হঠাৎ বিকেলে ঘুরতে যাওয়া বড়দহ সেতুতে
"হ্যালো",
সবাইকে নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। হঠাৎই আমরা ঘুরতে বের হয়েছিলাম আর গিয়েছিলাম বড়দহ সেতুতে।আর সেখান কার মনোমুগ্ধকর পরিবেশে কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনাদের শেয়ার করবো।জায়গাটা অনেক সুন্দর। সত্যি কথা বলতে আমরা কোথাও ঘুরতে গেলে আগে থেকে কোন প্ল্যান থাকে না। হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আবার হঠাৎ করেই ঘুরতে যাওয়া হয়। আমরা তো মানে খাওয়া দাওয়া সেরে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। আমার বর খেতে খেতে অনেকটা বেলা হয় কারণ সে দেরি করে ঘুম থেকে উঠেন।
উনি ঘুম থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা খেতে বসে আমাদেরকে বললেন যে আজকে বিকেলে ঘুরতে যাবেন। আমরাও বেশ খুশি হয়েছিলাম কারণ অনেকদিন হলো কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না। তো আমি আর আমার ছোট দেবরের বউ এবং বাবু মিলে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিলাম। সব কাজ সেরে বের হতে হতে আমাদের প্রায় পাঁচটা বেজে গিয়েছিল। সেতুটি আমাদের বাসা থেকে বেশি দূরে না।তাই আমরা একটি বড় রিক্সা নিয়ে সেখানে রওনা দেই। হাই রোড পার হয়ে যখন আমরা বড়দহ সেতু যাওয়ার রাস্তার যাই তখন আমার অনেক ভালো লাগে কারণ রাস্তাটা এত সুন্দর বলে বোঝানোর মত না।
রাস্তার দুই পাশে প্রচুর আবাদি জমি এবং অনেক সুন্দর প্রকৃতি। এই মুহূর্তে আমি ভিডিও করার লোভ সামলাতে পারিনি। টুক করে মোবাইলটা বের করে ভিডিওগ্রাফি করা শুরু করি কারণ এত সুন্দর রাস্তা ভ্রমন করতে বেশ ভালো লাগছিল। ভিডিওতে আপনারা লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন অনেক সুন্দর একটি হাসপাতাল এবং মসজিদ। এটি ওহানকার এক স্থানীয় ব্যক্তি নির্মাণ করেছেন সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য। তো আমরা এক ব্যক্তির কাছে গল্প শুনলাম যে এখানে আশেপাশে কোন হাসপাতাল নেই। তাই চিকিৎসার জন্য উনি এই উদ্যোগ টা নিয়েছেন। পাশে সুন্দর একটি ছোট্ট মসজিদ করেছেন যাতে হাসপাতালে আসা মানুষ ইবাদত বন্দেগী সময় মত সঠিক স্থানে করতে পারে।
যাই হোক প্রায় ১ ঘন্টা পর আমরা বড়দহ সেতুতে গিয়ে পৌঁছায়। সত্যি বলতে সেখানকার পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। নতুন পানি হয়েছে নদীতে। এটি করতোয়া নদী। এখানে অনেক লোকজন আসে প্রতিনিয়ত ঘুরতে।আমার সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাই। আমার সব থেকে ভালো লেগেছিল সূর্যাস্ত দেখতে।আমরা সেখানে সন্ধ্যা অব্দি ছিলাম। এরপর পাশে এক আত্মীয়ের বাড়ি ছিল সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা বাসায় চলে আসি।
পরিশেষে অনেক সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছি। সেখানকার যাওয়ার পুরো ভিডিওটা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি ভিডিওগ্রাফি টা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
মাঝেমধ্যে এদিক ওদিকে ঘুরতে গেলে মন ভালো থাকে। কোন জায়গায় বেড়াতে গেলে দিন দিয়ে কখনো বেড়ানো যায় না। হঠাৎ করে যে কোন জায়গায় বেড়ানো হয়ে যায়। আপনারা হঠাৎ করে বিকেলে বড়দহ সেতুতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় আশপাশের সবুজ শ্যামল পরিবেশটা দারুন লেগেছে। আপনারা এক ঘণ্টার মধ্যে বন্দর সেতুতে পৌঁছে গেলেন। ফটোগ্রাফিতে দেখে বোঝা আছে সেখানে পরিবেশটা আসলে অনেক মনোমুগ্ধকর ছিল। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাইয়া পরিবেশটা অনেক মনোমুগ্ধকর ছিল। বেশ উপভোগ করেছি বিকেলের সময়টা। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপু হঠাৎ করে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা আর অনেক দিন পর গেলে তো আরও বেশি ভালো লাগে। আপনারা বড়দহ সেতুতে ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। নদীর পাশে এমন সেতু থাকলে আর এমন সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পেলে খুবই ভালো লাগে। আপনার করা সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি কিন্তু দারুণ হয়েছে। ঐ গ্ৰামে হাসপাতাল আর মসজিদ নেই বলে লোকটি খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে।