জন্মদিনে কাটানো মূহুর্ত || @shy-fox 10% beneficiary
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ভাল আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
গত কাল আমার জন্মদিন ছিল অবশ্য তা মনে ছিল না আমার। তবে ফেসবুক আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছিল কারণ সংসার সামলিয়ে বাচ্চা সামলিয়ে এভাবে আমার দিন তারিখ এবং শুক্রবার নাকি শনিবার সব কিছু মনে থাকে না। তো যাই হোক হঠাৎ করে ফেসবুকে দেখলাম আপনাদের ভাইয়া আমাকে উইশ করেছে আর সাথে আরও কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাকে উইশ করেছে। ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের মতো রান্নাবান্না করে দুপুরবেলা খাওয়া-দাওয়া করার পর আপনাদের ভাইয়া বললো যে কয়েকজনকে ফোনে দাওয়াত করে দাও আমি সুন্দর একটা আয়োজন করেছি যেটা তোমার জন্য সারপ্রাইজ।
তো আমি ফোন করে আমার বাবার বাড়িতে বলি শ্বশুরবাড়িতে বলি যদি আমার বর বাড়ি থেকে কেউ আসেনি কারণ আমার ছোট বোনের পরীক্ষা ছিল আমার শশুর বাড়ি থেকে শুধু আমার ছোট দেবর এসেছিল এবং বাসায় কয়েকজন মেহমান দেখেছিলাম আমাদের ফ্ল্যাটের সন্ধ্যাবেলায় আমি অনেক কিছু রান্নার আয়োজন করেছিলাম যার মধ্যে ছিল ইলিশ মাছ ভুনা, দেশি মুরগির ভুনা, মুরগির গিলা কলিজা এবং গলার হার দিয়ে বুটের ডাল, লাউশাক চচ্চড়ি, বেগুন ভাজা,কালোজিরা ভর্তা, শুটকি ভর্তা এবং ফিরনি,মিষ্টি।
সবাই সন্ধ্যাবেলা আসলো এবং খাওয়া-দাওয়া করলো। তো খাওয়া-দাওয়া গল্প-স্বল্প করে সবাই যখন যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল হঠাৎ দেখি এক পরিচিত ছোট ভাই আমার দরজায় এসে একটা কেকের বাক্স নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি বুঝতে পারছি এটা কেক ছিল ভিতরে। তখন আমি আপনাদের ভাইয়াকে বললাম যে এটার কোন দরকার ছিল না। আমি এখন অনেকটা বড় হয়ে গেছি। তখন আর সবাই আমাকে বলছিল যে বয়স কোনো ব্যাপার না বয়স শুধু মাএ একটি সংখ্যা। এটাই ছিল আমার জন্য সারপ্রাইজ। আমার জন্য কেক অর্ডার করেছিল। সবাই মিলে কেক কাটলাম মজা করে খেলাম। কেকটা বেশ মজা ছিলো।
যদিও মেয়েদের বয়স জিজ্ঞেস করতে নেই বা জানতে নেই তবুও বলছি আজকে ২৩ টি বছর আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে কাটিয়ে দিলাম। জানিনা আর কত বছর থাকতে পারব। তবে এটুকুই আশা যেন ছেলেটাকে মানুষের মত মানুষ করতে পারি। আর এটুকু সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার চাওয়া। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আর পরিশেষে একটা কথাই বলবো সেটা হচ্ছে আমার বাবা-মাকে নিয়ে। তারা সবসময় ভালো থাকুক। আসলে তারা থাকলে আমার কোনো অস্তিত্বই থাকতো না। আমি তাদের কাছে চির ঋনি। সবাই আমার পুরো পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। বন্ধুরা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
প্রথমেই আপনাকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা জানাই।এভাবেই সামনের জন্মদিন আসুক আপনার জীবনে সেই প্রার্থনা করি।আর ভাইয়া দেখি আপনার জন্য ভালই সারপ্রাইজ করেছে।আর ভালই খাওয়া দাওয়ার আয়োজন ও করেছেন তবে আমরা মিস করে গেলাম😁
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। পরবর্তী জন্মদিনের অগ্রিম দাওয়াত রইলো।
ওয়াও আপু আপনি দেখছি অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত জন্মদিনে কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো বিশেষ করে আপনার বাবুটা অনেক কিউট ছিল। আরো অনেক মজার মজার খাবারের আইটেম করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আর আমার বাবুর জন্য অবশ্যই দোয়া করবেন ও যেন বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে।
প্রথমে জানাই আপনাকে জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা। যদিও উইশ করতে একটু লেট হয়ে গেছে।
শুভ দা কিন্তু কালকের পোস্টে আপনার জন্মদিনের কথা উল্লেখ করেছিল। প্রধানত সেখান থেকেই জানতে পারি আপনার জন্মদিনের কথা। খাওয়া-দাওয়ার মেনু তো দেখে মনে হচ্ছে রাজকীয় ব্যাপার ছিল।
এত খাবার তো একসাথে আমি অনেক দিন খাই না। আপনার বয়স ২৩ বছর হলো মাত্র। তাহলে তো আপনি আমার থেকেও অনেক ছোট আপু। আমাদের ভাই ঠিকই বলেছেন বয়স শুধুমাত্র একটা সংখ্যা। যেকোনো বয়সে জীবনকে উপভোগ করা যায়।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আসলে এই সুন্দর পৃথিবীতে ২৩ টি বছর আমি কাটিয়ে দিলাম। আমার কাছে এটাই অনেক মনে হয়। কারণ আশেপাশে যে পরিস্থিতি দেখি তাতে মনে হয় কখন যে কি একটা হয়ে যায় একটা ভয় ভিতর থেকেই যায় সব সময়। আর হ্যাঁ অবশ্যই একদিন আসবেন আমার বাসায় আপনার দাওয়াত রইলো।
