জেনারেল রাইটিং পোস্ট:-শত্রু মরে গেলে আনন্দিত হবার কারন নেই। শত্রু সৃষ্টির কারনগুলো এখনও মরেনি।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের চারপাশে এবং বাস্তবে কিছু শিক্ষনীয় বিষয় ঘটে যেগুলো আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। আমাদের সবার উচিত ঐসব কিছু শিক্ষার বিষয় থেকে নিজেদেরও কিছু শিখা। আপনাদের সবাইকে দেখি এরকম বিভিন্ন রকম শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে। তাই আমিও চেষ্টা করতেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করার জন্য। আপনাদেরও আমার পোস্টে আশা করি খুবই ভালো লাগবে।
আজকে আমি খুব শিক্ষনীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।শত্রু মরে গেলে আনন্দিত হবার কারন নেই। শত্রু সৃষ্টির কারনগুলো এখনও মরেনি। আমরা মানুষ আর মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ এবং হিংসা এগুলো আছে। মানুষ বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন মানুষের সাথে শত্রু সৃষ্টি হয়ে যায়। শত্রুতা এমন একটি জিনিস অনেক বছর পর্যন্ত একজনের সাথে একজন শত্রুতা থেকে যায়। আমরা অনেকে মনে করি শত্রু মরে গেছে এই কারণে শত্রুতা শেষ হয়ে গেছে।
এগুলো একদম ভুল ধারণা কিন্তু যে মানুষটি মরে গেছে শত্রু। কি কারনে শত্রুতা হয়েছে সেই কারণগুলো মরে নাই। এবং তার পরিবার পরিজন এবং আপন লোক গুলো এই শত্রুতার ধরে ঝগড়া করে থাকে। শত্রু এমন এক শব্দ মানুষ মানুষকে পর্যন্ত মেরে ফেলে। শত্রু এত ভয়ঙ্কর যে একজন মানুষকে ধ্বংস করতে পারে। আর শত্রু এমন যেই ভয়ংকর বাঘ থেকেও আরো ভয়ংকর। তাই শত্রু মরে গেলে খুশি হওয়ার কিছুই নেই শত্রুর কারণগুলো জীবিত আছে।
পক্ষান্তরে আমাদের এলাকাতে জমি সংক্রান্ত ঝগড়া নিয়ে অনেক বছর পর্যন্ত ঝগড়া লেগেই আছে। অথচ যে লোকগুলো জমি নিয়ে ঝগড়া করতেছে তাদের বাবা চাচারা মরে গেছে। অথচ তাদের ছেলেগুলো ওই জমি নিয়ে বছরের পর বছর শত্রুতা এবং ঝগড়া করে যাচ্ছে। তাদের বাপ চাচারা মরে গেলে কি হয়েছে শত্রু কারণ ওটা এখনো রেখে গেছে। এই কারণে তারা সব সময় নিজেরা নিজেরা ঝগড়া করে। অথচ লোক গুলো একই বাড়ির কিন্তু একজনের জন্য একজন ভয়ংকর শত্রু।
এই কারণে বলি শত্রুতা এমন এক জিনিস মানুষ মানুষকে একদম নিঃস্ব করে ফেলে। আর একজন শত্রু থেকে হাজারটা শত্রুর জন্ম দিয়ে থাকে। এবং শত্রু জন্ম নেওয়ার অনেকগুলো কারণ ও তারা জন্ম দিয়ে থাকে। এই কারণে শত্রু মরে গেলে আনন্দিত হওয়ার কিছুই নেই। শত্রু মরে গেলে কি হবে যে কারণে শত্রুতা চালু করেছে ওই শত্রুতা কারণগুলো মরে নাই। তাই আমি মনে করি শত্রুতামি করে মানুষ কখনো উন্নতি করতে পারে নাই। বরং একজনের ক্ষতি একজনই করে গেছে।
পক্ষান্তরে শত্রু শত্রু খেলা দেশ এবং মানুষের জন্য বড়ই ক্ষতিকর। তাই শত্রু না জন্ম দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে বন্ধুত্ব জন্ম দেওয়া ভালো। শত্রু এমন এক হিংস লোক বনের পশু পাখিকে বিশ্বাস করা যায় শত্রুকে একদম বিশ্বাস করা যায় না। শত্রু হচ্ছে বিষাক্ত সাপের চেয়ে ভয়ঙ্কর। তাই আমরা অনেকে মনে করি শত্রু মারা গেছে এই কারণে আনন্দিত হই। শত্রু মারা গেলে আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। ওই কারণগুলো খুঁজে বের করে সমাধান করতে পারলে শত্রুতামি যাবে। আশা করি আমার শিক্ষণীয় পোস্ট পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1733745177804894369?t=hDZcHKHssNLZXutv0lOgIw&s=19
বাহ্ ভাই আপনি জেনারেল রাইটিং পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি বলেছেন ভাই শত্রু মরে গেলে আনন্দিত হওয়ার কোন দরকার নেই তার থেকে শত্রু তৈরীর কারণটা খুঁজে বের করাটা অত্যাবশ্যক। আমার কাছে মনে হয় শত্রুর থেকেও শত্রু হওয়ার কারণগুলো বেশি ভয়ানক হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ঠিক কথা বলেছেন ভাই শত্রুর থেকেও শত্রুর কারণগুলো বেশি ভয়ানক। অসাধারণ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জমি নিয়ে শত্রু শত্রু খেলা তো বাপ চাচারাই শুরু করে গিয়েছে । এই জন্য তো ছেলেরা একের পর এক সেই যুদ্ধটা চালিয়ে যাচ্ছে । কোন শত্রুকে উপরে ফেলতে হলে তার গোড়াটাকে আগে উপরে ফেলতে হবে তবেই না শত্রু শত্রু খেলাটা বন্ধ হবে ।ভালোই লিখেছেন ।
