আসলামুআলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। এটি হচ্ছে বাসায় ফুচকার পুর তৈরি রেসিপি। ফুচকা কম বেশি সবাই খুব পছন্দ করে। তবে বাইরে ফুচকা খাওয়ার চেয়ে বাসায় নিজ হাতে তৈরি করে খাওয়া অনেক ভালো এবং সাস্থসম্মত। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার আজকের রেসিপিটি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আমার গত রেসিপি পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম কিভাবে বাসায় মচমচে ফুচকা তৈরি করা যায়। আজকে শেয়ার করবো ফুচকার ভিতরের পুর তৈরি। আসলেই দুটি রেসিপি একসাথে দিলে পোস্ট অনেক বেশি বড় হয়ে যেত। যার কারণে আমি আলাদা আলাদা ভাবে দিয়েছি।
বাসায় মচমচে ফুচকা তৈরির রেসিপির পোষ্ট লিঙ্ক
রেসিপিটির সর্বশেষ ফটোগ্রাফি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- বুটের ডাল
- আলু
- তেতুল
- ডিম
- শসা
- লেবু
- ধনিয়া পাতা
- লবণ
- ভাজা জিরার গুঁড়ো
- বিট লবণ
- ভাজা শুকনো মরিচ
- কাঁচা মরিচ
প্রথম ধাপ
- প্রথমে আমি ডিম, আলু এবং বুটের ডাল গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হতে দিয়েছি
দ্বিতীয় ধাপ
- সবকিছু সবকিছু খুব ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে সেগুলো একটি বাটিতে রাখতে হবে ঠান্ডা হওয়ার জন্য।
তৃতীয় ধাপ
- এবার আমি ফুচকার জন্য টক তৈরি করব। এরজন্য একটি বাটিতে তেতুল নিয়ে কিছুটা পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
- এরপর ভালোভাবে হাত দিয়ে মথে নিয়ে তেতুলগুলো থেকে টক বের করে নিয়েছি। এরপর তেতুলের ভেতরে বিচি গুলো আলাদা করে ফেলেছি। তারপর সেখানে পরিমাণ মতো লেবুর রস দিয়ে দিয়েছি। এরপর দিয়ে দিয়েছি ভেজে রাখা শুকনো মরিচ গুঁড়ো। তারপর দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মত বিট লবণ এবং ভাজা জিরার গুঁড়ো
পঞ্চম ধাপ
- এরপর আমি একটি সিদ্ধ ডিম গ্রেড করার মেশিন দিয়ে ভালোভাবে গ্রেড করে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
- এরপর আমি বুটের ডাল একটি বাটিতে নিয়ে খুব ভালোভাবে মথে নিয়েছি। এরপর আলুগুলো ভালোভাবে মথে নিয়েছি। তারপর সেখানে দিয়ে দেব পরিমাণ মতো পেঁয়াজ কুচি এবং ধনিয়া পাতা কুচি।
সপ্তম ধাপ
- এরপর সেখানে দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মত লবণ, জিরা গুঁড়ো, শুকনো মরিচ গুঁড়ো এবং কাঁচামরিচ।
অষ্টম ধাপ
- তারপর সবকিছু খুব ভালোভাবে একসাথে মেখে নিয়েছি। এরপর সেখানে পরিমাণ মতো কিছুটা তেতুলের টক দিয়ে দিয়েছি।
- এরপর আবার সবকিছু খুব ভালোভাবে মেখে নিয়েছি।
নবম ধাপ
- এরপর আমি এই ভর্তাটি ফুচকার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। এবং শসা কুচি, মরিচ কুচি, গ্রেড করে রাখা ডিম এবং তেতুলের টক দিয়ে পরিবেশন করেছি।
তৈরি হয়ে গেল মজাদার ফুচকা। করো জিভে জল আসলে আমি দায়ী নই 😜
এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার আজকে রেসিপিটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফুসকা চটপটি দুটোই আমার অনেক প্রিয় খাবার। আপনি বাসায় পুরো ফুসকা তৈরির কৌশল আমাদের দেখিয়েছেন। আপনার টিউটোরিয়াল এর জন্য ধন্যবাদ আপু।
এই খাবারগুলো মোটামুটি সবাই পছন্দ করে। আমি চেষ্টা করেছি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি শেয়ার করার। সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাসায় তৈরি ফুচকার রেসিপি অনেক স্বাস্থ্যকর আর আপনি খুবই সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে তৈরি করলেন। দেখে আমিও শিখতে পারলাম। ফুচকা আমার খুবই প্রিয়।
সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া। ফুচকা সবাই মোটামুটি পছন্দ।
