কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে মজার মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। এগুলো দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও ভীষণ সুস্বাদু ছিল। সুস্থ থাকলে হলে খাদ্য খেতে হবে আর খাদ্য সব সময় পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে। তাইতো ঘরের তৈরি রান্নার সাথে কোনো খাবারেরই তুলনা করা যাবে না। আমরা ঘরে যেটাই রান্না করি না কেন সেটা দিয়ে আমরা তৃপ্তি সহকারে খেতে পারি। সেটা ভর্তা হোক কিংবা মাংস। আর আমাদের প্রত্যেক বেলায় খাবারের সাথে সবজি রাখা অপরিহার্য। আজ যে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করব সেগুলো আমার নিজের হাতে তৈরি করা।ইতিমধ্যে বেশ কিছু রেসিপি হয়তো আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলেছি। যাইহোক আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগবে। বিশেষ করে যারা ভোজন রসিক আছেন তাদের জন্য আজকের এই ব্লগটি।
ফটোগ্রাফি-১
প্রথমে যে খাবারের ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করছি এটা হচ্ছে দেশি মুরগির ডিম ভুনা। আমার মনে হয় অনেকেই আছেন যারা মাছ কিংবা মাংস খেতে পছন্দ করেন না কিন্তু এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে যারা কিনা ডিম খেতে পছন্দ করেন না। ছোট থেকে বড় সকলেরই ডিম বেশ পছন্দের এগুলো আমাদের বাড়িতে পালিত মুরগির ডিম ছিল।ভীষণ মজার ছিল খেতে।
ফটোগ্রাফি-২
বাসায় যখন বড়মাছ আনা হয় সবগুলো পিস খেলেও লেজ খেতে কেউ পছন্দ করেনা। তাই মাসের শুরুতে যখনই বড় মাছ কেনা হয় সবগুলো মাছের লেজ আমি এভাবে ভর্তা বানিয়ে থাকি। এতে করে সবাই খেতে পছন্দ করে আর লেজও খেতে হয় না কাউকে।যদিও অনেক আগে একবার রেসিপি শেয়ার করেছিলাম তবে এবার যখন বাসায় বানাবো আবারো রেসিপিটি শেয়ার করার চেষ্টা করব। এভাবে বড়মাছের লেজ ভর্তা খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়।
ফটোগ্রাফি-৩
শীতকালের অন্যতম খাবার হচ্ছে বেগুন ভাজা। গরম গরম ভাতের সঙ্গে বেগুন ভাজা হলে আর কিছু দরকার নেই। আমার বাসায় প্রত্যেকদিন বেগুন ভাজা থাকতেই হবে। কেননা আমার ছেলে বেগুন ভাজা ছাড়া একদমই ভাত খেতে চায় না। প্রত্যেকদিন অন্তত আমি ওর জন্য একটি করে বেগুন ভেজে রাখি।আপনারা কে কে বেগুন ভাজা খেতে পছন্দ করেন অবশ্যই জানাবেন।
ফটোগ্রাফি-৪
এবার যে খাবারের ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করছি এগুলো হচ্ছে দেশি মুরগির মাংস ভুনা।এই দেশি মুরগির মাংস ভুনা আমাদের বাসার সবার খুব পছন্দের। এই মুরগিটি ছিল আমাদের বাড়িতে পালিত মুরগি। আমরা অনেক সময় শহরে বাজারে দেশি মুরগি কিনতে গিয়ে বোকা সেজে আসি। কেননা তারা আমাদের কাছে দেশি মুরগি বলে সোনালি মুরগি চালিয়ে দেয়। এজন্য অবশ্যই সবাই চেষ্টা করবেন গ্রাম থেকে দেশি মুরগি কেনার। এতে করে আপনারা অরজিনাল মুরগির মাংস খেতে পারবেন।রান্নার কালার টা যেমন সুন্দর এসেছে খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।
ফটোগ্রাফি-৫
শীতকালের অন্যতম রেসিপি হচ্ছে ফুলকপি, আলু, বেগুন এবং সিম, কুমড়া বড়ি দিয়ে মাছের ঝোল। আমার মনে হয় এটা শুধু আমার না প্রত্যেকেরই পছন্দের একটি খাবার। এভাবে বেশ কয়েক প্রকার সবজি দিয়ে বড় মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে ভীষণ মজার হয়।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার বেশ কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
ওয়াও আপনি আজকে অনেক লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনার তোলা সব গুলো খাবারের ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। এইরকম খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই লোভ লেগে যায়। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রাত্যহিক জীবনে আমরা যে সব খাবার বেশি খায় সেসব খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। দেশি মুরগি ভুনা থেকে শুরু করে ডিম রান্না এবং বেগুন ভাজির ফটোগ্রাফি দেখে আমার সত্যি খেতে ইচ্ছা করছে।মজাদার মজাদার সব খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্বী ভাইয়া এগুলো আমাদের প্রতিদিনের খাবার। খাবারগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রত্যেকটি খাবারের ছবি অসাধারণ হয়েছে।। সে বেগুন ভাজা বলুন বাংলাদেশি মুরগির ভুনা, সব খাবার গুলো থেকে খিদে পেয়ে যাচ্ছে। আপনি দারুন যত্ন করে ফটোগ্রাফি নিয়ে এই খাবারের ছবিগুলি পোস্ট করলেন। এত সুন্দর সুন্দর খাবার দেখানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে বেশ কয়েকটি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা বেগুন ভাজা রেসিপি টি একটু বেশি ভালো লেগেছে।
বেগুন ভাজা আমার ছেলের খুব পছন্দের খাবার ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার প্রত্যেকটা খাবারের ফটোগ্রাফি ছিল বাড়িতে তৈরি করা। এইজন্য দেখতে হয়তো চাকচিক্য কিছুটা কম ছিল কিন্তু খাবার গুলো ফ্রেশ। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ করেছেন আপু। বেশ চমৎকার একেবারে আমাদের বাঙালি খাবার। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
জ্বি ভাইয়া খাবারগুলো একদমই স্বাস্থ্যসম্মত ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আমাদের বাসায় সবার বড় মাছের লেজ খুব পছন্দ। আপনাদের বাসায় কেউ পছন্দ করে না তাই আপনি ভর্তা তৈরি করেছেন। লেজ ভর্তা এভাবে কখনো তৈরি করা হয়নি। এখানকার প্রত্যেকটা খাবার আমার খুব পছন্দের। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো লোভ লাগছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
বড় মাছের লেজে অনেক কাটা হয় তাই খুব একটা পছন্দ করে না কেউ। তাই আমি এভাবে ভর্তা বানিয়ে থাকি। খেতে খুবই মজার হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে এমনিতে জিভে জল এসে যায়। আজকে আপনি দেখতেছি মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার এক একটা খাবারের ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। সবগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
প্রত্যেকটা খাবার দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও খুবই সুস্বাদু ছিল আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলেই লোভ সামলাতে পারি না। এত লোভনীয় খাবার দেখলে কে লোক সামলাতে পারে বলুন তো। সবগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। ডিম ভুনা রেসিপিটা এত সুন্দর লাগছে খেতেও নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমার তো মন চাইছে ডিম ভুনার রেসিপিটা এখনই খেয়ে ফেলি। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু ডিম ভুনা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। তাছাড়া সব খাবারই মজার ছিল আপু। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।