শুভ দুপুর বন্ধুরা,
একটা বিষয় সব সময়ই সত্য আর সেটা হলো তিক্ত অনুভূতির শেষে ভালো অনুভূতির সূচনা, তবে এর জন্য চাই ধৈর্যশক্তির পূর্ণ ব্যবহার। কারন সমস্যার শেষ আছে এবং তার জন্য সঠিক সময়ের অপক্ষা করতে হবে, না হলে সমস্যার জায়গায় সমস্যা থেকে যাবে কিন্তু আমরা হারিয়ে যাবো অথবা হতাশায় তলিয়ে যাবো। এটা আসলে আমরা অনেক সময় মেনে নিতে পারি না কারন অনাকাংখিত নানা পরিস্থিতি আর তিক্ত অনুভূতির স্বাদ আমরা সামলাতে পারি না।
তবে আমি আগেই বলেছিলাম যে তিক্ত অভিজ্ঞতা কিংবা অনাকাংখিত পরিস্থিতির সম্মুখীন আমি বহুবার হয়েছি, হয়তো সামনে আরো হবো তাই আমি এটা নিয়ে খুব বেশী ভাবি না বরং নিজেকে নিয়ন্ত্রন কিংবা ধৈর্যশীলদের দলে রাখার চেষ্টা করি। কারণ আমি জানি তিক্ত অনুভূতির শেষ হবে এটা কখনো চিরস্থায়ী না বরং এর পরের অনুভূতিগুলো আরো বেশী মিষ্টিময় হবে এবং তিক্ততা হারিয়ে যেতে বাধ্য হবে। একটা কথা প্রচলিত রয়েছে, আঘাতে আঘাতে নাকি মানুষ পাথর হয়ে যায় আর তখন সবকিছু সহ্য করে নেয়ার ক্ষমতা তৈরী হয়ে যায়, আমি পাথর না হলেও কিছুটা শক্ত হয়েছি। না তবে চেক করার সুযোগ পাবেন না, তাহলে আবার ভেঙে যেতে পারি, হি হি হি।
W3W Location Code: https://what3words.com/rungs.rated.wriggled
Device: Redmi 9, Xiaomi
যদিও কাল সারাদিন প্রচন্ড টেনশনের মাঝে ছিলাম এবং প্রায় পুরো দিনটাই বাহিরে দৌড়ের উপর ছিলাম। মাঝ খানে অল্প কিছু সময়ের জন্য অনলাইনে ছিলাম, আর সেই ফাঁকে হ্যাংআউটের রিপোর্টটি সম্পন্ন করেছিলাম। রাতে ঘুমানোর সময় হঠাৎ করেই মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেয় এবং বলে কানে ব্যথা হচ্ছে, বাচ্চাদের কান্নাকাটি একদম সহ্য করতে পারি না আমি, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না সত্যি, সারারাত খুব একটা ঘুমাতে পারি নাই।
W3W Location Code: https://what3words.com/rungs.rated.wriggled
Device: Redmi 9, Xiaomi
সকালে উঠেই ছুটেছি হাসপাতালে, কারন বিষয়টিকে অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই, তাই সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত তিনটি হাসপাতালে গিয়েছি কোথায় কানের ডাক্তার পেলাম না, কারন শুক্রবার ছুটির দিন। এরপর আবার সন্ধ্যায় আরো তিনটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম তাতেও কাজ হয় নাই। সত্যি মাঝে মাঝে এই রকম পরিস্থিতি মেনে নেয়া বেশ কষ্টকর হয়ে যায়, এতো এতো ডাক্তার আমাদের দেশে কিন্তু কাজের সময় কাউকেই পাওয়া যায় না, কি অদ্ভুত! তবে বিষয়টা ক্লিয়ার করেছেন আমাদের শুভ ভাই।
W3W Location Code: https://what3words.com/butlers.normal.wakes
Device: Redmi 9, Xiaomi
ছুটির দিনগুলোতে ভালো ডাক্তাররা শহরের মাঝে থাকে না কিংবা খুব একটা রোগি দেখেন না, বরং তারা নিজ নিজ গ্রামের বাড়ীতে চলে যান এবং সেখানে রোগি দেখেন যার কারনে আমি কাল সারাদিন চেষ্টা করেও কানের ডাক্তারের সাথে সাক্ষাত করতে ব্যর্থ হয়েছি। তবুও বিষয়টি মেনে নিতে পারি নাই, কারন যে সকল হাসপাতাল এবং চেম্বারে আমি গিয়েছি সেগুলোতে অবশ্যই ডাক্তার থাকা উচিত ছিলো। আসলে কাংখিত বিষয়ে আপনি যখন সহযোগিতা পেতে ব্যর্থ হবেন তখন সে বিষয়ের প্রতি আপনার আস্থাটা দারুণভাবে হ্রাস পাবে, আমার অবস্থা গতকাল তাই হয়েছিলো।
W3W Location Code: https://what3words.com/butlers.normal.wakes
Device: Redmi 9, Xiaomi
