ওয়াজ মাহফিলে কাটানো মুহূর্ত||১ম পর্ব
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। গতকাল আমাদের এখানে ওয়াজ মাহফিল হয়েছে। সেখানে সন্ধ্যা থেকে রাত অব্দি বেশ কিছু সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি। মুহূর্তগুলো আমি বেশ কয়েকটি পর্ব নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আসলে এই সময়টা আমাদের গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে প্রত্যেকটা গ্রামেই ওয়াজ মাহফিল হয়। যদিও সারাদিন একদমই বাসা বের হতে পারিনি। কিন্তু সন্ধ্যায় ফ্রী হয়ে যে ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলাম ওয়াজ মাহফিলের মেলায় তারপর সেখান থেকে ছেলের জন্য কিছু খেলনা কিনে ছোট বোনকে কিছু কসমেটিকস কিনে দিয়ে গিয়েছিলাম ওয়াজ শুনতে। এই প্রথম মনে হয় আমি রাত জেগে ওয়াজ শুনলাম। রাত প্রায় দুইটা বাজে আমরা ওয়াজ শুনে বাসায় এসেছি।
যাইহোক আজ ওয়াজ মাহফিলে কাটানো প্রথম মুহূর্তটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। সেটা হচ্ছে বাবুকে কিছু খেলনা কিনে দেওয়ার মুহূর্ত। যদিও এই খেলনাগুলো বাবুর কাছে বাস কয়েক ঘণ্টার ব্যাপার তারপরে সবগুলো ভেঙে ফেলে। তারপরও আমার বাবা আমার মা বাবুকে বেশ কিছু টাকা দিয়েছেন বিকেল বেলায়। বাবা তো বারবার বলছিলেন আমি যেন আমার ছেলেকে ভাল দেখে গাড়ি কিনে দেই। আমি তো জানি যত দামি খান নাই ওকে কিনে দেই না কেন কয়েক ঘন্টা পর সেটা নষ্ট করে ফেলে। কি আর করার তাদের একমাত্র নাতি বলে কথা। যাইহোক আপনার ভাইয়া তো গতরাত খুবই ব্যস্ত ছিল সেটা আমরা অনেকেই জানি কারণ সেদিন ছিল রবিবারের আড্ডা। সে একদমই বাসা থেকে বের হতে পারিনি তাই আমি আমার মা এবং ছোট বোনকে নিয়ে চলে গিয়েছিলাম সেই মেলায়।
প্রথমে গিয়ে অনেক কিছু দেখছিলাম। অনেক বড় মেলা বসেছিল।অনেকগুলো খেলনা রাইড এসেছিল বাবু ও নাগরদোলায় উঠেছিল এবং জাম্পিং করছিল। ওতো জাম্পিংয়ে ওঠে নামতেই চাচ্ছিল না বারবার উঠতে চাচ্ছিল বেশ কয়েকবার উঠেছে ওখানে। যাই হোক এরপর আমরা আসি বাবুর জন্য গাড়ি দেখতে। এরপর আমরা বাবুর জন্য রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি দেখছিলাম। দাম অনেক বেশি রাখে তারপরও কি আর করার। অবশেষে দেখে একটা রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি কিনেছিলাম। আমার ছেলে তো গরু পাগল এটা হয়তো অনেকেই জানেন। প্লাস্টিকের গরু দেখে ছেলে আমার গরু ছাড়া কিছুতেই বাসায় আসবে না। বাধ্য হয়ে তাকে একটা বাছুরসহ গরু কিনে দিয়েছিলাম। এতগুলো খেলনা পেয়ে সে তো মহা খুশি।
বাবুর খেলনা কেনা হয়ে গেলে ছোট বোনের জন্য বেশ কিছু কসমেটিক্স কিনে দিলাম।শুধুমাত্র হেয়ার ব্যান্ডগুলো কিনেছিল বেশকিছু। এবার আমাদের কেনাকাটা শেষ হয়ে গেলে গিয়েছিলাম খাওয়া দাওয়া করতে স্টল গুলোতে। সেই মুহূর্ত না হয় আরেকদিন শেয়ার করব। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনাদের ঐদিকে দেখছি ওয়াজ মাহফিলের পাশাপাশি মেলা হয়। তবে আমাদের এই দিকে কোথাও এরকম কিছু হয় না। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত আপনি কাটিয়েছেন এই মেলাতে। এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। শায়ান বাবু অনেক আনন্দ করেছে নিশ্চয়ই।
হ্যাঁ আপু আমাদের এদিকে ওয়াজ মাহফিলে পাশাপাশি মেলাও বসে। আর আমার ছেলে তো প্রথমবার এই মেলায় উপস্থিত ছিল এবং সে খুবই আনন্দ করেছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আজকে আপনি ওয়াজ মাহফিলে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এবং সেই স্থানের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। খুব সুন্দর ভাবে ওয়াজ মাহফিলের মেলাগুলো থেকে ফটো ধারণ করেছেন। ফটোগুলো বেশ ভালো লাগলো। অনেক অনেক বাবুদের খেলনা দেখতে পারলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপু বাচ্চা না এমনি যত দামি খেলনা হোক না কেন খেলতে খেলতে কখন যে ভেঙে ফেলবে। আপনি আপনার মা ও ছোট বোনকে নিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন মেলায়। মাঝে মাঝে মেলায় একটু কেনাকাটা ও ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালোই লাগে। আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট করে বেশ ভালো লাগলো আপু। কেনাকাটার পর্ব শেয়ার করেছেন খাওয়া দাওয়ার পর্ব খুব দ্রুত শেয়ার করবেন আশা করছি।
হ্যাঁ আপু সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি সেই মেলায় এবং ওয়াজ মাহফিলে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।