বন্ধুত্বের টানে, প্রাণের টানে, স্কুল জীবনের সহপাঠীদের সাথে উপভোগ্য একটি দিন
শুভ সন্ধ্যা বন্ধুরা,
আশা এবং বিশ্বাস সবাই ভালো আছেন এবং বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সতর্ক অবস্থানে আছেন। আমিও চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব নিরাপদে থাকার, দেখা যাক কতটা পারি। কারন বয়স বাড়ছে তো বুড়ো হয়ে যাচ্ছি, সত্যি বলছি বিশ্বাস করেন। খালি দুইজন এই সত্যিটা মানতে চায় না, এক নিজের মন আর দুই নিজের বউ, কি আর করার! মন কখনো এটা মানতে চায় না সে বুড়িয়ে যাচ্ছে আর বউতো কোনদিনও এটা স্বীকার করতে চাইবে না তার জামাই বুড়ো হয়ে যাচ্ছে, হে হে হে হে। বিশ্বাস না হয় বউকে বলে দেখেন, মাইর একটাও মাটিতে পড়বে বরং একটা পড়ে গেলে তার সাথে আরো দুটো বাড়িয়ে দিবে হি হি হি।
আসলে বয়স আর সময় কোন দিক দিয়ে যে যায় বুঝতেই পারি না, এইতো সেদিন মনে হলো স্কুল হতে বিদায় নিয়ে বের হয়েছি কিন্তু দেখতে দেখতে কতগুলো বছর কেমনে কেমনে চলে গেলো বুঝতেই পারলাম না। বন্ধুত্বের টানে, প্রাণের টানে ছুটে দিয়েছিলাম স্কুল জীবনের বন্ধুতের সাথে কিছুটা সময় আপন মনে কাটানোর উদ্দেশ্যে। সত্যি অন্য রকম একটা অনুভূতি কাজ করেছিলো মনের মাঝে। ছোট ছোট ছেলে গুলো আজ কতটা বড় হয়ে গেছে, একেকটা দেখি হাতির মতো ফুলে ফুটবল হয়েগেছে, হতেই হবে বয়সতো আর কম হলো না। প্রায় ২২ বছর পর এক অন্য রকম অনুভূতি নিয়ে সেদিন সকাল সকাল বাড়ী হতে বেড়িয়েছিলাম, তারপর সকাল হতে রাত অবদি অনবদ্য একটা উপভোগ্য দিন পার করেছিলাম।
সত্যি বলছি, খালি বইয়ের ভাষায় পড়েছি আর লোক মুখে শুনেছি, কিছু সম্পর্ক নাকি পুরনো হয় না, কিছু সম্পর্ক নাকি হারিয়ে যায় না। সেদিন সেটার যথার্ত প্রমান পেলাম, একেক জন অনুষ্ঠানে আসছেন আর সবাই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, কে পড়ে গেলো আর কে ব্যাথা পেলো সেদিকে কোন খেয়াল নেই, মনে হচ্ছে তার সাথে কতদিনের একটা সম্পর্ক, দেখেই সেটা যেন আবার তাজা হয়ে উঠলো নতুন করে। আসলেই স্কুল জীবনের সহপাঠীদের কথা মানুষ কোনদিনও ভুলতে পারে না, চাই সে বন্ধু হোক কিংবা শত্রু হোক, অন্য রকম একটা স্মৃতি হয়ে সর্বদা থেকে যায় হৃদয়ের মাঝে।
আমরা সবাই সকালে উপস্থিত হয়েছিলাম নির্দিষ্ট জায়গায়, অনেকেই বহু দূর হতে এসেছেন শুধুমাত্র প্রাণের টানে, ভিন্ন রকম একটা আবেগ কাজ করতে ছিলো। সকলের সাথে মিলিত হওয়া নতুন করে আবার পরিচিত হওয়ার সুযোগটা কেউ মিস করতে চায় নাই। নতুন করে এই জন্য বললাম, কারন আগে তো ছোট ছিলো, আগে তো অবিবাহিত ছিলো, আগে তো চাকুরী করতো না হি হি হি। তবে সত্যি সকলের সাথে বেশ উপভোগ করেছিলাম সকলের সাথে। কিন্তু এটাও সত্য যে মনে হলো এই সেদিন এই ছেলেগুলোর সাথে একসাথে ক্লাস করেছি, দুষ্টমি করেছি সাথে মারামারি ছিলো ফ্রি।
