করোনা ভাইরাস আমাদের জীবন যাপনের মানে পরিবর্তন করে দিয়েছে। - ছবি ও জীবন।
করোনা ভাইরাস - এখন আর শুধু আতঙ্কের নাম না, বরং এটা একটা জীবন যন্ত্রণার নাম। একদিকে শয়ে শয়ে মানুষ মরছে, আর একদিকে হাজারে হাজারে মানুষ না খেয়ে থাকছে।
কোনদিকে যাব আমরা? কোনদিকেই বা যাচ্ছি?
এত অনিশ্চয়তা মনেহয় এই ৩৬ বছরের জীবনে কখনোই ছিল না!
বনশ্রী, ঢাকা। Location link
আজও প্রায় মারা গিয়েছে দেড় শতাধিক মানুষ। দিনদিন আক্রান্তের হার বাড়ছে । কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা বলা মুশকিল। করোনা ছাড়া কবে কথা বলেছি, মনে পরে না। আত্মীয়দের সাথে ভিডিও কল বা অফিসের জুম মিটিং সবখানেই করোনা নিয়ে আলোচনা।
উন্নত দেশগুলো টিকা দিয়ে সবার অবস্থা মোটামুটি ভাল। কে জানে সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিগুলোতে কবে সব স্বাভাবিক হবে।
বাংলাদেশে ১৪ই জুলাই পর্যন্ত লোকডাউন চলছে, হয়ত আরো বাড়বে। সেই কারণেই প্রায় প্রতিটি মানুষই গৃহবন্দী। কিন্তু কাজের প্রয়োজনে অনেককেই বাইরে বের হতে হচ্ছে। মানুষ ঢাকা ছাড়ছে রাতের আঁধারে, কেননা পেতে খাবার নেই। যারা গৃহবন্দি, আমাদের মত, তাদের সকলেরই মানসিক কিছু পরিবর্তন হয়েছে, আরো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন হচ্ছে শিশু-কিশোরদের মধ্যে। বাসায় থাকতে থাকতে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে, ধৈর্য কমে যাচ্ছে, কোন কিছুতে মনোযোগ দেয়া যাচ্ছে না আর পরিবারের সাথে খারাপ আচরণ করছে অনেকেই।
বনশ্রী, ঢাকা। Location link
আমার কথাই ধরুন না। বাসায় আছি এক সপ্তাহ হল। বাসায় বসেই কাজ করতে হচ্ছে । কাজের কোন সময় নেই । সকাল 10:30 এ বসে ল্যাপটপ নিয়ে সেই ল্যাপটপ কখন যে বন্ধ হবে তার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই । ফোনে ফোনে কথা বলে কাজ করতে হয় । 10 মিনিটের কাজ করতে 40/45 মিনিট সময় লাগে । আট ঘণ্টার অফিস করতে হচ্ছে 12/13 ঘণ্টা । শুক্র-শনি নাই । সব সময় একটা মানসিক প্রেসার । অফিস মনে করছে বাসায় বসে, শুয়ে শুয়ে অফিসের কাজ করছি, এদিকে যে আমাদের কি অবস্থা কে বুঝবে!
তাই বের হয়েছিলাম লকডাউন এর মধ্যেও বাইরে, কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার ছিল। মনে করেছিলাম বাইরে হয়তো কাউকেই পাব না। দোকান সব বন্ধ থাকবে, বিকেলে। কিন্তু রাস্তায় অনেক দোকানপাট খোলা ছিল, প্রায় সকলেই দোকান অর্ধেক খোলা রেখেছিল যেন মানুষ কেনাকাটা করতে পারে। অল্প কিছু রিক্সা ছিল, সিএনজি ছিলনা । গাড়ি হাতে গোনা কয়েকটা ছিল। দীর্ঘদিন পর বের হয়ে ভালই লাগছিল।*
...এইরকম একটা জীবন যাপন করার কথা আমাদের কারোরই ছিলনা। আমাদের কিছু অসচেতনতা আমাদের আজ এখানে নিয়ে এসে ফেলেছে। জানিনা পরবর্তী জেনারেশন এর জন্য আমরা কি রেখে যাচ্ছি। ভালো কিছু নয় নিশ্চয়, সে বিষয়ে নিশ্চিত।।
ডিভাইস: শাওমি নোট ৭ প্রো।
স্থান: বনশ্রী, ঢাকা - বাংলাদেশ
স্থান লিংক: ছবির সাথে দেয়া আছে।
আমি জনি, বাংলাদেশ থেকে। একটু ঘরকুনো মানুষ। ভালোবাসি পরিবারের সাথে সময় কাটাতে। সময় পেলে মুভি, ডকুমেন্টারি বা খেলা দেখা হয়। মোবাইলে টুকটাক ছবি তুলি। ক্রিপ্টো নিয়েও আগ্রহ গড়ে উঠছে।
প্রথম ছবিটি দারুন ছিলো ভাই।
সত্যি লকডাউন জীবনের গতিকে দারুনভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছে। হ্যা, আমিও গতকাল বের হয়েছিলাম, প্রচুর মানুষ দেখেছি বাহিরে যদিও আমি পাঁচদিন পর বের হয়েছিলাম ঔষুধ ক্রয় করার জন্য।
আসলেই।
গরীব মানুষের জন্য কষ্ট লাগে। আমরাতো তবুও ঘরে বসে স্যালারি পাচ্ছি, ওদের কোনো উপায় নেই।
আল্লাহ্ সবাইকে মাফ করুক, হেফাজত করুক, সুস্থ রাখুক।
You have been upvoted by @rex-sumon A Country Representative, we are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.
Follow @steemitblog for the latest update. You can also check out this link which provides the name of the existing community according to specialized subject
There are also various contest is going on in steemit, You just have to enter in this link and then you will find all the contest link, I hope you will also get some interest,
For general information about what is happening on Steem follow @steemitblog.
Thanks a lot @rex-sumon for your curation support. It means a lot to me as I'm struggling to grow here.
Thanks 👍