"রুই মাছের ডিম দিয়ে উচ্ছে-আলু ভাজি রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আবারো একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে।সেটি হলো-"রুই মাছের ডিম দিয়ে উচ্ছে-আলু ভাজি রেসিপি"।
যেকোনো মাছের ডিম খেতে আমি খুবই পছন্দ করি।এমনকি আমি সেই মাছ না খেলেও মাছের ডিম খেতে কিন্তু ছাড়ি না,হি হি☺️☺️।আমার মনে হয় সবাই কমবেশি মাছের ডিম খেতে পছন্দ করেন।ডিম দিয়ে অনেক ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়।যেভাবেই করা হোক না কেন ডিমের রেসিপি খুবই মজাদার ও সুস্বাদু খেতে হয়।এছাড়া গরমের সময় উচ্ছে ভীষণ উপকারী শরীরের জন্য।যেকোনো তেতো জিনিস খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি উপকারী ও বটে।তাই আমি উচ্ছে ও আলু দিয়ে রুই মাছের ডিম ভাজি করেছি।মূলত মাছের ডিমটি আলাদা করে কেনা নয়।পরশুদিন বাবা একটি জ্যান্ত রুই মাছ কিনেছিলেন ,আর মাছটি কাটার পর দেখি সুন্দর ডিম হয়েছে।তাই ভাবলাম ভাজি করি উচ্ছের সঙ্গে।তেতো সবজিতে কখনো ঝাল ব্যবহার করতে নেই তাই আমি এটিতে ঝাল দিইনি আর জল ও ব্যবহার করিনি।যাইহোক চলুন দেখে নেওয়া যাক রেসিপিটি---
◆উপকরনসমূহ◆
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
1 | আলু | 4 টি |
2 | উচ্ছে | 7 টি |
3 | রুই মাছের ডিম | 150 গ্রাম |
4 | লবণ | 1 টেবিল চামচ |
5 | হলুদ | 1/2 টেবিল চামচ |
6 | বড়ো পেঁয়াজ কুচি | 3 টি |
7 | গোটারসুন কুচি | 2 টি |
8 | সরিষার তেল | 100 গ্রাম |
◆প্রস্তুত প্রণালি◆
➤প্রথম ধাপে আমি কিছু আলু ও কিছু উচ্ছে কুচি করে কেটে নিয়েছি বটির সাহায্যে।
➤এবারে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি করে নিয়েছি।এবারে জল দিয়ে ধুয়ে নেব।
➤এরপর মাছের ডিমগুলো ধুয়ে নিয়ে আমি লবণ ও হলুদ মিশিয়ে নিয়েছি পরিমাণ মতো।
➤এবারে পরিষ্কার একটি কড়াই বসিয়ে দেব চুলার মিডিয়াম আঁচে।তারপর তেল দিয়ে গরম করে নেব কড়াইটি।
➤তেল গরম হলে লবণ ও হলুদ মিশ্রিত ডিমটি দিয়ে দেব কড়াইতে।
➤এবারে উল্টেপাল্টে বাদামি রঙের করে ভেঁজে নেব।
➤ডিমটি ভাজি করা হয়ে গেলে কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে দেব।এরপর সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে নেড়েচেড়ে নেব পেঁয়াজ ও মাছের ডিমটি।
➤এবারে কিছু সময় ভেঁজে নেব পেঁয়াজ ও রসুনগুলি।
➤এরপর কেটে রাখা সবজিগুলো আমি ধুয়ে নেব জল দিয়ে।
➤এবারে সবজিগুলো দিয়ে দেব পেঁয়াজ ভাজির মধ্যে।
➤এরপর নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নেব উচ্ছে ও আলুগুলো।এবারে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব কয়েক মিনিটের মতো।
➤এবারে ঢাকনা খুলে আলু ও উচ্ছেগুলি নেড়েচেড়ে নেব।এরপর সেদ্ধ হয়ে গেলে সামান্য তেল দিয়ে দেব আবারো।আরো 5 মিনিট রেখে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নেব ভাজিটি একটি পাত্রে।
➤তো তৈরি করা হয়ে গেল"রুই মাছের ডিম দিয়ে উচ্ছে-আলু ভাজি রেসিপি"।এটি খেতে খুবই মজাদার।এবার এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে রুই মাছের ডিম দিয়ে করলা ও আলু ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এক দৌড় দিয়ে গিয়ে খেয়ে আসি। আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করেছেন ।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হি হি☺️☺️এটি করলা উচ্ছে নয় ভাইয়া, দেশি উচ্ছে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি আপনার মত আমিও সব মাছ পছন্দ না করলেও সব মাছের ডিম আমার খুবই প্রিয়, আমিও কয়েকদিন আগে মাছের ডিম দিয়ে সুস্বাদু আলু ভাজি করেছিলাম তাই এর স্বাদ আমার খুবই পরিচয়, আপনি আরো দিগুণ স্বাদ আনতে উচ্ছে দিয়ে রান্না করেছেন, সেটি সত্যি অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে, রেসিপি দেখেই অনেক ্টা লোভ লেগে গেলো আপু মনি, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