তো আজ সেদিনের উপভোগ্য দিনগুলোর প্রথম অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। কারন সেদিন শুরুটা হয়েছিলো কেক কাটার মাধ্যমে, তারপর দুপুরের ভুড়ি ভোজন এবং তারপর রাত পর্যন্ত নৌ ভ্রমন। তাই নৌ ভ্রমনের অনুভূতিগুলো পরবর্তীতে শেয়ার করবো। চলুন তাহলে সেদিনের প্রথম শেসনের কিছু অংশ দেখি-
কেক খাওয়ার পর শুরু হয় আসল পর্ব, হে হে হে ভুড়ি ভোজনের পর্ব, আমি কিন্তু কম খাই আগে বলে দিলাম। তবে কাচ্ছি অল্প একটু বেশী খাই, কাচ্ছি বলে কথা আর সুযোগ তো মিস করা যায় না।
তারপর প্রস্তুতি নেই নৌ ভ্রমনে- পরবর্তী পর্বে সেটার অনুভূতি জানতে পারবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
এটা খুবই আনন্দের দিন ছিল আপনার ভাইয়া সেটা কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পেরেছি। আসলে আমাদের এরকম যে দিনগুলো এসে থাকে সেগুলো আমাদের খুবই আনন্দ দিয়ে থাকে। তাছাড়া আমরা সবাই আমাদের কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকি যেকারনে হঠাৎ একদিন সময় করে সবাই একসাথে হলে খুবই ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পেরেছি আপনারা খুবই আনন্দ করেছিলেন। আর ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর লাগছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বন্ধুত্ব এমন একটি সম্পর্ক যা রক্তের সম্পর্ক না হলেও অনেক আপন একটি সম্পর্ক। এটা যেন আত্মার সাথে মিশে থাকে। বিশেষ করে পুরাতন বন্ধুর সাথে অনেক বছর পর দেখা হলে তার প্রতি যে মায়া কাজ করে তা বলে বুঝানো যাবে না। আপনার পোস্ট পড়ে একটি বিষয় ভালো লাগে আপনি পোস্ট এর মধ্যেও সবাইকে হাসানোর চেষ্টা করেন সুন্দর এবং মজাদার কিছু কথা বলেন। আপনি অনেক আনন্দ তম মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আপনি যেন সব সময় হাসি খুশি থাকেন।
আশা করি ভাল আছেন। আপনি খুব সুন্দর মুহূর্তে অতিবাহিত করেছেন। এই সময় গুলো জীবনে বারবার ফিরে আসে না। জীবনের পাতায় স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে এই মুহূর্তগুলো। কর্মব্যস্ততার কারণে স্কুল বন্ধু সবাই একসাথে সময় কাটানো সম্ভব হয়না। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকাটা খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। নিশ্চয়ই আপনি খুব সৌভাগ্যবান স্কুল জীবনের সহপাঠীদের সাথে সুন্দর একটি দিন উপভোগ্য করতে পেরেছেন। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
একদম সত্যি ভাই বেশ দারুণ উপভোগ করেছি সকলের সাথে মিলে দিনটি, অসম্ভব একটা ভালো দিন ছিলো সেটা আমার জন্য। ধন্যবাদ
সত্যি ভাইয়া,কিছু সম্পক কখনো পুরোনো হয় না।স্কুল লাইফের বন্ধুদের অনেক আপন মনে হয়।আসলেই স্কুল জীবনের সহপাঠীদের কথা মানুষ কোনদিনও ভুলতে পারে না, বন্ধু হোক কিংবা শত্রুকেও আপন মনে হয়।একদম সত্যি।
