করোনা টিকা কি প্রেগনেন্সী অবস্থায় বা বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো অবস্থায় নেয়া যাবে? [10% beneficiary to @shy-fox]
আমাদের অনেকের মধ্যেই এখনো করোনা টিকা নেয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ কাজ করছে। যারা মজ্জাগতভাবেই টিকা বিরোধী (Anti-Vaxxers) তাদের কথা বাদ দিলেও, আমজনতার অনেকেও টিকা নিতে চাচ্ছেন না। অনেকে আবার নিজেরা নিলেও তাদের অন্ত্বসত্ত্বা স্ত্রীদেরকে বা বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়েদেরকে টিকা দিতে অনীহা বোধ করছেন। তাদেরকে দোষ দেয়া যাবে না, কেননা এই করোনা টিকা নিলে পেটের বাচ্চার কিং দুধের বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে না এমন কোন গ্যারান্টি কেউই দিতে পারছে না। তবে মনে হয় অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। নতুন একটা রিসার্সের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে এই টিকা নেয়ার ফলে প্রেগনেন্সি কিংবা দুধ খাওয়ানোর উপর বাড়তি কোন খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। ফাইজার এবং মডার্নার ব্যাপারে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। চলুন সংক্ষেপে আমরা জেনে নেই এই রিসার্স সম্পর্কে।
এই ছবিটি পিক্সাবে থেকে নেয়া হয়েছে
এই রিসার্সের মোট অংশগ্রহণকারী ছিলেন ১৭৫২৫ জন বয়স্ক মহিলা। রিসার্সটি হয়েছে আমেরিকাতে। এটা পরিচালনা করেন ড আলিসা কাচিকিস। উনি হচ্ছে সিয়াটলের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ। এই রিসার্সটি পরিচালিত হয়েছে ২০২১ সালে জানুয়ারি মাস থেকে মার্চ পর্যন্ত।
এই অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন তিন ক্যাটাগরির। ৭৮০৯ ছিলেন প্রেগনেন্ট, ৬৮১৫ জন ছিলেন যারা তাদের বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন এবং বাকী ২৯০১ জন ছিলেন যারা বাচ্চা নিতে চাচ্ছিলেন। শতকরা অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪৪.৬ ভাগ ছিলেন অন্ত্বসত্ত্বা, ৩৮.৭ ভাগের দুধের বাচ্চা ছিল এবং ১৬.৫ ভাগ বাচ্চা নিতে আগ্রহী ছিল এরকম। এদের সবাই হয় ফাইজার না হয় মডার্নার টিকা পেয়েছিল।
পোষ্টটা কে ছোট রাখার জন্যে আমি বেশী ডিটেইলস এ যাচ্ছি না। আমি শুধু ফলাফল টা জানাচ্ছি। শতকরা ৯৭% অংশগ্রহণকারীরা কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জানান। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো হচ্ছে ইনজেকশন দেয়ার জায়গায় ব্যথা (injection site pain) এবং কিছুটা অবসাদ ভাব লাগা (Fatigue)। এটা আমরা যারা টিকা নিয়েছি সবারই কম-বেশী হয়েছে। প্রথম ডোজের তুলনায় দ্বিতীয় ডোজে তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিছুটা বেশী হয়েছে, কিন্তু ঐ গুলোই হয়েছে, নতুন বা খারাপ কোন রিয়াকশান হয় নাই।
যারা বাবুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছিলেন, তারা জানান যে, তাদের মধ্যে শতকরা ৫ জন প্রথম ডোজের পর এবং শতকরা ৭.২ জন দ্বিতীয় ডোজের পর লক্ষ্য করেন যে বাচ্চা দুধ কম পাচ্ছে, বা পাচ্ছে না, বিশেষ করে টিকার নেয়ার প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, অন্যদের মতই এই গ্রপের মহিলাদেরও একই রকম পার্শপ্রতিক্রিয়ায় পাওয়া যাচ্ছে। ভিন্ন কিছু না। তবে রিসার্সরা এটা স্বীকার করেছেন যে এই রিসার্সের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তারপরও এই ফলাফল অবশ্যই আশাব্যঞ্জক।
সুতরাং টিকা নেয়া সুযোগ থাকলে প্রেগনন্ট মহিলারাও টিকা নেয়ার বিষয়টা বিবেচনা করতে পারেন।
আজকে তাহলে এপর্যন্তই। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে কিছু নতুন তথ্য জানতে পেরেছেন। কিছু জানার থাকলে বা জানানোর থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আশা করি।
আবারো ধন্যবাদ।
হাফিজ
ওমান।
বাহ ভালো একটি তথ্য দিয়ে পোস্ট টা করেছেন। আমাদের বাড়িতে এই দ্ধিধার জন্য তিনজন টিকা নেয় নি। এবং ইনশাআল্লাহ আমি আগামীকাল টিকা নেব। এইরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করতে থাকবেন। ধন্যবাদ।
টিকা নেয়ার সুযোগ থাকলে নিয়ে নেন ভাই। কোন সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্যে।
আজ আসছি। দেখা যাক কী হয়।।।
ভাই খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট করেছেন। আসলে এটা নিয়ে প্রচুর কনফিউশন আছে মানুষের ভেতরে। আপনি একটা রিসার্চের ফলাফলের কথা আলোচনা করলেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই রিসার্চের ফলাফল আসলে কতটা অথেন্টিক? কারণ বিগত কিছুদিন ধরে দেখছি একেক বার একেক ধরনের কথা বলা হচ্ছে করোনা নিয়ে। যার ফলে এখনই কোন কনক্লিউশন এ আসা একটু কঠিন। তারপরেও একটু সাহস করে হয়তো টিকা নিয়ে ফেলা যায়। ধন্যবাদ ভাই।
এই রিসার্সের ফলাফল অথেন্টিক কিন্তু এর কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে।যেমন এটা শুধু ফাইজার এবং মডার্নার টিকা নিয়ে করা হয়েছে। অন্যান্য টিকাগুলোর ব্যাপারে এটা করা হয় নাই। এটা ট্রায়াল পর্যায়ের মত সিলেক্টেড অংশগ্রহণকারীদের উপর করা হয়েছে, আমজনতার উপর করা হয় নাই।
ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্যে।
করোনা টিকা আমাদের সকলের নেওয়া উচিত। এতে করে আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। খুব চমৎকার একটি পোস্ট সেই সাথে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ ভাই। এটা জেনে ভাল লাগল যে আপনার কাছেও এই পোষ্টটা ভাল লেগেছে।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আপনার এই লেখনির মাধ্যমে অনেকে উপকৃত হবে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্টের জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকেও পোষ্টটি পড়ার জন্যে এবং কমেন্ট করার জন্যে।