৪র্থ পর্বঃ মেঘ বালিকা

14-01-23

০১ মাঘ ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ


আসসালামুআলাইকুম সবাইকে


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভালো এবং সুস্থ্য আছেন! যাক, আপনাদের সাথে ইতোমধ্যে একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম! আজকে গল্পের চতুর্থ পর্বটি লিখলাম! আপনারা জানেন যে আমি স্টরি লিখে থাকি! নতুন নতুন প্লট নিয়ে স্টরি লিখতে আমার ভালো লাগে! যদিও এটা কঠিন একটা কাজ! তবে আমি লিখে যাচ্ছি! চেষ্টা করি আপনাদের সাথে ভালো ভালো প্লটের স্টরি ক্রিয়েট করে শেয়ার করা! আশা করি আজকের পর্বটিও উপভোগ করবেন।

book-2170910_1280.jpg

copyright free image from pixabay

৩য় পর্বের পর

মিতু সেদিন খুব করে কান্না করেছিল! অনিচ্ছা সত্বেও তাকে বিয়েটা করতে হয়েছিল! শুধুৃমাত্র পরিবারের দিকে তাকিয়ে! মেয়েরা তো এমনি! পরিবারের জন্য সব কিছুই করতে পারে! পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে তারা গোলাপের কাটাঁর আঘাতও অনায়াসে সহ্য করে নেই! বাবার শেষ ইচ্ছেটুকু রেখেছে মিতু! কিন্তু মিতুর যে আকাশে উড়ার স্বপ্ন ছিল! মেঘকে ছোয়ার ইচ্ছে ছিল! তা আর পূরণ হবে না! বিয়ের পরে স্বামী কি এতো স্বাধীনতা দিবে? নাকি খাঁচায় বন্ধী করে রেখে দিবে!

ঠিক যেমন কোনো পোষা পাখিকে বন্ধ করে রেখে দেয়া হয়! পাখি পোষ মেনে গেলে কিন্তু আর খাঁচা ছেড়ে যাবে না! তবে খাঁচায় বন্ধী জীবন পাখিদের কাছেও ভালো লাগে না, উড়তে চাই আকাশে! মিতুকে নিয়ে রিধির কতো স্বপ্ন ছিল! একসাথে দুজন মেডিকেলে পড়াশোনা করবে! ডাক্তার হয়ে গ্রামের মানুষদের সেবা করবে! সে স্বপ্নটা আর পূরণ হলো না!

মিতু চলে যাওয়ার পর রিধি এখন নিঃসঙ্গতা অনুভব করে! একা একা কলেজ আর প্রাইভেটে যেতে হবে শুনেই গা শিউরে উঠে রিধির! মিতু থাকলে সাহস পেতো! বাড়ি থেকেই এখন বের হতে ইচ্ছে হয়না রিধির! রিধি তার মাকে অবশ্য বলেছিল তার একা একা যেতে ইচ্ছে করবে না! কিন্তু না গেলেও যে সমস্যা! কলেজে এখন নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে! ক্লাসের টপিক বুঝা দরকার! মিতুর বিয়ের পাচঁ দিন পর রিধি কলেজে যায়! রিধি সবসময় ক্লাসের শেষ বেঞ্চেই বসে! মিতু নেই! কিছুক্ষণ পর সেখানে এসে বসেছে টুম্পা! মিতুর ক্লাসমেট! রিধি টুম্পাকে এই প্রথম ক্লাসে দেখেছে! টুম্পা আবার হিন্দু পরিবারের মেয়ে! রিধি যে খুব চুপচাপ বসে থাকে ক্লাসে টুম্পা সেটা ভালো করেই খেয়াল করেছিল!

