বাবুকে ছেড়ে এই প্রথম কয়েক ঘন্টা কাঁটানোর অভিজ্ঞতা
"হ্যালো",
এবার যে আমার সঙ্গে কি ঘটছে আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। কতদিন পর বাবার বাড়িতে আসলাম ভালোলাগাটা অন্যরকম ছিল কিন্তু এমন একটি বিরক্তকর কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি যা বলে বোঝাতে পারবো না। হঠাৎ আমাদের সকালবেলা ব্যাংকে যেতে হয়েছিল। আমরা সকাল দশটার দিকে গিয়েছিলাম। তো ভাবলাম এই গরমের মধ্যে বাবুকে নিয়ে যাব না। আমার মায়ের কাছে রেখে যাব। আর এখানে ওর অনেক খেলার সাথী এবং আমার মা আছেন বোন আছে। যার কারণে খুব একটা চিন্তা হয়নি প্রথম প্রথম। তারপরও যাওয়ার সময় বারবার ওর দিকে তাকাচ্ছিলাম এবং আমার মনটা কিছুতেই চাইছিল না ওকে ছেড়ে যেতে। ভেবেছিলাম হয়তো অল্প সময় লাগবে এজন্যই রেখে গিয়েছিলাম।
ব্যাংকে প্রায় সাড়ে দশটার দিকে পৌঁছে যাই।গিয়ে কিছু কাজ সারার পর উনারা বলেন আরও তিন ঘন্টা পর উনাদের সঙ্গে দেখা করতে। তখন তো আমার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমি বাবুকে ছাড়া এতক্ষণ কিভাবে থাকবো আর বাবুই আমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকবে। যাইহোক ব্যাংক থেকে তখন আমরা আমাদের বাসায় চলে আসি এবং ওখানে রেস্ট করতে থাকি। এদিকে আমার মনটা ছটফট করছে ওর বাবাও খুব অস্থির হয়েছিল বাবুর জন্য। এদিকে বারবার বাবুকে ভিডিও কল করছিলাম এবং কথা বলছিলাম। ওর মনটাও ভীষণ খারাপ আমি বুঝতে পারছিলাম। আমি তো কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে কেঁদেই ফেলেছি।
সন্তানকে ছাড়া একটা মুহূর্ত আমার যেন একটা বছরের মত যাচ্ছিল। আমি কিছুতেই মনকে শান্ত করতে পারছিলাম না। অনেক মহিলা আছে সংসারে অশান্তির কারণে বাচ্চাকে রেখে চলে যায় আমার শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছিল তারা বাচ্চাকে ছেড়ে কিভাবে থাকে আমি তো এইটুকু সময় থাকতে পারছি না আর দিনের পর দিন কিভাবে তারা থাকে সেটাই ভাবছিলাম। যাইহোক কি আর করার আমরা অপেক্ষা করছিলাম ব্যাংক থেকে ফোন আসার জন্য এরপর দুটো বাজে আমাদের কাছে ব্যাংক থেকে ফোন আসে এবং আমরা ব্যাংকে চলে যাই। এখানে গিয়েও দেখি আমাদের কাজটা তখনও সম্পন্ন হয়নি। তখন আমি এক পর্যায়ে আপনাদের ভাইয়াকে রাগ করে বললাম যে আমি চলে যাচ্ছি এখানে কি হবে হোক আমার বাবুকে ছাড়া আর ভালো লাগছে না। তখন আপনাদের ভাইয়া ম্যানেজারের কাছে গিয়ে সেখানে কথা বলে ব্যাপারটা ওনাকে জানায়। ম্যানেজারকে বলার ৫ মিনিটের মধ্যে আমাদের কাজটা হয়ে গিয়েছিল। তখন মনে মনে ভাবছিলাম প্রথমে এসে যদি ওনাকে জানাতাম আমরা তাহলে আমাদেরকে এতক্ষণ হয়তো অপেক্ষা করতে হতো না।
যাইহোক ব্যাংকে কাজ সারার পর আমি এক মিনিটও আর কোথাও অপেক্ষা করিনি। সোজা বাবুর কাছে চলে এসেছি মানে আমার বাবার বাসায়। এসে দেখি বাবু তো আমার ওপরে সেই অভিমান করে আছে অনেক আদর করে তার অভিমান ভাঙ্গাতে হলো। তবে আর কখনো বাবুকে এরকম একা রেখে আর কোথাও যাবো না ভীষণ কষ্ট পেয়েছি আজকে। অনেক মা আছেন বাসায় বাচ্চাদেরকে রেখে শপিংয়ে যায়। আবার অনেক মা আছেন যারা বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করেন। তারা এতক্ষণ সন্তানকে ছেড়ে কিভাবে থাকেন। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে আরো ধৈর্য দিক।তবে আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
যাইহোক আজকে এই পর্যন্তই। তবে আমার মত আপনাদের কার কার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না। দেখা হবে আবারো পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে এতক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
কলিজার টুকরা রে ছাড়িয়া দূরে থাকা বড়ই কঠিন আজ আপনি হয়তো সেই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন নিজের সন্তানকে ছেড়ে কিছুটা সময় দূরে থাকলে কেমন অনুভূতি মনের মধ্যে সাড়া ফেলে। হয়তো আপনার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম এই আবেগ অনুভূতি।