প্রথমে আমি আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা হিসেবে জানাতে চাই শুভ জন্মদিন আপু। কি আর করবেন আপু এখন সকলেরই পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে তাই চাইলেও অনুষ্ঠানটি বড় করে করতে পারলেন না। তারপরও জন্মদিন উপলক্ষে এত লোভনীয় কিছু খাবার রান্না করেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। ২৩ বছর এই পৃথিবীতে কাটিয়ে দিয়েছেন আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাকে আরও অনেক দিন এই পৃথিবীতে কাটানোর সুযোগ করে দেবেন।
হুমম ভাইয়া পরীক্ষার জন্য আমার বাবার বাড়ি থেকে কেউ আসতে পারেনি। খুব ইচ্ছা ছিল আমার জন্মদিনে আমার জন্মদাত্রী মায়ের সঙ্গে কাটানোর কিন্তু কি আর করার ছোট বোনের পরীক্ষার জন্য আমার মা আসতে পারেনি। আপনি আমার জন্য এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু। দোয়া করি যেন আপনার জীবনের সকল ইচ্ছা পূরণ হয়। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব ভালো সময় পার করেছেন সবার সাথে। কিছু কিছু বিশেষ দিনের কথা আমিও মাঝে মাঝে ভুলে যাই। ফেসবুক তখন মনে করিয়ে দেয়। খাবারের মেনুগুলোর কথা শুনে তো জিভে জল চলে এসেছে। কেক টাও দেখতে খুব সুন্দর। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে মুহূর্তগুলো সত্যিই খুবই ভালো ছিল। গতবছর বাবু ছোট ছিল এজন্য বেশি কিছু করতে পারেনি আপনাদের ভাইয়া তো এবার আমার জন্য সারপ্রাইজ রেখেছিল যাইহোক আমি খুবই সারপ্রাইজড হয়েছিলাম আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। আসলে ইদানিং ফেসবুক ছাড়া আমাদের কোনো বিশেষ দিনের কথা মনেই থাকেনা।
ইস আপু এত বড় আয়োজন করলেন আর আমাদেরকে দাওয়াত করলেন না। দাওয়াত করে দেখতেন আপনার বাসায় চলে যেতাম। এতগুলো রান্না বাবুকে নিয়ে আপনি কিভাবে সামাল দিয়েছেন আমি সেটাই ভাবছি। আসলেই আনন্দের ক্ষেত্রে বয়স কোন ব্যাপারই না তাই ভাইয়া আপনাকে জন্মদিনে সারপ্রাইজ করে দিল। এক কথায় দারুন আয়োজন ছিল।
সত্যি বলতে কি আপু আমি নিজেই সকালবেলা জানতে পেরেছিলাম আর কোন ইচ্ছাই ছিল না এরকম আয়োজন করার। আপনার ভাইয়ার জোড়াজোড়িতে হয়েছে। তো যাই হোক অবশ্যই পরবর্তীতে আপনাদেরকে দাওয়াত করব এবং অবশ্যই আসার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা।তাই জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত উপভোগ করা উচিৎ। বয়সের জন্য কেন আনন্দ থেমে থাকবে কেন? আমিও বাকি সবার সাথে একমত।ইশ্বর আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন এর প্রার্থনা করি।
আসলে একটা সময়ে গিয়ে এসব আর ভালো লাগে না। আর সারাদিন সংসার সামলিয়ে বাচ্চা সামলিয়ে আর কোন স্পেশাল দিনের কথা মনে থাকেনা। যদি না ফেসবুক থাকত তাহলে তো জানতেই পারতাম না আমার জন্মদিন ছিল। তো যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমেই জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভাইয়া আপনাকে বেশ ভালো একটি সারপ্রাইজ দিয়েছেন। নিশ্চয়ই অনেক আনন্দ পেয়েছেন। জন্মদিনে সারপ্রাইজ পেলে বেশ ভালো লাগে। বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বেশ আনন্দ করে সময় টি পার করেছেন। প্রতিটি বছর আপনার এরকম আনন্দে কাটুক সেই দোয়া করি। খাবারগুলো বেশ চমৎকার ছিল , দেখেই মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমে আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপু। দেখতে দেখতে আপনি ২৩ টি বছর কাটিয়ে দিলেন। সত্যি কথা বলতে বয়স গুলো কবে কখন চলে যায় বুঝা যায় না। খাবার গুলো দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর জন্মদিনের মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু
সত্যিই খুব খুশি হয়েছি এবং অবাকও হয়েছি কারন ও যে পরিমাণে ব্যস্ত থাকে তারপর যে এরকম ভাবে মনে করেছে এবং আমাকে সারপ্রাইজ দিয়েছে আমি সত্যি অনেক খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সংসারের কাজের চাপে এবং বিভিন্ন ব্যস্ততায় হয়তো বিশেষ দিনগুলো মনে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। যাইহোক আপু আপনার জন্মদিনে সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আর খাবারের মেনুতে যেগুলো ছিল সেগুলো বেশ লোভনীয় ছিল। দোয়া করি আপনি যেন নিজের আদরের সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারেন এবং তাকে আরো দীর্ঘদিন সময় দিতে পারেন। ♥️♥️♥️♥️
হ্যাঁ আপু দিনশেষে এখন এই একটাই চাওয়া যেন ছেলেটাকে মানুষের মত মানুষ করতে পারি।ধন্যবাদ আপু আমাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য।