ঢাকা টু বগুড়া - বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার ভিন্ন অভিজ্ঞতা

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা,

এর আগের সপ্তাহে অফিসের সকল সহকর্মীদের নিয়ে ঢাকা হতে বগুড়া ভ্রমনে গিয়েছিলাম যদিও সেটা ছোট মানে শর্ট ভ্রমন ছিলো। কারন সকালে রওয়ানা দিয়ে রাতেই আবার ফিরে আসছিলাম। তবে এভাবে বিয়ে খেতে যাওয়াটা আমার প্রথম অভিজ্ঞতা না বরং এর আগে আরো বহুবার গিয়েছিলাম। যেহেতু অফিসের সবাই মিলে গিয়েছিলাম সেহেতু সেখানে অবস্থান করার সুযোগ ছিলো না কারন পরের দিন এসেই আবার অফিস করতে হয়েছিলো।

তবে এইবারের ভ্রমনটি একটু ভিন্ন অনুভূতির ছিলো কারন শীতকাল। সবাই বলেছে সেখানে নাকি প্রচুর শীত পরে তাই ঠান্ডার কাপড় বেশী নিতে হবে। আমি একটু বেশীই শীতের কাপড় নিয়েছিলাম যদিও সেগুলো লাগে নাই। কারণ সেদিনের আবহাওয়া বেশ ভালো ছিলো এবং আকাশে সূর্যের সুন্দর হাসিও ছিলো। যার কারনে শীত খুব একটা সুবিধা করতে পারে নাই আর আমাদের ভয়ও কাছে আসতে পারে নাই। কিন্তু কষ্ট করে ঠান্ডার ভয়ে গরম কাপড় নিয়ে গিয়েছিলাম।

আমরা মোট পঁচিশজন গিয়েছিলাম, খুব সকালে ঘুম হতে উঠে অফিসে চলে গিয়েছিলাম, সেখান হতে বাস ছেড়ে যায়। সকালের নাস্তার বিরতি দেয়া হয় সাভারের নবীনগর এলাকায়। তারপর শুরু হয় টানা যাত্রা। সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও আমরা কয়েকজন বেশ উপভোগ করেছিলাম যাত্রাটি। কারণ ঢাকা শহরের মাঝে লোকাল বাসে সকলের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয় আমরা সেটা দারুণভাবে অভিনয় করেছিলাম। মানে একটু পর একজন উঠে দাঁড়ালেন ভাড়া উঠানোর জন্য শুধুমাত্র অভিনয় করে সবাইকে একটু আনন্দ দেয়ার জন্য। এভাবেই আনন্দময় পরিবেশ তৈরীর মাধ্যমে যাত্রাটা আরো উপভোগ্য করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছিলো। চলুন তাহলে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কিছু উপভোগ করি-

IMG_20220211_110538.jpg

IMG_20220211_110544.jpg

IMG_20220211_121607.jpg

IMG_20220211_124251.jpg

IMG_20220211_124255.jpg

IMG_20220211_124259.jpg

IMG_20220211_124337.jpg

দৃশ্যগুলো বাস হতে ক্যাপচার করা হয়েছে যার কারনে কিছু ঘোলাটে দেখাচ্ছে, তবে কিছুটা কুয়াশাও ছিলো।
লোকেশনঃ ঢাকা-বগুড়ার সড়ক পথ।
ক্যামেরাঃ Redmi 9, Xiaomi স্মার্টফোন।

IMG_20220211_131143.jpg

IMG_20220211_134645.jpg

IMG_20220211_134720.jpg

IMG_20220211_134935.jpg

যেহেতু আমাদের যাত্রাটি ছিলো শুক্রবারে সেহেতু জুম্মার নামাজের জন্য একটা বিরতি নিতে হয়েছিলো।
লোকেশনঃ ঢাকা-বগুড়ার সড়ক পথ।
ক্যামেরাঃ Redmi 9, Xiaomi স্মার্টফোন।

IMG_20220211_141509.jpg

IMG_20220211_154320.jpg

IMG_20220211_154324.jpg

IMG_20220211_154435.jpg

IMG_20220211_162214.jpg

IMG_20220211_164520.jpg

IMG_20220211_155329.jpg

IMG_20220211_164527.jpg

IMG_20220211_173545.jpg

তারপর যথা সময়ে আমরা নির্দিষ্ট অবস্থানে পৌঁছালে দেরি না করে আগে বিয়ের বিশেষ খাওয়া খেয়ে নেই তারপর কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে নতুন দম্পত্তির সাথে ফটো শেসনে অংশগ্রহন করি। আজ এই পর্যন্ত পরবর্তীতে আরো কিছু দৃশ্য শেয়ার করার চেষ্টা করবো।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break.png
Leader Banner-Final.pngbreak.png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break.png

