পাগলা খালি - পার্ট ২ || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন।কালকে যেখানে কথা শেষ করেছিলাম, আজ তারপর থেকেই গল্প করি চলুন। পাগলা খালি তে গিয়ে মহাদেবের পুজো শেষে প্রসাদ মুখে দিয়ে জল খেলাম ,তখন হয়তো দুপুর ২ টো বাজে।
তারপর আমার মা ফ্লাক্সে করে চা নিয়ে গিয়েছিল,সবাই মিলে একটু রেস্ট নিলাম চা খেতে খেতে। তারপর ভাবলাম একটু ঘুরে আসি, কিন্তু ওদিকে ওখানে প্রসাদ বিতরণ শুরু হয়ে গেছে।
এই জায়গায় আসলে কারোর খাওয়ার অভাব হয়না। লোকজন খেতে দেওয়ার জন্য বসে থাকে, এটা আমি মানুষের মুখে বহু শুনেছি আর তার প্রমাণ ও পেয়ে গেলাম।ওখানে যাওয়ার পড়েই দেখছিলাম।চারিদিকে আলাদা আলাদা করে রান্না হচ্ছে।
অর্থাৎ অনেকেই এখানে মানসিক থাকলে অথবা ইচ্ছা হলে , রান্না করে খাওয়ায় সকলকে। কোথাও একটা জায়গা নিয়ে রান্নার সরঞ্জাম নিয়ে রান্না শুরু করে দেয়, আর দুপুর হলেই সকল ভক্তবৃন্দ যারা আসেন, তাদের কে খেতে দেয়।খুব আপ্যায়ন করে।
আমি যাওয়ার পরই দেখেছি ,এদিক সেদিক আলাদা আলাদা টিম রান্না করছে। কেও খিচুরি, কেও খিচুরি সাথে কোনো তরকারি, আবার কেও পোলাও।যার যেমন মন চায় , তাদের সাধ্য মত তারা লোকজন খাওয়ায়।
এই খাবার প্রথমে রান্না করে বাবা কে পুজো দেওয়া হয়, তারপর মানুষজন কে খাওয়ানো হয়। এই প্রসাদ খেতে আমার সকলে ছুটলো একজায়গায় । এদিকে পিসি যেহেতু হাঁটতে পারেন না, আমি পিসি র কাছে থাকলাম।
তারপর হটাৎ দেখি লোকজন প্রসাদ খেতে বসে পড়েছে আমাদের সামনে এসে, আমি তো ওখানেই বসে ছিলাম।একদম আমাকে আর কোথাও যেতে হলো না, পিসিকেও না। প্রসাদ সামনে চলে এলো।অল্প করে খাওয়ার পর আমি,আমার পিসতুতো দাদা , আমার পাশের বাড়ির বৌদি আর আমার ভাগ্নি মিলে ঘুরতে বেরোলাম।
পাশেই নদী, তাই নদীর পারে গেলাম আর দাদা আমাদের আইস ক্রীম কিনে দিলো। আমাদের দেখে একজন নৌকা চালক ডাকতে শুরু করলো, বলতে লাগলো চলুন নদী ঘোরাবো, ৮০ টাকা দেবেন ।আমরা ছিলাম ৪ জন, আমি ভীষণ জল এ ভয় পাই। দাদা কে কয়েকবার নিষেধ করলাম।তবুও আমাকে যেতেই হলো।
শুধু বলে নিয়েছিলাম,আর যেনো কোনো মানুষ না নেয় নৌকায়। নৌকায় উঠে ওই যে বসলাম পা মেলে। আর উঠিনি এমনকি এদিক ওদিক নোরিনি। এই নিয়ে দাদারা ভীষণ খেপাচ্ছিল। যাইহোক তার সত্ত্বেও দাদা কে দিয়ে নিজের কিছু ছবি তুলে নিয়েছি।আরো এটা সেটা ছবি তুলেছি।
যদি আমি একটু সাহস করে উঠে দাঁড়াতে পারতাম নৌকার ওপর, তাহলে শারুখ স্টাইল এর পোজ দিতাম আর ছবি তুলতাম। হিহি।তবে খুব মজা হয়েছিল।আমি গান গাইছিলাম।নৌকা যিনি চালাচ্ছিলেন, খুব রসিকে।আমাদের সাথে খুব গল্প করছিলেন।
আর এই ভাবে কিছুটা সময় নদীতে কাটিয়ে আবার ফিরে এলাম।আর একটু পরেই বাড়ির জন্য রওনা হলাম। চারিদিকের জায়গা এত সুন্দর আমার বার বার গাড়ী থেকে নামতে হয়েছে।
একবার গাঁদা ফুলের ক্ষেত এ নেমে ছবি তুলেছি আর কিছু গাঁদা ফুল তুলে এনেছি ।তবে ক্ষেতের মধ্যে কাঁদা ছিল।আমার জুতো শেষ। যাইহোক দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করেছি।
কিন্তু সেগুলো পরে শেয়ার করবো ।আজ এখানেই পোষ্ট শেষ করছি।ভালো থাকুন সকলে। নমস্কার।
@isha.ish
দিদি অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন আর আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে অনেক ভালো লাগলো অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার প্রত্যেকটা ছবি আমার ভিশন ভালো লেগেছে আপনার প্রশংসা করতে হয় আপনার জন্য শুভকামনা রইল
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
