রেসিপিঃইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ দিয়ে কচুশাক এর ঘন্ট
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি শেয়ার করবো কচুশাকের মজাদার একটি রেসিপি। আমাদের অনেকের পছন্দের খাবারের তালিকায় কচুশাক থাকে।কচুশাক চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করলে অনেক ভালো লাগে খেতে।আমিও আজকে ইলিশ মাছের মাথা লেজ দিয়ে কচুশাকের ঘন্ট।আশা করছি যারা কচুশাক পছন্দ করেন এই রেসিপিটা তাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমি ইতিমধ্যে শেয়ার করেছিলাম গতকাল আমার বাসায় মেহমান এসেছিলো।অনেক কিছু রান্না করেছিলাম। তো আমি যখন রান্না করছিলাম এমন সময় পিয়ারা আপা মানে আমাদের বিল্ডিং এ কাজ করে উনি কচুশাক এনে আমাকে দিয়েছিলো। তো ভাবলাম যেহেতু টাটকা শাক পেলাম তাহলে ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করি।সেই ভেবে রান্না করা।
তো বন্ধুরা চলুন আর কথা না বাড়িয়ে রেসিপি তে চলে যাই।
| উপকরণ |
|---|
| কচুশাক |
| ইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ |
| কাঁচা আম |
| পেঁয়াজ কুচি |
| ফালি করে কাঁটা কাঁচামরিচ |
| আদা-রসুন বাটা |
| জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
| পাঁচফোড়ন |
| হলুদ গুঁড়া |
| শুকনা মরিচের গুঁড়া |
| লবণ |
| তেল |
ধাপ-১
প্রথমে কচুশাক গুলো ছোট ছোট করে কেঁটে ভালোভাবে ধুয়ে একটা প্লাস্টিকের ডালায় তুলে রেখেছিলাম পানি ঝড়ানোর জন্য।
ধাপ-২
এবার রান্নার জন্য চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে গেলে সামান্য পাঁচফোড়ন দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
তারপর পেঁয়াজ কুচি এবং ফালি করা কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়েচেড়ে বাদামি করে ভেজে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে একে একে গুঁড়া মসলা এবং বাটা মসলা দিয়ে মসলা টা কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
মসলা ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে মাছ দিয়ে রান্না করে নিতে হবে।
ধাপ-৫
মাছ রান্না হলে আধা ভাঙা করে নিয়ে ধুয়ে রাখা কচুশাক গুলো দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি যাতে করে শাকগুলো এড়িয়ে যায়।
ধাপ-৬
শাকগুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে রান্না করে নিয়েছি। এবার টুকরো করে কেঁটে রাখা কাঁচা আম দিয়ে দিয়েছি। তারপর আবারো নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছি। তারপর অনেকটা আঁঠালো হয়ে গেলে কচুশাকের ঘন্ট টা নামিয়ে নিয়েছি।
তো এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। দেখা হবে পরবর্তী সময়ে অন্য কোন বিষয় নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।











ওপার থেকে আসা যেসব বাঙালি আমরা এপাড়ে রয়েছি,এটা আমাদের জাতীয় খাবার বলা চলে।সেই কারণে এই পারের যারা আদি বাঙালীরা অর্থাৎ যাদের আমরা ঘটি বলি,তারা খুব হাসাহাসি করে।বলে তোমরা তো কচুও খাও। এখন তাদের আমি বোঝাই কি করে? এ যে কি সুস্বাদু তা যে না খাবে সে কখনো বুঝবে না। অসাধারণ একটা রেসিপি। নস্টালজিক হয়ে গেলাম।
কচুর শাক খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কচুর শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। তাই সবার মাঝে মাঝে কচু শাক খাওয়া উচিত। ইলিশ মাছের মাথা খেতে আমার আরো বেশি ভালো লাগে ।দুটো পছন্দের খাবার আজ আপনি একসাথে ঘন্ট তৈরি করেছেন দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।
আপনার মত আমারও ইলিশ মাছ এবং কচু শাক খুবই পছন্দের খাবার। ধন্যবাদ আপু।
ঠিকই বলেছেন চিংড়ি মাছ বা ইলিশ মাছ দিয়ে কচুর শাক রান্না করলে আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। সাথে টক কিছু দিলে তো কথাই নেই। বেশ কয়েকদিন কচু শাক খাওয়া হয়নি। আপনার কচু শাকের ঘন্ট রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। রেসিপিটি খুবই লোভনীয় লাগছে। সুস্বাদু ও লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
টক দিয়ে কচু শাক রান্না করলে বেশ ভালো লাগে। আমি এই রান্নাতে কাঁচা আম ব্যবহার করেছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
কাঁচা আম দিয়ে কচু শাক রান্না করলে ভীষণ ভালো লাগে খেতে। আর সাথে যদি ইলিশ মাছের মাথা আর লেজ হয় তাহলে তো কথাই নেই। আপু আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে আপনার বাসায় যেতে মন চাইছে। সত্যি কথা বলতে কচু শাক আমার ভীষণ পছন্দের। খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।
জ্বী আপু কাঁচা আম, জলপাই এসব দিয়ে কচু শাক রান্না করলে অনেক ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সত্যি আপু কচুশাক আমাদের জন্য অনেক উপকারী। আসলে টাটকা কচুশাক দিয়ে যদি ইলিশ মাছ বা চিংড়ি রান্না করা হয় তাহলে তো অনেক মজা। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু কচু শাকের এই রেসিপিটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমি ছোটবেলা থেকেই কচুর শাক খেতে পছন্দ করি না। কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমি কচুর শাক পছন্দ করি না তবে আপনার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
যদিও আপনি কচু শাক খান না তারপরে এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু। আমার বিশ্বাস আপনি এটা পছন্দ করবেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ইলিশ মাছের মাথা এবং লেজ দিয়ে কচুশাক এর ঘন্ট রেসিপিটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে আপু। আমাদের বাসায়ও এভাবে রান্না করা হয়ে থাকে। আপনার রেসিপিটা দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। নিশ্চয়ই খুব মজা করে খেয়েছেন। মাঝে মধ্যে এই ধরনের রেসিপি খেতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জ্বী ভাইয়া কচু শাকের এই রেসিপিটা খেতে খুবই মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
কচুর শাক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটা শাক। কচুর শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। কচুর শাক খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। ইলিশ মাছ দিয়ে এভাবে কচুর শাক রান্না করলে খেতে খুব মজা লাগে। আমিও বেশ কিছুদিন আগে এভাবে করে কচুর শাক খেয়েছি। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্বী ভাইয়া কচুর শাক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের সপ্তাহে একদিন অন্তত কচু শাক খাওয়া দরকার। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খুবই মজাদার একটি রেসিপি। দেখে মনে হলো বেশ কয়দিন খাওয়া হয়নি। একদিন করতে হবে। রান্নার প্রতিটি ধাপের উপস্থাপনা বেশ সুন্দর ছিল ।মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বী আপু খুব তাড়াতাড়ি এই রেসিপিটা রান্না করে খাবেন এবং আশা করছি রেসিপিটা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।