মশরুম শাকের চাটনি || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আজ বেশ অনেক দিন পর আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি একটা রেসিপি। এই রেসিপিটা একেবারেই আনকমন।
এই রান্না আমি শিখেছি আমার দিদার কাছ থেকে ।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মশরুম শাকের চাটনি।
শুনেছি এই শাক নদীর ধারে বেশি হয় । মামার বাড়ি থেকে এই শাক নিয়ে এসে আমার মা আমাদের বাড়িতে টবে লাগিয়েছিল। তাই কুড়ি বছর হলো ওইভাবেই একটা টবে গাছ হয় ।গাছটা বড় হয়ে উঠলে চারিদিক দিয়ে ঝোপ হয়ে গেলেই মা ঐ পাতাগুলো কেটে সেটা দিয়ে চাটনি করে। আবার ১৫ দিনের মধ্যেই নতুন পাতা গজালে আবার নতুন করে চাটনি করা যায়।
আর চাটনি টা এত সুন্দর খেতে হয় যে আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। তবে এটাকে টক পালং বলে কেউ ভুল করে বসবেন না ।এটা কিন্তু টক পালং নয় । এটা মশরুম শাক। আমার মামার বাড়ির গ্রামের সকলে এই নামেই ডাকে। রেসিপিটা যাতে আপনারা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারেন ওই জন্য আমি এই রেসিপি একটা ভিডিও তৈরি করেছি। আপনারা চাইলে নিচের লিংকে গিয়ে ভিডিওটা দেখে নিতে পারেন।
ভিডিও লিংক
উপকরণ
১.শাক
২. সরষে ফোড়ন - ১ ছোটো চামচ
৩.সাদা তেল - বড় তিন চামচ
৪.লবণ - এক চা চামচ
৫.হলুদ - এক চা চামচ
৬.জল - দেড় কাপ
৭. আম চুনো পছন্দ মত
৮.চিনি - এক কাপ
৯. পাঁচ ফোড়ন গুঁড়ো - এক চা চামচ
১০. শুকনো লঙ্কা - একটা
প্রথম ধাপ
প্রথমে গাছ থেকে পাতা গুলো তুলে নিলাম।তারপর ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম। আপনারা হয়তো এই শাকের পাতা গুলো দেখেই বুঝতে পারছেন এটা টক পালং নয়।
দ্বিতীয় ধাপ
প্রথমে গ্যাসে একটা কড়াই বসিয়ে , গরম হয়ে যাওয়ার পরেই দিয়ে দিলাম তার মধ্যে তিন চামচ সাদা তেল ,আর দিয়ে দিলাম সরষে ফোড়ন আর একটা শুকনো লঙ্কা । তারপর কয়েক সেকেন্ড ভেজে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
এবারে কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিলাম ধুয়ে রাখা শাক আর সাথে দিলাম লবণ আর হলুদ ।ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
শাকের পরিমাণটা কতটা কমে আসলো আপনারা দেখেই বুঝতে পারছেন, একদম অল্প হয়ে গেল। আর খুন্তির সাহায্যে আমি একটু শাকটাকে কেটে কেটে নেওয়ার চেষ্টা করলাম, যাতে মুখে খাওয়ার সময় না বাঁধে। তারপর পাঁচ মিনিট মত ঢাকনা দিয়ে রাখলাম এই সময় গ্যাসের আজ মিডিয়াম রাখতে হবে।
চতুর্থ ধাপ
এবারে ঢাকনা খুলে দিয়ে দিলাম দেড় কাপ মতো জল। ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম। জল ফুটতে দিলাম।
পঞ্চম ধাপ
জল যখন ফুটে আসলো ,দিয়ে দিলাম এর মধ্যে আম চুনো অর্থাৎ ছোট ছোট কাঁচা আম কে হলুদ আর নুন দিয়ে মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে তৈরি হয় এই আম চুনো। ভালভাবে মিশিয়ে নিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার চিনি দিয়ে দিলাম।ভালো ভাবে মিশিয়ে নিলাম আর ফুটতে দিলাম।
সপ্তম ধাপ
সবশেষে পাচফোরন ভেজে গুড়ো করে রাখা, ছোট চামচের এক চামচ দিয়ে দিলাম।মিশিয়ে নিলাম। আর গ্যাস বন্ধ করে দিলাম।
ফাইনাল লুক
খুব সহজে তৈরি হয়ে গেল দুর্দান্ত স্বাদের একটা চাটনি।
আশা করছি বন্ধুরা আমার আজকের পোষ্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে। সকলের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম ।সকলে ভাল থাকুন ।সুস্থ থাকুন ।নমস্কার।
আপনার তৈরি করা মাশরুম শাকের চাটনি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে । তবে মাশরুমের চাটনি কখনো খাওয়া হয়নি । তবে আপনার তৈরি করা দেখি অনেক লোভনীয় মনে হইতেছে । আপনি সুন্দর চাটনি তৈরি করার পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন । এত সুন্দর একটি চাটনি তৈরি করে সেটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
দাদা, মাশরুম না গো , মশরুম। মাশরুম মনে তো ব্যাঙের ছাতা হয়ে যাবে।🙃
আমি এই প্রথম এই শাকের নাম শুনলাম।চাটনি কার না ভালো লাগে।মেয়েদের তো তো চাটনি বলতেই জিভে জল আসে।রেসিপির ভিডিও কিংবা ছবি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক টেস্টি হবে।কিন্তুু আপু রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার জন্য এই শাক কোথায় পাবো।যাই হোক আম চুন দেওয়ায় নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের দেশে আমের ফলি বলা হয়।খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক টেস্টি হয় খেতে , আমার খুবই পছন্দ এর চাটনি।আর হ্যাঁ , নানান জায়গায় নানান নাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমেই বলি দিতে আপনার রেসিপিটি কিন্তু খুবই সুন্দর হয়েছে এবং খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজার হয়েছে । এই মাশরুম শাক আমি আজকে প্রথম দেখলাম । মাশরুম শাকের চাটনি কখনো খাওয়া হয়নি দিদি । তবে দিদি সাদা তেল কি সয়াবিন তেল । আমাদের দিকে সোয়াবিন তেল বলে ।
হ্যাঁ, সাদা তেল মানেই সোয়াবিন তেল। আর দাদা ওটা মশরুম শাক ।
দিদি আপনি আজকে চমৎকার ভাবে মশরুম শাকের চাটনি তৈরি করেছেন দারুন হয়েছে দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে অনেক সুন্দর করে ভিডিও সহ রেসিপি তৈরি করেছেন আপনার প্রশংসা করতে হয় এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন
অনেক ধন্যবাদ দাদা। কিন্তু দাঁড়ি, কমা কই গেল দাদা🤪
মশরুম শাকের নাম আগে কখনো শুনিনি এবং এই শাক আগে কখনো দেখেছি বলে মনে পরে না। যাইহোক আপনার মশরুম শাকের চাটনি দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই মজাদার হয়েছে। আপনি খুবই লোভনীয় ভাবে চাটনি তৈরি করেছেন তা আপনার তৈরীর পদ্ধতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি চাটনির রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। মাশরুম না গো , ওটা মশরুম।
ওহ সরি আপু। আমিতো সব জায়গায় মাশরুম ই পড়েছি।😛😛😜
নামটা নতুন শুনেছি তো তাই পড়তে ভুল করেছি।
আমি মশরুম শাক চিনতাম না। আর নামটাও কখনো শুনিনি। এই প্রথম আপনার মাধ্যমে আমার এই শাক এর সাথে পরিচিতি। তবে চাটনি টা দেখতে কিন্তু বেশ মজাদার লাগছে। গাছটার সম্পর্কে পড়ে মনে হচ্ছে মশরুম শাকের গাছ লাগানো উচিত কারণ খুব দ্রুত গাছের পাতাগুলো গজিয়ে যায়। এবং এইজন্য আবারো বারবার মজাদার চাটনি খাওয়া যাবে 😋। খোঁজ নিয়ে দেখবো আমি আমার আশেপাশে পাই কিনা। ধন্যবাদ আপু নতুন একটি শাকের সাথে পরিচিত করানোর জন্য এবং তা দিয়েই, নতুন একটি রেসিপি শিখানোর জন্য। আপনার জন্য অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল ❤️।
দিদি, শাকের ছবিটা তো রয়েছে, একবার এদিক ওদিক গ্রামের দিকে খুঁজে দেখবেন। তবে এটা টক পালং নয়। এটা সিওর। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি এই শাকের নাম প্রথম শুনেছি। আমি চিনতে পারলাম না শাক টি । এই শাকের সম্পর্কে একটু বলবে? শাক টি দেখতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। এই চাটনি খেতে ও অনেক টেস্টি হবে মনে হয়। আমার তো চাটনি নাম শুনেই লোভ লাগছে দিদি। আমার অনেক অনেক ভালোবাসা নিও।❤️❤️❤️
বৌদি গো, আমিও এই শাক সম্পর্কে সেরকম কিছু জানিনা।তবে আমার মা প্রায় কুড়ি বছর আগে আমার মামার বাড়ি থেকে গাছ টা এনেছিল। টবে লাগিয়েছিল। আর তখন থেকেই থোকা হয়ে টব ভর্তি এই শাক হয়। দিদার কাছে শুনতে দিদা বললো যে, এটা কে নাকি টক শাক বলে, অনেকে মশরুম শাক বলে। আর এটা নদীর ধারে বেশি জন্মায়।ছবিটা তো দিয়েছি। একবার খুঁজে দেখো তো।
মশরুম শাকের চাটনি দারুন হয়েছে আপু। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মাশরুম শাকের চাটনি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি অনেকটা সময় নিয়ে ও দক্ষতার সাথে এই মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। দারুন একটি রেসিপি সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং আমাদেরকে শেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ♥️♥️
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।ভালো থাকুন।
মশরুমের যে শাক আছে এটিই তো আগে জানতাম না।একেবারে ইউনিক আর অজানা একটি রেসিপি দেখলাম আজ।
দিদি, মাশরুম এর তো শাক হয়না। তবে এই শাকের নাম মশরুম। অনেক ধন্যবাদ দিদি।
খুবই সুন্দর ভাবে মশরুম শাকের চাটনি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দিদি। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার এই রেসিপিটি দেখার পরে আমার অনেক লোভ লেগে গিয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এমন সুন্দর একটা লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।