প্লেটে সাজানো ফুচকা দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে আপু। ফুচকা আমার খুবই প্রিয়। আর বাসায় যদি এভাবে ফুচকা তৈরি করে খাওয়া হয় তাহলে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়। লোভনীয় ফুচকা রেসিপি বাসায় তৈরি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপু।
ফুচকা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। আমার কাছেও ফুচকা বেশ ভালো লাগে খেতে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার ফুচকার রেসিপি দেখে আমার খুবই লোভ লেগে গেছে কোন রকমেই লোভ সামলাতে পারছিনা। দেখে মনে হচ্ছে খুবই ইয়াম্মি হয়েছে আপনার এই রেসিপিটি। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করে তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এটা আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ভাইয়া। যেহেতু ফুচকা, সুস্বাদু না হয়ে তো উপায় নেই। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন বাইরের ফুচকা খাওয়ার থেকে বাসায় তৈরি করে ফুচকা খাওয়া অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। আপনার ফুচকার পুর তৈরির রেসিপিটি সত্যি চমৎকার হয়েছে ।দেখতে লোভনীয় লাগছে ।তবে এটি তৈরি করতে সময় সাধ্য ব্যাপার মনে হচ্ছে। খুব সুন্দর করে আপনি রেসিপিটি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক ধরেছেন আপু এটি তৈরি করা অনেক সময়ের ব্যাপার। এবং অনেক ঝামেলার। কারণ অনেক কিছু তৈরি করা লাগে। যেহেতু স্বাস্থ্যসম্মত তাই বাসায় তৈরি করে খাওয়া উচিত। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
গত পর্বে ফুচকা দেখেছি,এই পর্বে পুর দিলেন।আপু এটা কোন কথা হইলো।এই রকম লোভনীয় রেসিপি দিলে কেমনে থাকি।ইশ আপু জিভে জল এসে গেলো।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু আপনাকে
রেসিপি দেখে থাকতে না পারলে চলে আসেন আমি আপনাকে তৈরি করে খাওয়াবো। আর নাহয় নিজে বানিয়ে খেয়ে নিন🤭। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
বাসায় ফুচকা রেসিপি আহ দেখেই আমার জিভে জল চলে এসেছে। অসম্ভব সুন্দর হয়েছে আজকে এই রেসিপি পোস্ট। সত্যি বলছি এরকম পোস্ট দেখতেও ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ফুচকা দেখলে জিভে জল আসাটা স্বাভাবিক। একদম ট্রাই করে দেখবেন বাসায় ভালো লাগবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। ফুচকা খেতে তো সবারই ভালো লাগে। আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝে বাসায় ফুচকা তৈরি করি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপনি ঠিকই বলেছেন ফুচকা সবারই মোটামুটি পছন্দ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
জিভে জল আসার মত রেসিপি দিয়েছেন আবার বলছেন জিভে জল আসলে আপনি দায়ী নয় 🙄।
আপনার ফুচকা রেসিপি টা দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে কারণ ফুচকা আমার খুবই প্রিয়। ফুচকা খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি নিজেও ঘরে বানিয়েছি কয়েকবার। আপনাকে ধন্যবাদ ফুচকা তৈরি রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার জিভে জল আসলে আমি কোনো দায়ী হবো বলেন🤭🤭।
এটি বাসায় তৈরি করা সহজ নয়। অনেক সময় লাগে তৈরি করতে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ফুচকা ছোট বড় সকলের অনেক প্রিয়। বাহিরের যে পরিবেশে ফুচকা তৈরি করা হয় তা অনেকটা স্বাস্থসম্মতভাবে করা হয় না। ফুচকা তৈরির উপায়টি আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন তা সে কারো জন্য বাসায় ফুচকা তৈরি করতে অনেক হেল্পফুল হবে। ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদিন ট্রাই করে দেখবেন ভাইয়া আশা করি ভালো লাগবে। উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।