প্রকৃতির মাঝে সবুজ অনুভূতির ফটোগ্রাফি || My Original Photography

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা,

প্রকৃতির মাঝে থাকতে কমবেশী সকলের ভালো লাগে, হ্যা এই বিষয়ে আজ আর নতুন করে প্রশ্ন করলাম না। কারণ বহু বার এই বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করার চেষ্টা করবো। দেখুন ভালো লাগার বিষয় কিংবা অনুভূতি আমার বার বার ফিরে চাই এটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি ভালো অনুভূতির গল্পগুলো আমরা বার বার বলতে চাই এটাও তেমন সত্য। আমি সত্যি বলছি শহুরে জীবনে বেশ অস্তিতে রয়েছে, তাই সুযোগ পেলেই গ্রামের বাড়ীতে ছুটে যাই। যে মাসে কম সুযোগ থাকে সে মাসে অনন্ত একবারের জন্য হলেও যাওয়ার চেষ্টা থাকে। আর আমি গ্রামের বাড়ীতে গেলে কিন্তু বাড়ীর ভিতর বসে থাকি না, যতটা সুযোগ পাই প্রকৃতি এবং তার মাঝে থাকা বিষয়গুলো উপভোগ করার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে আম্মু বেশ রাগান্বিত কণ্ঠে বলে ফেলেন, বাড়ীতে মাকে দেখতে আসছো নাকি মোবাইল দিয়ে এদিক সেদিক ঘুরতে আসছো?

এরপর আমার আর কোন কথা থাকে না, পুরো প্যাঁচে পড়ে যাই, এক প্রশ্নে সব শেষ। তবে এটাও সত্য যে বাড়ীতে গিয়ে খুব বেশী সময় থাকতে পারি না কারন ফিরে আসার একটা তাড়া থাকে আবার। আসলে জ্যামের কারণে অন্য রকম একটা অস্থিরতা হৃদয়ে কাজ করে। তাই সকালে গ্রামের বাড়ীতে গেলে আবার বিকালেই ফিরে আসার প্রস্তুতি নিতে হয়। বাকি আসা-যাওয়ার কষ্ট বাদ। কারন আমাদের দেশে পাবলিক বাসগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়, এর আর পরিবর্তন হবে বলে আশা করা যায়না। বলতে পারেন অনেকটাই নিরাশ হয়ে আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। ভোক্ত ভোগীরাই কেবল বলতে পারেন, পাবলিক বাসের সুখ কতটা সুন্দর ও ভালো, হি হি হি।

যাইহোক, সমস্যা কথা বলে হৃদয়টাকে যন্ত্রণায় আটকে ফেলতে চাই না, বরং ভালো লাগার কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। প্রকৃতির মাঝে সবুজ অনুভূতির কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। যদিও আমি এই রকম দৃশ্য সব সময়ই শেয়ার করে থাকি, তবুও মাঝে মাঝে ভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। দক্ষতা খুবই কম এটা স্বীকার করি, তবে আমার মাঝে থাকা সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করি, এটাও স্বীকার করতে হবে। চলুন ফটোগ্রাফির দৃশ্যগুলো দেখতে দেখতে আরো কিছু অনুভূতি শুনি।

IMG_20220325_162629.jpg

IMG_20220325_162625.jpg

IMG_20220325_162700.jpg

এটা একটা কমন দৃশ্য গ্রামের পরিবেশে যারা থাকেন, সবাই দৃশ্যগুলোর সাথে বেশ পরিচিত। কিন্তু আবার অনেকেই পরিচিত না, বিশেষ করে কলার থোর গুলোর সাথে। কলা গাছের ফুলের একেবারে সামনের অংশটিকে আমরা মোচা বলে থাকি, কিন্তু আপনারা কি বলেন? সেটা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি। এটা বেশ লোভনীয় একটা জিনিষ, ছোট বেলায় বেশ পরিকল্পনা করে তারপর অভিযান চালাতাম এবং তারপর তেতুঁল, শুকনা মরিচ, লবন দিয়ে দারুণ ভর্তা তৈরী করে খেতাম। সত্যি সেই দিনের আনন্দ আর স্বাদগুলোর অনুভূতি এখনো যেন হৃদয়ে তাজা হয়ে আছে।

IMG_20220325_162706.jpg

IMG_20220325_162907.jpg

IMG_20220325_162912.jpg

IMG_20220325_162939.jpg

আরো একটা মজার খাবার আছে এখানে, না কলার কথা বলছি না বরং কলা গাছের ভেতরের সাদা নরম অংশটির কথা বলছি। আমরা এটাকে কলার থোর হিসেবে চিনে থাকি কিন্তু আপনারা সেটাকে কি বলেন? তা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি। সেটা খেতে কিন্তু অনেক স্বাদের। অবশ্য সবাই সেটা রান্না করতে পারে না কিংবা সবাই সেটা জানেন না। আপনি কখনো কলা গাছের ভেতরের সাদা থোর খেয়েছেন কি? আমি খেয়েছি, আসলে খুব দুষ্টু ছিলাম তো, তাই যা পেয়েছি মানে যতটুকু সুযোগ পেয়েছি সব খেয়ে দেখার চেষ্টা করেছি। দুষ্টু বলতে যা বোঝায় আরকি, না না না খারাপ কিছু ভাবতে যাবেন না, এলাকার ছেলে বলে কথা, ওসব চিন্তা একদমই মাথায় আনবেন না হা হা হা।

IMG_20220325_163305.jpg

IMG_20220325_163310.jpg

IMG_20220325_163331.jpg

IMG_20220325_163337.jpg

IMG_20220325_163341.jpg

এখন সত্যি বলছি কলা গাছ কিংবা কলার মোচা দেখলে একটা দুষ্টু হাসি হৃদয়ে হেসে উঠে, বুঝেন তো অনেক কথা, অনেক অনুভূতি, সাথে অনেক স্মৃতি হৃদয়ে ভেসে উঠে নতুন করে। তবে একটা বিষয় বলে দিচ্ছি, কোন ব্যাপার নিয়ে কেউ কোন বাড়ীতে নালিশ দেয়ার সাহস করতে পারে নাই, হুম ভদ্র বলে এলাকায় একটা সুনাম ছিলো। অবশ্য এখনো আছে, আরে ভাই ভালো ছেলেদের সুনাম সব সময়ই থাকে। নিজের ঢোল না হয় একটু নিজেই পিটালাম, কারন কোন স্বাক্ষী নাই তো হা হা হা।

IMG_20220325_163348.jpg

IMG_20220325_163353.jpg

IMG_20220325_163357.jpg

IMG_20220325_163326.jpg

আশা করছি কথাগুলো বাদ দিয়ে ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের নিকট বেশী ভালো লেগেছে। আর হ্যা, যা বলেছি পড়ার পর সবটা ভুলে যাবেন, একদম নিজ দায়িত্বে ভুলে যাবেন, না হলে কিন্তু কৃর্তপক্ষ দায়ী থাকবে না হি হি হি।

তারিখঃ মার্চ ২৫, ২০২২ইং।
লোকেশনঃ সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png

Leader Banner-Final.png

break .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  
 2 years ago 

ভাই আপনি যে হারে নিজের ঢোল পেটাচ্ছেন তাতে অন্য মানুষেরা আপনার গুনো গান করার কিন্তু কোনো সুযোগই পাবে না। আপনার লেখাগুলো সব সময় ভালো লাগে। আপনার লেখার মাঝে কিছু হাসি হাসিখুশি মাখানো থাকে। আজকে আপনার প্রকৃতির মাঝে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু খুবই সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ।

 2 years ago 

আমাদের এখানেও থোর আর মোচাই বলে।তবে মোচা কখনোই খাইনি আমি,আম্মু বলে এটা খেতে নাকি অনেক মজা।আপনি আর শান্ত,ভদ্র!ভাবা যায় নাকি!

 2 years ago 

কেন? কেন ভাবা যাবে না, আদালত কি না করছে? বলি খামোখা আমার নামে আর কত অপপ্রচার করবেন?

হুম সত্যি খেতে অনেক মজা, আন্টিকে বলতে পারেন খাওয়ানোর জন্য।

 2 years ago 

কই আর অপপ্রচার! সুপ্রচার বলে এসবকে।😁😁
এখানে পাওয়া যায়না তাই খেতে পারিনা।গ্রামে গেলে দেখি খেতে হবে।

 2 years ago 

আমাদের নোয়াখালীর ভাষায় ও আমরা সামনের অংশটুকুকে থো বলে থাকি।আর আপনি যথাযর্থ বলেছেন গ্রীষ্মকালে একটা কল গাছের ও থো রাখতাম না ছুরি করে এনে সকলে বানানি বানিয়ে খেতাম।আপনি অনেক পিছনের অতীত স্মরণ করিয়ে দিলেন।আর আপনার সবুজ বাংলার ফটোগ্রাফিগুলো জাষ্ট অসাধারণ হয়েছে।

এটা একটা কমন দৃশ্য গ্রামের পরিবেশে যারা থাকেন, সবাই দৃশ্যগুলোর সাথে বেশ পরিচিত। কিন্তু আবার অনেকেই পরিচিত না, বিশেষ করে কলার থোর গুলোর সাথে। কলা গাছের ফুলের একেবারে সামনের অংশটিকে আমরা মোচা বলে থাকি, কিন্তু আপনারা কি বলেন? সেটা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি। এটা বেশ লোভনীয় একটা জিনিষ, ছোট বেলায় বেশ পরিকল্পনা করে তারপর অভিযান চালাতাম এবং তারপর তেতুঁল, শুকনা মরিচ, লবন দিয়ে দারুণ ভর্তা তৈরী করে খেতাম। সত্যি সেই দিনের আনন্দ আর স্বাদগুলোর অনুভূতি এখনো যেন হৃদয়ে তাজা হয়ে আছে।

 2 years ago 

হুম, কলার থোর খাওয়ার বিশেষ ঐ প্রবণতাটা অনেকের মাঝেই ছিলো, সেটা আমি ভালোভাবেই জানি হা হা হা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
default.jpg