Banner.png

Sort:  
 2 years ago 

আমরা মোট পঁচিশজন গিয়েছিলাম,

এতো জন মানুষ এক সাথে কোথাও গেলে মজা হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়। এক দিকে বিয়ের দাওয়াত অন্য দিনে পিকনিকে জাওয়ার মতো মজা। যে গাড়িতে টাকা উঠানোর অভিনয় করছে যে মনে হচ্ছে অনেক ফানি। আমার বন্ধুদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যাদের সাথে কোথাও বেড়াতে গেলে অনেক মজা হয়।
আপনার ফটোগ্রাফিগুলো অনেক আকষনীয় ছিলো। সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক ভালো ছিলো তবে আমার কাছে চুলার ছবিটা বেশি ইউনিক মনে হয়েছে। এমন চুলা আগে আমি দেখি নাই।
 2 years ago 

এটা আপনি একদমই ঠিক বলেছেন, মানুষ বেশী থাকলে ভাই আনন্দটা বেশী হয় এবং বেশী মজা করা যায়।

 2 years ago 

ভাই আজকে আপনার ভ্রমণ কাহিনী শুনে খুবই ভালো লাগলো। ঢাকা থেকে বগুড়া শহরে এসেছিলেন বিয়ের দাওয়াত খেতে। আসলেই বিয়ের দাওয়াত মানেই অনেক মজা, অনেক সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। আপনি ঢাকা থেকে বগুড়া যাওয়ার পথে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলেই শীতকালের অন্যরকম অনুভূতি আর শীতকালে এরকম ভ্রমন খুবই ভালো লাগে। যেহেতু সেদিন আবহাওয়া ভালো ছিল, তাই শীতের কাপড় অতটা লাগেনি। তবে আমার খুবই ভালো লেগেছে আপনি যাত্রাপথে শুক্রবারে নামাজ আদায় করে নিয়েছেন, শুনে আমার খুবই ভাল লাগল। আসলে যাত্রাপথে ভ্রমণকাহিনীর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারলাম খুবই আনন্দ উপভোগ করেছেন। যাইহোক বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পরেই আপনি খাওয়া-দাওয়া সেরে নিলেন। খুবই ভালো লাগলো। নতুন দম্পতির জন্য রইল শুভকামনা এবং আপনার জন্য রইল আন্তরিক ভালোবাসা।

 2 years ago 

হুম ভাই যদিও খুব টেনশনের ছিলাম কিন্তু আবহাওয়াটা ভালো থাকায় ভ্রমনটা ভালো হয়েছিলো বেশ।

 2 years ago 

ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার ভ্রমণ কাহিনী আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ঢাকা টু বগুড়া ভ্রমণের অনেক সুন্দর একটি কাহিনী পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ঢাকা থেকে বগুড়া যেতে অনেক সময় লেগেছিল মনে হয়। তবে সবাই মিলে অনেক মজা করতে করতে এসেছেন এ জন্য সবারই নিশ্চয়ই অনেক ভালো লেগেছে। আর যেখানে আপনার মত একজন মজার মানুষ রয়েছে সেখানে সবাই আনন্দ পাবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি একজন মজার মানুষ এটা আমরা সবাই জানি। আপনি আপনার কথার মায়ায় সবাইকে বেঁধে ফেলেন। যেহেতু আপনি সকলের সাথে ছিলেন তাই সবাই নিশ্চয়ই অনেক উপভোগ করেছে এই ভ্রমণের সময় টুকু। তবে যাইহোক ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার ভ্রমণ কাহিনী আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া। আর নব দম্পতির জন্যও শুভ কামনা রইলো।

 2 years ago 

পুরো লেখাগুলো পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আসলে আমরা সেদিন বেশ আনন্দ করেছিলাম বাসের মাঝে বসে।

