পূর্নিমার চাঁদ || দ্বিতীয় পর্ব
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। কিছুদিন আগে আমি পূর্ণিমার চাঁদ নামে একটি সুন্দর গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করছিলাম। আজ সেই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। আমরা যখন কোনো সম্পর্কে জড়ায় তার আগে আমাদেরকে অবশ্যই সব দিয়ে ভেবেচিন্তে দেখেশুনে সম্পর্কে জরানো উচিত। যাতে ভবিষ্যতে কষ্ট পেতে না হয়। দুজন যখন দুই মেরু থেকে একসাথে হবে তখন অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে তাই আগে থেকেই সবকিছু ভেবে নেওয়া দরকার। আশা করছি আজকের এই গল্পটা থেকে অনেক কিছুই আমরা জানতে পারবো।
চাঁদ প্রতিনিয়ত সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সেই রাস্তায় গিয়ে পূর্ণিমার জন্য অপেক্ষা করে। পূর্ণিমা হচ্ছে সেই মেয়ে যাকে চাঁদ প্রতিদিন সকালবেলা দেখতে এবং ভালোবাসে।কিন্তু তাদের এই সুন্দর সম্পর্কটা কিছুদিনের মধ্যেই একটা ঝড় এসে তছনছ করে দেয়।আর কি সেই ঝড় সেটা জানতে হলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
একদিন চাঁদ এবং পূর্ণিমা গল্প করছিল। গল্পের কোনো এক পর্যায়ে ধর্ম নিয়ে কথা হয়। তখন তারা একে অপরে জানতে পারে যে তারা দুজন দু ধর্মের। এরপর তাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। যে এবার তারা কি করবে তারা দুজন দুজনকে খুবই ভালোবাসে। এরপর তারা দুজন দুজনের কাছে কিছুটা সময় নেয়।এরমধ্যে তাদের পরিবার ও তাদের বিষয়টা জেনে যায়। এত কিছুই হোক পরিবার তো মানতে রাজি নয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার বাবা একদমই রাজি নয় পূর্ণিমাকে চাঁদের হাতে তুলে দিতে। এদিকে চাঁদও পরিবারের কাছে জোর খাটাতে পারছেনা।
এভাবে দুইটি মাস কেটে যায় একে অপরের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই তাদের।পূর্ণিমার বাবা, পূর্ণিমার জন্য পাত্র দেখেছে বিয়ে দিবে বলে।পূর্ণিমা দেখতে অনেক সুন্দরী তাই খুব তাড়াতাড়ি তার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। এদিকে চাঁদ ছটফট করছে পূর্ণিমার সাথে দেখা করার জন্য। কিভাবে দেখা হবে পূর্ণিমাকে যে ঘর বন্ধ করে রেখেছে তার পরিবার। আর কয়েকদিন পর পূর্ণিমার বিয়ে।
দেখতে দেখতে পূর্ণিমার বিয়ের দিন চলে আসে। বাড়িতে নানান আয়োজন।বেশি বড় অনুষ্ঠান করা হয়নি। সন্ধ্যায় লগ্ন। এদিকে পূর্ণিমা সুযোগ খুঁজছিল পালানোর। বর এসেছে বর এসেছে বাহিরে সবার মুখে মুখে। তখন ঘর অনেকটা ফাঁকা। আর সেই সুযোগে পূর্ণিমা পালিয়ে চলে যায় চাঁদের কাছে। কিছুক্ষণ পর বিয়ে বাড়িতে জানাজানি হয় কনে পালিয়েছে।তখন বরপক্ষ পূর্নিমার পরিবারকে বিয়েটা হবে না জানিয়ে চলে যায়।
এবার পূর্ণিমার পরিবার পূর্ণিমাকে হন্যাতন্য হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে সবাই জানতে পারে তাদের কথা। তখন তারা খুব ঠান্ডা মাথায় চাঁদের বাড়িতে যায়। এরপর কি হবে? পূর্ণিমার পরিবার কি পূর্ণিমা এবং চাঁদকে মেনে নেবে নাকি তাদের জন্য খুব বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। সেটা জানতে হলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.