//সুস্বাদু পুলি পিঠা তৈরির রেসিপি//
পিঠা তৈরির উপাদান
ক্রমিক নম্বর | উপাদান |
---|---|
১ | রান্না পুলি পিঠা |
২ | ময়দা |
৩ | চিনি |
৪ | এলাচ |
৫ | নারকেল ঝুরি |
৬ | দুধ,লবণ,পানি |
🍲 ০১ 🍲
প্রথমে আমি নারকেল ঝুরি করে নিয়েছি। নারকেল দিয়ে পিঠা তৈরি করলে খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হয়ে থাকে। আর আমার পিঠা টি হয়তোবা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।প্রথম থেকে মনোযোগ সহকারে একটু ধৈর্য ধরে দেখবেন।
🍲০২ 🍲
এবার আমি চিনি দিয়ে নারকেল গুলো কড়াইয়ের উপরে জাল করা হচ্ছে। এক পর্যায়ে নারকেল গুলা চিনির সঙ্গে অনেক সুন্দর মিক্সড হয়ে সিদ্ধ হয়ে যাবে। মূলত চিনি দিয়ে নারকেল গুলো সিদ্ধ করে নেওয়ার জন্য কড়াইয়ের উপরে জাল করে নেয়া হচ্ছে।
🍲০৩ 🍲
চিনি এবং নারকেল সুন্দর সিদ্ধ এবং জাল করা হয়েছে। এবার আমি একটি নির্দিষ্ট বাটিতে নামিয়ে রেখেছি।
🍲০৪ 🍲
এই পুলি পিঠা তৈরি করতে হলে চালের ময়দা সিদ্ধ করে নিতে হয়। বা ভাপিয়ে নেওয়া হয়। নেওয়ার পরে ময়দা গুলো গরম পানি দিয়ে সুন্দর করে ছেনে নেওয়া হয়। আপনারা দেখে বুঝতে পারছেন ময়লা গুলো হাত দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে মিক্সড করে বলের ন্যায় তৈরি করে নেওয়া হয়েছে।
🍲০৫ 🍲
এবার আমি রুটি তৈরি করে নিয়েছি।নেওয়ার পরে যেটা করব?
🍲০৬ 🍲
গ্লাসের মুখ দিয়ে রুটি গোল করে কেটে নেওয়া হয়েছে। মা অসুস্থ বড় ভাই সৈনিকের চাকরি থেকে বাড়িতে আসলেই মা তখন সুস্থ ছিল কত রংবেরঙের পিঠা যে তৈরি করে দিয়েছে তা বলে বোঝাতে পারবো না। দুঃখের বিষয় মা অসুস্থ তাই আর আগের মতো পিঠা তৈরি করতে পারেনা। স্বাদ আছে কিন্তু সাধ্য নেই। ইচ্ছে থাকে তৈরি করে খাওয়াবে কিন্তু শারীরিক পরিস্থিতির কারণে তিনি পিঠা তৈরি করে দিতে পারেন না।
🍲০৭ 🍲
জাল করা নারকেল ছোট গোল করে নেওয়া রুটি এর মাঝখানে রাখা হয়েছে।
🍲০৮ 🍲
এবার ছোট রুটি এর মুখ আটকিয়ে দিয়ে পিঠা তৈরি করা হচ্ছে। এই পিঠা গুলো বিশেষ করে শীতকালে রংবেরঙের পিঠা তৈরি করে খাওয়া হয় গ্রাম অঞ্চলে। আপনারা যে পিঠা দেখতে পারছেন এই পিঠা এর নাম পুলি পিঠা ।
🍲০৯ 🍲
একটি একটি করে একই রকম পদ্ধতিতে পুলি পিঠা অনেকগুলো তৈরি করে একটি প্লেট এ রাখা হয়েছে।সেই মুহূর্তে কি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
🍲 ১০ 🍲
এবার আমি কড়াইয়ের মধ্যে দুধ জ্বাল করে নেওয়া হচ্ছে। দুধের মধ্যে পরিমান মত চিনি এবং লবণ দেওয়া হয়েছে।
🍲১১ 🍲
এবার আমি দুধগুলো কিছুক্ষণ জাল করে নেওয়ার পরে পুলি পিঠা গুলো কড়াইয়ের মধ্যে ঢেলে দিব। এই ধরনের পুলি পিঠা খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে ফ্রিজে রেখে একটু ঠান্ডা করে খেতে।
🍲১২ 🍲
অনেক গুলো ময়দা উড়িয়ে গিয়েছিল তাই মাকে বলেছিলাম চিকন চিকন হাতে কাটা ক্ষীর তৈরি করতে ক্ষীর গুলো খেতে আমার বেশ ভালো লাগে।
🍲১৩ 🍲
পিঠা গুলোর মধ্যে ক্ষীর গুলো ঢেলে দিয়েছি। এভাবে পুলি পিঠা তৈরি করে খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমার আম্মু অনেক ধরনের পিঠা তৈরি করতে পারে। অনেক জায়গায় অনেক কিছু খেয়েছি কিন্তু মনে হয় মায়ের হাতের কোন কিছু তৈরি অমৃত খেতে আমার কাছ থেকে মনে হয়।
🍲১৪ 🍲
এই ছিল আজ আমার পুলি পিঠা তৈরীর রেসিপি আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবাই এই আশা কামনা করি সবার জন্য। আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আজ এ পর্যন্তই।
|
---|
আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা জুগীরগোফা গ্রামে আমি বসবাস করি। আমি একজন বাংলাদেশের সুনাগরিক, বর্তমানে আমার বিএ ফার্স্ট ইয়ারে পড়াশোনা চলছে। আমার মাতৃভাষা বাংলা, আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে অনেক ভালোবাসি। আমার শখ ভ্রমণ করা এবং আর্ট করা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আপনাদের জন্য রইল প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
VOTE @bangla.witness as witness
পুলি পিঠা রান্নার খুবই লোভনীয় পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আমাদের এলাকাতে এই পিঠা ছাড়া খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যদিও মিষ্টির জিনিস আমার কাছে খুব একটা বেশি ভালো লাগে না কিন্তু এই পুলি পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে।