পাগলা খালিতে আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। আপনি নৌকা দিয়ে নদী ঘুরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ৪ জন মানুষ ৮০ টাকায়?? আমার নৌকায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পাগলা খালি ভ্রমণের সুন্দর মুহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য৷ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দিদি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দিদি অনেক সুন্দর সময় পার করছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।সেই সাথে বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ও করেছেন। গাঁদা ফুলের ক্ষেত এর দৃশ্যটি অন্যতম 👌 আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল দিদিভাই।
সত্যিই সুন্দর ছিল ছবি গুলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যে এত দিন আমার ছোটো বোন টার কোনো পোস্ট পড়তে পারিনি। কমেন্ট এর উত্তর দিতে পারিনি। তবে কাল থেকে পাগলা খালির গল্পটি পড়েছি। সত্যি জায়গাটি শুনে আমার খুব ভালো লাগলো। আর আজকের ফটোগ্রাফী গুলো। তোমার ভ্রমণ কাহিনী আমার খুব মনে ধরেছে। আর তারপর প্রতিটা ছবি। আমার এই ছোট বোন টার দেখি কি করে যোগাযোগ করা যায় দেখছি। আমি তোমাকে আমার ছোট বোনের মতো ভালোবেসে ফেলেছি। কারণ আমার তো কোনো বোন নেই।❤️❤️❤️❤️🥰
তোমার মিষ্টি কমেন্ট গুলো আমার মুখে মিষ্টি হাসি এনে দেয় বৌদি। আর তুমি এমন বলছ কেন,, ক্ষমা আবার কি? তুমি বৌদি , পোস্ট না পড়লেও খেয়াল তো রাখো। এতেই হবে। তুমি শুধু ভালো থাকো।সুস্থ থাকো।
আর আমারও নিজের দাদা নেই কোনো। আমিও তোমাকে একদম নিজের বৌদির চোখে দেখি। আর বৌদির হাতের রান্না একদিন খেতে হবেই। ননদ বঞ্চিত হতে চায়না।🤪🤪
কৃষ্ণনগরে এসো বৌদি সবাই মিলে। খুব আনন্দ পাবো গো।
হ্যা একদিন যাবো। আর খুব মজা করবো। আর একদিন তোমাকে রান্না করে খাওয়াবো তোমার পছন্দের খাবার।
মনে হচ্ছে খুব দারুণ একটা দিন কাটিয়েছে দিদি আমার, ফুলের দৃশ্যগুলো সত্যি বেশ অসাধারণ লেগেছে মন চাইছে আমিও চলে আসি তারপর দুই একটা ফটো তুলে ফেলি হা হা হা। আর প্রসাদ খাওয়াটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে, দারুণ একটা অনুভূতি কাজ করে হৃদয়ে। তবে নদীতে ঘোরাঘুরি সত্যি দারুণ লাগে। ধন্যবাদ দিনগুলো এই রকম আনন্দে কাটুক সব সময়।
আরে আমার দুষ্টু মিষ্টি দাদা, কেমন আছেন?
হিহি, কল্পনা করে নিলাম, আমার হাফিজ দাদা আমার পাশে দাঁড়িয়ে ফটো তুলছে।
অনেক ধন্যবাদ দাদা ,ছোটো বোনের ভালবাসা নেবেন।
দিদি আপনার ফটোগ্রাফি জ্বলমলে অসাধারন ছিল ।নিখূত ভাবে ক্যাপচা করেছেন ।আর ছবি গুলো দেখে খুবই মনে ধরেছে।বিষেশ করে নৌকায় ভ্রমন এর ফটোগ্রাফি বেশি ভাল লেগেছে ।ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমারও ভালো লেগেছে জায়গাটা।
পাগলা খালিতে ঘুরতে গিয়ে
দারুন মজা হলো
চারজন মিলে আশি টাকায়
বেশ মজা ছিল।
কি চমৎকার অভিজ্ঞতা
করলে তুমি ভাগ
তোমার হাসি দেখলে কারো
থাকবে না আর রাগ
♥♥
হিহি, গুণী মানুষ। কবিতার ঝলকে কত সুন্দর করে কমেন্ট করলেন। অনেক ধন্যবাদ দিদি ।
অসাধারন হয়েছে।ছবিগুলো যেমন দৃষ্টিনন্দন হয়েছে তেমনি বর্ণনাও মন ছুঁয়ে গেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ভ্রমণ কাহিনীটি বেশ ভালো লাগলো, মনে হচ্ছে খুব আনন্দ করেছেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে তো তাই মনে হচ্ছে। আপনার প্রথম ছবি এবং নৌকার ছবিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমারও খুব ভালো লেগেছে ছবি গুলো।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে দিদি অসম্ভব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আমিও জল অনেক ভয় পায় এই জন্য আমি কখনো নৌকায় উঠি নাই। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন ছিল। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল দিদি 🙏
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।