হ্যালো বন্ধুরা,
আজকের বিষয়টি একটু ভিন্ন কারন স্বজাতি নিয়ে খুব বেশী কথা বলতে পছন্দ করি না আমরা, আমরা নিশ্চুপ থাকাটাকে বেশী শ্রেয় মনে করি। কারন আমরা চাই না আমাদের নিয়ে অনকাংখিত কোন পরিস্থিতি তৈরী হোক। আসলেই বাঙালী জাতির ইতিহাস কিংবা অতীত ঐতিহ্য হতে আমরা বহু দূরে চলে গিয়েছি, আমরা আমাদের পথ ভুলে আজ ভিন্ন পথের যাত্রি হয়ে গেছি। যার কারনে আমরা সত্যিটাকে আজ সত্যি বলে স্বীকার করতে চাই না, মিথ্যার বিপরীতে আমরা উচ্চ আওয়াজে দাঁড়াতে চাই না বরং নিজেকে শান্তির স্বপক্ষে ভিন্নভাবে জাহির করতে বেশী পছন্দ করছি।
এটা সত্যি এক তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভূতি, নিয়মের বিপক্ষে আমাদের অবস্থানের নির্মম কাহিনী। বাঙালী সুবিধা প্রাপ্তি এক অনন্য অবস্থানে নিজেকে নিয়ে যাওয়ার দারুণ কৌশলী। অন্যায়ের বিপক্ষে জোরালো হয়না আজ তাদের কণ্ঠ, সত্যের স্বপক্ষে লড়াইয়ের বাসনা জাগে না আর হৃদয়ে। অতীত ঐতিহ্যগুলো এবং অতীতের বিজয়ের ইতিহাস আলোড়ন তুলেনা হৃদয়ে। কেন জানি আলোড়ন তোলার ঝড় আসে না হৃদয়ে, কেন জানি দুঃসাহসিক নাবিক হওয়ার স্বপ্ন আসে চোখে। অথচ উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দেয়ার বাসনা ছিলো হৃদয়ে, অথচ সত্যের পক্ষে সোচ্চার ছিলো মানসিকতা, অথচ সংগ্রামের সুবিশাল ইতিহাসে সমৃদ্ধ হৃদয়। কিন্তু আজ আমরা সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থানে অবস্থান করছি।
যাইহোক, হৃদয়ের রক্তক্ষরণ কিংবা ব্যাথার তীব্রতা হতে আজকে অনুভূতির কিয়দাংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। হৃদয় উত্তোলিত হোক আমাদের নিয়মের মাঝে থাকার বাসনায়, হৃদয়ে ঝড় আসুক আমাদের সত্যকে আকড়ে ধরে উত্তাল সাগর পাড়ি দেয়ার কামনায়। বার বার নিয়মের মাঝে থাকার কথা বললেও, আমার বাংলা ব্লগের কিছু ইউজার নিয়মের বিপরীতে যাওয়ার ইচ্ছাকে দেখে এই কবিতাটি লেখার মানসিকতা তৈরী হয় আমার মাঝে। তার সাথে অতীতের কিছু কথা এবং বর্তমান চিত্রের একটা সংযোজন দেয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র। স্বজাতি কিংবা বাঙালীদের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই বরং বাঙালী হিসেবে এখনো নিজেকে নিয়ে গর্ব করি আমি।
তুমি কি বলতে পারো
শেষ কবে তুমি নিয়মের সাথে ছিলে?
তুমি কি বলতে পারো
আবার কবে বিজয়ের হাসি হাসবে?
আমি খুবই বিরক্ত-বিষন্ন
স্বজাতির ধারাবাহিক ভঙ্গুরতা দেখে,
আমি সত্যি নিরব-নিস্তব্ধ
নিয়মের বিপরীতে তাদের হাঁটা দেখে।
তুমি কি বলতে পারো
নিয়মের মাঝে কি পাওনি খুঁজে?
তুমি কি বলতে পারো
অন্যায়ের মাঝে কি সুখ লুকিয়ে আছে?
আমিতো সত্যি দারুণ ব্যথিত
অনিয়মের তীব্র প্রতিযোগিতা দেখে।
আমিতো সত্যি হতাশায় নিপীড়িত
অন্যায়ের সাথে সন্ধি করতে দেখে।
আমি বিদ্রোহী হতে চাইনি
আমি চেয়েছি সরল পথের ঠিকানা
আমি প্রতিবাদী হতে চাইনি
আমি চেয়েছি নিয়ম-নীতির বন্ধন।
তাহলে তুমি কেন উল্টো পথে-
তাহলে তুমি কেন শুনছো না বাণী?
তোমার সাথে কিসের শত্রুতা আমার
তোমার সাথে ভিন্নতা কেন মনের?
আমি স্বপ্ন দেখছি পাল্টে যাওয়ার
আমি সফলতা চাইছি স্বজাতির
অভ্যেসগুলো পাল্টে দেয়ার অভিলাষ
আলোকিত করতে বাঙালির ইতিহাস।
তুমি কি আসবে আমার সাথে?
