অনেকদিন পর একটু ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
বেশ কয়েকদিন আগে আমি আর আমার এক কাজিন মিলে গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমরা মূলত হাঁটতে বের হয়েছিলাম। তারপর ভাবলাম এটার ভিতর থেকে একটু ঘুরে আসি। অনেকদিন যাওয়া হয়না। এখানকার পরিবেশটা আমার বেশ ভালো। নিরিবিলি এবং শান্ত পরিবেশ। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন একটু মেঘলা ওয়েদার ছিল। রোদ বৃষ্টি না থাকলে একটু হাঁটাহাঁটি করতে ভালোই লাগে। যদিও এটার ভিতর সবাইকে এলাও করে না। তবে আমরা স্টুডেন্ট হওয়াতে স্কুল অথবা টিউশনের কথা বলে ঢুকে যেতে পারি হিহিহিহি....
এটার ভিতর আমার খুব পছন্দের একটা রাস্তা রয়েছে। এখানে রাস্তার যেই ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পারছেন এটাই সেই রাস্তা। রাস্তার দুপাশে খুব বড় বড় গাছ। পাশে অবশ্য একটা পুকুর রয়েছে। গরম হলেও এই রাস্তাটা সবসময় ঠান্ডা থাকে। এই ধরনের রাস্তাগুলো দিয়ে হাঁটতেও ভালো লাগে। আর রাস্তার দুপাশে এত সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবুজে ভরপুর সবকিছুই অসাধারণ। অনেক গাছ-গাছালি এবং পুকুর থাকাতে এইখানকার ওয়েদার সব সময় ঠান্ডা থাকে। আমরা বেশ কতক্ষণ এখানে হাটাহাটি করলাম এবং পুকুরের পাশে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের এরিয়া বেশ বড়। অল্প সময়ের মধ্যে পুরোটা ঘুরে দেখা সম্ভব না। আমরা একটু দেরিতেই বের হয়েছিলাম। আর বিকেলের দিকে আমার কিছু কাজ ছিলো যার কারণে দুপুরের দিকেই বাসায় চলে আসতে হয়েছে। তবে আমরা অনেকটাই হেঁটে দেখেছি। বসন্ত ঋতুর দিকে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগানো হয় যার কারণ অনেক সুন্দর লাগে দেখতে। আমরা এই টাইমটাতে গিয়েছিলাম যার কারণে সেরকম কোনো ফুল গাছ ছিল না এখানে। হলুদ রঙের এই ফুলগুলোর নাম আমার জানা নেই। তবে গুচ্ছাকারে ফুটে থাকা ফুলগুলো খুবই সুন্দর লাগে দেখতে। পুরো গাছে ফুল ফুটে ভরে থাকে।
এরপর আমরা আরও কিছুক্ষণ হেঁটে আরেকটু দূরে গিয়ে দেখলাম এখানকার গাছগুলোর নিচের দেখতে খুব সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করা। এই গাছ গুলো বেশ পুরনো গাছ। পাথরগুলো ভিন্ন কালারের ছিল। যার কারণে আরো বেশি ভালো লাগেছে দেখতে। কয়েকদিন পর পর পাথরগুলো নতুন ভাবে রং করা হয়। এক সারি তে এরকম সবগুলো গাছ খুবই ভালো লাগে দেখতে। সেখানকার পরিবেশ টা সত্যিই ভীষণ সুন্দর। ঘুরাঘুরি শেষ করে আমরা দুপুরের দিকেই সেখান থেকে চলে আসলাম।
আমি ইসরাত জাহান মিম। বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
্বেশ সুন্দরতো জায়গাটি। শান্ত শীতল পরিবেশ। দেখেই মনটা ভরে গেলো। তবে রাস্তাটি বেশি সুন্দর। আর বিভিন্ন রং এর পাথর দিয়ে গাছের গোরা সাজানোর জন্য দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। এমন শান্ত পরিবেশে হাঁটতে বেশ ভালই লাগে।
ঠিকই বলেছেন । এই ধরনের রাস্তায় হাঁটতে বেশ ভালই লাগে সুন্দরও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা পোস্ট পড়তে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘুরে দেখতে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে বেশ ভালো লাগবে। এত সুন্দর ভাবে পোস্ট লিখে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে।আর ঘোরাঘুরি করলে মন মস্তিস্ক একদম ফ্রেশ থাকে। আপনি দেখছি আপনার কাজিন মিলে গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে ঘুরতে গিয়েছিলেন। গাজীপুর কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিবেশ টা দেখে মনে হচ্ছে বেশ মনোরম একটি পরিবেশ। আপনারা খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বাহ চমৎকার একটি জায়গা ঘোরাঘুরি করলেন আপু। ফটোগ্রাফিতে দেখতে যত সুন্দর হয়েছে নিশ্চয়ই বাস্তবে দেখতে আরো অনেক বেশি ভালো লাগবে এই জায়গায়। শুধু কাজের ব্যস্ততা এবং পড়ালেখা এগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হয় না। মাঝেমধ্যে মনকে একটু সময় দিতে হয় একটু ঘুরাঘুরি করতে হয়। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো।
এটা ঠিক মাঝেমধ্যে সময় বের করে একটু ঘোরাফেরা করলে ভালোই লাগে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মাঝেমধ্যে ঘোরাঘুরি করা একান্ত প্রয়োজন রয়েছে। আমরা যত বেশি বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরি করব তত আমাদের মন মানসিকতা ক্রেস্ট থাকবে। কারণ পরিবারের বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্যে একঘেয়েমিতা সৃষ্টি হয়। তাই বাড়ির পরিবেশে যদি এমন চলা যায় তাহলে সত্যিই একঘেমিতা দূর হয়। যাইহোক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের এই স্থানটা দেখে আমারও ভালো লাগলো।
জায়গাটি দেখে আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুবই আনন্দিত হলাম। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগে।বিশেষ করে রাস্তার দুই পাশে গাছ এবং সেখানে ফাঁকা রাস্তা কি যে অনুভূতি বলায় মুশকিল। আমিও চেষ্টা করি এইরকম পরিবেশে ঘুরাঘুরি করার।যাইহোক আপনার অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লাগলে।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দরও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
গাজীপুর কৃষি ইনস্টিটিউট বাইরে থেকে দেখেছি কিন্তু ভেতরে কখনো যাওয়া হয়নি। জায়গাটা তো বেশ সুন্দর। দারুণ লাগল আপনার ফটোগ্রাফি গুলোতে দেখে। দেখে বোঝা যাচ্ছে একটা শান্তশিষ্ট নিরিবিলি পরিবেশ। সময় টা দারুণ কাটিয়েছেন এখানে।
এটা ঠিক এই জায়গাতে কাটানো সময়টা বেশ দারুন ছিল। আমার কাছে তো বেশ ভালোই লেগেছে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট তো দারুন বড় একটি ক্যাম্পাস। কত সুন্দর লাগছে চারপাশে গাছ গাছালির পরিবেশ। আজকাল এমন সুন্দর পরিবেশে হাঁটতেও খুব ভালো লাগে। আপনি বন্ধুর সাথে এমন সুন্দর জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে গেছিলেন দেখে ভালো লাগছে। আমিও সময় সুযোগ পেলে এমন ফাঁকা ফাঁকা জায়গায় গিয়ে হাটি।
প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে কার না ভালো লাগে। আজকে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট মধ্যে মাঝে মাঝে শেয়ার করেছেন। ঘুরে বেড়ানো সাথে সাথে আপনি প্রকৃতি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। সব মিলিয়ে পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু