দীপাবলির (৪/১১/২০২১) কিছু মুহূর্ত || ১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা ।আশা করি সকলে সুস্থ আছেন। আর আপনারা সকলে দীপাবলীর দিন গুলি খুবই ভালভাবে এবং সতর্ক সহকারে, সাবধানতা অবলম্বন করে কাটিয়েছেন বলে আমার ধারণা ।আজকে আমি আমার দীপাবলির প্রথম দিনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করে নিচ্ছি আপনাদের সাথে।
ফুলে ফুলে আলো সাজে
এই দীপাবলীর জন্যই কাশ্মীর থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে আসা। বছরের এই আলো ঘেরা দিনটিতে আমার মা চেয়েছিলেন বাড়িতে থাকতে, মায়ের কাছে খুব খারাপ লাগত যদি বাড়ি না ফিরতে পারতেন। মায়ের কথা অনুযায়ী বাড়ি অন্ধকার হয়ে থাকতো।
অনলাইনের সেই তারা লাইট
তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরেছি। কিন্তু শরীরের হাল সবারই টাল মাতাল ছিল। ফ্লাইট এর টাইম টা একদম ঠিক ছিল না ।ঠিকঠাকভাবে দেখেশুনে টিকিটটা কাটতে হতো। তাড়াহুড়ো করে সেইদিকে খেয়াল পড়েনি বেশি। ৩ তারিখে ভোর তিনটে নাগাদ আমরা বাড়ি ঢুকেছি । শুতে শুতে ভোর চারটে বেজে গেছে। তারপরে আর কি ঘুমিয়ে পড়া। সব রকম সবকিছু এলোমেলো অগোছালো, কিছুটা হাতেনাতে করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
কি অপূর্ব লন্ঠন
ঘুম থেকে যখন উঠেছিলাম তখন বাজে সাড়ে বারোটা। মা শুনলাম সারারাত ঘুমোইনি। এটা-ওটা কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিল। যাইহোক ৩ তারিখে সন্ধ্যেবেলায় ১৪ প্রদীপ দেওয়ার একটা নিয়ম প্রচলিত রয়েছে ।তো সেটাই সেদিনকে আমরা করেছিলাম ।আর এর থেকে বেশি কিছু আনন্দ আমরা করিনি ।সেদিন বাড়িতে লাইট লাগানো হচ্ছিল। লাইট গুলো লাগানোর কেউ ছিল না। সেদিনকে এসে আমরা সকলে মিলে ও আরো আশেপাশের কিছু দাদা মিলে সারাবাড়ি লাইট লাগানো প্রস্তুতি চলছিল। এভাবে কেটে গেছে তিন তারিখ।
প্রদীপের মেলা
আমি আজকে আপনাদের সাথে যেটা শেয়ার করছি সেটা হচ্ছে ৪ তারিখের গল্প ।সন্ধ্যা বেলায় আমরা বাড়িতে অমাবস্যার জন্য ঘি এর প্রদীপ দিই, সাথে তেলের প্রদীপ দুটোই ব্যবহার করা হয়। সাথে আমি একটু গাঁদা ফুল দিয়ে মোমবাতি গুলোকে সাজাচ্ছিলাম বসে বসে ।তারপর বেশ অনেকক্ষণ ধরে বাবা আর ঈশান মিলে আতশবাজি এবং পটকা নিয়ে মজা শুরু করে।
জবা গাছে লাইট 😅
ছোটবেলায় আতশবাজির খেলা আমার বেশ মজা লাগত। কিন্তু যত দিন বাড়ছে যত বড় হচ্ছি কি জানি গন্ধটা আমার একদম সহ্য হয় না। তারা কাঠি এবং আতশবাজির গন্ধ আর ঐ কালিপটকা আওয়াজ শুনলে মাথাটা কেমন যেন গরম হয়ে যায়। এটা বলতে একদমই লজ্জাবোধ হবে না, সকলের তো সমান টেস্ট নয় ।আমি ঘরের দরজা বন্ধ করে বসে ছিলাম যখন ওরা বাইরে মজা করছিল।
তুবড়ি , চরকি
পরে যখন একটু রাতের দিক হলো, আমাদের বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী পূর্ব পুরুষদের জন্য প্রদীপ দিতে হয় ।তাদের আত্মার শান্তি কামনায়। বাবার সেই কাজের জন্য বসে পড়লেন। সেই অনুষ্ঠানটা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে, আমি আর মা মিলে লুচি এবং তরকারির তৈরি করা শুরু করলাম। আজ অমাবস্যা, বাড়িতে আজ প্রথম কথা নিরামিষ , আজকে লুচি তো হবেই হবে ।লুচি করা হলো। তারপরে খাওয়া-দাওয়া হলো।