তুমি কি হাঁটবে আমার পাশে?
চলো একসাথে পাশা-পাশি
হৃদয়ের সাথে হৃদয় আলোকিত রাখি।
Image taken from Pixabay 1 and 2
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
ভাইয়া আপনি আমাদের বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপট গুলো আপনার ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। আসলে এই লেখাগুলো পড়ে বারবার মনে হচ্ছে আমাদের এই জীবন বড়ই ব্যর্থ। আমরা নিজের মানসিকতাকে আজও পরিবর্তন করতে পারিনি। কারন আমরা জোর দিয়ে কখনো নিজের মানসিকতাকে পরিবর্তন করতে চাইনি। তাই আমরা সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থানে অবস্থান করছি। জানিনা আমরা নিজেকে আবারো সেই সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারব কিনা। তবে আমরা যদি নিজেরা চেষ্টা না করি তাহলে কখনই বিপরীতমুখী পথ থেকে নিজেকে ফেরানো যাবে না। অনেক সুন্দর কিছু কথা ও অসাধারন একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
সত্যি বলতে মাঝে মাঝে নিজের কাছেও অনেক খারাপ লাগে বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করলে, হৃদয়টা মোচড়ে উঠে।
একদম ঠিক বলেছেন, চোখের সামনেও অনিয়ম দেখেও আমরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করি। আসলে আমরা আমদের নিজের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত। নিজেকে কোনো ঝামেলাই জড়াতে চাই না।
কবিতার প্রতিটি লাইন পড়ে আবেগী হয়ে গেছি। প্রতিটি লাইনের পেছনে এক একটি গল্প লোকানো। অনেক ভালো লিখেছেন ভাই। অনেক অনেক ভালোবাসা আপনার জন্য। ❣️❣️❣️❣️
ভাইয়া আপনার কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অসাধারণ লিখেছেন আপনি। আসলে নিয়মের মাঝে আমরা যদি নিজেকে জড়িয়ে রাখি তাহলে সবকিছুই খুঁজে পাবো। আর যদি অন্যায়ের মাঝে সুখ খুঁজতে চাই তাহলে সারাজীবন ব্যথার তীব্রতা আমাদেরকে বয়ে বেড়াতে হবে। অনিয়মের তীব্র প্রতিযোগিতা আজ আমাদের জীবনকে অন্যায়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। নিয়মের মাঝে নিজেকে বেঁধে রেখে সুখ খোঁজার মাঝে অনেক বেশি প্রশান্তি রয়েছে। অসাধারণ একটি কবিতা লিখে সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা গুলো তুলে ধরেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ♥️♥️♥️
আসলেই নিয়মগুলো আমাদের কাছে এখন অনিয়মে পরিনত হয়েছে, নিয়মের বিষয়টি অনেকটা ভুলেই গেছি আমরা।
অনেক দিন পর এমন একটি বিস্ময় নিয়ে কবিতা পড়লাম। কবিতার প্রতিটি লাইন যেন আমাদের বাস্তব পৃথিবীর নিয়ম, আমাদের নিজেদের জীবনের নিয়ম এবং অনিয়মগুলোকে তুলে ধরছে। আমরা সবাই অনিয়মের তীব্র প্রতিযোগিতায় আছি। এখন যেন অনিয়মগুলোই এই পৃথিবীর নিয়ম।
আশা করছি আমরা আমাদের জীবনের অনিয়ম গুলোকে একপাশে সরিয়ে ,নিয়মে চলবো। এবং সবাইকে উৎসাহিত করব নিয়মে চলার। কারণ এই নিয়মই পারবে আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তুলতে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে কবিতা শেয়ার করার জন্য। সত্যি শুধু কবিতা লিখলে হয় না,কবিতার বিষয়বস্তু আকর্ষণীয় হতে হয়। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে কবিতাটি পড়ে। আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল। আশা করছি কবিতাটি আমাদের সকলকে নিয়মকানুন অনুযায়ী চলার পথে উৎসাহিত করবে💞।
জ্বী অনিয়মের নিয়ন্ত্রনে অনেকটাই কাবু আমরা বাঙালী জাতি, জানি না এ হতে কবে মুক্ত হতে পারবো আমরা।
কবিতার এই লাইনের কথা বেশ যুক্তিযুক্ত ছিল ভাই ।
এইটা একদম সঠিক ও সত্য কথা যে, আমরাই আমাদের নিজেদের অবস্থান আরো খারাপ করে ফেলি , শুধুমাত্র নিজেদের অপরিপক্কতার কারণে । কবিতার বহিঃপ্রকাশ বেশ ভাবার্থপূর্ণ ছিল ।
এখন আর হৃদয় ঝড় তোলার গল্প শুনতে চায় না, এখনো আর আমরা দুঃসাহসিক নাবিক হতে চাই না, বরং অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে বেশী আগ্রহী।
এমনটাই তো হচ্ছে ভাই । 🙏
বাঙালি জাতি আজ অতীত ইতিহাস হারিয়ে ভুল পথে চালিত হচ্ছে। অতীতের গৌরবগাথা এখন শুধুই স্মৃতি। সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে বা সত্যের পাশে না দাঁড়িয়ে সবাই যার যার নিজের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। দেশ বা সমাজের চাইতে এখন ব্যক্তিস্বার্থ সবার কাছে মুখ্য হয়ে উঠেছে। আর নিয়ম ভাঙা তো আমাদের কাছে যেন একটা অভ্যাস। যাইহোক বরাবরের মতই আপনার কবিতাটা আমাকে আবারো চমৎকৃত করল। জানতে ইচ্ছে করছে আপনি কবে থেকে কবিতা লেখা শুরু করেছেন। এই চর্চা কি আপনার কলেজ লাইফ থেকে নাকি আরো পরে?
