RE: আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৬৬
অনুগল্প:
আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো বড় বড় পুকুর ছিল।শুধু আমাদের নিজেদের তিনখানা পুকুর ছিল।আর ছোট কাকাদের বাদ দিয়ে বাকি সকল জেঠু ও কাকাদের একটি করে পুকুর ছিল।যখন যে পুকুরে ইচ্ছে সেই পুকুরেই স্নান করা হতো,বিশেষ করে বড় জেঠু ও মেজো জেঠুদের পুকুরে।আমার বড় জেঠুর মেয়ে আমার সাত মাসের বড় তবে আমরা একই ক্লাসে পড়তাম।তাই একসঙ্গে স্নানও করতাম মাঝে মাঝেই সাঁতার কেটে।একদিন বর্ষার সময়,পুকুরের তখন জলে টইটুম্বুর।চারিদিকে থৈ থৈ জল,তার উপরে আবার ওদের পুকুরটি ছিল বেশ বড় এবং গভীর।একবার জেঠুর মেয়ে বললো ---চল, আমরা সাঁতার প্রতিযোগিতা করি।পুকুরের মাঝে একটি বাঁশ পোতা ছিল, ওটা দেখিয়ে বললো ওই অব্দি যেতে হবে।আমি অবশ্য তার আগে বেশ কিছুক্ষণ সাঁতার কেটে হাঁফিয়ে গেছি তাই মন চাইছিলো না ।তার উপরে ও জোর করছিলো খুব করে তাই বললাম ঠিক আছে।সাঁতার কাটতে কাটতে ও সেই অব্দি পৌঁছে আমাকে যেতে বললো ওখানে।আমার জেঠুর মেয়ে আমার থেকে একটু লম্বা ছিল, তাছাড়া ওই পুকুরের কোথায় কি ও ভালোই জানবে।আমি তো ওখানে যেতে যেতেই হাঁফিয়ে গেলাম তখন আমার মাটিতে পা দেওয়াটা খুবই জরুরি।কিন্তু ওখানে গিয়ে আমি মাটিতে পা দিতেই পারছি না, এতটা গভীর ছিল।ততক্ষনে জেঠুর মেয়ে সাঁতার কেটে ঘাটের দিকে যাওয়া শুরু করে দিয়েছে।আমি তো ডুবে যাচ্ছি আবার দম প্রায় শেষ তখন আমি বারবার ওকে ডাকলাম।কিন্তু ইচ্ছে করেই বাহানা করে ও ওখানে যাচ্ছিলো না।রীতিমতো আমি ভয় পেতে শুরু করেছি,ডুবে যাচ্ছি কিছুতেই যাওয়ার ক্ষমতা নেই সাঁতার কেটে।তখন আমি আরো কয়েকবার ওকে অনুরোধ করলাম, তখন ও আমাকে কিছুটা টেনে তুলে নিয়ে একটু পুকুরের চড়া স্থানে নিয়ে গেল।ততক্ষনে আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলুম তবে এটা বুঝলাম ও আমাকে ইচ্ছে করেই দুস্টুমি করে গভীর জায়গায় নিয়ে গেছে।তাই সেখান থেকে আমি কখনোই আর সাঁতার কাটার ঝুঁকি নেয়নি ওর সঙ্গে।।