-আমি টুম্পা! স্যারদের কাছে এ কয়দিন তোমার অনেক প্রশংসা শুনেছি! তুমি এতো চুপচাপ থাকো যে!
-না, এমনি! চুপচাপ থাকতেই ভালো লাগে! কলেজে এখনও ওরকমভাবে কারো সাথে পরিচয় হয়নি!
-ওহ, বুঝেছি! তোমার সাথে আরেকজন আসতো, ও কোথায়?
-মিতুর কথা বলছো!
-হুমম! মিতুর কিছুদিন হলো বিয়ে হয়েছে! এক একা এখন কলেজ আসতেও ইচ্ছে করে না!
-এতো তাড়াতাড়ি মিতুর বিয়ে হয়ে গেল! ফ্যামিলি রাজি ছিল বিয়েতে!
-হুম! ফ্যামিলির ইচ্ছেতেই মিতুর বিয়ে হয়েছে!
-যাক, তোমার সাথে পরিচয় হয়ে ভালো লাগলো! মন খারাপ হলে আমাকে বলবে, চুপচাপ বসে থাকলে আরও মন খারাপ হবে! চলো, মাঠে গিয়ে বসি!

রিধি আর টুম্পা চলে কলেজের বিশাল বড় মাঠে! সকাল সকাল সূর্যের সোনালী রোদ যেন মাঠের উপরে সবুজ ঘাসের উপর পড়ছে! কলেজের মাঠে অনেকেই গোল হয়ে আড্ডা দিচ্ছে কেউ বা দাড়িঁয়ে কথা বলছে! ক্লাস শুরুর ঠিক ত্রিশ মিনিটের মতো সময় থাকে! রিধি আর টুম্পা কলেজের অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছে! টুম্পা অবশ্য আরও কিছু ফ্রেন্ডদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়! ক্লাসের ফার্স্ট মেয়ে হওয়ায় সবাই বলা চলে রিধিকে চিনে।

কিন্তু রিধির কারো সাথে কম্পোর্টেবল ফিল না হলে সে কথা বলে না! মিতুর পর টুম্পাই রিধির ভালো একজন বান্ধবী হয়ে যায়! টুম্পা আবার মিন্টু স্যারের কাছে ইংরেজী পড়ে না! কলেজের একজন টিচারের কাছে ইংরেজী পড়ে! রিধি তখন বলে মিন্টু স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য! টুম্পা অবশ্য না করেনি! মিন্টু স্যারের কাছে প্রাইভেট শুরু করে! একসাথে দুজন প্রাইভেটে যাওয়া যাবে! টুম্পার বাড়ি আবার বাজারে মাঝখানে নাথপাড়াতে! সেখান থেকে কলেজ কাছেই!

চলবে....



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

আমি কে?

IMG20210908180509.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

সত্যি মিতুর কথা মনে করে রিধি অনেক কষ্ট পায়। তারা দুইজন একসাথে কলেজে যাওয়া আসা করত কিন্তু এখন রিধি একা হয়ে গেছে। মিতুর ও স্বপ্ন পূরণ হলো না। মিতু চলে যাওয়ার পর টুম্পা রিধির ভালো ফ্রেন্ড হয়ে উঠেছে এটা জেনে খুবই খুশি হলাম। এখন রিধির কাছে থাকার জন্য একজন ফ্রেন্ড আছে। তারা দুজন এখন একই স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ে এটা জেনেও খুশি হলাম। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

 2 years ago 

মিতুর কথা মনে পড়লে সত্যিই খুবই খারাপ লাগে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি এখনো।সত্যি, মেয়েরা বাবা মাকে খুশি করার জন্য সব কিছু করতে পারে। নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়েও করতে পারে। এখনো তার পুরো লাইফ বাকি ছিল। রিধির জন্য খুবই খারাপ লাগলো। তার প্রিয় বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছে এবং সে একা হয়ে গেছে। আশা করছি রিধি খুবই ভালোভাবে নিজের লাইফ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। এখন তো তার টুম্পা নামে একটা ফ্রেন্ডও আছে। পরবর্তী পর্বে কি হবে তার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

 2 years ago 

আসলে মিতু ফ্যামিলির দিকে বাবা মাকে খুশি করানোর জন্য বিয়ে করেছে। এদিকে রিধি আর মিতু দুজনেই কিন্তু ভালো বান্ধবী ছিল। যার কারণে মিতুর বিয়ে হয়ে যাওয়াতে রিধি একা হয়ে পড়েছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে গল্পটি তুলে ধরার জন্য, আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58444.83
ETH 2537.94
USDT 1.00
SBD 2.49