ঝাল ঝাল তিল ভর্তার রেসিপি 🥘
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। মায়ের হাতের রান্নার স্বাদই আলাদা। সেটা হোক স্পেশাল কোনো রেসিপি কিংবা ভর্তা।মায়ের হাতের সব রান্নাই অমৃত।গত দুদিন আগে আমার মা এসেছিলেন আমার বাসায় আসলে বাবুর কিছু কেনাকাটা ছিল শীতের তাই মাকে আসতে বলেছিলাম। মায়ের সঙ্গে কেনাকাটা করছি সেই মুহূর্তগুলো আরেকদিন শেয়ার করার চেষ্টা করব। তো যেদিন মা এসেছিলেন সেদিন রাতের বেলা আমি মাকে বললাম যে ঝাল ঝাল কিছু বানাতে। তো মা রান্নাঘরে কিছু তিল খুঁজে পেয়েছিল যেগুলো দিয়ে মা ঝাল ঝাল মজার ভর্তা বানিয়েছিলেন। এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি তিল ভর্তা। তবে অনেকদিন আগে বাজার থেকে এনে রেখেছিলাম যেটা আমি নিজেই ভুলে গিয়েছিলাম। যাই হোক মায়ের হাতের সেই তিল ভর্তার রেসিপি টাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
উপকরনসমূহঃ |
---|
তিল |
পেঁয়াজ কুচি |
শুকনা মরিচ |
রসুন |
লবণ |
সরিষার তেল |
ধাপ-১
প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে মিডিয়াম লো আঁচে তিল গুলো ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ-২
এবার তিল গুলো গরম থাকা অবস্থায় শিল পাটায় বেটে নিতে হবে। আপনারা চাইলে ব্লেন্ড করেও নিতে পারেন। তবে আমার কাছে পাটায় বাটা ভর্তা বেশি মজা লাগে।
ধাপ-৩
তিল বাটা হয়ে গেলে এবার ভাজা শুকনো মরিচ, রসুনের কোয়া, পেঁয়াজ কুচি এবং পরিমাণমতো লবণ নিতে হবে।
ধাপ-৪
এবার সব উপকরণ হালকা করে বেটে নিয়ে বাটা তিলের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৫
এ পর্যায়ে খানিক পেঁয়াজ কুচি এবং সরিষার তেল পরিমাণ মতো দিয়ে ভালোভাবে সব উপকরন মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার ঝাল ঝাল তিল ভর্তা।
এবার গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করেছি। সত্যি কথা বলতে প্রথমবার খেয়ে এই ভর্তার প্রেমে পড়ে গেছি। খুবই সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে এই ভর্তার রেসিপি অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে।
অনেক রকম ভর্তা খেয়েছি। কিন্তু সত্যি বলতে তিলের ভর্তা কখনো খাইনি। রেসিপি টা তো ইউনিক ছিল। এবং তিলের ভর্তা তৈরি করার প্রতিটা প্রসেস দারুণভাবে শেয়ার করে নিয়েছেন আমাদের সঙ্গে। চমৎকার ছিল আপনার ঝাল ঝাল তিলের ভর্তা রেসিপি টা আপু। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
তিল ভর্তা অনেকটা বাদাম ভর্তার মত খেতে স্বাদ।আমিও এটি প্রথমবার খেয়েছি এবং বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
যে কোন ধরনের ভর্তা আমার খুব পছন্দের। বিশেষ করে সকাল বেলা পান্তা ভাতার সাথে ভর্তা খাওয়ার অনুভূতি বেশ অসাধারণ। আপনি খুব সুন্দর করে ঝাল ঝাল তিল ভর্তার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তিল ভর্তার রেসিপি তৈরি প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। রসুন দেওয়াতে খেতে বেশ ভালো লাগবে। এত চমৎকার ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সকালবেলা পান্তা ভাতের সাথে ভর্তা খাওয়ার অনুভূতি আলাদা। আর যে কোন ভর্তা গরম গরম ভাতের সাথে খেতেও বেশ ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার কথা সঙ্গে আমিও একমত পোষণ করছি মায়ের হাতের যেকোন খাবার অমৃতের মত মনে হয়। কিছুদিন আগে আপনার মা আপনাদের বাসায় এসেছিল এবং আপনার মা নিজ হাতে তিল ভর্তা রেসিপি করে আপনাকে খাইয়ে ছিল জেনে খুবই ভালো লাগলো। যদিও এই রেসিপিটি আমি এখন পর্যন্ত খাইনি, রেসিপিটি আমার কাছে একদমই নতুন এবং ইউনিক লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার মা আমার বাসায় আসলে বা আমি আমার মায়ের বাসায় গেলে আমি আমার মায়ের কাছে নতুন নতুন খাবারের আবদার করে থাকি। আর আমার মা সেগুলো আমাকে বানিয়ে খাওয়ান। রেসিপিটা আমার কাছেও নতুন তবে খেতে বেশ সুস্বাদু ছিল।
