ভ্রমণ // হঠাৎ কোনো রকম পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই মিরপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণ।(পর্ব-৫)

in আমার বাংলা ব্লগlast year

চতুর্থ পর্বের পর থেকে

যতই আইসক্রিম আর পানি খাই না কেন সবাই অনেক বেশি ক্লান্ত ছিলাম। কেন জানি সামনের দিকে অগ্রসর হতে ইচ্ছা করছিল না। তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম এক জায়গায় বসে আমরা কিছুটা সময় বিশ্রাম করে নেব। তাই আমরা ফাঁকা একটা জায়গায় যেখানে অনেক ঘাস ছিল সেখানে সবাই মিলে বসে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। এদিকে আমার দাদা ও ছোট দাদা আব্বু ও ছোট কাকা তারা চলে গেল আসরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে, তারাও না আসা পর্যন্ত আমরা এখানে বসে ছিলাম। বিশ্রাম নেওয়াতে আমাদের মোটামুটি সবার কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলো। বেশ কিছুক্ষণ বসে আমরা এই চিড়িয়াখানা সম্বন্ধে বেশ কিছু আলোচনা করতে লাগলাম। তবে বেশিরভাগই সকলের কাছে ভালো লেগেছে এরকমই আমি জানতে পারলাম। আসলে খুব একটা বাইরে ঘোরাঘুরি করা হয় না এরকম একটা জায়গায় আসলাম এটা আসলে সত্যি বলতে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া, তাই আরো বেশি ভালো লাগছিল। যাই হোক তারা মসজিদ থেকে ফিরে এলো আমরা আবার সবাই মিলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। এবার আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে যে পশুপাখি গুলো দেখতে পেলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের এগুলো ভালো লাগবে। তাদের চলন বন্ধুরা পরবর্তী যে পশু পাখিগুলো আমরা দেখতে পেয়েছি সেগুলো আপনারাও দেখে আসবেন।

20230814_011913_0000.png

  • আপনার হয়তো ইতিমধ্যে নিচে একটি সাইনবোর্ড লক্ষ্য করেছেন এখানে সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে নীল ময়ূর। এখানে এই নীল ময়ূর সম্পর্কে অনেক কিছুই লেখা রয়েছে যেগুলো আপনারা একটু দেখে পড়ে নিবেন। তাই সাইনবোর্ড দেখে বুঝতে পারছেন পরবর্তী ফটোগ্রাফি গুলো আমরা ময়ূরের ফটোগ্রাফি দেখতে পাব।

IMG_20230814_004001.jpg

  • আসলে ময়ূর পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়াই যাবেনা। আমি তো অবাক হয়ে গেছি এই ময়ূরের খাঁচার আশেপাশের এত ভিড় ছিল যে আমরা কাছ থেকে খুব একটা দেখতেই পাচ্ছিলাম না। সবাই অপেক্ষা করছিল কখন ময়ূর পেখম মেলে একটা নাচ দিবে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওই মুহূর্তে কোন ময়ূরী তার পেখম মেলে নাচলো না যা আমরা দেখতে পেলাম না। যদিও ওই মুহূর্তে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে সবাই বলছিল যে এখন ময়ুরগুলো তাদের পেখম মেলে নাচবে। কিন্তু আমরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার
    পর ও তাদের নাচের দেখা পেলাম না। তাই আমরা পরবর্তী পশু পাখি দেখার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম।

IMG_20230814_004031.jpg

IMG_20230814_004018.jpg

  • এবার আপনারা যে সাইনবোর্ডটি দেখতে পাচ্ছেন এটা একটি জলহস্তির সাইনবোর্ড, তার মানে আমরা এখন একটু সামনের দিকে এগিয়ে গেলে জল হস্তি দেখতে পাব।