বাস্তবতা তাই বলছে ভাই, আমরা এখন নিজের আখের গুছাতে বেশী ব্যস্ত, অন্য কিছু দেখার সুযোগ নেই।
লেখাগুলো পড়ে আমি নিজেও আবেগের বশবর্তী হয়ে গেলাম ভাই। সত্যি বাঙালি আজ তাদের ঐতিহ্য ভুলতে চলেছে। বাঙালি এখন পশ্চিমা সংস্কৃতি অনুসরণ করছে নিজেদের আচার সংস্কৃতি ভুলে। এই কথাগুলো যেন প্রতিবাদ হিসাবে আপনার কবিতার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিটা লাইন ছিল একেবারে যুক্তিসম্পন্ন।
আমরা তো নিয়মের মাঝে চলি না। এজন্যই হয়তো নিয়মের মধ্যে চলার সুখ টা আমরা বুঝতে পারিনা।
তবুও প্রত্যাশা করছি সবাই নিয়মের মাঝে ফিরে আসবে এবং নিজের হারানো অতীতকে উজ্জ্বল করবে।
কারণ আজকে আমরা সবাই নিজেদের পাপ বোধে ডুবে গেছি বিস্তৃতির অতলে। তাই অন্তরে রক্তক্ষরণ হলেও আমরা বুক চিতিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহস করে গর্জন তুলতে পারিনা।
আর আজকের কবিতার লাইনগুলো সত্যি আমাকে অনেক ব্যাথিত করলো।কথায় আছে না সুখে থাকলে ভূতে কিলায় আমাদের দশাও তাই। আমাদের উচিত সবার মানসিকতার পরিবর্তন আনা, সেইসাথে নিয়মের বেড়াজালে আবিষ্ট করে নিজেকে সুশৃংখল করে তোলা।আমরা কেউ নিয়মের বহির্ভূত নই,সবার জন্য রইলো ভালোবাসা।🖤🖤
খুব সুন্দর বলেছেন আপনি, সত্যি এগুলো এখন আর আমাদের হৃদয়কে উত্তেলিত করে না, আমরা অনুভূতিহীন হয়ে যাচ্ছি দিনকে দিন।
আসলেই স্বজাতির সফলতা চাই।আসলে আমাদের নিজেদের পালটানো উচিত,নিজের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আগেই শুধরানো উচিত।
প্রত্যাশা একই রকমের আমার, চাই তাদের পরিবর্তন তার সাথে বিজয়।
ভাইয়া, আপনার কবিতাটি পড়ে কবিতার মাঝে ডুবে গেছি। কবিতাটি একবার নয় দুইবার নয় তিন তিনবার মনোযোগের সাথে পড়েছি। পড়ছি আর ভাবছি এত সুন্দর কবিতা কত সুন্দর সাবলীল ভাষায় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। ভাইয়া আপনার কবিতা পড়ে সত্যিই আমি মুগ্ধ। আপনার কবিতা বাস্তবতার সাথে পুরোটাই মিলে গেছে। কবিতার দুই, চারটি লাইন লিখে বলতে পারছিনা যে এই লাইনটি আমার ভালো লেগেছে। আপনার লেখা পুরো কবিতাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার কাছে অসাধারণ সুন্দর লেগেছে। ভাইয়া ভালো কিছুর প্রশংসা কিভাবে করতে হয়,হয়তো অতটুকু ভাষা আমার জানা নেই। তবে এইটুকু বলতে পারি আপনার কবিতাটি পড়ে আমার এতটাই ভাল লেগেছে যে, আমার স্ত্রীকে বললাম সে যেন এই কবিতাটি মুখস্ত করে এবং আমাকে মাঝে মধ্যে পড়ে শোনায়। ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার অসাধারণ সুন্দর কবিতাটি লেখার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
েআপনাদের মুগ্ধতা আমাকে আরো বেশী অনুপ্রাণীত করে নতুনভাবে কিছু লেখার। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।