তবে মাঝের সময়টা মানে দুপুরের দিকে হঠাৎ ফোন আসে, স্যার আপনার ল্যাপটপটি ঠিক হয়ে গিয়েছে, আজই নিয়ে যেতে পারেন। আর দেরী করি নাই সাথে সাথে সার্ভিস সেন্টারে চলে গেলাম এবং ল্যাপটপটি নিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসলাম। সত্যি বলতে তখনকার অনুভূতির বিষয়টি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আর ল্যাপটপের কারণেই খুব দ্রুত হ্যাংআউট রিপোর্টটি সম্পন্ন করতে পেরেছিলাম, না হলে আমার বারোটা বেজে যেত, হি হি হি। কারন পুরান ল্যাপটপের যে গতি, কচ্ছপও বিজযী হয়ে যাবে নিশ্চিন্তে যদি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
W3W Location Code: https://what3words.com/rungs.rated.wriggled
Device: Redmi 9, Xiaomi
আসলে এটাই জীবন, অনাকাংখিত পরিস্থিতি তৈরী হবে আবার তা মুছে নতুন অনুভূতির সূচনা হবে এটাই সাভাবিক, তবে আমাদের সব কিছু মেনে নেয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আর স্মরণে রাখতে হবে পরিস্থিতি যাইহোক আমাদের ঘাবড়ে গেলে চলবে না বরং সেটা মেনে নিয়ে নিজেকে ঠিক রাখার চেষ্টা করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
হা ভাইয়া দিনশেষে এটাই মেনে নিতে হবে, যা আমাদের সাথে ঘটে যায়, তাই ঘাবড়ে গেলে চলবেনা, প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ঘটে যাবে আবার সেটা মুছে দিয়ে নতুন কিছু তৈরি হবে এটাই স্বাভাবিক। এভাবে দিনের পর দিন প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে আমাদের, তবে ভাইয়া সবথেকে বেশি খারাপ লেগেছে ডাক্তারের বিষয়টা, এতগুলো হসপিটালে ঘুরাঘুরির পর একটি ডাক্তার পাওয়া গেল না, এই জিনিসটা সত্যিই মর্মান্তিক ছিল।
ভাইয়া কালকে আপনি সারাদিন খুব ব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়েছি এটা আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম। আসলে শুক্রবারে শহরাঞ্চলে ভালো ডাক্তার পাওয়া খুবই মুশকিলের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারন শুক্রবার ছুটির দিনে তারা শহর থেকে দূরে ছোট শহরগুলোতে যায় রোগী দেখার জন্য। আবার অনেকে তার নিজ গ্রামের মানুষের চিকিৎসার জন্য গ্রামের বাড়িতে যায়। তবে কিছু কিছু এক্ষেত্রে কিছু কিছু ডাক্তার সব সময় থাকা উচিত। কারণ অসুখ-বিসুখ তো আর ছুটির দিন মানে না। যাই হোক অবশেষে আপনি আপনার ল্যাপটপ ঠিক করার খবর পেয়ে যে খুশি হয়েছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। অবশেষে আপনার তিক্ত অনুভূতির অবসান হয়েছে এটাই অনেক। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ঠিক তাই, কিন্তু শহরের হসপাতালগুলোর উচিত বিকল্প ব্যবস্থা রাখা যাতে রোগিরা ফেরত না যায়। ধন্যবাদ
ভাই আপনি না কিছুদিন আগে নতুন ল্যাপটপ কিনলেন? সেই ল্যাপটপে সমস্যা হলো কিভাবে? বিষয়টা তো খুবই চিন্তার। আসলে বাচ্চাদের কোন সমস্যা হলে বাবা মা ঠিক থাকতে পারে না। আর সেই সময় যদি আপনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাহলে ব্যাপারটা খুবই অমানবিক হয়ে যায়। আশাকরি আপনার বাচ্চা এখন ভালো আছে। আপনাদের জন্য অনেক দোয়া রইল।
জ্বী ভাই দুইমাসও হয় নাই, কিন্তু অনাকাংখিতভাবে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং তারপর তাকে সার্ভিস সেন্টার এ ভর্তি করতে হয়েছিলো। মেয়েকে আজ ডাক্তার দেখাবো সন্ধ্যায়। ধন্যবাদ
আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পেরেছি যে কাল আপনি প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝে কাটিয়েছেন। ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চারা কাঁদলে নিজেদের কিছু ভালো লাগে না খুব অস্তির লাগে।আমাদের এখানে ও ছুটির দিনে ডাক্তার পাওয়া যায় না। বড়ো বড়ো ডাক্তাররা সব ছুটিতে বাড়ি চলে যায়। তবে এটা ঠিক না। কারণ অসুখ তো ছুটি দেখে আসে না। যেকোনো সময় আসতে পারে।তবে আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতার অবসান হয়েছে এটা জেনে ভালো লাগলো।ভাইয়া আপনার মেয়ে এখন কেমন আছে? আপনার ও আপনার মেয়ের জন্য শুভকামনা রইলো।
