হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি তবে একটু চাপের মাঝে আছি। বাসা পরিবর্তন করার ঝামেলায় আটকে আছি, আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার ১০ বছরের মায়া ত্যাগ করে ঢাকা শহর ছেড়ে যাওয়ার সব কিছু চুড়ান্ত । শুক্রবার সকালেই সেটা হয়তো বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। আসলে এখনো মনে হচ্ছে এইতো সেদিন বিয়ে করে বউ নিয়ে ঢাকা শহরের মাঝে আসলাম, আর দেখতে দেখতে বউও পুরান হয়ে গেলো, না না থুক্কু দেখতে দেখতে দশ বছর পার হয়ে গেলো। এর বেশী কিছুতো আর বলা যাবে না, তাহলে বউ আবার ক্ষেপে যাবে। না সত্যি বলছি সময় কত দ্রুত চলে যায়, সেটা ভালোভাবেই টের পেলাম।
এটা সত্যি যে, শহর না রাজধানী বলতে যা বুঝায় কিংবা মানুষের মাঝে যতটুকু প্রত্যাশা থাকে, তার কিঞ্চিতও আমি পাই নাই। কারণ হয়তো সবটাই আপনাদের জানা আছে, নতুন করে কিছু বলার কিংবা উপস্থাপন করার প্রয়োজন নেই । তবে আমাদের মাঝে আশা এবং বিশ্বাস নামক বস্তুটার উপস্থিতি এখনো বিদ্যমান রয়েছে, তাইতো আমরা এখনো স্বপ্ন দেখি এই শহরটা একদিন উন্নত শহরের মতো হবে, অভিমানগুলো মুছে যাবে, রঙিন স্বপ্নগুলো ঠিক ডানা মেলে আকাশে ভেসে বেড়াবে। হয়তো কোন একদিন স্বপ্নটা সত্য হবে, হয়তো কোন দিনও আশাটা পূর্ণতা পাবে না কিন্তু তবুও আমরা এই প্রত্যাশাটা করছি ভালোবাসার কারনে।
যাইহোক, আজকের ভিন্ন অনুভূতির সাথে একটু ভিন্ন রকম একটা রেসিপি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিবো। ভিন্ন রকম বলতে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা, একটু ভিন্নভাবে স্বাদটাকে বাড়িয়ে তোলা, যেটা আমি বরাবরের মতো করে থাকি। হ্যা, আজও তার ব্যতিক্রম হবে না, করলা ভাজিকে একটু ভিন্নভাবে আরো একটু বেশী স্বাদময় করে তোলার চেষ্টা করেছি। আর তাই করলার সাথে আলু ও ডিমের উপস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে, ভাজিটি আরো দারুণ আকর্ষণীয় করে তোলেছি। হ্যা, হ্যা, বুঝতে পারছি আর তর সইছে না আপনাদের। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে রেসিপিটি দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ
- করলা
- আলু
- ডিম
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- ধনিয়া পাতা
- লবন
- হলুদ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- জিরা গুড়া
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে আলু এবং করলাগুলোকে পরিস্কার করে সুন্দর করে কেটে নিয়েছি ।
তারপর আলু এবং করলাগুলোকে একটা প্লেটে নিয়েছি এবং তার সাথে দুটো ডিম ভেঙ্গে নিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
তারপর একটা প্যান চুলায় বসিয়ে কিছু তেল দিয়ে গরম করেছি এবং তার সাথে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ স্লাইস দিয়েছি।
পেঁয়াজগুলো একটু ভাজা হলেই তার সাথে হলুদ গুড়া, জিরা গুড়া, ধনিয়া গুড়া ও লবন দিয়েছি।
তারপর মসলাগুলোকে একটু কষানোর চেষ্টা করেছি এবং আলু ডিম দিয়ে মাখানো করলাগুলো ঢেলে দিয়েছি।
তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি, যেন দ্রুত সিদ্ধ হয়ে আসে।
তারপর ধনিয়া পাতা কুচি দিয়েছি এবং কিছু সময় পর তা নামিয়ে নিয়েছি।
হয়ে গেলো আমাদের ভিন্ন স্বাদের আজকের করলার ভাজি, আলু এবং ডিমের উপস্থিতি স্বাদটাকে দারুণভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমার ছেলে এবং মেয়ে দুজনই এভাবে করলা ভাজি করলে দারুণ পছন্দ করে। আর আমার কথা কি বলবো এটাতো আপনারা জানেনই স্বাদের জিনিষের ব্যাপারে আমার আগ্রহটা বরবরই একটু বেশী থাকে, হি হি হি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
মাত্র ১০ বছরেই বউ পুরনো হয়ে গেল আর বাকি বছরগুলোতে কি হবে আল্লাহই জানে। ছেলেদেরই শুধু বলতে শুনি যে বউ পুরনো হয়ে যায়। মেয়েরা তো কখনো বলে না যে হাজবেন্ড পুরনো হয়ে যায়।
আর আমাদের কে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন জেনে খুবই খারাপ লাগলো।
এত পাতলা পাতলা করে করোলা কে কেটেছে নিশ্চয়ই ভাবি । তারপরও সুযোগ পেলেই বউদের দুর্নাম।আলু দিয়ে করোলা ভাঁজি সবসময়ই করা হয়। কিন্তু এভাবে ডিম দিয়ে কখনো করোলা ভাঁজি খেয়ে দেখেনি। নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম আজকে। বাসায় একদিন তৈরি করে দেখব। তারপরে আপনাকে জানাবো। দেখে তো মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হুম,আসলে ভাবির জামাই টাও পুরানো হয়ে গেছে,মনে হচ্ছে 😉😉।নতুন বাসায় উঠা পরে দাওয়াত দিয়েন।করলা ও আলু দিয়ে ভাজি খেয়েছি,কিন্তু ডিম দিয়ে খাওয়া হয়নি।একবার খেয়ে দেখতে হবে।ধন্যবাদ