IMG_20230814_004100.jpg

  • প্রথমে আমরা সামনের দিকে যখন এগিয়ে গেলাম জলহস্তির যে এরিয়াটা ছিল তার ভিতরে জলহস্তি গুলো দেখা যাচ্ছে না কারণ ওই মুহূর্তে সবগুলো জলহস্তি পানির মধ্যে নেমে রয়েছে। শুধুমাত্র তাদের মুখের উপরে একাংশ অনেক দূর থেকে দেখা যাচ্ছে। তবে ভাগ্যক্রমে আমরা যখন কিছুক্ষন ওখানে দাঁড়ালাম তখন একটি জলহস্তী পানি থেকে উঠে আসলো আর তখনই আমি তার ছবি তুলে নিলাম। এরপরে দেখলাম এর পিছন দিয়ে আরও একটি জলহস্তি আসলো তখন আমি আবারো আরেকটি ছবি তুলে নিলাম। জল হস্তিগুলো আসলে দেখতে অনেক স্বাস্থ্যবান এবং শক্তিশালী এ বটে, দেখে ভালই লাগলো।

IMG_20230814_004111.jpg

IMG-20230814-WA0000.jpg

  • জলহস্তী দেখা শেষ করে যখন আরো কিছু দূর হেটে যাচ্ছিলাম তখন দেখতে পেলাম ছোট্ট একটি জায়গা নিয়ে দুটো অন্যরকম খুবই কিউট হরিণের বাচ্চা তারা ছোটাছুটি করছে তবে এই হরিণের বাচ্চাগুলো ভিন্ন জাতের হরিণের বাচ্চা দেখতে কিন্তু খুবই কিউট লাগছিল আমার কাছে। তাই আমি তাদের দুটো ছবি তুলে নিলাম। আমার বিশ্বাস এই কিউট হরিণের বাচ্চা দুটিকে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।

IMG_20230814_004223.jpg

IMG_20230814_004248.jpg

তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত পরবর্তী পর্ব নিয়ে আবার হাজির হব সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সকলের জন্য শুভকামনা অবিরাম।

লোকেশন

চলবে............

Sort:  
 last year 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মিরপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণের পঞ্চম পর্ব। আসলে চিড়িয়াখানায় গেলে বিভিন্ন পশুপাখি দেখা যায় এগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি চিড়িয়াখানায় বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছিলেন। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে জল হস্তি সামনের দিকে আগে আসছে ওই ছবিটা দেখতে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

সুন্দরও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

শেষ পর্যন্ত ময়ূর তাহলে পেখম তুলে নাচলো না বলে, ময়ূরের নাচ আর দেখা হলো না আপনাদের খুবই দুঃখজনক এটা। হরিণের বাচ্চা দুটো দেখছি খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। "মিরপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণের" পঞ্চম পর্বটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আমার ।শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।

 last year 

সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

পরিবারের লোকেদের সাথে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন আপু। ভাগ্যিস জলহস্তী গুলো কিছুক্ষণ পর জল থেকে উঠে এসেছিল, তাই আপনি তাদের বেশ কয়েকটি ফটো তোলার সুযোগ পেয়ে গেলেন। আমি যতবার চিড়িয়াখানায় গেছি জলহস্তীগুলো সব সময় জলের ভেতর থাকে। বাচ্চা হরিণ দুটো দেখতে সত্যিই অনেক কিউট লাগছে।

 last year 

আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

হঠাৎ করে জাতীয় চিরিয়াখানাতে গিয়ে দারুন কিছু প্রাণীর ফটোগ্রাফি করেছেন। নীল ময়ূর,জল হস্তি,হরিণের শাবক সব গুলো প্রাণী অনেক সুন্দর ছিল। তবে আমার মতামত হলো চিরিয়াখানাটা কিছুটা আপডেট করা দরকার। ধন্যবাদ ।

 last year 

মিরপুর চিড়িয়াখানাতে একসময় প্রায়ই যেতাম। কারণ আমার ফুপির বাসা সেখানে। তবে আগে অনেক প্রাণী ছিলো সেখানে। গত বছর গিয়ে দেখলাম তুলনামূলক ভাবে জীবজন্তু অনেকটা কম। যাইহোক আপনারা সবাই ঘুরতে গিয়েছেন সেখানে, দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে দারুণ লাগলো পোস্টটি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58544.56
ETH 2629.02
USDT 1.00
SBD 2.44