পায়ের গোড়ালীর হাড় ফাটা এক রুগীর গল্প
দেখে ডান গোড়ালী বেশ ফোলা মনে হলো। পা পেতে হাটতে পারছিলেন না। বেশ ব্যথা। একটা এক্সরে করার কথা বললাম। রাজী হলেন। এক্সরেতে দেখা গেল যে গোড়ালীর হাড়টা, যেটা কে ক্যালকেনিয়াম বলে, শরীর সবচেয়ে শক্তপোক্ত হাড়গুলোর মধ্যে একটা, ফেটে গেছে কিছুটা। বড় ধরণের ভাংগা না। কিন্তু স্বাভাবিকও না।
এধরণের ক্ষেত্রে সাধারণত আক্রান্ত হাড়ের উপর ভর দিয়ে হাটাচলা করা নিষেধ। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই নিষেধাজ্ঞা মানতে না পারে, তাহলে প্লাস্টার করে দেয়াই ভাল। উনাকে বিষয়টা বুঝিয়ে বললাম। উনি প্লাস্টার করতে রাজি হলেন না। ডান পায়ে ভর দিয়ে হাটবেন না, এমনই প্রতিজ্ঞা করলেন, অন্তত সপ্তাহ দুয়েক।
একটা ব্যথার ইনজেকশান দিলাম ব্যথা কমানোর জন্যে। কিছু ব্যথার ওষুধ, মলম আর একটা ক্রেপ ব্যান্ডেজ লিখে দিলান। বিদায় হলে উনি।
মুহুর্তের মধ্যে একটা এক্সিডেন্ট ঘটে যেতে পারে আমাদের জীবনে। এক সেকেন্ড আগেও বোঝা যায় না অনেক সময়। এটা আমাদের দুনিয়াবী জীবনের একটা দারুন দিক,যেটা জ্ঞানবানদের জন্যে চিন্তার খোরাক যোগায়। আসলে আমাদের এত হম্বিতম্ভি, এত পাওয়ার, তা মুহুর্তের মধ্যেই গায়েব হয়ে যেতে পারে। এজন্য সব সময় হাম্বল থাকাটা জরুরী। যার হাতে সবকিছুর চাবিকাঠি, সার্বক্ষনিক তার কাছেই প্রটেকশান চাওয়া উচিত সব রকমের বালা-মুচিবত থেকে।
আজকে এ পর্যন্তই। কেমন লাগলো আজকে লেখাটি তা অবশ্যই জানাবেন কমেন্টের মাধ্যমে। ভাল থাকুন সবাই।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নিরন্তর
ডা হাফিজ
Discord: hafiz34#3722
ওমান
পহেলা নভেম্বর, ২০২৪
হঠাৎ করেই আমাদের এরকম এক্সিডেন্ট ঘটে যায় মনের অজান্তে। লোকটির ক্ষেত্রেও ঠিক সেরকমই হয়েছিল। কিন্তু লোকটি মনে হয় পা প্লাস্টার করে গেলেই ভালো হতো। সাবধানতা বসত পায়ে ওজন দিয়ে ফেললে তখন বিপত্তি ঘটতে পারে। যাই হোক রোগীদের এরকম গল্প গুলো আপনার পোস্ট থেকে পড়তে ভালোই লাগে।