রেসিপি // নোনা ইলিশ শুটকি মাছ দিয়ে কচুর কাঠ রান্নার রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। এটি হচ্ছে নোনা ইলিশ শুটকি মাছ দিয়ে কচুর কাঠ রান্না রেসিপি। কচুর কাঠ আমাদের বাসায় খুব একটা রান্না হয় না মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়। তবে এবার আব্বু যে কচুর কাঠটি এনেছিল খুবই ভালো পড়েছিল, কারণ খুব সহজেই সিদ্ধ হয়ে যায় এবং খেতেও অনেকটা ভালো লাগে, গলায়ও চুলকায় না। এভাবে কচুর কাঠ গুলো নোনা ইলিশ দিয়ে দিয়ে রান্না করলে খেতে কিন্তু খুবই অসাধারণ হয়ে থাকে।
কচুতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ তাই আমাদের সকলেরই উচিত বেশি বেশি করে কচু জাতীয় আইটেম গুলো দিয়ে বিভিন্ন মজাদার রেসিপি তৈরি করে খাওয়া। আমার আম্মু আবার এই কচু আইটেমগুলোর মধ্যে যে কোন একটি প্রতি সপ্তাহে যে কোন একদিন রান্না করে থাকে। তাই এইবার আমি আম্মু থেকে শিখে এই কচুর কাঠ দিয়ে সাথে লোনা ইলিশ দিয়ে এই রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই রেসিপিটি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
রেসিপিটির সর্বশেষ ফটোগ্রাফি
- কচুর কাঠ
- নোনা ইলিশ শুটকি মাছ
- পেঁয়াজ
- রসুন বাটা
- মরিচের ও হলুদের গুঁড়া
- কাঁচা মরিচ
- জিরা গুড়া
- লবণ ও
- সয়াবিন তেল।
- প্রথমে আমি কচু গাছ থেকে কচুর কাঠটি আলাদা করে নিলাম। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধৌত করে নিলাম।
- এবার আমি একটা বটি দিয়ে কচুর কাঠটির চামড়া ছুলে নিয়ে ছোট ছোট কিছুটা লম্বা আকৃতির পিস করে নিলাম। এরপর আবারও ভাল করে পানি দিয়ে কচুর কাঠ গুলোকে ধুয়ে নিলাম।
- এবার চুলায় একটি কড়ায় বসিয়ে এর মধ্যে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে কেটে নেওয়া পেঁয়াজকুচি ও কাঁচা মরিচ কুচি গুলো দিয়ে দিলাম।
- তারপর আমি এর মধ্যে রসুন বাটা গুলো দিয়ে দিলাম। যেহেতু কচুর তরকারি তাই রসুনটা অন্যান্য তরকারি চাইতে একটু বেশি ব্যবহার করতে হবে যাতে গলায় না ধরে।
- এবার আমি এর মধ্যে শুকনো মরিচের গুড়া হলুদের গুঁড়া ও জিরার গুড়াগুলো দিয়ে দিলাম।
- নোনা ইলিশ মাছের পিস গুলোকে আরো ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে এবার আমি এর মধ্যে নোনা ইলিশ মাছের পিস গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নেড়েচেড়ে নিলাম।
- এবার আমি এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে আরো কিছুটা নেড়েচেড়ে নিলাম।
- এ পর্যায়ে আমি আগে থেকে কেটে রাখা কচুর কাঠ গুলো এর মধ্যে দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে দিলাম। তারপর একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলা মিডিয়াম আছে রেখে বেশ কিছুক্ষণ এগুলোকে সিদ্ধ করে নিলাম।
- এবার আমি ঢাকনা তুলে দেখে নেব কচুর কাঠ গুলো সিদ্ধ হয়েছে কিনা। তাছাড়া সবগুলো উপকরণ ঠিকঠাক আছে কিনা একটু ঝোল খেয়ে দেখলাম। আমি টেস্ট করে দেখলাম সবগুলো উপকরণ ঠিকঠাক আছে তাই আমি চুলা থেকে নামিয়ে এখন আমি পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত করলাম।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে কতই না সুস্বাদু হয়েছে। আসলেই কচুর এই কাঠ এর রেসিপি অনেক দারুণ লাগছে আপু। আর এগুলো শরীরের জন্য অনেক উপকারী। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
নোনা ইলিশ শুটকি মাছ দিয়ে কচুর কাঠ রান্নার রেসিপি দেখে আমার তো খুবই খেতে ইচ্ছে করছে আপু। আপনি খুবই মজাদার এবং লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখে বুঝতে পারছি খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছিল। আপনি আপনার রেসিপিটির পরিবেশন টাও খুবই সুন্দর ভাবে করেছেন দেখছি। সম্পূর্ণ রেসিপি টা দেখে আমার কিন্তু খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। এরকম একটা মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
নোনা ইলিশ শুটকি মাছ দিয়ে কচুর কাঠ রান্নার রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন অসাধারণ হয়েছে। এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শুটকি মাছের মধ্যে নোনা ইলিশ আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ। আমি মাঝে মধ্যে নোনা ইলিশ ভুনা খেয়ে থাকি। নোনা ইলিশ শুটকি মাছ দিয়ে কচুর রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে আপু। কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছে। আপনার রেসিপিটা আমার কাছে খুব ইউনিক লেগেছে। একদিন বাসায় তৈরি করে খাবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ সম্ভব হলে রেসিপিটি এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন । আশা করি আপনার কাছে খেতে ভালো লাগবে। আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। কচুর কাঠ দিয়ে আপনি খুব সুন্দর ভাবে নোনা ইলিশের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। কচুর কাঠ খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে। রেসিপির কালারটি অনেক সুন্দর এসেছে। আপনি খুব সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন
এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু আমি তো প্রথমে বুঝতে পারিনি কচুর কাঠ জিনিসটা কি। পরে বুঝতে পারলাম। এটা হল কচুর নিচের অংশ। আসলে আমার কাছে আপনার আজকের রেসিপিটি ইউনিক মনে হচ্ছে। নোনা ইলিশ দিয়ে এভাবে রান্না করে খেতে আমি এর আগে কখনো দেখিনি। বেশ সুন্দরভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ আপু।
কচুর এর নিচের অংশটি কে আমরা কাঠ কচু বলে থাকি। সম্ভব হলে এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।