এভাবে রান্না করলে খুবই মজার খেতে হয় ভাইয়া, আর ডিম আমার খুব প্রিয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা একদম ইউনিক একটা রেসিপি। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে এটি খেতে কিছুটা হলেও তে তো লাগতে পারে। রেসিপিটা কিন্তু সম্পন্ন করা হয়েছে অনেক চমৎকার প্রক্রিয়ায়। ধন্যবাদ ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য
ভাইয়া, এটি একদম তেতো লাগেনি।কারণ সুস্বাদু মাছের ডিম ও আলু দেওয়াতে তেতোভাব চলে গিয়েছে।খেয়ে দেখবেন,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমাদের বাসায় ইলিশ মাছের ডিম দিয়ে করল্লা ভাজি করা হয়।আমার কাছে খেতে বেশ ভালো লাগে।আপনার রুই মাছের ডিম দিয়েউচ্ছে-আলু ভাজি দেখতে বেশ দারুন হয়েছে,পানি ব্যবহার করেননি বিদায় উচ্ছে-আলু ভাজি ভাজা ভাজা হয়েছে,খেতে ভালোই লাগবে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু,ভাজি জিনিসে আমরা খুবই কম কিংবা কখনো মোটেও জল ব্যবহার করিনা।এতে প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায়, ধন্যবাদ আপু।
মাছের ডিম আমারও বেশ প্রিয়। তবে আপনি আজকে যে রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, আমার কাছে খুব ইউনিক লাগছে। কারন উস্তা আর আলু দিয়ে মাছের ডিম ভাজি এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখেই বুঝা যাচ্ছে রেসিপিটার নতুন একটা স্বাদ পাওয়া যাবে। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এভাবে খেয়ে দেখবেন একদিন ভাইয়া, দারুণ স্বাদের।ধন্যবাদ আপনাকে।
রুই মাছের ডিম খাইতে অনেক সুস্বাদু দিদি। আমার কাছে বহুত ভালো লাগে। আর নতুন নতুন অনেক নাম শিখছি। করলা কে উচ্ছে বলে এটা নতুন জানলাম। সব মিলিয়ে আপনার রুই মাছের সাথে উচ্ছে ভাজির রেসিপি অসাধারন হয়েছে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
@razuahmedভাইয়া এটি করলা উচ্ছে নয়,আমরা করলাকে করলাই বলি।তাছাড়া করলা উচ্ছে তো অনেকটা বড়ো ও লম্বা সাইজের হয়।এগুলো ছোট ছোট সাইজের, দেশি উচ্ছে।আশা করি বুঝতে পেরেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
রুই মাছের ডিম দিয়ে উচ্ছে ভাজির রেসিপিটা সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। কালার টা খুবই সুন্দর হয়েছে। এরকম ভাজি হলে আর কিছু লাগেনা এক প্লেট ভাত অনায়াসে খাওয়া যায়। তবে আমি কখনো উচ্ছে দিয়ে মাছের ডিম ভাজি করিনি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এভাবে ভাজি করলে খেতে খুবই ভালো লাগবে। আমি অবশ্যই বাসায় এভাবে ট্রাই করে দেখব। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হি হি,☺️☺️ঠিক বলেছেন আপু।একদিন এভাবে অবশ্যই খাবেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
যে কোন মাছের ডিম খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু আপনি রুই মাছের ডিম দিয়ে উচ্ছে যেটাকে আমরা করোলা বলে থাকি। এভাবে কখনো তৈরি করা হয়নি। কারণ এটা তো অনেক তেতো একটা জিনিস। পুরো রেসিপি টা খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। মনে হচ্ছে খেতেও ভীষণ ভালো হয়েছে।
আপু আমরা অনেকটা বড়ো ও লম্বা সাইজের উচ্ছেকে করলা বলি।আর এগুলো ছোট ছোট সাইজের, দেশি উচ্ছে।এটি একদম তেতো লাগেনি।কারণ সুস্বাদু মাছের ডিম ও আলু দেওয়াতে তেতোভাব চলে গিয়েছে।এভাবে খেয়ে দেখবেন,ধন্যবাদ আপু।
রুই মাছের ডিম দিয়ে এতো দারুন রেসিপি সত্যি মনোমুগ্ধকর বটে খুবই দারুন ছিল পুরো রেসিপিটা এবং আপনি গুছিয়ে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া, এত প্রশংসা করার জন্য।