বাপ চাচারাই জমি নিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি করে দেয় এবং তাদের ছেলেমেয়েরা সে ঝগড়া ছাড়িয়ে যায়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে শত্রু মরে গেলে বেশিরভাগ মানুষ অনেক খুশি হয়। তবে এটা তাদের একেবারেই উচিত হয় না। কারণ যে জন্য শত্রু হয়েছিল সেটা কখনোই মরে না। আর সব মানুষ শত্রুতা নিয়েই ব্যস্ত থাকে, কেউ বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা নিয়ে ব্যস্ত থাকে না। আমাদের সবারই উচিত ভালোবাসা বন্ধুত্ব দিয়ে সবাইকে আপন করে নেওয়া। কারো সাথে শত্রুতা না করা খুবই ভালো। আজকে আপনি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট লিখেছে যেটা পড়ে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি শিখতে পেরেছি। আপনার লেখা সত্যি অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া।
অনেক মানুষ শত্রু নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকে কিন্তু কেউ চেষ্টা করে না ভালোবাসা দিয়ে বন্ধু বানাতে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট করেছেন। এটি ঠিক শত্রু মরে গেল শত্রুর শত্রু তামির লক্ষণগুলো রয়ে গেল। এবং এই লক্ষণগুলোর কারণে তাদের লোকগুলো ঝগড়া করে থাকে। এই কারণে শত্রু মরে গেলেও খুশি হওয়ার কিছু নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি শত্রু কি কারনে হয়েছে সেই লক্ষণগুলো শেষ না করতে পারবেন ততক্ষণ পর্যন্ত ঝগড়া লেগে থাকবে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব মূল্যবান একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্ট পড়ে খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন। এবং উৎসাহিতমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা আপনি সত্যি কথা বলছেন। পৃথিবীতে জন্ম যখন নিয়েছি আমরা প্রত্যক মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু একজন শত্রু মরে গেলে যে আর শত্রু থাকবেনা এমন কথা নেই। তাই আমি মনে করি কোন মানুষ মরে গেলে খুশি হওয়ার কোন অর্থ বহন করে না। কারণ যে খুশি হবে সে তো একদিন মরে যাবে। আপনার গুরুত্বপূর্ণ লেখা গুলো পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো। খুব সুন্দর করে পোস্ট নিয়ে মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক কথা শত্র মরে কিন্তুু শত্রুতা মরে না।কি কারণে শত্রুর উৎপত্তি হয়েছে সে কারণ গুলো কখনো মরে না।শত্রুদের বংশধর ঝগড়া বিবাদ চালিয়ে যায়।ঠিক বলেছেন শত্রুতা করে কেউ কখনো বড়ো হতে পারে না।শত্রুতা মানুষ কে নিশ্ব করে ফেলে।ধন্যবাদ সুন্দর কথা নিয়ে পোস্ট টি করার জন্য।
হ্যাঁ কথাটি একদম ঠিক বলেছেন শত্রুতা মানুষকে নিঃস্ব করে ফেলে। আপনার অস্বাভাবিক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কিছু কিছু শত্রুতা কখনোই শেষ হয় না। কারণ শত্রু মারা গেলেও, শত্রুতার জের পরিবারের অন্য সদস্যরা টেনে নিয়ে যায়। যদিও এই ধরনের শত্রুতা সাধারণত জায়গা জমির ক্ষেত্রে বেশি ঘটতে দেখা যায়। আসলে কোনো মানুষ যখন কাউকে শত্রু মনে করে, তখন সে তার শত্রুকে ধ্বংস করার জন্য যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। মোটকথা যতোটা নিচে নামতে হয়,ততোটা নিচে নেমে যায়। শত্রুতা অবশ্যই উভয় পক্ষের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে। তাই শত্রু হয়ে না,বরং আমাদের উচিত একে অপরের বন্ধু হয়ে বেঁচে থাকা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এদিকে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে অনেক ফ্যামিলি ঝগড়া করে একদম নিঃস্ব হয়ে গেছে। এবং জায়গা সম্পত্তির ঝগড়াগুলো অনেকদিন পর্যন্ত থাকে। যাইহোক সুন্দর মন্তব্য করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।