রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কিছু মুহূর্ত || শেষ পর্ব

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। গত পরশুদিন পর্ব এক শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে। আজকের পর্বে আরো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

এটি হচ্ছে শহীদ মিনারের ফটোগ্রাফি। শহীদ মিনারের এরিয়াটা মোটামুটি বেশ বড় ছিল। আর এটির চারপাশে বেশ কয়েক ধরনের ফুলের গাছ ছিল। সব মিলিয়ে ভালই লেগেছে এরিয়াটা। তাছাড়া শহীদ মিনারের সামনের এ জায়গা গুলোতে দেখলাম পুরোটা জুড়েই আলপনা অঙ্কন করা। আলপনা গুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর ছিল।

এটি হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক। এটি আমাদের দেশের শহীদ বুদ্ধিজীবী দের স্মৃতি রক্ষার্থে তৈরি করা হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে যুদ্ধ অংশগ্রহণ করেছিল। তাই এসব জায়গা গুলিতে মুক্তিযুদ্ধের বেশ কিছু স্মৃতিফলক রয়েছে।

পুরো ক্যাম্পাসেই পরীক্ষা উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান ছিল। যেহেতু ব্যবসায়ীদের এটা একটা সিজন ছিল তাই বলা যায় মোটামুটি সব কিছুরই দাম অনেকটা বেশি ছিল। বিশেষ করে সেখানকার রিক্সা ভাড়া গুলো শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। রিকশায় করে চার থেকে পাঁচ মিনিটের রাস্তায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। অর্থাৎ নরমাল ভাড়া ১০ টাকা হলে পরীক্ষার দিনগুলোতে ভাড়া ছিল ৫০ টাকার উপরে। একটা নিউজে দেখেছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভর্তি পরীক্ষা কে কেন্দ্র করেই প্রায় ৩৬ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। তবে জানিনা এটা কতটুকু সত্য। কিন্তু যতটা দেখেছি সত্য হলেও হতে পারে।

যেহেতু আমরা একদম সকাল সকাল পৌঁছে গিয়েছিলাম আর আমার পরীক্ষা ছিল একদম লাস্টের শিফটে অর্থাৎ সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত। তাই ক্যাম্পাসটা ঘোরার জন্য মোটামুটি একটা টাইম পেয়েছিলাম। যদিও খুব বেশি ঘুরতে পারেনি কারণ মাথায় পরীক্ষার একটা টেনশন ছিল। তারপর পরীক্ষা শেষ করে এসে গাড়িতে ওঠার আগে হালকা কিছু নাস্তা করে নিয়েছিলাম এবং ফুচকা খেয়েছিলাম।

এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕

✅আমি ইসরাত জাহান মিম। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত, কারণ বাংলা আমার অহংকার। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি বর্তমানে এইচ এস সিতে অধ্যায়নরত অবস্থায় আছি। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। ✅