রেসিপিঃ শাশুড়ি মায়ের হাতে রান্না করা কাঁঠাল সেদ্ধ

in আমার বাংলা ব্লগlast year

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। কাঁঠালে এত পরিমানে পুষ্টিগুণ আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। কাঁঠালের গুনাগুন সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই জানি। অনেক ফল আছে যেগুলো ছোট বা কাঁচা থাকতে সবজি হিসেবে খাওয়া যায় আবার পাঁকলে ফল হিসেবেও খাওয়া যায়। সেরকমই একটি ফল হচ্ছে কাঁঠাল। ছোট কাঁঠাল কে আমরা এঁচোড় বলে থাকি। এঁচোড়ের তরকারি কিন্তু আমাদের সবারই অনেক পছন্দের। তবে আজকে আমি এঁচোড়ের রেসিপি শেয়ার করছি না। আজকে আমি শেয়ার করছি কাঁঠাল সেদ্ধর রেসিপি।আপনারা এভাবে কখনো রান্না করে খেয়েছেন কিনা জানিনা তবে আমাদের এদিকে এটি অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার।

20230624_181452-01.jpeg

কাঁঠাল পাঁকার কিছু আগে এই কাঁঠাল গাছ থেকে পেরে এরকম মসলা দিয়ে রান্না করে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে।প্রতিবছর আমার শাশুড়ি অনেক মজা করে এই রেসিপিটি রান্না করেন। কারণ কাঁচা কাঁঠাল কিংবা পাঁকা কাঠাল আমার শাশুড়ি খেতে অনেক পছন্দ করেন। যেহেতু এখন ঈদের মৌসুম বাসায় সবাই চলে এসেছেন মানে আমার হাজবেন্ডের ভাই ভাবীরা সবাই বাসায় এসেছেন। তাই অনেক মজা হচ্ছে আর আমার শাশুড়ি নিজ হাতে সবার জন্য এই কাঁঠাল রান্না করেছেন। আর সেই রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

20230624_181049-01.jpeg

তো চলুন বন্ধুরা রেসিপিটি শুরু করা যাক। আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

5ShzsKnKF7vppGeV6VN3m3GSDcLoRruAhMmifZtFSDkYScURvgxL6oNy61wWHmiRpQ4L5wPzJuR91tVZXgqZiEey4gp8T9nQDN7VwhnZbve22Yiqdt9Enz1un5SJtbZ8ZEWa9X9PzccJ9v7NM5pXzQzS.png

|উপকরনসমূহঃ|
|আধা পাঁকা কাঁঠাল
|পেঁয়াজ কুচি
|কাঁচা মরিচ বাটা
|আদা রসুন বাটা
|জিরা ধনিয়ার গুঁড়া
|হলুদ গুঁড়া
|গরম মসলা
|লবণ
|তেল

PhotoCollage_1687617473175-01.jpeg

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPzLnvAw5nMkNBFxuembpsrfoPHRriZnzMJQp8Qzj3X11VtPjixscvmGWKnJuc...duNUBbDMSD5eaT1gkLQbwQnG77AGd1LEKhBeYPmknYc5G7EAsD9MyHnhVMNoj42rtBsuut2ztckkDfR5smr7P6XDxqKELUHmdnzZfM74oKoD8VhVakr9AzdeSz.png

ধাপ-১

প্রথমে হাতে এবং বটিতে সরিষার তেল মাখিয়ে কাঁঠাল কেঁটে একটা একটা করে কাঁঠালের কোয়া বেছে নিতে হবে।

PhotoCollage_1687617524178-01.jpeg

ধাপ-২

এরপর সাদা এলাচ এবং কালো এলাচ একটি ছেঁচনির সাহায্যে থেঁতো করে নিয়েছি।

PhotoCollage_1687617576916-01.jpeg

ধাপ-৩

এরপর কাঁঠাল গুলো ধুয়ে একটি বড় পাতিলে নিয়েছি। তারপর একে একে সব মসলার উপকরণ দিয়ে দিয়েছি।

PhotoCollage_1687617606027-01.jpeg

ধাপ-৪

এবার হাত দিয়ে ভালোভাবে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে মেখে নিয়ে সামান্য পানি দিয়েছি।

PhotoCollage_1687617640065-01.jpeg

ধাপ-৫

ভালোভাবে মাখানো হয়ে গেলে বড় একটি মাটির ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি রান্নার জন্য। এই রান্নাটা কিন্তু মাটির চুলায় আমরা রান্না করেছি। আর মাটির চুলায় রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয়।