 2 years ago 

দাদা, পোষ্টের শিরোনামে বগুড়া নাম টা দেখেই ভেতরে কেমন একটা করে উঠল। আসলে আমার সব কিছু যে ওখানেই রেখে এসেছি। মনটা হয়তো সারা দিন ওখানেই থাকে। আশা করি সবটা বুঝতে পেরেছেন। করোনার জন্য যাতায়াত নেই অনেক দিন। সে যাই হোক, আসলে একটু অন্য রকম আবেগ চলে এসেছিল। পুরোনো অনেক কথা চোখে ভেসে উঠছিল।
ভালো ভাবে যে ঘুরে গেছেন এটাই অনেক বড় পাওয়া দাদা। বলা যায় বগুড়া আমার শহর। তাই এই শহরে আপনাকে বার বার স্বাগতম দাদা। অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

আর হ্যাঁ, নবদম্পতির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

হুম বুঝতে পেরেছি আপু আর বলতে হবে না। তবে এটাও সত্য আপনার শহরটা খুব সুন্দর যদিও খুব বেশী সময় ছিলাম না আর দইটা বেশী স্বাদের ছিলো হা হা হা হা।

 2 years ago 

ভাইয়া,আপনার এমন অভিজ্ঞতা ভালই লাগলো।বাসের মধ্যে এভাবে অভিনয়ের সাথে ভ্রমণ করার ব্যাপারটা আমার খুব মজা লাগলো।আমরা যখন স্কুল থেকে পিকনিকে যেতাম তখন এমন করতাম,আনন্দ করতে করতে ভ্রমণ করতাম।আপনার এই ঢাকা-বগুড়া ভ্রমণ কাহিনী ভালোই লেগেছে পড়ে।

 2 years ago 

হুম মাঝে মাঝে ভিন্নভাবে কিছু উপভোগ করার মাঝে বেশ আনন্দ পাওয়া যায়, সেদিনের আনন্দগুলো সেই রকম ভিন্ন অভিজ্ঞতা ছিলো।

 2 years ago 

ভাই আপনি আমাদের উত্তরবঙ্গে ঘুরতে এসেছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো।বগুড়া শহর আমার অনেক ভালো লাগে।জানিনা আপনারা এখানে আসে ঘুরেছেন কিনা। বাসের মধ্যে আপনারা সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।যদিও শীতের কাপড় গুলো কোনো কাজে লাগেনি,আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে।ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্ত এবং ছবিগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে ভাই খুব বেশী সময় থাকতে পারি নাই এবং চারপাশের দৃশ্যগুলো খুব একটা ঘুরে দেয়া হয় নাই তাই পরবর্তীতে আবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.

Manually curated by @jasonmunapasee

r2cornell_curation_banner.png

 2 years ago 

ভাই আপনারা সবাই খুব চালাক হয়ে গেছেন। আকর্ষণ শুরু হতে না হতেই শেষ করে দেন। মাঝে মাঝে কর্মস্থল থেকে দূরে এরকম অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারলে খারাপ লাগে না। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

হা হা হা মাঝে মাঝে একটু চালাকি না করলে কি আর হয় ভাই, একটু চালাক না হলে দুনিয়াতে টেকা দায়।

 2 years ago 

ভাইয়া আমি সর্বপ্রথমে একটি কথাই বলতে চাই আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমাদের সকলের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনি একদিকে যেমন সুন্দর একটি ভ্রমণ করেছেন অন্যদিকে বিয়ে বাড়িতে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। অনেক দূর থেকে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। একদিকে যেমন বিয়েতে থাকা হয়েছে অন্যদিকে ভ্রমণ করা হয়েছে। বর বউকে দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাদের আগামী দিনের চলার পথ যেনো আরো সুন্দর হয় এই কামনাই করছি ভাইয়া। আশা করছি পরবর্তীতে আরো কিছু ভ্রমণের দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। এই প্রত্যাশাই রইলাম ভাইয়া।

 2 years ago 

আসলে এই ভ্রমনটা নিয়ে বেশ একটা উত্তেজনা ছিলো আমাদের সকলের মাঝে কারন এতো দূরে এতো শর্ট ভ্রমন কিন্তু সব কিছু ঠিক ঠাক হওয়াতে ভালোই লেগেছিলো।

 2 years ago 

বাহ এতো গুলো মানুষ আপনারা বিয়েতে গিয়েছেন, বেপারটা বেশ দারুন, গাড়িতে একজন মজা করে টাকা তুলতে ছিলো, এটা আমার কাজে বেশ মজা লেগেছে।

 2 years ago 

জ্বী ভাই পুরো অফিসের সবাই মিলে গিয়েছিলাম, একটা বাস রিজার্ভ করে নিয়ে গিয়েছিলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66937.04
ETH 3270.78
USDT 1.00
SBD 2.74