তিল দিয়ে প্রস্তুত করা অন্যান্য খাবার খেয়েছি ।কিন্তু আপনার কাছ থেকে আজকের সম্পূর্ণ নতুন এবং ভিন্নধর্মী একটি রেসিপি দেখলাম।
তিল যে এভাবেও এত মজাদার করে খাওয়া যায় আসলে কখনো আন্দাজ করতে পারিনি।
প্রস্তুত প্রণালী এবং ফটোগ্রাফি দেখে খুব লোভ হচ্ছে মজা হবে নিশ্চয়ই খেতে।
জ্বি ভাইয়া এভাবে তিল ভর্তা করলে খুবই সুস্বাদু হয়। যেহেতু আপনি তিলের অন্যান্য খাবারগুলো খেয়েছেন এভাবে একবার ভর্তা বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।
আপনার প্রস্তুত করা ভিন্ন ধর্মের রেসিপিটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। অবশ্যই একবার ট্রাই করে দেখতে হবে।
ঠিক বলেছেন আপনার মায়ের হাতে যে কোন রান্নাই যেন অমৃত হয়। তিলের ভর্তা আমারও কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। ভর্তাতে অনেকগুলো মরিচ দিয়েছেন। বেশ ঝাল হয়েছিল নিশ্চয়ই। ভর্তাতে যত বেশি ঝাল হয় খেতে তত বেশি সুস্বাদু হয়। দেখতে ভালই লোভনীয় লাগছে।
আমারও তাই মনে হয় আপু ভর্তা যত বেশি ঝাল হয় খেতে তত বেশি সুস্বাদু হয়। বাজার থেকে তিল কিনে এভাবে ভর্তা বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আপু ভালো লাগবে।
তিল ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার ভর্তা দেখে লোভ লেগে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
তিল ভর্তা খেতে খুবই সুস্বাদু হয় আপু। অবশ্যই একবার বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তিলের খাঁজা এবং বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে তিল খেয়েছি। তবে কখনো তিলের ভর্তা করে এভাবে খাওয়া হয়নি। যেকোনো ধরনের ভর্তাই গরম গরম ভাতের সাথে বেশ ভালই লাগে। নতুন একটি রেসিপি আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম। এভাবে একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু বাসায় অবশ্যই একদিন এভাবে তিল ভর্তা বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আমার বিশ্বাস আপনি এটি পছন্দ করবেন।
তিল দিয়েও যে এত সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি তৈরি করা যায় সেটা আপনার রেসিপি পোস্টটি না দেখলে জানতাম না আপু। আপনার মা দেখছি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছিল আপনাদের জন্য। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি রন্ধন প্রক্রিয়া আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য।
যদি ইউনিক কোন রেসিপি পেতে চান তাহলে অবশ্যই মায়ের কাছে নতুন নতুন খাবার খেতে চাইবেন। তাহলে দেখবেন অনেক ধরনের রেসিপি জানতে পারবেন যেমনটা আমি আমার মায়ের কাছে করে থাকি।যাই হোক এই ভর্তা খেতে বেশ ভালো ছিলো।
তিলের তৈরি অন্য খাবার খেয়ে থাকলেও ভর্তা টা এখনো পর্যন্ত ট্রাই করিনি। তবে কালিজিরা কিংবা অন্যভর্তাতে সামান্য মিশিয়ে ভর্তা করলেও বেশ মজার হয়।সরাসরি তিলের এই ভর্তাও নিশ্চয়ই অনেক মজার হবে।আপনার তৈরি ভর্তা বেশ লোভনীয় লাগছে। খুব সহজ উপায় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমিও আপনার এই রেসিপি ফলো করে তিল ভর্তা তৈরি চেষ্টা করবো।
আমিও এর আগে কখনো তিল ভর্তা খাইনি আপু। এই প্রথমবার খেয়েছি এবং মায়ের হাতের ভর্তার রেসিপি টা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।