আসলেই দেখতে দেখতে দশটি বছর পার হয়ে গেল। আপনার কাছে মনে হচ্ছে এই তো সেদিন বিয়ে করলেন। নতুন বউ নিয়ে শহরে আসলেন।দেখতে দেখতে দশ বছর পার হয়ে গেল। আপনাদের এভাবেই হাজার বছর পার হয়ে যাক দুজন দুজনের সাথে এই দোয়া করি। আসলে শহর অনেক উন্নত হবে আমরাও এই আশা করি। শহর একদিন অনেক উন্নত শহর এটাই কামনা। তবে আজকে আপনার রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ডিম দিয়ে করলা ভাজি রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে আপনার অনুভূতি এবং রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বেশ কিছুদিন থেকেই শুনছিলাম আপনি শহর ছেড়ে যেতে চাচ্ছিলেন। আসলে শহরের যান্ত্রিক জীবনযাত্রা আমারও খুবই খারাপ লাগে। তবে কি আর করার কর্মের তাগিদে এবং পরিবারের কথা চিন্তা করে সবকিছুকে মানিয়ে নিয়েছি। হয়তো কষ্টের মাঝেও নিজেকে মানিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছি। যাইহোক ভাইয়া আজকে আপনি দারুণ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। করলা ভাজি আমার খুবই প্রিয়। আলু ও ডিম দিয়ে করলা ভাজি রেসিপি খুবই লোভনীয় ছিল ভাইয়া। ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য এবং আমাদেরকে শেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️
জানিনা এই শহর আপনাকে কতটুকু প্রশান্তি দিয়েছে ।তবে আমিও আজ চার বছর ধরে এই শহরেই আছি আমার কাছে সব সময় মনে হয় গ্রামে থাকাটাই ভালো। সব সময় গ্রাম আমাকে পিছুটানে। ইট পাথরের মাঝে কোথাও মনের মত শান্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সুস্থ সফলভাবে বাড়িতে ফিরতে পারেন এই কামনায় রইল।
তবে রেসিপিটাও কিন্তু দারুণ মজাদার হয়েছিল 😋😋দেখেই লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।
অনেক স্বপ্ন ও অনেক আশা নিয়ে আমরা শহরে আসি। নিজের স্বপ্নগুলোকে পূর্ণ করতে রাত দিন পরিশ্রম করি। কিন্তু দিনশেষে নিজের মনের অগোচরে লুকানো স্বপ্নগুলো অপূর্ণ রয়ে যায়। শহরের বাস্তবতার মাঝে এবং ইট পাথরের দেয়ালের মাঝে স্বপ্নগুলো মাঝে মাঝে বিলাসিতা মনে হয়। তবে যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন এই কামনা করি সব সময়। বরাবরের মতো আজকেও আপনি ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আলু ও করলা ভাজি অনেক খেয়েছি তবে ডিম দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। আমি অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখব ভাইয়া।
সময় ছুটে চলছে ঢেউয়ের মতো। সময় তার নিজস্ব গতিতে বয়ে চলছে। বোঝাই যাচ্ছে না সময় কোথা দিয়ে পার হচ্ছে। দীর্ঘ দশ বছরের মায়া ত্যাগ করে আপনাকে ঢাকা ছেড়ে যেতে হবে। এই কথাটি শুনে আমারও খারাপ লাগলো। আসলে এক জায়গায় থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে সেখান থেকে আর যেতে ইচ্ছা করে না। কি আর করার সময়তো আর আমাদের জন্য থেমে থাকবে না।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে একটি ইউনিক রেসিপি তুলে ধরেছেন ভাইয়া। রেসিপিটি আমার কাছে ইউনিক লাগলো কারণ এর আগে আমি কখনো ডিম দিয়ে আলু এবং করলা ভাজি খাইনি। তবে আজকে আপনার তৈরি ডিম দিয়ে আলু এবং করলা ভাজি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালই সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
ভাই আপনিও তো দেখি মাঝে মাঝে আমার মত বেফাস কথা বলে ফেলেন। বউ পুরনো হয়ে গেছে এই কথা ভাবি শুনলে সংসারে কিন্তু আগুন জ্বলে উঠবে হাহাহাহা। তবে ঢাকা শহর ছেড়ে যাবার সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই। আশা থাকা ভালো কিন্তু ঢাকা শহর আবার মানুষের বসবাসযোগ্য হবে এটা একটা নিতান্তই দূরাশা। আমার ধারণা অচিরেই এই শহর ধ্বংস হয়ে যাবে। যাইহোক নতুন জায়গায় আপনার সবকিছু ভালোভাবে কাটুক এটাই প্রত্যাশা। আর রেসিপি বরাবরের মতোই চমৎকার হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ডিম দিয়ে এভাবে করোলা ভাজি রান্না করে খাওয়া যায় তা কখনো জানতাম না ভাইয়া। ডিম আলুর মিশ্রণে আপনি করলা ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ইউনিক একটি রেসিপি শিখে নিলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।