চর আলেকজান্ডার বেড়িবাঁধ ভ্রমণের অভিজ্ঞতার "শেষ পর্ব" (মেঘনা নদী)।
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার পোস্ট শুরু করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই আজকে চর আলেকজান্ডার বেড়িবাঁধ ভ্রমণের অভিজ্ঞতার "শেষ পর্বের" মুহূর্তের প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে হাজির হলাম।
গত পর্বের আমি পোস্টের শেষে যে লাইনটুকু লিখেছিলাম তা হলো। আমরা একটি খাবার হোটেল ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম, সেখানে আমরা সকালের নাস্তা করেছিলাম। সকালের নাস্তা করা শেষ করে আমি এবং আমার বন্ধু আমরা দুজন মিলে খাওয়ার টাকা পরিশোধ করে হোটেল থেকে বের হয়েছিলাম।
তারপর এখান থেকে চর আলেকজান্ডার যেতে আমাদের কে প্রায় আরো ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে।এতে আমরা একটি সিএনজি ভাড়া করেছিলাম। কারণ সোনাপুর থেকে শুরু করে চড় আলেকজান্ডার যাওয়া পর্যন্ত, বাসে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। তারপর আমরা দুই জন সিএনজির ভিতরে প্রবেশ করলাম। আমরা দুই জনেই সিএনজির ভিতরে ছিলাম।পুরো সিএনজি আমরা রিজার্ভ করেছি।
সিএনজি ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আর আমরা দুই বন্ধু রাস্তার দুই পাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে শুরু করলাম।যতই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা লক্ষ্য করেছি রাস্তার দুই পাশে বিশাল চরাঞ্চল। চারদিকের মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মনকে খুবই আনন্দ দিচ্ছে। প্রায় দীর্ঘ এক ঘন্টা পর আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত জায়গা চর আলেকজান্ডারে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম।তারপর সেখানে গিয়ে আমরা সিএনজি থেকে নেমে পড়লাম।
তারপর আমরা যখন সিঁড়ি বেয়ে উপরেরর দিকে উঠতে শুরু করলাম, তখন পাশের দেওয়ালের দিকে লক্ষ্য করেছিলাম একটি সাইনবোর্ড লাগানো আছে। সেখানে বেড়িবাঁধ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে।আমরা সেই সাইনবোর্ডের লেখা গুলো মনোযোগসহকারে পড়েছিলাম। আসলে এটি একটি বিশাল এলেকা নিয়ে একটি বড় বেড়িবাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। যখন আমরা বেড়িবাঁধের উপরে উঠে ছিলাম তখন আমরা এই মেঘনা নদীর বিশাল প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং মনোরম দৃশ্য গুলো মনভরে উপভোগ করেছিলাম।আমরা তখন লক্ষ্য করেছিলাম বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত বিভিন্ন দর্শনার্থীরা এই বেড়িবাঁধের উপরে উঠে বিশাল নদীর ঢেউ গুলো এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করতেছিল।
এই মুহূর্তে আমরা নদীর বিভিন্ন জায়গার ছবি তুলেছিলাম। তারপর আমি এবং আমার বন্ধু ধীরে ধীরে নদীর খুবই কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িছিলাম দুইজনেই। নদীর পানির বিশাল ঢেউ দেখে আমরা খুবই আনন্দিত হলাম। আমাদের আশেপাশে রয়েছে অনেক দর্শনার্থী তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নদীর পানির বিশাল ঢেউ গুলো উপভোগ করতেছিল।আমরাও উপভোগ করতেছিলাম অনেক মজা করে।নদীর আশেপাশে রয়েছে বিভিন্ন প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য।
তখন সময় ছিল ১২:৩০ মিনিট, এই মুহূর্তে নদীর দৃশ্যগুলো অত্যন্ত দারুন দেখাচ্ছে, এতে আমরা অনেক মজা করতে ছিলাম নদীর এদিক ঐদিক ঘুরাঘুরি করে।
নদীর পাশে পানির উপর ভেসে আছে বিভিন্ন মাছ ধরার ট্রলার। প্রতিনিয়ত জেলেরা এই ট্রলার গুলো ব্যাবহার করে নদীতে মাছ ধরে।কেউ চাইলেই কিছু সময়ের জন্য নদীর মোহনায় স্পিডবোটে করে ঘুরতে পারে,এতে তাকে কিছু টাকা দিতে হবে।চর আলেকজান্ডার মেঘনা নদীর পাড় থেকে দক্ষিণে চোখ রাখলে তেমন কোনো জনপদের চিহ্নও চোখে ধরা পড়ে না। দক্ষিণে নদী গিয়ে সোজা মিশে গেছে ঠিক বঙ্গোপসাগরের মোহনায়।
সুতরাং সারাদিন ধরে আমরা সেই দারুন দৃশ্যগুলো উপভোগ করেছিলাম।তারপর বিকালবেলা সূর্যাস্ত দেখে আমরা আবার বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিলাম। আজকের মত এখানেই শেষ করছি,পরে আবার কোন ভ্রমণের দারুন মুহূর্তগুলো নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হব,, ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আজকের জন্যা বিদায়, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ!
ক্যামেরা | VIVO Y81i |
ক্যমেরা মডেল | vivo 1812 |
ক্যাপচার | @hanif3206 |
অবস্থান | চর আলেকজান্ডার,রামগতি উপজেলা,লক্ষ্মীপুর |
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
x-promotion
https://x.com/HaniferMd/status/1796507356551127132
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
আপনার এই ভ্রমণ করতে দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। যেখানে চর আলেকজান্ডারের অনেক কিছু দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের। এই জায়গাটার নাম বেশ শুনেছি কিন্তু কখনো দেখার সুযোগ মেলেনি। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।