মোটামোটি আছে বৌদি, আজ সন্ধ্যা ছয়টায় ডাক্তার এর সিরিয়াল দেয়া আছে, দেখি ডাক্তার দেখে কি বলেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আপনার মেয়ের অসুস্থতার কথা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। দোয়া করি তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে যায়। ছোট বাচ্চারা অসুস্থ হলে খুবই খারাপ লাগে। সঠিক সময় যদি সঠিক চিকিৎসা না নেয়া হয় তাহলে আরো বিপদে পড়তে হয়। আপনার মেয়ে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক এই কামনাই করি।
ছোট বাবুদের কিছু হলে মন টা আসলেই অস্থির হয়ে যায়। ভেতরে ছট্ফট্ করতে থাকে। এই অনুভূতি টা আমি নিজেও বুঝি দাদা। তবে এমন দরকারের সময় ভালো ডাক্তার না পাওয়াটা সত্যিই কষ্টদায়ক। প্রার্থনা করি বাবু তাড়াতাড়ি সুস্থ্ হয়ে আবার আগের মত হাসি খুশি হয়ে খেলা করুক।
কালকে আপনার পুরো দিনটিই ব্যস্ততা এবং বিষন্নতায় ভরা ছিল। তবে আপনি অনেক ধৈর্যশীল একজন মানুষ। আপনি নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখতে পারেন। ধৈর্যশীল মানুষ মহৎ ব্যক্তি আপনি তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আপনার মেয়ের কানের সমস্যা হওয়ায় রাতে ঘুমাতে পারেন নাই। বাচ্চাকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন। আমিও বাচ্চাদের কান্নাকাটি টোটালি সহ্য করতে পারি না কেন তা জানি না। ডাক্তারকে নিয়ে আপনার খুব রাগ হচ্ছিল, ডাক্তার কাছে এতো দৌড়াদৌড়ি এসব খুব কষ্টদায়ক। আমাদের দেশে এত ডঃ থাকতে সময় মত একজন ডাক্তার না পাওয়া এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। পরবর্তীতে শুভ ভাই আপনার সমস্যার সমাধান দিতে পেরেছে শুনে খুশি হলাম। আর আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সব শেষে একটি কথায় বলবো, কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে, আপনার পরিশ্রমের ফল আপনি নিজ হাতে পেয়েছেন। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা পোস্ট ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জ্বী ভাই গতকালের দিনটা আমার জন্য খুবই অস্থিরময় ছিলো, বেশ টেনশনের মাঝে ছিলাম। হ্যা, আমিও মনে করি ছুটির দিনগুলোতেও হাসপাতালসমূহের সেবা নিশ্চিত করা উচিত। ধন্যবাদ
বিষয়টি আপনার জন্য খুবই দুঃখজনক। কিন্তু ডাক্তাররা শুক্রবার একটা দিনে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ পায়। তাই তারা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে থাকেন। যদিও তাদের চেম্বার এ থাকা দরকার ছিল। একটা দিনের চাঞ্চল্যকর অবস্থা এবং ধৈর্যের দৃষ্টান্ত ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু শিখতে পারি। আপনার পোস্টগুলো নিয়মিত পড়ে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর লেখা শেয়ার করার জন্য।
আসলেই আমাদের সবার জীবনই সমস্যা আছে। আমরা তা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারি না। খুব সহজেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলি আমাদের উচিত হবে ধৈর্য না হারিয়ে আমাদের ধৈর্যশীল হতে হবে।বিপদ আসে এটা চিরস্থায়ী হয় না তাই আমাদের সকল বিপদ মোকাবেলা করে। সামনের দিকে এগুলোই একমাত্র লক্ষ্য।আসলেই খুব দৌড়ের উপরে ছিলেন ডাক্তার দেখানোর জন্য আর আপনার মেয়ের কানের সমস্যা হচ্ছে আসলেই কাজের সময় কোন কিছুই পাওয়া যায় না আর ডাক্তাররা ছুটি পেলে গ্রামে চলে যায় আর ল্যাপটপ টা সেরে গেছে খুবই ভাল লেগেছে ভাইয়া। এককথায় দারুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে