হ্যাপি বার্থডে ঈশান || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে ভালো আছেন। কালকে ঈশানের জন্মদিনের জন্য আমার কলকাতা আসা আর তারপর জন্মদিনের দুপুরটুকু কি কি কেরামতি করেছি । সবই পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়েছিলাম। চলুন আজ তারপর থেকে শুরু করা যাক।
বলতে গেলে আপনাদের সাথে গল্প করতে আমার সেই লাগে। যেন মনে হয় বাবু হয়ে বসে একেবারে ঠাকুমার মত গল্প শুরু করে দিলাম আর আপনারা সবাই আমার গল্প শুনছেন।
হিহি😅
সন্ধ্যার একটু আগে জন্মদিনের দিনও আমাদের তাল পাতার সেপাই অর্থাৎ আমার ভাই ঈশান বকুনি খেলো মা এর কাছে। আমার ভাই এর দুষ্টুমিতে আমার চোদ্দ গুষ্টি অতিষ্ট। এত পাকা একটা ছেলে। বুদ্ধি সাংঘাতিক। কিন্তু ভীষণ মুডি। জোর করলে কোনো কাজ করবে না । যতক্ষণ নিজে থেকে না মন চাইছে । কিছু করে না ও।
বকুনি খেয়ে খানিকক্ষণ কান্না করলো আর বললো - জন্মদিনের দিন কেও মারে! কেও বকে!
আমি একটু আদর সোহাগ দিলাম। তারপর আবার নিজের জন্মদিনের বেলুন নিজে ফোলানো শুরু করে দিলো । পাশের বাড়ির বৌদি ,দাদা , আরেক বাড়ির ভাই আর তার বউ এসেছিল। বেশ অনেকদিন পর বাড়ি গিয়ে সবাই মিলে গল্প জুড়েছিলাম। ঈশানের জন্মদিন শুধু মাধ্যম হয়ে ছিল।
তারপর কোনরকমে তাড়াহুড়ো করে একটু ঘর সাজিয়ে কেক কাটা হলো। বাবুর জন্য আমি একটা অনেক কিউট কার্টুন কেক কিনে নিয়ে এসেছিলাম মীও আমোর থেকে। ও কেক দেখে ভীষন মজা পেয়েছে। কেক টাতে যেন ওর মুখটাই বসানো।সবাইকে খাওয়ানোর বদলে কেক কাটার পর নিজেই খাওয়া শুরু করে দিল।
হাহাহা, আমিও ছোটো বেলায় এমন করতাম। আরও ক্রিম দেখে কেক এর পিস নিতাম। কেকের ওপরের ফুল থাকলে ওই ক্রিম দিয়ে তৈরি করা ফুল খাওয়ার জন্য আমার দাদা দিদিদের সাথে ঝামেলা করতাম। সবাই ওই ক্রিম দেওয়া ফুল খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকতো। কেক কাটা সাড়া। আর হাতাহাতি।
এখন সবাই বড়ো হয়েছে। বাড়ি ভর্তি লোকজন আর নেই। যে যার কাজে বাইরে চলে গেছে। ঈশান বাড়ির সবার ছোট। আমি যতটা আদর পেয়েছি । ও পাইনি। ও বড়ো হতে হতে বাড়ি ফাঁকা। দাদু ঠাকুমাও চলে গেল।যাইহোক তো কেক কাটার পর খাওয়া দাওয়া হলো।
ঈশানের লুচি আর চিকেন অনেক পছন্দের। তাই মা রান্না করেছিল। সেভাবেই সব খাওয়া দাওয়া হলো। বেশ ভালো সময় পার করে ঈশান বাবু ক্লান্ত শরীর নিয়ে বিছানায় চিতপটাং হয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। আর সারা ঘর পরিষ্কার করে আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম।
সব কিছুর পরেও সব কিছু চলতে থাকে। বাড়ি আজ ফাঁকা , তবুও সব হচ্ছে । যাইহোক সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। জন্মদিন পালন করতে থাকুন। কেক খেতে থাকুন।
@isha.ish
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 4/6) Get profit votes with @tipU :)
আপনার তালপেতার সেপাই ভাই ঈশানের জন্মদিন নিয়ে গত পর্বের পোস্ট পড়েছিলাম। যে আর কিছু হোক আর না হোক তার লাল গাড়ি চাই। তবে এটা শুনে দারুণ লাগল ওর যখন ইচ্ছা করবে তখনই ও কাজটা করবে। বাড়ির একমাত্র ছেলে তো এইরকম অভ্যাস থাকা ভালো হা হা। কেকটা বেশ সুন্দর হয়েছে দেখতে দারুণ লাগছে।
হাহাহা, দাদা এগুলো কে বলে বদ অভ্যাস!!!এগুলো পরিবর্তন না হলে ভবিষ্যতে ওরই কষ্ট।
ওললে এত কিউট কেক😍😍। প্রথমত ঈশানকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি আপনার ছোট ভাইয়ের জন্মদিন অনেক বেশি আনন্দের সাথে উদযাপন করেছেন। এবং আরো বোঝা যাচ্ছে যে নিশ্চয়ই ঈশান এত কিউট দেখতে কে দেখে অনেক বেশি খুশি হয়ে গিয়েছিল। সবমিলিয়ে আমার কাছে পোস্টটি অনেক বেশি ভালো লেগেছে আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এবং ঈশান এর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দিদি। আর সত্যিই অনেক কিউট কেক ।
প্রথমেই জানাই জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার ছোট ভাইকে। এর আগেও ঈশানের অনেক কথা শুনেছি আপনার থেকে। আসলেই জন্মদিনের দিন কাউকে মারা কিংবা বকুনি দেওয়া উচিত হয়নি। ওতো ছোট মানুষ দুষ্টুমি করবেই। আপনাদের জন্মদিনের অনুষ্ঠান বেশ ভালো লেগেছে। এমনকি সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারলাম
হিহি, ওর দুষ্টুমির লেভেল আলাদা!
প্রথমেই ঈশান কে জানাই জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা শুভ জন্মদিন। আশাকরি ঈশানের আগামী দিনগুলো খুব ভালো কাটবে। আপনারা খুব সুন্দর করে ঈশানের জন্মদিন পালন করেছেন আপু। আপনাকে খুবই ভালো লেগেছে। এবং কেকটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার পরিবারের সাথে কাটানোর সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এত ভালোবাসা দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
তাল পাতার সেপাই মহাশয়কে জম্নদিনের অসংখ্য শুভেচ্ছা ও ভালবাসা দিচ্ছি। ঈশান বাবুর কথাটা আমার ভাল লেগেছে। সে তো ঠিকই বলেছে জন্মদিনের দিন কেও বকে!? হাহা। ছোটরা একটু দুস্টামি করবেই। তবে আপনাকে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগছে দিদি। মায়াবতী রুপবতী। শুভ কামনা থাকলো আপনার ফ্যামিলির সবার জন্য।
হিহি, যাক আমার কথাও কেও একটু ভাবলো। 😅
😊😊