 2 years ago 

আসলে ভাইয়া ভালো ছেলেদের সুনাম সবসময় থাকে, এটা আপনি আপনার নিজের সুনাম করেছেন সমস্যা নাই, সাক্ষী ছিল না, যাই হোক আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। কলা গাছের সবুজ প্রকৃতির দৃশ্য গুলো আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

থাকতেই হবে, আর নিজের সুনাম নিজের না বললে অন্যরাতো উল্টোটা বলে দিবে হি হি হি।

 2 years ago 

তাই তো বলি এত কবিতা আসে কোথায় থেকে প্রকৃতির কাছে যেয়ে একেকটা সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আসে😉😉।আর নিজের ঢোল নিজেই পিঠানো উচিত,অন্য কেউ পিটালে ঢোল ভেঙে যেতে পারে🤪🤪।যাই হোক ছবিগুলো বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ

 2 years ago 

যাক, তবুও ভালো কিছুটা হলেও বুঝার সুযোগ পেয়েছেন হি হি হি। অন্যদের নিজের ঢোল বেশী পেটাতে দেয়া ঠিক না।

 2 years ago 

কলা গাছের ফুলের একেবারে সামনের অংশটিকে আমরা মোচা বলে থাকি, কিন্তু আপনারা কি বলেন? সেটা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি।

ভাইয়া আপনাকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর ভাবে গ্রামীন পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।ভাইয়া আমাদের অঞ্চলে কলার গাছের এই ফুলকে "কলার থোর" বলে। আপনাদের অঞ্চলে এই কলার থোর মোচা নামে পরিচিত। তবে কলার গাছের মাঝের সাদা অংশ আমি কখনো খাইনি। আমার অঞ্চলে সম্ভবত কলার গাছের মাঝের অংশ "কলাগাছের মানজাইল" নামে পরিচিত। আমি শুনেছিলাম কয়েকবার এই নাম। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।♥️♥️

 2 years ago 

হ্যা, ভাই আমিও ভেতরের অংশ এখনো খাই নাই, তবে অনেকেই বলে খেতে নাকি অনেক স্বাদের হয়ে থাকে।

 2 years ago 

ভাই সত্যি বলতে কি পাবলিক বাসের সার্ভিস সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। বিশেষ করে যারা এই বাসের নিয়মিত প্যাসেঞ্জার তারা সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন। আর রাস্তায় যে পরিমাণ জ্যাম তাতে বাসের দোষ দিয়েই বা কি হবে। ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি। কলার মোচা এবং কলার ভেতরের অংশ দুটোই একসময় অনেকবার খেয়েছি। কলার ভেতরের সাদা অংশ আমাদের এলাকায় ভাদাল নামে পরিচিত। ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ছবি সেইসঙ্গে অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

হুম ভাই মাঝে মাঝে জীবনটাকে তেজপাতা বলে মনে হয়, পাবলিক বাসে যাতায়াত করতে করতে। না ভাদাল এই নামটা আমি এখনো শুনি নাই, ধন্যবাদ জানানোর জন্য।

 2 years ago 

গ্রাম বাংলার এমন ছবি গুলো দেখলে সত্যিই খুব ভালো লাগে ভাইয়া। আপনি কলাগাছের খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ছোটবেলায় কলার মোচা দিয়ে আচার দিয়ে অনেক রকম টক ফল দিয়ে একসাথে করে বানাতাম খেতে খুবই ভালো লাগতো। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

 2 years ago 

আসলেই আপু প্রকৃতির সবুজ দৃশ্যাবলী মানসিক সজীবতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে দারুণ প্রভাব ফেলে।

 2 years ago 

মানুষ সব সময় রোগীর দেখে ভালোবাসে প্রকৃতির মাঝে থাকতে চাই আর সেই প্রকৃতি যদি সবুজে ঘেরা হয়ে থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই হ্যাঁ আপনি এর আগেও সবুজ প্রকৃতি নিয়ে অনেক আলোচনা করেছেন ।ভবিষ্যতে করবেন আর করাই উচিত। কিন্তু সেই সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি শুধু যদি কলার গাছ নিয়ে হয় তাইলে কি আর হল বলেন। 🤪🤪 আমাদের এলাকায় কলার গাছের ভিতরে যে অংশটি থাকে তাকে থোর ই বলে। চিংড়ি মাছ দিয়ে এঁচোড় ভাজি খেতে অনেক মজা। ধন্যবাদ আপনাকে কলার গাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। 🤭🤭

 2 years ago 

আচ্ছা তাহলে আপনি সবুজ প্রকৃতির মাঝে আর কি কি গাছের উপস্থিতি চান, জাতি সেটা জানতে চায়? জাতি আরো জানতে চায় কলা গাছ কি হলুদ প্রকৃতির মাঝে পড়ে?

হুম আমিও শুনেছি কিন্তু কখনো রান্না করে খাওয়া হয় নাই ।

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 59179.00
ETH 2969.17
USDT 1.00
SBD 3.75