মহিমাগঞ্জ বাজারে চিনির মিল এবং রেল স্টেশন ভ্রমনের কিছু মুহূর্ত

in আমার বাংলা ব্লগlast year

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

অনেক দিন থেকে মনটা ভীষণ খারাপ। প্রায় দুই আড়াই মাসের মত হবে বাবার বাড়িতে যাইনা। আগেও শেয়ার করেছি যে এবার ঈদের পরও বাবার বাড়িতে যাওয়া হয়নি ঘুরতে। আসলে কিছু সাংসারিক সমস্যায় পড়েছি যার কারণে সময় হয়ে উঠছে না। যদিও সব সময় মায়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয় তারপরও সারাদিনই কেনো জানি মনটা খারাপ থাকে। আমার হাসবেন্ড মাঝেমধ্যে আমাকে দেখছে আর বলছে এত মন খারাপ করার কিছু নেই আমরা খুব শীঘ্রই তোমার বাবার বাড়িতে যাব। বিয়ের পর বাবার বাড়িতে গিয়ে যে কি শান্তি পাওয়া যায় সেটা শুধু বিবাহিত মেয়েরাই বুঝবে। অনেকের কাছে দুই মাস কম মনে হবে কিন্তু আমার কাছে এটা অনেক বেশি। কেননা বাবার বাড়ি আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে খুবই কাছাকাছি মাএ ৩০ মিনিটের মত রাস্তা।

1000022519.jpg

যাই হোক গত দুই দিন আগে মনটা একটু বেশি খারাপ করছিল কারণ ছোট বোন ফোন দিয়ে বারবার যেতে বলছিল কিন্তু তাকে আমি হ্যাঁ বা না কিছুই বলতে পারছিলাম না।সারাদিন মনমরা হয়েছিলাম তো বিকেলবেলা বাবুর বাবা ঘুরতে নিয়ে যাবে বললো।বাসায় আমার ছোট জা থাকে আমাদের সঙ্গে। সে আমি বাবু এবং বাবুর বাবা মিলে রেডি হয়ে চলে গেলাম মহিমাগঞ্জ চিনির মিল এবং স্টেশন ঘুরতে।তো প্রথমে আমরা রিক্সা নিয়ে একটি মাঠে যাই মাঠটি অনেক বড়। তো বিকেল বেলার পরিবেশ অনেক ভালো লাগছিল। সেখানে কয়েকটি ছবি তুলে পাশে চিনির মিলে যাই।বর্তমানে বন্ধ আছে তাই আমরা ভিতরে ঢুকতে পারেনি বাহিরের থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম।

1000022518.jpg

1000022438.jpg

1000022437.jpg

1000022445.jpg

এরপর সোজা চলে গেলাম স্টেশনে। সেখানে গিয়ে বেশ কিছু সময় কাটালাম। পাশেই দেখলাম কিছু ভাসমান ফুচকা চটপটির দোকান। আমরা মেয়েরা ফুচকা চটপটির দোকান দেখবো আর খাব না এটা তো হতেই পারে না। এরপর হাসবেন্ড এর কাছে বায়না ধরলাম ফুচকা খেতে। এরপর আমার সেখানে বসে ফুচকা এবং চটপটি খেয়েছিলাম।খেতে খেতে প্রায় সন্ধ্যা পার হয়ে গিয়েছিল। স্টেশনে বসে সুন্দর পরিবেশটা যে এত ভালো লাগছিল বলে বোঝানোর মত না।

1000022523.jpg

তো যাই হোক পরে আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আরো কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে সেখান থেকে বাসায় চলে আসি।আমার মন খারাপ থাকলে সে প্রতিনিয়ত আমার মন ভালো করার চেষ্টা করে। এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। সত্যি কথা বলতে আমি ব্যক্তিগতভাবে ও বড় কোন স্বপ্ন দেখি না। আমার জন্য এই ছোট ছোট ভালো লাগা টুকুই থাক। তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।

সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

1000006402.png

1000006403.gif

1000006401.gif

Sort:  
 last year 

আপু সত্যি স্বামীর বাড়িতে যতই মেয়েরা ভালো থাক না কেনো, তারপর বাবার বাড়িতে বা গেলে ভালো লাগে না। আপনার মন খারাপের জন্য সু্ন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।সত্যি এমন প্রকৃতির মাঝে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

জি আপু জায়গাটা অনেক সুন্দর ছিল। আসবার জুড়ে অনেক বড় বড় গাছ এবং বড় বড় বাগান ছিল যার কারণে অনেকটাই ভালো লেগেছে ঘুরতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 last year 

ভাইয়া আপনাকে অনেক ভালোভাবে বুঝে। আপনার বোনের সঙ্গে ঘুরতে যেতে পারেননি জন্য মন খারাপ দেখেই ভাইয়া আপনাকে নিশ্চয়ই ঘুরতে নিয়ে গিয়েছে। তাছাড়া এরকম রেল রাস্তার পাশে বসে থাকতে খুব ভালো লাগে। সবাই মিলে বেশ মজা করে ফুচকা খেয়েছেন দেখছি। ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।

 last year 

এটা ঠিক বলেছেন আপু উনি আমাকে খুব ভালো বোঝেন। আমার মন খারাপ হলে উনি বুঝতে পারেন। তখনই আমাকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেক জোর করেন। যাইহোক সব মিলিয়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি সেদিন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আপু, আপনার ভাবিও একটা সময় খুব ঘন ঘন বাবার বাড়ি যেত, আর যেতে না পারলে মন খারাপ করে বসে থাকতো। তবে ইদানিং ছেলে মেয়ে বড় হয়ে গেছে, এছাড়াও চাকরির কারণে কর্মব্যস্ততায় দিন কেটে যায়, যার কারণে আমি বললেও তার আর এখন যাওয়ার সময় নেই। এছাড়াও আমার শ্বশুর মারা যাবার পর থেকে, সে আর ও বাড়িতে যেতে চায় না। যাইহোক আপু আপনার মন খারাপের কথা জেনে আফসোস হচ্ছে, বাবার বাড়ি ৩০ মিনিটের রাস্তা হওয়া সত্ত্বেও যেতে পারেননি বলে। তবে আপু আমাদের ভাইয়া কিন্তু আপনাকে যথেষ্ট ভালোবাসে। যার কারনে আপনার মন খারাপ দেখে, আপনাকে বেড়াতে নিয়ে গেছে। আপনার মনটাকে ভালো করার জন্য। যাইহোক আপু, মহিমাগঞ্জ বাজারে চিনির মিল এবং রেল স্টেশনে ভ্রমণের সুন্দর মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

হয়তো বাবু বড় হয়ে গেলে আমারও ব্যস্তময় দিন কাটবে। তবে এখন কেন জানি না আমি বাবার বাড়িতে না গেলে থাকতে পারি না। ঠিক বলেছেন ভাইয়া উনি আমাকে খুব ভালোবাসেন। আমার মনটা খারাপ হয়ে আছে তাই প্রায় প্রত্যেকদিন আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছে। মহিমাগঞ্জ চিনির মিল এবং রেলস্টেশনে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি সেদিন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আসলে মেয়েরা যতই ভালো থাকুক সুখে থাকুক বাবার বাড়িতে না গেলে তাদের কাছে ভালই লাগেনা। আমার আম্মুকে এখনো দেখি কয়েক মাসে না গেলে আমার নানু বাড়ি যাওয়ার জন্য খুব অস্থির হয়ে যায়। বিকেল বেলা চিনির মিল এবং স্টেশনে খুব ভালো সময় কাটিয়েছে। সবাই মিলে খুব মজা করে ফুচকা খেয়েছেন। এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 last year 

মেয়েদের যতই বয়স হয়ে যাক বা বুড়ো হলেও বাবার বাড়ির প্রতি টানটা সেই একই রকমই থাকে। তাইতো আমরা মেয়েরা বাড়িতে না গেলে অস্থির হয়ে থাকি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য পোষণ করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66914.48
ETH 3341.32
USDT 1.00
SBD 2.72