আপনাকে আর আপনার ছেলেকে দেখতে অনেক মিষ্টি লাগছে। ধন্যবাদ আপু বড়দহ সেতুতে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু অনেক দিন পর ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালো লাগছিল। আর এই উদ্যোগটা আমারও বেশ ভালো লেগেছে। সাধারণ লোকজনের জন্য ভালো চিন্তা করার মত লোক জন আজকাল খুঁজে পাওয়া যাবে না সেখানে উনি এত টাকা খরচ করে কিছু সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের জন্য ভালো একটি হাসপাতাল গড়েছেন। এটা আসলেই সাধুবাদ জানানোর মতোই কাজ। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
ঘোরাঘুরি করতে আমার এমনিতেই ভালো লাগে। তা যদি হয় বিকেলের সময়টাতে খোলা প্রান্তর অথবা নদীর পাড় তাহলে তো কোন কথাই নেই।
আপনারা অনেক ভালো সময় পার করেছেন ফটোগ্রাফি এবং ভিডিও দেখে বুঝতে পারলাম।
বিশেষ করে গোধূলি বিকেলের দৃশ্য একদম মন ছুঁয়ে গেল দেখে।
নদীর পাড়ে এই সময়টাতে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে সূর্যাস্তের সময়টা বেশি ভালো লাগে। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
একদম,
কোথায় যাওয়ার সময় আমারও আগে প্ল্যান থাকে না হুট করে কোথাও যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যাইহোক সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। আর ভিডিওগ্রাফি ওটা অনেক সুন্দর ছিল আপু।
বিকেলের ঘোরাঘুরিটা নিজের মন মতোই হয় হুটহাট করে। কোন প্ল্যান থাকেনা আগে থেকে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মতামত পোষণ করার জন্য।
সত্যি আপু ঘোরাঘুরি করতে আমার মনে হয় সবারই অনেক ভালো লাগে। আর সেই ঘোরাটা যদি এমন কোন সেতুতে হয় তাহলে তো কোন কথায়। আসলে সূর্যান্ত দেখতে আমার কাছে ভালো লাগে।আর এমন হঠাৎ করে ঘোরাটাই অনেক ভালো লাগে। আর আগে থেকে প্ল্যান করে যাওয়া মুশকিল। যাইহোক আপু আপনারা সবাই মিলে অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এর আগেও একবার আমি এই সেতুতে ঘুরতে গিয়েছিলাম কিন্তু তখন নদীতে পানি ছিল না কিন্তু এবার নদীতে অনেক পানি যার কারণে আরো বেশি ভালো লাগছিল। সব মিলিয়ে ভালো সময় উপভোগ করেছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
হঠাৎ এমন ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনলে তো আনন্দ হওয়ারই কথা। এজন্যই তো আপনারা ঝটপট রেডি হয়ে নিলেন বাইরে যাওয়ার জন্য আসলে এমন রাস্তা দিয়ে যেতে খুব ভালো লাগে আপনার ভিডিওতে দেখে বোঝা যাচ্ছে রাস্তাটা কেমন চমৎকার ছিল। এক ঘন্টা অটোতে করে খুব ইনজয় করেছেন চারপাশে পরিবেশ বোঝা যাচ্ছে পরিবারের সঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন।
রিক্সায় এক ঘন্টা জার্নি কিন্তু কম কথা না তারপরও রাস্তাটা এত সুন্দর আর চারপাশের পরিবেশ এত সুন্দর বেশ উপভোগ করেছি জার্নিটা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
@tipu curate
Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 4/7) Get profit votes with @tipU :)
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন হঠাৎ বিকেলে ঘুরতে যাওয়া বড়দহ সেতুতে কিছু মুহূর্ত ও অনুভূতি। আসলে সেখানে আপনারা বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছিলেন। ছেলে এবং ছেলের বাবাকে নিয়ে এমন সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা বেশ মজার। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরির মজাই আলাদা। অনেক মজা করেছি সবাই। ধন্যবাদ ভাইয়া।
করতোয়া নদীর উপরে বিশাল বড় ব্রিজটি দেখলাম। আপু সেতুর নাম বড়দহ সেতু দিলো কেন..। জায়গার নাম বড়দহ না কি অন্য কোন কারন আছে। জানতে চাই আমার অবুজ মন। ধন্যবাদ আপু।
এই সেতু সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারণা নেই ভাইয়া। তবে সবার কাছে শুনেছি এটা অনেক নামকরা জায়গা।তবে এখানকার মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখার মত ছিল।