আমার প্রচেষ্টা
তারপরে কাশ্মীরের যে আমাদের কাকু দুটি ছিলেন ।সাফি আঙ্কেল এবং গোলাম আঙ্কেল তাদের খুব ইচ্ছা ছিল দীপাবলীর সময়টুকু ভিডিও কল করার। তো আমরা তাদের সাথে ভিডিও কল করে বেশ অনেকক্ষণ গল্প করলাম। তাদের কথা বেশ মনে পড়ছে। দুটো কাকু আমাদের খুব ভালোবাসা সহকারে ,যত্ন সহকারে কাশ্মীর ঘুরিয়েছেন এবং খুব কেয়ারফুলি আমাদের সব জায়গায় নিয়ে গেছেন দায়িত্ব সহকারে ।আর এই জন্যই হয়তো সম্পর্কটা খুব ভালো তৈরি হয়েছে।
তুলসি মঞ্চ
তারপরে আবার আমরা সবাই মিলে রাতে শোয়ার আগে ছাদে গেলাম। সবাই মোমবাতি সন্ধ্যেবেলায় দেয়। আর আমার মায়ের নিয়ম অনুযায়ী যখন সবার মোমবাতি বন্ধ হয়ে যায় , বুজে যায় ,তখন আমরা ছাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে আসি।
বয়স কমই আছে
খাবার-দাবার পরে মোমবাতি জ্বালানো হল আ।বার সেখানে কিছুক্ষণ পটকা, তুবড়ি, চরকি নিয়ে শুরু হলো। আমি বেশ অনেকটা দূর থেকে মাক্স নাকে দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সত্যি বলছি আমার ওই আতশবাজির গন্ধ একদমই সহ্য হয়না। দুটো তিনটে ছবি তুলেই নিচে পালিয়ে এসেছি ।এই ছিল আমার দীপাবলীর প্রথম দিনের গল্প।
ঈশানের আনন্দ
আশা করছি, বন্ধুরা আমার আজকের পোস্ট আপনাদের সকলের ভাল লেগেছে ।সকলের মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম ।এই দুদিন একটু অন্য ধরনের পোস্ট করলাম ,কালকে কাশ্মীরের নতুন কিছু গল্প আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করার ইচ্ছা রয়েছে। সকলে ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
নমস্কার। শুভ রাত্রি।
@isha.ish
অসাধারণ আপু জাস্ট অসাধারণ এত রাতে বাড়ি ফিরে তবু কিছু না কিছু করে আপনি ঘুমিয়ে পড়েছেন ।আপনার বাড়ি সাজানো আতশবাতি প্রদীপ জ্বালানো ফুলে ফুলে ভরা দীপাবলি অনেক ভালো লেগেছে আমার
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার দিনের প্রতিটি কাজ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন সবথেকে ভালো লেগেছে আপনার প্রদীপ জ্বালানো বিষয়টি আমি আসলে বিষয়টি খুব উপভোগ করলাম ধন্যবাদ আপু আপনার আনন্দ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।ভালো থাকবেন, আপু ভালোবাসা রইলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি ,আমার পোস্টটি ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য এবং সুন্দর করে নিজের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।ভালো থাকুন।
কি সুন্দর করে আপনি ফুল দিয়ে প্রদীপ গুলোকে সাজিয়েছেন। তার সাথে লন্ঠন লাইট গুলো দারুন লাগছে। লাইটগুলো ঘরের শোভা আরো বাড়িয়ে তুলেছে।আর জবা গাছের সাথে যে লাইটগুলো লাগিয়েছেন অসাধারণ লাগছে দেখতে। আর ছোটোদের আনন্দটা দেখতেও ভালো লাগে। খুব সুন্দর মুহূর্তগুলোকে আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ, লন্ঠন গুলো দারুন লাগছে! খুব ভালো লাগলো আপনার কমেন্ট পড়ে, ভালো থাকুন।