সুস্বাদু পুলি পিঠা সেমাই পিঠা এগুলো শীতকালীন সময়ে খাওয়া হয়েছে । অনেকদিন হলো এই ধরনের পিঠা রেসিপি খাওয়া হয় না । আপনি দেখছি বাড়িতে দারুণভাবে পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। এই ধরনের খাবার গুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক কথা বলেছেন এই ধরনের খাবার গুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছে করবে সবারই।
ভাইয়া আপনি খুবই মজাদার পুলি পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন। সকালবেলা এমন একটি মজার খাবার দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। পুলি পিঠা খেতে আমিও খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে এর মধ্যে যে হাতে তৈরি সেমাই বানিয়ে দিয়েছেন সেগুলো খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনার উপস্থাপনা দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দাওয়াত রইল আপু অনেক ধরনের পিঠা বানিয়ে খাওয়াবো আপনাকে আসবেন সময় করে।
চমৎকার লোভনীয় সুস্বাদু দুধপুলি পিঠা বানিয়েছেন ভাইয়া।ভীষণ লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপিটি। নারিকেলের পুরও হাতে করা ক্ষীর দিয়ে চমৎকার সুন্দর দুধপুলি পিঠা বানিয়েছেন। ধাপে ধাপে পিঠা তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হাতে কাটা ক্ষীর গুলো খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনারও ভালো লেগেছে আমার দুধ পুলি পিঠার রেসিপি টা ধন্যবাদ।
পুলি পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। আর আপনি এত সুন্দর করে পিঠা তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। এই ধরনের পিঠাগুলো খেতে যেমন মজার তেমনি তৈরি করতেও সময় লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এই মজার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই এই ধরনের পিঠা গুলো তৈরি করতে অনেক সময় লাগে তেমনি খেতেও খুব মজাদার হয়ে থাকে।
পুলি পিঠা আমাদের বাঙালি সমাজের একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা। পুলি পিঠা খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর। যাহোক তোমার পুলি পিঠা তৈরি করার প্রক্রিয়াটি সত্যি খুবই অনন্য হয়েছে। বিশেষ করে চিনি ও নারিকেলের ঝুরি দিয়ে পুলি পিঠা তৈরির মূল উপকরণটি প্রস্তুত করে নেওয়াটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর করে আপনার মূল্যবান বক্তব্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর পুলি পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার পুলি পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে শীতের সময় তো কোন কথাই নাই। খুব সুন্দর নারকেলের পুর দিয়ে এবং দুধে ভিজিয়ে পিঠা টি তৈরি করেছেন ।উপকরণ এবং ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পিঠার জগতে যত পিঠা রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে ফেভারিট পিঠা এটা। আমার এতটাই ভালো লাগে খেতে বলে বোঝাতে পারবো না। এই পিঠা তৈরি করতে বেশ সময় লাগে। কিন্তু অতিমাত্রা স্বাদের কারণে খেতে কিন্তু খুবই কম সময় লাগে 😃।পিঠা তৈরি ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মিসটেক হয়ে গিয়েছে ভাই এই পিঠা এবার তৈরি করলে আপনাকে দাওয়াত করে খাওয়াবো ইনশাআল্লাহ।
দুধ পুলি বাঙালি জাতির এক দারুন রেসিপি।খেতে যেনো একদম অমৃত লাগে।খুবই দারুন রেসিপি শেয়ার করেছেন। অনেক সুন্দর হয়েছে প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা রইলো।
এত লোভনীয় দুধে ভিজানো পুলি পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই পিঠাটি আমার সবচেয়ে প্রিয় একটি পিঠা। পিঠাগুলো যখন বানিয়ে সাজিয়ে রেখেছেন তখন দেখতে অসাধারন লাগছিল। সবমিলিয়ে আপনার পিঠা বানানোর সম্পূর্ন প্রসেস আর পিঠাগুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ পুলি পিঠার সম্পূর্ন প্রণালী আমাদের সাথে সন্দর করে শেয়ার করার জন্য।