ভ্রমণ :- তিন রাস্তার মোড়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব তিন রাস্তার মোড়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। আমাদের বাড়ি থেকে মোটামুটি একটু দূরে একটি জায়গা আছে। জায়গাটির নাম হচ্ছে তিন রাস্তার মোড়। তবে এইখানে তিন দিক থেকে তিনটি রাস্তা আসলো এই কারণে তিন রাস্তার মোড় বলে। একটি রাস্তা আসলো শাপলা চত্বর থেকে। অন্য একটি রাস্তা আসলো মালটা বাগান থেকে। আর একটি রাস্তা আসলো নদীর তীর থেকে। তবে তিন রাস্তার মোড়ে তিন দিক থেকে রাস্তা আসার কারণে এইখানে মোটামুটি মানুষ থাকে। যদিও নদী এলাকায় রাস্তাগুলো এই কারণে ওইখানে অনেক ঠান্ডা পড়ে। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে আমি চিন্তা করলাম একটু কোথাও থেকে ঘুরে আসি। এরপর আমি তিন রাস্তার মোড়ে ঘুরতে গেলাম।
যদিও আমি আমার নিজের সাইকেল নিয়ে ওইখানে চলে গেলাম। তবে তিন রাস্তার মোড়ে কয়েকটি দোকান আছে। একটি দোকানে তাজা গরুর দুধ দিয়ে চা পাওয়া যায়। এবং এই দোকানে ভালো মানের তাজা দই পাওয়া যায়। তবে দূরদূরান্ত থেকে লোক এখান থেকে দই নিয়ে থাকে। এবং বেশি হলে এই দোকানে প্রথমে বলে দিতে হয়। যখন আমি ওই দোকানের সামনে গেলাম তখন দোকানদারকে বলতেছি একটা চা দেওয়ার জন্য। দোকানদার ঠান্ডার কারণে বাইরে দাঁড়িয়ে রইলো। আমি তিন চার বার বলার পরও সে দোকানের ভিতরে যাচ্ছে না। তখন আমি লোকটির পাশে এসে বললাম চা দেওয়ার জন্য। মজার বিষয় হচ্ছে ঠান্ডার কারণে লোকটি দোকানের ভিতরে যাচ্ছে না। এবং আমাকে বলতেছে চা যদি খেতে মন চায় নিজে বানিয়ে খাওয়ার জন্য। তখন আমি বলতেছি কি বলেন। তখন লোকটি বলতেছে অতিরিক্ত ঠান্ডা দোকানের ভিতরে।
সত্যি বলতে নদীর পাশে জায়গাগুলোতে এমনিতে বাতাস অনেক ঠান্ডা থাকে। এরপর আমি লোকটির সাথে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ কথা বললাম। তবে বিগত ১২ থেকে ১৫ বছর আগে এই জায়গাতে কিছুই ছিল না। শুধু জমিনের আইল ছিল। আর হঠাৎ করে সুইচগেট হওয়ার পর এই জায়গাগুলোতে মানুষ এখন বসবাস করে। যদিও ওইখানে রাস্তাগুলো এখনো মাটির কাঁচা রাস্তা। আর ওই এলাকাতে এখন বর্তমানে অনেকগুলো বাড়ি আছে। এবং এই বাড়িগুলো আমাদের এলাকার লোকের না। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে এইখানে বাড়ি ঘর করেছে। আর এইখানে যে দোকানদার গুলো আছে তারও বাইরের এলাকার। তখন আমি লোকটিকে আরো জিজ্ঞেস করতেছি এখানে দই কিভাবে বিক্রি করা হয়।
এবং দোকানদার বলতেছে খাওয়ার জন্য এখানে দই আছে। তবে বেশি দই চাইলে আগে বলতে হবে এবং টাকা দিতে হবে। তখন আমি লোকটিকে আরো জিজ্ঞেস করলাম কেন আগে টাকা। তখন দোকানদার বলে আমরা দই রেডি করার পর অনেকে আর এইগুলো নেই না। এই কারণে লোকসান হয়। লোকটিকে আমি জিজ্ঞেস করতেছি এই নিয়ে আপনারা কিছু বলেন না। তখন দোকানদার বলতেছে আমরা বাহিরের এলাকার এই কারণে আমাদেরকে কেউ ইজ্জত করে না। আসলে এই ব্যাপার গুলো দুঃখজনক। এরপর দোকানদারকে আরো জিজ্ঞেস করলাম আপনাদের বাড়ি কোথায়। অনেক দূরে একটি এলাকার নাম বললেন। এবং সরকারি জায়গার মধ্যে তারা বাড়ি ঘর করেছে এখন। তবে এক রাস্তার পাশ দিয়ে কিছুদূর গেলে একটি মালটা বাগান আছে। আর ওই মালটা বাগানে কেউ ঘুরতে গেলে এমনিতে মালটা খাওয়ার জন্য দিয়ে থাকেন মালিকে।
অন্য যে রাস্তা আসলো শাপলা চত্বর এ রাস্তাটি দিয়ে মানুষ মোটামুটি চলাফেরা করে। ওই রাস্তার পাশে ছোট একটি শাপলা বানিয়েছে এই কারণে নাম রাখা হলো শাপলা চত্বর। তবে দোকান থেকে দুই মিনিট হেঁটে গেলে পাশের নদী আছে। বর্তমানে এই জায়গাতে নদীর অবস্থা একদম খারাপ। সুইচগেট ভেঙে যাওয়ার পর। যদিও আমি যে সময় ওইখানে গেলাম ওই সময় তিন রাস্তার মোড়ে মানুষ খুব কমই ছিল। তবে আমি পরে ওই দোকানে বসে চা পাণ করলাম। আসলে দোকানের চা গুলো খুব ভালো খেতে বেশ মজা লাগে। আর এই জায়গার আশেপাশের জায়গাগুলো যে যেভাবে পেয়েছেন দখল করে চাষাবাদ করতেছে। আর এই কারণে এই জায়গাগুলো নিয়ে ঝামেলা বেশি।
তবে এমনিতেই গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ে। আর শীতকালে রাতের বেলা যেমন ঠান্ডা দিনের বেলা ঠান্ডা পড়ে। তবে বিগত কয়েক বছরে তিন রাস্তার মোড় এরিয়া অনেক উন্নত হয়েছে। বিশেষ করে এইখানে অনেক বাড়িঘর হয়েছে। যদি আমরা ছোট থাকতে যখন যেতাম ঘুরতে এইখানে মাত্র একটি বাড়ি ছিল। আর এখন ফ্রাই ৫০ ফ্যামিলির উপরে লোক এখানে বসবাস করে। আর কিছুদিন পর যখন জমিনের মধ্যে ফসল থাকবে তখন দেখতে আরো বেশ ভালো লাগবে। সত্যি বলতে এসব জায়গাগুলোতে গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এই হচ্ছে আমি তিন রাস্তার মোড়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1868620965627953411?t=74sA2V9IHVZweE6h8lpjwQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুব সুন্দর ভাবে আপনার তিন রাস্তার মোড়ে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেকেই ঘরছাড়া হয়ে এসব সরকারি এলাকায় বসবাস করে এটা প্রত্যেক জেলায় হয়।
হ্যাঁ অনেকে ঘর ছাড়া হয়ে এসব জায়গাতে বসবাস করে। আমার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
গ্রামের এই মেঠোপথ গুলোতে হাঁটতে বেশ ভালো লাগে। আপনার হাটাহাটির মুহূর্ত এবং সাথে কিছু গ্রামীণ দৃশ্য দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ গ্রামীন কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি এবং ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন গ্রামের মেঠো পথগুলোতে হাঁটতে বেশ ভালো লাগে। তবে আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
বেশি দারুন অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। মাঝে মাঝে বাইরের পরিবেশে ঘুরতে যাওয়ার মধ্যে অনেক আনন্দ রয়েছে রয়েছে ভালোলাগা এবং নতুন অভিজ্ঞতা। ঠিক তেমনি তিন রাস্তার মোড়ে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আমার পোস্ট নিয়ে সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আজ আপনি তিন রাস্তার মোড়ে ঘুরতে যাওয়ার খুব সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। গ্রামের রাস্তাগুলোতে ঘুরতে যেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে বাইরে ঘুরতে গেলে মন-মানসিকতা খুবই ভালো থাকে। গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরতে যাওয়ার খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আসলে মাঝেমধ্যে বাইরের ঘুরতে গেলে মন মানুষ তা ভালো থাকে ঠিক বলেছেন। চমৎকার মন্তব্য করে সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
তিন রাস্তার মোড়ের জায়গাটি তো দেখতেছি অসাধারণ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে জায়গাটি কিন্তু বেশ ভালো লাগতেছে। তবে এ জায়গাটির নাম আমি নিজেও শুনেছি। ৩ পাস থেকে তিনটি রাস্তা আসার কারণে তিন রাস্তার মোড়। যদিও জায়গাটি নিরিবিলি এই কারণে ওইখানে বাহিরের কিছু লোক এসে বসবাস করতেছে। তিন রাস্তার মোড়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন।
এসব গ্রামাঞ্চলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করে এমনিতে। ভালো থাকবেন সব সময় আপনি।