ভ্রমণ // হঠাৎ কোনো রকম পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই মিরপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণ।(পর্ব-৬)
পঞ্চম পর্বের পর থেকে
আজকের পর্বে খুবই মজার একটি ঘটনা ঘটেছিল। আপনারা আজকের পর্বের সর্বশেষ দুটি ফটোগ্রাফি দেখবেন সেগুলো হচ্ছে উট পাখির ফটোগ্রাফি। আসলে উট পাখিটা এত কাছ থেকে দেখতে পেলাম যা অন্য কোন পশু পাখিকে এভাবে দেখা হয়নি। মজার ঘটনাটি হলো আমার ছোট ভাই একটি গাছের পাতা নিয়ে উট পাখিটার খাঁচার দিকে ধরল আর অমনি দৌড়ে এসে উট পাখিটা সেই পাতাটা খাঁচার ছোট্ট ছিদ্র দিয়ে টেনে নিয়ে গেল আমার ছোট ভাই ভয় পেয়ে পিছন দিকে পড়ে গেল। কিন্তু কোন কান্না করলো না তবে অনেক হাসলো। এরকম ক্ষেত্রে কিন্তু ছোটরা কান্না করে থাকে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে সে অনেক হেসেছিল এবং আবারও সে আরেকটি পাতা নিয়ে দৌড়ে সেটাকে দেওয়ার জন্য যাচ্ছিল তার মানে বোঝা গেল সে এটাতে তেমন একটা ভয় পাইনি। তবে আমার আফসোস হচ্ছে ওই মুহূর্তে আমি একটা ছবি তুলতে পারিনি। উটপাখির এই পাতা খাওয়া দেখে এবার আমাদের সবাই এক এক করে গাছের পাতা ছিড়ে পাখিটাকে খাওয়ানো শুরু করলো বেশ ভালই লেগেছিল।
আসলে সত্যি বলতে চিড়িয়াখানার পশু পাখির খাচা গুলো এমন ভাবে করা হয়েছে যে ভালো করে ছবিও তোলা যায় না বা খুব একটা ভালো করে ভিতরে পশুগুলোকে দেখাও যায় না, ছবি কিভাবে তুলব? এর চেয়ে ভালো করে তারপরও চেষ্টা করেছি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের পর্বে যে ফটোগ্রাফি গুলো আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি সেগুলো এক এক করে আপনারা দেখে আসবেন।
- এবার আমরা কিছুটা সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পর দেখতে পেলাম খুব একটা বড় নয় ছোট সাইজের একটি খাঁচার মধ্যে কয়েকটি বাজপাখি বসে আছে। প্রথমে সাইনবোর্ডের ছবি তুললাম এরপর চেষ্টা করেছি বাজপাখি গুলোর ছবি তোলার জন্য। আসলে বাজপাখি গুলো খাঁচার একবারের উপরের অংশে বসে রয়েছে যার কারণে খুব একটা ভালোভাবে ছবি তোলা যাচ্ছিল না তারপরও চেষ্টা করেছি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি আশা করি দেখে ভালো লাগবে।
- তার একটু পরেই আমরা অনেক বড় একটি খাঁচার মধ্যে দেখতে পেলাম এশিয়ান কালো জাতের ভাল্লুক। কাঁচাগুলো এতটা দূরে অবস্থিত আর এত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে যেখানে পশুপাখি গুলোকে দেখাই যাচ্ছিল না খুব ভালো করে যেভাবে ছবি তুলেছিলাম ঠিক সেভাবেই আমরাও দেখতে পেয়েছি খুব ভালো করে কাছ থেকেও আসলে এগুলোকে দেখা যায় না।
- ভালুকের খাঁচার পাশাপাশি আরেকটি খাঁচা রয়েছে সেখানে দেখতে পেলাম আফ্রিকান সিংহ। ওই যে বলেছিলাম দুপুরবেলায় আমরা গিয়েছি মোটামুটি অনেক পশুপাখি খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট নিচ্ছিল। আফ্রিকান সিংহ হাটাহাটি বা ঘোরাঘুরি অবস্থায় আমরা দেখতে পাইনি তবে দুটো সিংহই ঘুমাচ্ছিল তখন সে অবস্থায় একটা ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
- এবার আমরা চলে এসেছি সেই উট পাখির কাছে আরো কিছুটা সামনে এগিয়ে যেতেই পাশে ছিল অনেক বড় মসজিদ এবং মসজিদের পাশ দিয়েই এই উট পাখির বিশাল খাঁচা ধরতে গেলে উটপাখি গুলো বিশাল জায়গা নিয়ে তারা ছড়িয়ে অবস্থান করছে, দেখতে ভালই লাগছিল। আসলে সত্যি বলতে এই পাখিটা ভালোভাবেই দেখতে পেলাম যেখানে পাখিগুলো দৌড়াদৌড়ি করছে ছোটাছুটি করছে বেশ ভালই লেগেছে।
ভাগ্য ভাল ছিল ঠোক মারিনি হাহাহা উট পাখি আমি কখুনো বাস্তবে দেখিনি শুধু ছবিতেই দেখেছি।দারুন অনুভুতি শেয়ার করেছেন।আপনার ছোট ভাই বেশ সাহশি আছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার মাধ্যমে মিরপুর চিড়িয়াখানা দেখতে পাওয়ায়। তবে গত ডিসেম্বর মাসে আমরা সবাই গিয়েছিলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে। বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছি সবাই মিলে। আবারো আপনার মাধ্যমে চিড়িয়াখানার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে। আপনারা তো দেখছি খুবই আনন্দ করেছেন অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমার চিড়িয়াখানার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুবই আনন্দিত হলাম। সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মিরপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণের ষষ্ঠ পর্ব। এর আগের পর্বগুলো আমি দেখেছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল আপু। আসলে চিড়িয়াখানা গিয়ে সেখানে বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি দেখা যায় বেশ ভালো লাগে। আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনারা সেখানে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলেন। চিড়িয়াখানার ভেতরে উটপাখি দেখতে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আপু। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।