশ কয়েকদিন আগে জানতে পেরেছিলাম যে আপনার মা বাবা দুজনেই খুবই অসুস্থ। আসলে ডায়াবেটিস রোগ টি বর্তমান সময়ে প্রায় মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে। আপনি আপনার মা বাবার পাশে সব সময় থাকার চেষ্টা করবেন। আমি মন থেকে দোয়া করি আপনার মা বাবা খুবই তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে উঠে।
আপনি ঠিকই শুনেছেন আমার মা-বাবা দুজন অসুস্থ। তাদের জন্য দোয়া করবেন।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার মায়ের জন্য ওষুধ কিনর মুহূর্ত। এখন প্রায় প্রত্যেকটি ফার্মেসিতে ওষুধ নিলে ১০% ছাড় দিয়ে থাকে। আপনি আপনার মায়ের জন্য ১৫ দিনের ওষুধ কিনেছেন আপনার পোষ্টের মধ্যে থেকে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাই আগে যে ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিতাম সে কখনো ১% দেয় নাই। আর এই ফার্মেসির লোক আমাকে ১০% ছাড় দেই ওষুধ কিনলে। যাইহোক আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। আসলে সব ছেলে মেয়ের উচিত তার বাবা-মার পাশে থাকা আপনার কথাগুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো আপনি আপনার বাবা মাকে সবসময় ভালো ডাক্তার দেখানোর চেষ্টা করেন এটা শুনে অনেক খুশি হলাম। আমি আপনার বাবা মার জন্য সুস্থতা কামনা করছি আল্লাহ তায়ালার কাছে। আমি সকল বাবা মার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চাচ্ছি আল্লাহ যেন সকলের বাবা আমাকে অনেক ভালো রাখেন সুস্থ রাখেন। বাবা মা অসুস্থ থাকলে কোন সন্তানের মন ভাল থাকে না। আপনি আপনার মায়ের জন্য ১৫ দিনের ওষুধ কিনে সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
হ্যাঁ এটি ঠিক বলেছেন ছেলে মেয়ের উচিত মা-বাবার পাশে থাকা। আমার মা-বাবার জন্য দোয়া করবেন।
আপনার ভাইয়া মারা যাওয়ার কথা আগে জানতাম না ভাইয়া।।আসলে সন্তান হারিয়ে বাবা-মা আরো বেশি ভেঙে পড়েন। তাইতো আপনার মা-বাবা অনেকটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। উনাদের এই অসুস্থতা হৃদয়ের গভীর থেকে তৈরি। দোয়া করি আপনার বাবা এবং মা যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং এই পৃথিবীতে অনেক বছর বেঁচে থাকেন। শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আসলে আমার একটি ভাইটি মারা গেল এটি আমি কখনো কাউকে বলিনি। ভালো থাকবেন আপু।
কিছুদিন আগে আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম আপনার আম্মুকে ডায়াবেটিস হাসপাতালে নিয়ে গেছিলেন। তবে আপনার ভাই মারা গেছিল সেই খবরটা জানি না। যেহেতু দুইবার করে স্ট্রোক করেছে তাহলে বেশ সাবধানে রাখতে হবে দুইজনকে। আপনার ভাগ্য ভালো আপনি মা-বাবা দুজনকে সেবা করতে পারতেছেন। আপনার আয়ের উপরে আরও বরকত দান করবেন সৃষ্টি কর্তা। অনেক ভালো লাগলো আপনার ব্লগ পড়ে।
আমি চেষ্টা করি আপু আমার মা-বাবার সেবা করার জন্য সব সময়। আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার ভাইয়ের আত্মার শান্তি কামনা করি।জেনে খুবই খারাপ লাগলো,যাইহোক চিন্তা ও শোক মানুষকে অসুস্থ করে তোলে।আপনার বাবা-মায়ের সুস্থতা কামনা করছি।আপনাদের বাড়ি থেকে অনেকটাই বাজারের দূরত্ব,যদিও যানবাহনের কাছে এখন কিছুই নয় 5 কিলোমিটার।যাইহোক বাবা-মায়ের যত্ন নিন, শুভকামনা রইলো।
আসলে মা বাবা সন্তানের জন্য বড় একটি দোয়ার ভান্ডার। ভালো থাকবেন আপু মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন। অনেক ফার্মেসী আছে,যারা লো কোম্পানির ঔষুধ রাখে। কারন ঐ কোম্পানি গুলোর ঔষুধে লাভ বেশি হয়। আপনি এদিক দিয়ে খুব ভালো কাজ করেন, ভালো কোম্পানির ঔষুধ ও ভালো ডাক্তারর কাছে যান। আপনার মায়ের ঔষুধ গুলো সত্যিই ভালো কোম্পানির ঔষুধ দিয়েছে।ধন্যবাদ।
ভাইয়া বর্তমান সময়ে মার্কেটে অনেক লো কোম্পানির ওষুধ পাওয়া যায়। আর ফার্মেসী লোকগুলো ওই ওষুধগুলো বিক্রি করে থাকে। আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার পোস্ট টি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। আমি বেশ কয়েকদিন আগে জানতে পারলাম যে আপনার বাবা মা দুইজনে অনেক অসুস্থ। আপনি এখন প্রায় প্রত্যেকটি ফার্মেসিতে ওষুধ নিতে গেলে ১০% ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকেন। ভাই আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার মায়ের জন্য ওষুধ কেনার মুহূর্ত। আপনি আপনার মায়ের জন্য ১৫ দিনের ওষুধ কিনেছেন এটা আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম জেনে বেশ অনেক ভালো লাগলো। দোয়া করি আপনার বাবা-মা অনেক তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান।শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাই।
আসলে ভাই আমাদের এইদিকে গ্রামের ফার্মেসি গুলো ১০% ছাড় দেই না। আসলে আমি আগে কখনো ১০% ছাড় পাই নাই ওষুধ কিনতে। তবে আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
তবে স্তান ভেদে এমন হতে পারে।আমরা ওষুধ কিনতে গেলে ১০% কম পেয়ে থাকি।