লাইফ স্টাইল :-রমজানে ইফতার পার্টি দেওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ২৮ রমজানে ইফতার পার্টি দেওয়ার মুহূর্ত। রোজা ২৮ টি দিন আমরা আমাদের বাড়ির সামনে মাদ্রাসা ইফতার পার্টি দিয়েছিলাম। মূলত আমাদের বাড়ির সবাই মিলে রমজান মাসে একদিন ইফতার পার্টি দিই। যারা বিদেশ থাকে তাদের সাথেও যোগাযোগ করে টাকা নিয়ে এই পার্টির আয়োজন করি। যদিও এই পার্টি আমি বিদেশ থেকে আসার পর থেকে চালু করেছি। কারণ বাড়ির সামনে মাদ্রাসা নিজেরা রমজান মাসে কিছু করলে দেখতো ভালো লাগে। আর বাড়ির ছোট বড় সবাই ইফতার পার্টিতে আয়োজন অংশগ্রহণ করে এবং খুশি থাকে। যদিও আমার চিন্তা ভাবনা ছিল রমজানের প্রথম দিকে ইফতার পাটি আয়োজন করব। সময়ের কারণে রমজানের প্রথম দিকে ইফতার পার্টি আয়োজন করতে পারি নাই।
তারপর আমি ঠিক করেছি 28 রোজার দিন ইফতার পার্টি আয়োজন করার। আর সেই মোতাবেক সব কিছু জোগাল করলাম। গত বছর ১৫০ জন ইফতার পার্টি আয়োজন করেছিলাম। তুলনামূলক লোক বেশি হওয়ার কারণে এইবার দুইশ জনের উপরে ইফতার পার্টির আয়োজন করলাম। আমরা প্রত্যেকবার ইফতার পার্টি আয়োজন করলে বিরিয়ানি বানিয়ে থাকি। আর এমনিতে বিরিয়ানি খেতে সবাই কমবেশি পছন্দ করে। তবে প্রত্যেকবার আমরা চিকেন বিরিয়ানি করে থাকি। আর এই বার ও চিকেন বিরিয়ানি করলাম। আমরা বাজার থেকে লোক নিয়ে আসি বিরিয়ানি বানানোর জন্য। ওই লোকদের কাজ হচ্ছে বিরিয়ানি রেডি করে চলে যাওয়া। আর যে লোকের সাথে কথা বলেছি ওই লোক বিরিয়ানি রান্না করলে খেতে বেশ মজা লাগে। তবে যখন সব কিছু রেডি করলাম তখন মাদ্রাসাতে বসার জন্য দোতলা এবং তিনতালা ঠিক করলাম।
প্রত্যেকবারে আমরা এভাবে বসার আয়োজন করে। কারণ দোতাল মানুষ বসার জায়গা হয় না। এই কারণে দোতালা এবং তিনতলাতে বসার জন্য জায়গা করি। যদিও আমরা দুই তিন দিন আগে থেকে মানুষকে দাওয়াত দিলাম ইফতার পার্টির জন্য। তবে এইখানে বাইরের কোন লোকের টাকা আমরা নেই না। শুধু আমাদের বাড়ির লোকদের টাকা দিয়ে আমরা এই আয়োজন করি। তবে ইফতারের আধা ঘন্টা আগে থেকে মানুষ আসতে শুরু করল। যদিও আমরা কোন পার্সেল বাড়িতে দেওয়া হবে না এ কথা বলেছি। তারপরও কিছু কিছু লোক আছে যাদেরকে পার্সেল না দিয়েও পারা যায় না। ইফতারের ২০ মিনিট আগ থেকে বিরিয়ানি দাওয়াত চালু করলাম। তবে বিরিয়ানি যেখানে দেয় সেখানে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম।
গতবার আমরা কেউ ছিলাম না বিধায় ওইখানে বিরিয়ানি শট পড়লো। অনেকে বাড়িতে অনেক বিরিয়ানি নিয়েছে কিন্তু ইফতার করার জন্য লোক আসলো তাদের প্লেটে কম পড়েছে। এই কারণে আমি নিজে সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে পরিচালনা করলাম। এবং প্রথমে দোতলায় সবাইকে বসতে দিলাম। যখন ওইখানে আর বসার জায়গা নেই তখন আমরা তিন তালার উপর মাদ্রাসাতে বসা জায়গা করে দিলাম। আবার পাশে মসজিদ আছে সেইখানেও আমরা বিরিয়ানি পাঠিয়েছি। প্রথমে কিন্তু আমি অনেক ভয় ভয় ছিলাম যদি বিরিয়ানি কমতি হয়। তবে আলহামদুলিল্লাহ বিরিয়ানি কোন কমতি হয় নাই। আর কিছু লোকের জন্য বিরিয়ানি আমরা বাড়িতে পাঠিয়েছি।
তবে এই বিরিয়ানি রান্না করার পর আমি বাউচিতে জিজ্ঞেস করলাম কতজন লোকে খেতে পারবে। তখন রান্না করা লোকটি বলল ২০০ জনের উপরে মানুষ খেতে পারবে বিরিয়ানি। আর সব মানুষকে দেওয়ার পরও আলহামদুলিল্লাহ কিছু বিরিয়ানি আরও ছিল। এতে করে কোন কিছুর কমতি হয় নাই। তবে আমাদের জন্য একটু সুবিধা হল যারা বিদেশ থাকে আমাদের বাড়ির সবাই কমবেশি টাকা দিয়েছে। আর ওই টাকা দিয়ে বিরিয়ানি করে ইফতার করলাম সবাইকে। আর কিছু টাকা আমাদের হাতে আছে সেগুলো ঈদের দিন গরীব দুঃখী মানুষকে দিয়ে দেব। আসলে এরকম ইফতার পার্টি গুলো করলেও বাড়ির মানুষের মিল থাকে। আর যেই বিরিয়ানিগুলো বাসলো ওই বিরিয়ানি গুলো বাড়ির কিছু লোকের জন্য পাঠালাম। সত্যি বলতে ইফতার পার্টির সম্পূর্ণ করার পর নিজের কাছে অনেক তৃপ্তি লাগলো। এই হচ্ছে ২৮ রোজার বাড়ির পক্ষ থেকে ইফতার করার মুহূর্ত।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1906306844962038195?t=bnctrlYsBoWPpaeiK5wP7w&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/Jamal7183151345/status/1906307591254442225?t=2IDunVY9SyuiPkUb2jE27A&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1906334244785340676?t=WsS9dPqOCLhSNA8z7MYKBg&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1906336239223242913?t=JtoYoLsylG3EnwTucvl-pw&s=19
https://x.com/Jamal7183151345/status/1906336853277671437?t=ZeBMYWfXwEvbbigJSPj3ew&s=19
আমাদের এলাকাতেও এমন করে ভাইয়া শেষ রমজানে দেশি-বিদেশি সবাই কম বেশি টাকা তুলে এমন করে বড় ইফতারের আয়োজন করে। আলহামদুলিল্লাহ আজকে এমন ইফতারের ইফতারি দিয়েই ইফতার করেছি। আপনাদের ইফতারের আয়োজন প্রায় 200 এর বেশি ছিল। তবে সবকিছুতে কোন কম পড়েনি জেনে খুবই ভালো লাগছে। রমজানে ইফতার পার্টি দেওয়ার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।