20230624_163954.jpg

ধাপ-৬

মিডিয়াম লো আঁচে এই কাঁঠালগুলো রান্না করতে হবে। প্রায় ৩০ মিনিট সময় লেগেছে এই রান্নাটি হতে।

20230624_181049-01.jpeg

ধাপ-৭

রান্না হওয়ার পর গরম গরম এটি পরিবেশন করা হয়েছে। আমরা সবাই এটি খুব মজা করে খেয়েছি।

20230624_181452-01.jpeg

এই ছিল আমার আজকের রেসিপি আশা করছি অনেকের কাছে এটি ভালো লাগবে। বিশেষ করে যারা কাঁঠাল খেতে পছন্দ করেন। যদি আমার রেসিপিটা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বাসায় বানিয়ে খাবেন। এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে কাঁঠাল বাজারে পাওয়া যায় কিংবা অনেকের বাড়িতে গাছে কাঁঠাল আছে।সত্যি বলতে এভাবে রান্না করলে আসলেই কাঁঠালে অনেক ভালো লাগে খেতে।

আজ এ পর্যন্তই।দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1EmYRYsQvFLAH72WL1voB5Qv1bAb8AZSXixgFjhiMWAnz2UA9cMfriUVJ7ctL7...nSLVWX5o43xBXmLDdwhihbXiBhaPqShV2SFRHcKYd8CXKMs5RdPFoVngFzUPZy735MKSBrn82U6bCmY9F8MzT3ucNgZ2hGFcSdZg7fSmWifdcnibPP7TB2AbsL.png

E8fRY4dhuR5sTLZsFHQGy2Dnv1izoNa9kDDwNf6SWjwUiExjDZXA9b63NAwrwLXd8Ct7t1ZtdVLLXWaLZw5onyjbiCRPr6s2tz1kz75iSS...xFU9EXxXdabqMHBsc9mJ817a2SuVogJxMBkzsHNyMz11NQwmvwuEWHWA5F82zgRf2rtHDE85bAj4sRhY9U82BY2NqNXEu8caQc9HGJHwF7D2FoRAiQKCNDCinS.png

Xaey6XUsuMsULyX7cP1nbTWJzYmPAgo7FUiwufHRk6Jy2gyG1Db2Jf3F8zDR4enXrGJXJVY8zjUpsz8r7ybb4LRV5UxeCYiYK1QPL3cJGf...AYxpdPLKDUL7U8qu4Pikt2pYsm5FijpvHVGxLifJJPzqmZNKMNA2z45a46JW8rG61eode8Q5PXFhQEQKZCgnKP8ynSwFBAExhqvJUM7KDLc3AeqHmeUQyR5QSZ.gif

Sort:  
 last year 

এঁচোড়ের অনেক নাম শুনেছি কিন্তু আমার কখনো খাওয়া হয়নি। তাছাড়া এরকম পাকা কাঁঠাল কখনো রান্না করে খাওয়া যায় জানতামই না। একেবারে নতুন একটি রেসিপি দেখলাম আজকে। দেখে কিন্তু মনে হচ্ছে যে খেতে ভালোই মজাদার হয়েছিল। আমার পক্ষে যদিও এভাবে কাঁঠাল রান্না করা সম্ভব নয় তারপরও দেখে লোভ লেগে যাচ্ছে আপু।

 last year 

হ্যাঁ আপু এভাবে কাঁঠাল রান্না করতে গেলে একার পক্ষে সম্ভব নয়। অনেক কয়জনকে লাগে কারণ এটা একটা একটা করে কোয়া বাছতে হয় তারপরে রান্না করতে হয়। এ রান্নাটি অনেক ঝামেলার তবে খেতে অনেক অনেক মজার। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আপু আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। আসলে আপু এই ধরনের রেসিপি আমার কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আমাদের এদিকে তেমন দেখি না রান্না করা। যাইহোক আপু শাশুড়ির হাতে এমন খাবার নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আমার শাশুড়ির হাতের অনেক রেসিপি আছে যেগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। তার মধ্যে এটি একটি রেসিপি যা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। আদা পাকা কাঁঠাল সেদ্ধ রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এভাবে আদা পাকা কাঁঠাল সিদ্ধ রেসিপি এখনো তৈরি করে খানা হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। আর একসাথে সবাই মিলে খেতে খুবই ভালো লাগে। সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