জ্বি ভাইয়া বাবুকে ছাড়া দূরে থাকা খুবই কষ্ট। এই অভিজ্ঞতা আমার খুব ভালোভাবে হয়েছে। আমি মনে হয় না আর কখনো কাউকে রেখে এভাবে দূরে যাব।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য পোষণ করার জন্য।
আমার পোস্টটি পড়ছিলাম আর আপনার অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করছিলাম। সত্যিই মায়ের পক্ষে কষ্টকর তার সন্তানকে রেখে দূরে কোথাও যাওয়া। তবে কিছু কিছু মা সাংসারিক খরচ মেটাতে চাকরির দিকে ছুটে যায়, আমার মনে হয় তারাও সেই একই কষ্ট পায়। তবে যারা সত্যিই সন্তান রেখে চলে যায়, তারা কখনোই প্রকৃত মা নয়।
হ্যাঁ ভাইয়া সত্যি মায়ের পক্ষে সন্তানকে রেখে থাকা সম্ভব নয়। আমি প্রচুর কষ্ট পেয়েছি এই দিনটাতে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
একদম সঠিক কথা বলছেন আপু বাচ্চাদেরকে রেখে একটু থাকা যায় না। আমি তো সেই চিন্তায় চাকরি বাদ দিলাম বাচ্চাদেরকে রেখে সুস্থ থাকবো না আমি নিজে ভালো থাকবো না সেজন্য দূরে চাকরি করতে চাচ্ছি না। কারণ একটা নিরাপত্তাকার কথা আছে আমার কাছে যতটুকু নিরাপদ থাকবে অন্যের হাতে থাকবে কিনা সেটা আমি নিশ্চিত না। ভালোই ভালোই কাজটা ছেড়ে বাবুর কাছে ফিরে আসলেন ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু বাচ্চা আমার কাছে যেমন নিরাপদ থাকবে অন্য কারো কাছে তেমন নিরাপদ থাকবে না। দিনশেষে সন্তানকে সময় দেওয়া খুবই জরুরী। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ছোট বাবুদেরকে এভাবে কোথায় রেখে গেলে মার মন ঠিক থাকে না। সারাক্ষণ বাচ্চার কথা মনে পড়ে। আপনার জরুরী কাজে ব্যাংকে গেলেন। তবে বাড়িতে আপনার নিজের মা এবং বোন আরো লোক ছিল তারপরও আপনার মন বাচ্চার জন্য খারাপ হয়ে গেল। তবে অনেক লোক আছে কাজের লোকের কাছে রেখে শপিং এবং অন্যান্য কাজে যায়। তবে আপনি কিছুক্ষণ বাচ্চার পাশে না থেকে তার জন্য কেঁদে দিলেন। এটাই হচ্ছে মায়ের ভালোবাসা সন্তানের জন্য। মায়ের ভালোবাসার সাথে কারো তুলনা হয় না। আর সব মায়ে তার সন্তানদেরকে এভাবে খেয়াল রাখা দরকার। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
আমি জানতাম আমার বাচ্চা আমার মায়ের কাছে খুব নিরাপদে থাকবে এবং ভালো থাকবে। তারপরও আমার মনটা কিছুতেই মানছিল না। এক সময় তো কেঁদেই ফেলেছি বাবুর জন্য আসলে ওকে রেখে কখনো এতটা সময় আলাদা থাকিনি। আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একেই বলে মায়ের ভালোবাসা। আপনি আপনার ছোট বাবুটিকে আপনাদের বাড়িতে আপনার মা এবং বোনের কাছে রেখে ব্যাংকে গেলেন। যদিও আপনাকে যে সময়ের মধ্যে ব্যাংকের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল সেই সময় থেকে আরো বেশি টাইম লাগলো। এই কারণে আপনার বাবুর জন্য বেশি চিন্তা হলো আপনার। পৃথিবীতে মায়ের ভালোবাসা সাথে কারো ভালোবাসার তুলনা করা যায় না। তবে অনেকে আছে নিজের সন্তানকে অন্য জনের কাছে রেখে পুরো দিন ঘুরে বেড়ায় এবং মার্কেটিং করে। তারা এরকম চিন্তাও করে না। তবে আপনার সন্তানের জন্য যেভাবে কিছুক্ষণ না দেখে আপনার চোখ দিয়ে পানি পড়েছে। এরকম করে সব মায়েরা ছেলেমেয়েদেরকে ভালোবাসে। আপনার বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
প্রথমে ভেবেছিলাম অল্প সময় লাগবে কিন্তু সেখানে গিয়ে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল তাই বাবুর জন্য খুব চিন্তা হচ্ছিল। যাইহোক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
যে মহিলারা সংসারের অশান্তির জন্য সন্তান রেখে চলে যায়, তারা পাষাণ বলেই সেটা পারে। একজন প্রকৃত মা সন্তানকে ছাড়া কখনোই থাকতে পারে না। চাকরি করলে সেটা অন্য ব্যাপার। কারণ জীবিকার তাগিদে অনেক সময় অনেক কিছুই করতে হয়। যাইহোক বাবুর প্রতি আপনার টান বা ভালোবাসা দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।