৩য় পর্বঃ জবার স্বপ্নপূরণ

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

26-10-2022

১১ কার্তিক ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ


আসসালামুআলাইকুম সবাইকে


কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয় অনেক ভালো আছেন 🌼। আমি ভালো আছি। যায়হোক, আপনাদের সাথে একটি গল্পের ২য় পার্ট শেয়ার করেছিলাম। যেহেতু কয়েকটি পার্টে গল্পটি সাজিয়েছি তাই আজকে আপনাদের সাথে ৩য় পার্ট শেয়ার করবো। আপনাদের কাছেই ভালো লাগলে আমার লেখা স্বার্থক!

watercolor-1020509__480.webp

copyright free image from pixabay

২য় পর্বের পর

তারপর জবার বার্থডের দিন তার স্যার রায়হানকে ফোন দেয়! কিছুটা মন খারাপের সুরে জবা স্যারকে বলে, 'আপনি আমাকে বার্থডে উইশ করেননি কেন? ' রায়হান জানতই না জবার বার্থডে আজ। আর জবাও কখনও বলেনি তার বার্থডের তারিখ! রায়হান তখন জবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়! জবা তখনও মন খারাপ করে বসে আছে কারণ বার্থডের তারিখ বলার পরে তাকে উইশ করেছে এজন্য। রায়হান এজন্য সরি বলে জবাকে! স্টুডেন্ট এর এমন আবদার শুনে রায়হান ফোনের অপর পাশে মুচকি হাসছে। কি পাগলী একটা মেয়ে! পরিচয়টা সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হলেও কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয় জবার সাথে। তবে বন্ধুত্বটা শুধু ও স্যার আর স্টুডেন্ট এর মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল।

জবার বার্থডে কখনো কাউকে বলেনি। তার একমাত্র বান্ধবী শিউলী শুধু জানে জবার বার্থডে। কিভাবে জেনেছিল তার পিছনেও গল্প আছে। কলেজে রেজিস্ট্রেশন এর সময় জবা তার বার্থ সার্টিফিকেট বাড়িতে রেখে গিয়েছিল, নিতেই মনে ছিল না। তখন শিউলী জবাদের বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। জবার বার্থডে কবে সেটাও ভালো করে লক্ষ্য করে! জবা স্যারকে বলছে সেসব কথা। শিউলী তার প্রিয় একজন বান্ধবী। বিপদে তাকে সবসময় পাশে পেয়েছে। কিন্তু শিউলীর বিয়ে হয়ে যাবে হয়তো। তখন তাকে বড্ড মিস করবে জবা!

জন্মদিনে জবার মনে পড়ে ছোটবেলার কিছু স্মৃতি! বাবা তাকে একবার বাজারে নিয়ে গিয়েছিল! সেবার ঈদ ছিল। জবার নীল রঙের একটি জামা খুব পছন্দ হয়! কিন্তু তার বাবার কাছে সেটি তেমন পছন্দ হয়নি। জবা তখন কি যে কান্না শুরু করে দিল! মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কান্না করতে থাকে। এখন কি না কিনে দিয়ে উপায় আছে! বাবা তাকে নিয়ে গেল সে দোকানো। পছন্দের জামাটি কিনে দিল। সে নীল জামা পেয়ে জবা ভীষন খুশি হয়েছিল! জবার সে স্মৃতি এখনও মনে আছে। জবা হাসছে! রায়হানও হাসছে। জামার জন্য এভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে হয়? স্যার, আমার যেটা পছন্দ হয়, সেটা না পেলে ভীষন কষ্ট লাগে। তাই এমন করেছিলাম। তবে সে কাহিনী মনে পড়লে এখনও আমার হাসি পায়। জবার মনের কথাগুলো একমাত্র তার স্যারের সাথেই শেয়ার করে। রায়হানও জবার কথাগুলো শুনতে ভালোই লাগে।

জবার আজ ইচ্ছে ছিল স্যারকে সে প্রপোজ করবে! একবার ভাবে সে করবে আরেকবার ভাবে সে করবে না! কারণ স্যার আবার কি না কি মনে করে! রায়হানের সাথে কথা বলতে বলতে গভীর রাত হয়ে যায়। জবা এতোক্ষণ রুমের ভিতর লুকিয়ে কথা বলছিল। তার বাবা শুনলে আস্ত রাখবে না জবাকে। তবে স্যারের সাথে কথা তো বলায় যায়! রায়হান অবশ্য ভয় পায়। এতো রাতে একটি মেয়ের সাথে কথা বলছে। তার উপর তার বাবা জানতে পারলে রায়হানকেও অনেক কিছু বলতে পারে। রায়হান তখন জবাকে বলে ঘুমিয়ে পড়ার জন্য। অনেক রাত হয়েছে। কিন্তু জবার আরও কথা বলতে ইচ্ছে করছে স্যারের সাথে! রায়হানের ফোনের চার্জও নেই। ২% এ চলে এসেছে চার্জ। এখন চার্জ না দিলে অফ হয়ে যাবে। তখন বলে, 'আপনি বিরক্ত হয়ে গেছেন আমার কথা শুনতে শুনতে, তাই চার্জ নেই বলছেন!' মেয়েরা যে সবসময় এক লাইন বেশি বুঝে জবা সেটা ভালো করেই বুঝতে পারে। রায়হান জবাকে 'শুভ রাত্রি' বলে ফোনটি কেটে দেয়।

তারপর অনেকদিন হলো জবার সাথে কথা হয় না রায়হানের। হঠাৎ করে জবা মেয়েটা নিশ্চুপ হয়ে গেল! রায়হানকে খুব ভাবাচ্ছে বিষয়টা। রায়হান তখন বাধ্য হয়েই জবাকে মেসেজ দেয়, 'কেমন আছো?' জবা মেসেজের কোনো উত্তর দেয় না! শুধু মেসেজ সিন করে রেখে দেয়! রায়হান জানতো জবা খুব তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ে। সকাল সকাল আবার উঠে পরে। রায়হান জবাকে ফোন দিলে অফলাইনে পেতো! রায়হানের কাছে জবার ফোন নাম্বার ছিল। কিন্তু রায়হান জবার বাবার ভয়ে ফোন দেয়ার সাহস পায়নি! কি করবে এখন রায়হান বুঝতে পারে না। এক রাতের পর থেকে মেয়েটা এতো পরিবর্তন হয়ে যাবে রায়হান ভাবতেও পারনি! রায়হান চিন্তায় পরে যায়! জবাকে এমন কিছু বলেওনি যে সে রাগ করবে! তাহলে কেন এতো পরিবর্তন? ঠিক কিছুদিন পর জবার মেসেজ! তারপর রায়হান জানতে পারে......



10% beneficary for @shyfox ❤️

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

আমি কে?

IMG20210908180509.jpg

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 
 2 years ago 

ভাইয়া আপনার লেখা গল্পের আগের দুটো পর্ব পড়া হয়নি, ৩য় পর্ব পড়ে যেটা বুঝতে পারলাম সেটা রায়হান স্যার জবার সাথে বন্ধুত্ব সুলভ ভাব নিয়ে কথা বললে ও জবা কিন্তু রায়হানের প্রেমে পড়ে যায়, এই রায়হান ফোনে কথা বলতে না চেয়ে ফোন কেটে দিলে জবা কষ্ট পায় এবং রায়হানের সাথে আর কথা বলে না। কিন্তু জবা যখন রায়হানের সাথে কথা বকা বন্ধ করে দিল রায়হান ও তখন মনে হয় জবার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই সে জবার মোবাইলে মেসেজ করে। ভালো লাগলো গল্পটা পড়ে, পরের পর্ব এর জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগল! পরের পর্বটি খুব শীঘ্রই আসবে!

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 68501.73
ETH 2459.44
USDT 1.00
SBD 2.63