হ্যাঁ আপু আধা পাকা কাঁঠাল সেদ্ধ খেতে অনেক ভালো লাগে। অবশ্যই একদিন বাসায় চেষ্টা করবেন খাওয়ার। আমার বিশ্বাস আপনার এটা পছন্দ হবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 last year 

এ রেসিপিটির নাম আমি আমার এক জার কাছে শুনেছি। কিন্তু কখনও খাওয়া হয়নি। দেখেতো মনে হচ্ছে খেতে মজাই হবে। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

জ্বী আপু এই কাঁঠাল সেদ্ধ খেতে খুবই মজা হয়। বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 last year 

পাকা কাঁঠাল যদিও খুব অল্প পরিমাণে খাই তবে কাঁচা কাঁঠাল এখন পর্যন্ত খাওয়াই হয়নি। তবে এই কাঁচা কাঁঠালটি খেতে নাকি অনেক মজা। আমার কাছে এগুলো অনেক ঝামেলা লাগে। আপনার শাশুড়ি তো অনেক মজা করে কাঁঠাল রান্না করেছেন মনে হচ্ছে সবাই মিলে এখন মজা করে খেয়ে নিন।

 last year 

হ্যাঁ এভাবে কাঁঠাল সেদ্ধ খেতে গেলে অনেক ঝামেলাই করতে হয় প্রথমেই কাঁঠালের কোয়া গুলো একটা একটা করে বেছে নিতে হয়। এরপর রান্না করতে হয় তবে খেতে খুবই মজা লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আমি কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে পাঁচ মিশালী সবজি খেয়েছি এবং অনেক মজার হয়। এভাবে শুধু কাঠাল রান্না করে কখনও খাওয়া হয়নি। তবে রেসিপিটি আমার ভালো লেগেছে। রান্নার প্রণালী সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। রান্নার রং দেখে মনে হচ্ছে মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।

 last year 

কাঁঠালের তরকারি আমরাও খাই ভাইয়া কিন্তু এই কাঁঠাল রান্না করতে হয় কাঁঠাল পাঁকার কিছু আগে। যা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 last year 

কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। কাঁচাপাকা বিচি এর সবই খাওয়া যায়।
তাছাড়া তো বর্তমানে কাঁঠাল দিয়ে কাবাব তৈরি হচ্ছে।
কাঁঠাল দিয়ে প্রস্তুত করা আপনার এমন রেসিপি প্রথম বার দেখলাম।
দেখে বোঝা যাচ্ছে কিন্তু খুব মজা হবে যদিও এরকম ভাবে কখনো খাওয়া হয়নি।

 last year 

কাঁঠালের কোন জিনিসই ফেলনা নয়। এজন্যই মনে হয় কাঁঠাল জাতীয় ফল। যাই হোক এভাবেও আধাপাঁকা কাঁঠাল রান্না করলে খেতে সুস্বাদু লাগে ভাইয়া।

 last year 

আপু এভাবে পাকা পাকা কাঁঠাল সিদ্ধ করে খাওয়া আমি এই প্রথম দেখলাম। তবে আমাদের এদিকে কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে খায় দেখলাম। এই রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং লেগেছে। অনেক চমৎকার একটি আনকমন রেসিপি।

 last year 

আমরাও কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খাই এবং এই আধা পাঁকা কাঁঠাল এভাবে রান্না করে খেতে অনেক ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আপনি খুবই ইউনিক একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে অনেক বেশি নতুন মনে হয়েছে এই রেসিপিটা যদিও আপনাদের ওইদিকে এর প্রচলন অনেক বেশি। আমি আগে কখনো এই রেসিপিটা খাইনি। তাইতো অনেক বেশি খেতে ইচ্ছে করছে এই রেসিপিটি। আপনার শাশুড়ি নিজের হাতে এটি রান্না করেছিল নিশ্চয়ই খুবই মজাদার হয়েছিল। আমার জন্য পাঠিয়ে দিতেন তাহলে আমিও একটু টেস্ট করতে পারতাম।

 last year 

এর পরেরবার রান্না করলে আপনার জন্য পাঠিয়ে দিব ভাইয়া। অবশ্যই ঠিকানাটা জানাবেন। তবে এতদূর রাস্তা যেতে যেতে খাবার ঠিক থাকবে কিনা সন্দেহ আছে। অতএব আপনার দাওয়াত রইলো ভাইয়া আমাদের বাসায়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56111.00
ETH 2371.27
USDT 1.00
SBD 2.31