হ্যালো বন্ধুরা,
বাঙালি খাবারে ডাল ছাড়া কিছু তেমন জমে না। বিশেষ করে মসুর ডালকে একটা কমন কিছু হিসেবে ধরা হয়। যত ভালই রান্না করা হোক না কেন আমাদের দেশের কিছু অঞ্চল রয়েছে, সেখানকার মানুষজন মসুর ডাল ছাড়া একদমই খেতে পারে না। আমি প্রথম বার দেখেছিলাম, আমাদের পাশের এক অঞ্চলের মানুষ পোলাও এর সাথে মসুর ডাল খাচ্ছে। সেদিন আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম। এটা নাকি তাদের পছন্দের খাবার।
বিষয়টি যাইহোক, মসুর ডাল প্রায় অঞ্চলের মানুষের নিকট প্রিয় খাবার এবং মসুর ডাল ছাড়া তারা কিছু চিন্তা করতে পারেন না। হ্যা, কম বেশী আমার নিকটও পছন্দ। তবে বিয়ের পর খুব বেশী খাওয়া হয় না। আম্মু রান্না করতেন নানা পদ মসুর ডাল দিয়ে এবং সবগুলোই খেতে বেশ স্বাদের হতো। এখন মসুর ডাল অনেক কম খাওয়া হয়, কারন মসুর ডালে নাকি গ্যাস হয় পেটে। কি সুযোগ চিন্তা করেন, গ্যাস আর কেনা লাগবো না, খালি সিলিন্ডারের সাথে সংযোগ দিয়ে দিলেই হয়ে যাবে, হি হি হি হি।
আমার আবার গ্যাসের সমস্যা আছে, কিন্তু বাড়ীর কেউ শুনেই না। বলে গ্যাস ট্যাস লাগবে না, মসুর ডাল কম কম খাও আর আমাদের শান্তিতে থাকতে দাও। বলে রাখছি আমার শরীর খারাপ হলে বাড়ীতে কেউ শান্তিতে থাকতে পারে না কারন আমি যে বাড়ীতে থাকি। চুপি চুপি বলি আমি বাড়ীতে থাকলে পুরো বাড়ী গরম হয়ে যায়, একটু ভিন্ন টাইপের কিনা। শান্তি অশান্তি যাই হোক, আমি আমার মতো আছি এবং থাকবো, এইডা নিশ্চিত করে দিলাম, হি হি হি।
হাসি বাদ দিয়ে চলুন দেখি পুঁইশাক দিয়ে মসুর ডালের রেসিপি। তবে বলে রাখছি আজকের রেসিপির পুরো ক্রেডিট আপনাদের ভাবির, আমার ভাবি না কিন্তু। উল্টোটা ভাবলে আবার উল্টো হয়ে যাবে, হি হি হি। তবে আমি ফটোগ্রাফার হিসেবে আজ বেশী ভূমিকা পালন করেছি আর এখন লিখছি।
উপকরণ সমূহঃ
- পুঁইশাক
- মসুর ডাল
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- আদা পেষ্ট
- লবন
- ধনিয়া গুড়া
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে পুঁইশাকগুলোকে সুন্দর করে পরিস্কার করে কিছুটা ছোট ছোট করে নেব। তবে পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে।
প্রথমে একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে গরম করবো, তাতে কিছুটা তেল দিবো তার সাথে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ দিবো।
এরপর হলুদ, মরিচ, ধনিয়া গুড়া এবং আদা পেষ্ট দিয়ে কষা করবো কিছু সময়।
কষা হয়ে গেলে মসুর ডাল দিয়ে মিক্স করবো এবং তারপর পরিস্কার করে রাখা পুঁইশাকগুলো দিয়ে দিবো।
কষানো মসলার সাথে পুঁইশাক মেশানোর চেষ্টা করবো তারপর কিছুটা সময়ের জন্য ঢেকে দিবো।
এখন কিছুটা পানি মেশাবো এগুলো সাথে তারপর পানিগুলো টানার আগ পর্যন্ত রান্না চালিয়ে যাবো। যদি ঝোল ঝোল রাখতে চান তাহলে একটু পরই নামিয়ে ফেলবেন, আর ঝোল বেশী না রাখতে চাইলে আরো কিছুটা সময় রান্না করতে হবে।
দেখুন কতো সুন্দর হয়েছে রান্নাটা, না শুধু দেখে বলছি আমি কিন্তু এখনো খেয়ে দেখতে পারি নাই। কি আর করার, বাকীটা আপনারাই বলে দিন, হি হি হি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
ভাইয়া আপনি অসাধারণ লিখেছেন। পুঁইশাক ও মসুর ডালের রেসিপির বর্ণনা ও ফটোগ্রাফি সত্যিই অতুলনীয় হয়েছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া পোলাও ভাতের সাথে মসুর ডাল খাওয়ার ব্যাপারটা শুনে আমিও বেশ অবাক হলাম। বাঙালির ডাল ভাত ছাড়া চলেনা। আমারও মসুর ডাল দিয়ে যে কোন তরকারি রান্না খুবই পছন্দের। বিশেষ করে মসুর ডাল দিয়ে পুঁইশাক রান্না খুবই মজাদার একটি খাবার। আমার আম্মু প্রায়ই পুঁইশাক দিয়ে মসুর ডাল রান্না করে। আর সেদিন আমি একটু ভাত বেশি করে খাই। কারণ এই খাবারটি আমার খুব পছন্দের। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
পুঁইশাক আর মসুর ডাউল কেন জানি না আমার খুব অপছন্দের। কিন্তু আমার মা শুনেই না কেন জানি এটা খাওয়ার জন্য বেশি জোড় করে।
পুঁইশাকের সাথে মসুর ডাউলের রেসিপিটা খুব সুন্দর হয়েছে ভাই। এবং বর্ণ টা খুবই সুন্দর লাগছে।
ধন্যবাদ ভাই, আসলে সকলের পছন্দ কখনো একই রকম হয় না, এটাই সাভাবিক।
হুম ভাই।
ভাই আপনার পোশাকের রেসিপিটি এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। বর্ণনামূলক ক্ষমতা সুন্দর হয়েছে এবং রেসিপিটি মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদটা বেশী প্রাপ্য কিন্তু আপনার ভাবি, আজকের রেসিপিতে তার অবদান বেশী।
মসুর ডাল দিয়ে পুঁইশাক বাঙালির জন্য একটা সুস্বাধু খাবার। পুঁইশাক এমন একটা জিনিস মানুষের শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে। এবং কি মানুষের শরীরের ক্যালরি চাহিদা পূরণ করে। হ্যাঁ ভাইয়া একটা কথা সত্যি বলেছেন মায়ের হাতের রান্নার তুলনাই হয়না। আমিও বাড়িতে যতদিন ছিলাম শহরমুখী হওয়ার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন শাক সবজির ৪/৫ পদ মিলিয়ে ডাল দিয়ে খুব সুন্দর করে পাক করতো মা খেতে এত মজা লাগতো যা বলা বাহুল্য। আমাদের ভাবি অনেক সুন্দর করে পাক করতেছে আর আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপনার নিজের মত করে। আপনি কবি সাহিত্যিক মাঝেমধ্যে আমার চিন্তায় পড়ে যাই। ডাল দিয়ে পুঁইশাকের রেসিপি টা এককথায় অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। বাবি এবং আপনাদেরকে দু'জনকেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
হ্যা, এটা সত্য আমাদের বাড়ীতে প্রায় সময় এইভাবে খাওয়া হয়। বেশ ভালো লাগে খেতে ।
দুটাই আলাদা আলাদা খেয়েছি। একসাথে খেয়ে দেখিনি। তবে আমি আবার একটু মসুর ডাল কম খাই, কেনো জানি ভাল লাগে না। যদিও মাঝে মাঝে খাই ফলে একদিণ টেস্ট অবশ্যই করতে হবে। পুঁইশাক এর সাথে মসুর ডাল বেশ মজেছে যা বুঝছি।
একবার ট্রাই দেখুন একসাথে কি মজা হয়, তবে ভিন্ন কিছু হলে আমায় দোষ দিতে পারবেন না বলে দিলাম আগেই হি হি হি।
পুঁইশাক দিয়ে মসুরের ডাল কখনো খাওয়া হয়নি।আপনি আপনার রেসিপি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে বেশ সুস্বাদু হবে।ধাপে ধাপে অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।ভালোবাসা রইলো ভাই।
এটা বেশ স্বাদের একটা রেসিপি, খেয়ে দেখতে পারেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ
পুঁইশাকের সাথে মসুর ডাউলের রেসিপিটা অসাধারণ হয়েছে ভাই।মসুরের ডাল আমার কাছে খুব প্রিয়।তবে পুইশাক আমার খুব একটা ভালো লাগে না।তবে বাড়িতে যখন রান্না করে তখন না খেয়ে পার থাকে না।আপনি ধাপে ধাপে সব কিছু বর্ণনা করেছেন যা সহজেই সব বুঝা যাচ্ছে রেসিপিটা।ভাইয়া শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
তবে দুটো একসাথে খেলে ভালো লাগবে। ট্রাই করে দেখুন।
আমি পুইশাক অনেক পছন্দ করি। সব শাক থেকে এটা এক নাম্বারে আছে। আমার আম্মু আগে রান্না করতো এই পুইশাক আর ডালের তরকারি। যা মজা লাগতো, আজকে আপনার রেসিপি দেখে মনে পরে গেল।
ভাইয়া আজকে নিশ্চিত খাবার জমে গেছে পুরা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এতো সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপি পরিবেশন করে আমদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পুঁইশাক খেতে আমারও ভালো লাগে। তবে ডাল দিয়ে খেতে বেশী ভালো লাগে। ধন্যবাদ