ভালই লিখেছেন শুরুতে , সত্যি গুলো এত সুন্দর ভাবে অকপটে বলে ফেললেন ভাই আমি কিন্তু নালিশ করে দেবো। হা হা হা । বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় টুকু দারুন ছিল সেটা বুঝতে একটুও কষ্ট হয়নি। কেক কাটা হতে শুরু করে নৌ ভ্রমন । অপেক্ষায় রইলাম আগামীর অনুভূতির। দারুন ছিল পরিকল্পনা। ভাল থাকবেন ভাই । ধন্যবাদ।
হ্যা সেটাই কর্ম ব্যস্ততার কারনে চাইলেও কারো সাথে দেখার সুযোগ হয় না আবার কর্ম জীবনে ঢুকে অনেকেই ভিবিন্ন প্রান্তে চলে গেছেন। তাই সুযোগটি আর মিস করি নাই। ধন্যবাদ
আসলে খুব ভালো লাগে স্কুলের ব্যাপার গুলো ভাবতে।কারণ স্কুল লাইফ টাই বেস্ট ছিলো।আমার খুব ইচ্ছে ছিলো স্কুলের ফ্রেন্ডদের নিয়ে ট্যুরে যাবো।তবে যাওয়া হয়নি কখনো।কাচ্চি দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কিছু সম্পর্ক গুলো কখনো পুরানো হয় না।স্কুল জীবনের বন্ধুদের কথা কেউ কোনোদিন ভুলতে পারে না। আর এই কর্মব্যস্ততার কারণে সব কিছু ভুলে যেতে হয়। ইচ্ছা থাকলেও কিছু করার থাকে না। আপনি খুব সুন্দর একটি দিন উপভোগ করেছেন ভাইয়া। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আপনি তাহলে আদমজী হাইস্কুলের ৯৯ ব্যাচের ছাত্র। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। আসলে হাইস্কুলের বন্ধুগুলোকে কখনোই ভুলার মতো না। কত স্মৃতি মুশে থাকে এই হাইস্কুলের সময়টা তে।
আপনাদের মিলন মেলা থেকে আমার নিজেরই একটা ভালো লাগা কাজ করছে। এখন সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত। সেই ব্যস্ততার মাঝেও অনেক সুন্দর একটি মিলন মেলার আয়োজন করছেন। আসলে এমন হ্যাংআউট সম্পর্কগুলোকে আরো মজবুদ করে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার আনন্দময় মুহুর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো প্রিয় ভাই 🥰
এই দুই জন ভাইয়া বিশ্বাস করবেনা আমিও বিশ্বাস করি না আপনার বয়স যে হচ্ছে। কারণ আমাদের প্রিয় ভাইয়া,চিরসবুজ একটি মানুষ।এই মানুষ কখনো বড়ো হয় না।যাইহোক ভাইয়া, আপনার স্কুলজীবনের সহপাঠীদের সাথে অনেক আনন্দ এবং স্মৃতি ভরা সময় কাটিয়েছন শুনে খুব ভালো লেগেছে। ভাইয়া,স্কুল জীবনের সহপাঠী গুলো সত্যিই খুব আপন এবং প্রিয় হয় কারণ ছোট থেকে তাদের সাথে বেড়ে ওঠা। ভাইয়া, আপনার ফটোগ্রাফি এবং আপনার পুরো লেখা পড়ে সত্যিই আমার ছেলেবেলার স্কুলজীবনের সহপাঠীদের কথা মনে পড়ে গিয়েছে। ভাইয়া,খুবই আনন্দ করেছেন তবে একটা বিষয় সেটা হচ্ছে কি সবার ফটোগ্রাফি দিলেন আমাদের প্রিয় এবং চিরসবুজ ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি কেনো দিলেন না?আপনার ফটোগ্রাফি সত্যিই মিস করছি।ভাইয়া, স্কুল জীবনের সহপাঠীদের সাথে আনন্দ মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।