$PUSS কয়েন নিয়ে প্রথম Meetup এর অনুভূতি (২য় পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি, যদিও এটা সত্য না কিন্তু তবুও জোর করে বলতে হয় ভালো আছি, তাই আমিও বলে দিলাম ভালো আছি। তবে সামনে যে কি অবস্থা করছে সেটা বলতে পারছি না, কারন আর একদিন পরই শুরু হয়ে যাবে অক্টোবর মাস, মানে আমার বাঁশ খাওয়ার মাস। বুঝতেছিনা এবার কপালে কি আছে? তবে ভালো কিছু দুইদিন আগেই খেয়ে নিয়েছি, যদিও পরেরটা খারাপ হয় হি হি হি। কি মনে হয় বুদ্ধি একটু বাড়ছে না, হা হা হা।
Meetup এর কথা বললাম, বুঝলেন নাতো। সেদিনের খাবারটা সত্যি দারুণ হয়েছিলো, যদিও পরিমানে একটু বেশী খেয়ে ফেলেছিলাম হি হি হি। এমনিতেই আমি খুব একটা বেশি খাবার খাই না, সত্যি বলছি পরিমাণের বেশি কখনো খেতে পারি না আমি। এটা আমার সেই ছোট বেলা হতেই অভ্যেস। তবে খারাপ নষ্ট করাটাও ভীষণ অপছন্দ করি আমি। যাইহোক খাবার অর্ডারের বিষয়টি মাহির ভাই কয়েক দিন আগ হতে বললেও কিন্তু আমরা মেন্যুর বিষয়ে একমত হতে পারিনি, আর আমি এই বিষয়ে সব সময়ই চুপ থাকি। কারণটা না হয় এখানে নাই বললাম। সেদিন অবশ্য অর্ডার দেয়ার আগে মাহির ভাই পুনরায় সবার পরামর্শ নিলেন।
আমি খুব বেশী কিছু পছন্দ না করলেও কয়েকটি বিষয়ে আমরা ঠিকই নিজের পছন্দের কথা বলেছি। অর্ডার করার পর শুনতে পেলাম কমিউনিটির এ্যাকটিভ মেম্বার তানিয়া ম্যাডাম আসছে। শুনে বেশ ভালোই লাগলো, যাক এক উছিলায় উনার সাথেও সাক্ষাত হয়ে যাবে। তানিয়া ম্যাডাম আসাতে একটু ভালোই হয়েছিলো কারন খাবারের সময়টায় আড্ডাটা জমে গিয়েছিলো, কথার ফাঁকে ফাঁকে খাওয়া চললো। তবে আমি একদমই এখানে সুযোগ নষ্ট করি নাই। তানিয়া ম্যাডাম এতো এতো খাবারের রেসিপি শেয়ার করে কিন্তু সেদিন বুঝলাম উনি আসলেই খুব কম খান। সেদিনও খুব একটা খেতে পারেন নাই, আর উনি যেহেতু কম খেয়েছেন সেহেতু উনার দেখাদেখি উনার হাসব্যান্ডও কিন্তু কম খেয়েছিলেন।
তবে ভালো লেগেছিলো উনার কিউট দুই বাচ্চা দেখে, তারা খুব চঞ্চল ছিলো। বাচ্চারা একটু চঞ্চল না হলে কিন্তু ভালো লাগে না। আমার কাছে ছোটটা বেশী ভালো লেগেছে। কারন সে এসে আমাদের সাথে কথা বলেছে, মনে হয়েছে সে একটু মিশুক হবে। খাবার কেউ পুরো ডিস খেতে পারেন নাই, শুধুমাত্র ব্যতিক্রম ছিলাম আমি আর সাগর ভাই, সব আইটেম এর সাথে মেইন ডিসটা পুরোটাই খালি করেছিলাম আমরা। আমার কাছে সত্যি খাবারের আইটেম গুলো ভালো লেগেছিলো, যদিও স্যুপটা খুব একটা সুখকর ছিল না কারন তাতে ঝালের পরিমাণটা একটু বেশিই ছিলো।
খাবারের সময়টায় সবচেয়ে বেশী মজা করেছি আমরা, হয়তো আমরা এতোটা আনন্দ করতে পারতাম না যদি না তানিয়া ম্যাডাম আসতো। উনি আসাতে আমাদের আড্ডাটা পূর্ণতা পেয়েছিলো এবং খাবারের মুহুর্তটা বেশ আনন্দময় ছিলো। এতো পরিমানে খেয়েছিলাম যে, পরবর্তীতে আর পানি খাওয়ার জায়গা ছিলো না হি হি হি। পানি খেয়েছিলাম বাড়িতে এসে হি হি হি। $PUSS কয়েন এর উছিলায় বেশ সুন্দর ও আনন্দম একটা Meetup হয়েছিলো সেদিন। ভালো লাগার এবং ভালোবাসার মুহুর্ত হয়তো এমনভাবেই তৈরী হয়। স্বাদের দারুণ কিছু মুহুর্তের স্মৃতি নিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। আরো কিছু ফটোগ্রাফি আছে পরবর্তীতে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ।
তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ গুলশান, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তাহলে তো দেখছি শুধু মিটআপ হয়েনি। ইটআপও হয়েছে। তবে আপনি যে বুদ্ধিমান সেটা তো আগেই জানতাম ভাইয়া। আজ তো দেখছি আপনি মহা বুদ্ধিমান। তাই তো ভালো ভালো খাবার গুলো পেটছাড়া করেন নি। যাই হোক বেশ সু্ন্দর সময় কাটিয়েছেন সেটাই বেশ। ধন্যবাদ সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আবার জিগায়, ইটআপ ছাড়া কি মিটআপ মজার হয়, হি হি হি।
এটা কেমন হলো ভাইয়া? আমি খাবারের ছবিগুলো আগে পোস্ট করতে চেয়েছিলাম। আমার আগেই আপনি পোস্ট সেরে ফেললেন। যাই হোক সেদিনের আড্ডাটা কিন্তু আসলেই বেশ জমেছিল। আমি মাঝখান দিয়ে আপনাদের খাবারে ভাগ বসিয়েছিলাম। খাবারগুলো কিন্তু বেশ মজাদার ছিল। কিন্তু পরিমাণে অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল। তারপরও মনে হয়েছে যে আমার এত দূরে যাওয়াটা সার্থক হয়েছে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়ে।
হা হা হা, আগে বলবেন না তাহলে আর শেয়ার করতাম না। খাবারগুলো সত্যি মজার ছিলো এবং আপনারা আসাতে দারুণ জমেছিলো আড্ডাটা।
এতো খাবার খেলে পানি খাবেন কিভাবে ভাই। তখন পানি খেলে মনে হয় পেট ফেটে যেতো আপনার হা হা হা। যাইহোক পুস কয়েন নিয়ে আলোচনা, আড্ডা এবং খাওয়া দাওয়া, সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সেটাই, শুধু শুধু পানির বিল কেন দিতে যাবো, তাই একেবারে বাড়ি ফিরে পানি খেয়েছিলাম হি হি হি।
ঠিকই তো,পানিও কিনে খাওয়ার জিনিস হলো নাকি। মাগনা দিলে সেটা অন্য কথা😂।
বাঁশ খেতে কেমন লাগে জাতি জানতে চায় ভাইয়া হা হা। আপনাদের সাথে তানিয়া আপু ও আপুর ফ্যামিলি যুক্ত হয়েছিল এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে সবার সাথে কখনো দেখা হবে কিনা জানিনা তবে কল্পনায় এখনো স্বপ্ন দেখি কোন একদিন সবার সাথেই দেখা হবে।
বাঁশ খাওয়া ভালো কিন্তু, চিংড়ি মাছ দিয়া৷ 🤣🤣
.
.
আপনাদের মিট আপের গল্প পড়তে বেশ ভালো লাগছে৷ আগের দিনও পড়েছিলাম। পড়তে পড়তে ভাবছি, কোন এক দিন কোন এক কোনে পৃথিবীকে ছোট প্রমাণিত করে আমারও আপনাদের সাথে দেখা হবে, তখন হয়তো চুল সাদা হয়ে যাবে, কিংবা দাঁত পড়ে যাবে...
আজ মনে পড়ছে আমার এক পত্রবন্ধু ছিল৷ তার সাথে পত্রেই আলাপ, পত্রেই বন্ধুত্ব। আস্তে আস্তে সময়ের সাথে যোগাযোগ ক্ষীণ হিয়ে গেছে৷ তখন মোবাইল ছিল না৷ এখন আর যোগাযোগ নেই৷ আপনারাও অনেকটা পত্রবন্ধুর মতো আপনজন৷
খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। তানিয়া আপু আসাতে আরো প্রানবন্ত হয়েছে মিটআপ পর্বটি।তানিয়া আপুর ছেলে দুটি কিউট।আপনি ঠিক বলেছেন আপুর ছোট ছেলেটি খুব মিশুক।আমি আগেও ওর ফটোগ্রাফি দেখে কমেন্ট করেছিলাম।আর একটু দুষ্ট ও।বাচ্চারা দুষ্ট না হলে আমার ভালো লাগে না।ধন্যবাদ আপনার চমৎকার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।