আপু আপনারা কত্ত মজা করেছেন দেখে আমার খুবই ভালো লাগছে। প্রদীপ গুলো দেখতে কি যে ভালো লাগছে। ইস যদি সামনাসামনি দেখতে পারতাম ।আপনাদের এই দীপাবলি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। লাইটিং গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। প্রদীপ দিয়ে আপনার প্রচেষ্টাটাও অনেক ভাল ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে নিজের অনুভূতি মন্তব্যের মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকুন।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/7) Get profit votes with @tipU :)
এত উৎসব এত আয়োজন, আসলেই খুব মিস করি। পুরো পোষ্ট পড়তে পড়তে আমি নিজেকে সেখানে উপস্থিত করেছিলাম। ভাল্লাগছে এমন অনুভুতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন বলে। আপনি এমন মজার কিছু আবারও নিয়ে আসেন সামনে আশা রাখি। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাদের সকলের সাথে নিজের আলোর দিনটি ভাগ করে নিতে পেরে আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি সত্যিই অনলাইনের জিনিসটি দেখে অবাক হয়ে গেলা। এত সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছ। আসলেই অনেক ভালো ছিল আপু। প্রদীপের মেলা বাহ কি সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছ। সত্যিই তো জবা গাছে লাইট ভালই লাগছে । আসলেই ঈশান খুব সুন্দর আনন্দ করছ। এক কথায় অসাধারন ছিল আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সত্যিই অনলাইন জিনিস গুলো খুবই অপূর্ব। ভালো থাকুন।
দিদি আপনার দীপাবলি কিছু মুহূর্তটি পোস্ট টি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করছেন।আর পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি অনেক চমৎকার করে দীপাবলি র সময় টুকু কাটিয়েছেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
বাহ কি সুন্দর ফুল দিয়ে প্রদীপ গুলো সাজিয়েছেন। আর জবা গাছে টুনি বাল্ব দিয়েছেন এবং লন্ঠন এর আলো বাড়ির শোভা দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে।আমার খুব ভালো লাগছে আপনার বাড়ি সাজানো । এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
হ্যাঁ, বৌদি অনলাইন থেকে অল্প দামে লন্ঠন পেয়ে যাবো ,ভাবতে পারিনি ।আর এর ফলস্বরূপ দুর্দান্ত একটা রেজাল্ট পাচ্ছি। সত্যিই দারুণ দেখতে ও গুলি। অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।
আহা আপু! আপনাদের এতো আনন্দ দেখে তো ইচ্ছে করছে উড়ে উড়ে আপনাদের বাড়ি চলে যাই। কারণ আপনাদের বাড়িতে ঢুকতে পারলে আশা করি আমিও ঠিক এতোটাই আনন্দ করতে পারবো।ফুল গাছে করা লাইটিং টা আমার খুব ভালো লেগেছে। আসলে লজ্জার কিছুই নেই, সবার যে সব কিছু পছন্দ হতেই হবে এমন তো কোনো কথা নেই। যার যা পছন্দ তা আপনার মতো বলে ফেলাটাই ভালো।
চলে আসো দিদি, দরজা খোলা তোমার জন্য। তুমি আসলে আলো আরো বেরে যাবে।
আপনার কাশ্মির দেখতে দেখতে আমার মাথা খারাপ হওয়ার অবস্থা হইছে। তার একটা কারণ ও আছে। আমার ফ্রেন্ড সার্কেলের কাশ্মির যাওয়ার প্লেনিং ছিলো তা নষ্ট হয়ে গেলো করোনার কারণেই। আপনার ঘর সাজানোটা বেশি ভালো লাগছে আমার।
হাহাহা, দাড়ান ,আবার আজ থেকে কাশ্মীর এর পোস্ট শুরু হবে;; আপনার বার মাথা খারাপ হবে😁