আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৬৬
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
বর্ষাকাল নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
একবার বর্ষাকালে স্কুলের ছুটির পর বাড়ি আসার সময় বান্ধবীরা মিলে একসাথে আসতেছিলাম। এক কাঁচা রাস্তা দিয়ে হেটে আসছিলাম একটা ছেলে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলো।আমাদের দেখে একটু স্টাইল করতে গিয়ে স্লিপ করে পড়ে যায়। আমরা সেটা দেখে হাসতে হাসতে শেষ।
বর্ষাকালে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলল, "বন্ধু, তোমার বউ তো বর্ষাকালে বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে!"
দ্বিতীয় বন্ধু: "কেনো? বর্ষাকালে কি তার সৌন্দর্য বেড়ে যায়?"
প্রথম বন্ধু: "না রে, ও যখন রাস্তায় ছাতা নিয়ে হাঁটে, তখন অন্য মেয়েরা চেহারা ঢেকে রাখে। তাই বউকে সুন্দর দেখায়!" 😄🌧️
এক জোড়া কাপল রিকশায় উঠেই রিকশার হুড উঠিয়ে দিলো। রিকশাওলা বললো মামা এখন তো রোদ বৃষ্টি কিছু নাই। তাহলে হুড উঠালেন কেন...? কাপল বললো মামা এখন বর্ষাকাল যে কোন সময় বৃষ্টি হতে পারে তাই অগ্রিম প্রস্তুুতি নিচ্ছি,হি হি হি।
লিজেন্ডরা কোথায়,তারা একটু গভীর ভাবেই চিন্তা করে,হা হা হা।🤪😳
অনুগল্প:
আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো বড় বড় পুকুর ছিল।শুধু আমাদের নিজেদের তিনখানা পুকুর ছিল।আর ছোট কাকাদের বাদ দিয়ে বাকি সকল জেঠু ও কাকাদের একটি করে পুকুর ছিল।যখন যে পুকুরে ইচ্ছে সেই পুকুরেই স্নান করা হতো,বিশেষ করে বড় জেঠু ও মেজো জেঠুদের পুকুরে।আমার বড় জেঠুর মেয়ে আমার সাত মাসের বড় তবে আমরা একই ক্লাসে পড়তাম।তাই একসঙ্গে স্নানও করতাম মাঝে মাঝেই সাঁতার কেটে।একদিন বর্ষার সময়,পুকুরের তখন জলে টইটুম্বুর।চারিদিকে থৈ থৈ জল,তার উপরে আবার ওদের পুকুরটি ছিল বেশ বড় এবং গভীর।একবার জেঠুর মেয়ে বললো ---চল, আমরা সাঁতার প্রতিযোগিতা করি।পুকুরের মাঝে একটি বাঁশ পোতা ছিল, ওটা দেখিয়ে বললো ওই অব্দি যেতে হবে।আমি অবশ্য তার আগে বেশ কিছুক্ষণ সাঁতার কেটে হাঁফিয়ে গেছি তাই মন চাইছিলো না ।তার উপরে ও জোর করছিলো খুব করে তাই বললাম ঠিক আছে।সাঁতার কাটতে কাটতে ও সেই অব্দি পৌঁছে আমাকে যেতে বললো ওখানে।আমার জেঠুর মেয়ে আমার থেকে একটু লম্বা ছিল, তাছাড়া ওই পুকুরের কোথায় কি ও ভালোই জানবে।আমি তো ওখানে যেতে যেতেই হাঁফিয়ে গেলাম তখন আমার মাটিতে পা দেওয়াটা খুবই জরুরি।কিন্তু ওখানে গিয়ে আমি মাটিতে পা দিতেই পারছি না, এতটা গভীর ছিল।ততক্ষনে জেঠুর মেয়ে সাঁতার কেটে ঘাটের দিকে যাওয়া শুরু করে দিয়েছে।আমি তো ডুবে যাচ্ছি আবার দম প্রায় শেষ তখন আমি বারবার ওকে ডাকলাম।কিন্তু ইচ্ছে করেই বাহানা করে ও ওখানে যাচ্ছিলো না।রীতিমতো আমি ভয় পেতে শুরু করেছি,ডুবে যাচ্ছি কিছুতেই যাওয়ার ক্ষমতা নেই সাঁতার কেটে।তখন আমি আরো কয়েকবার ওকে অনুরোধ করলাম, তখন ও আমাকে কিছুটা টেনে তুলে নিয়ে একটু পুকুরের চড়া স্থানে নিয়ে গেল।ততক্ষনে আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলুম তবে এটা বুঝলাম ও আমাকে ইচ্ছে করেই দুস্টুমি করে গভীর জায়গায় নিয়ে গেছে।তাই সেখান থেকে আমি কখনোই আর সাঁতার কাটার ঝুঁকি নেয়নি ওর সঙ্গে।।
আমরা শৈশবে কয়েকজন বন্ধু ছিলাম, বর্ষাকালে একসাথে মাছ ধরতে বের হতাম। বর্ষাকালে মাঠের ভেতরে অনেক জল হয়ে যেতো আর সেখানে মাছ চলে আসতো। মাঠের ভিতরে যেখানে স্রোত হতো সেখানে আমাদের যার যার ঘুনে পেতে রাখতাম মাছ মাছ ধরার জন্য। আমাদের ঘুনের পাশেই পাশের গ্রামের এক মামা ঘুনে পেতে রাখতো মাছ ধরার জন্য। সেদিন আমাদের ঘুনেতে মাছ কম থাকার কারণে মামার গুণেতে যে, মাছ পড়েছিলো নিজেদের মনে করে নিয়ে এসেছিলাম 😎
একবার বর্ষাকালে বয়স্ক কর্তাগিন্নি তার মেয়েরবাড়ি যাচ্ছিল। পাকারাস্তা থেকে মেয়ের বাড়ি যেতে একটা মাঠ পেরোতে হয়। অনেক জামাকাপড় ও মিষ্টির ব্যাগ হাতে লোকটি সাঁকোর উপর যেই পা দিল সেকেন্ডের মধ্যে মেয়ের বাড়ির দাওয়ায়। চিৎকার শুনে বাড়ির লোক এসে দেখলো মেয়ের বাবা মিষ্টি এবং জামা কাপড়ের প্যাকেট সমেত নিজেও কাদা মেখে বসে আছেন। মেয়ের মা খানিক দূরে জুতোজোড়া খুঁজছেন৷ বাবা কাতর কণ্ঠে বললেন, "এমন জায়গায় কে বিয়ে দিয়েছিল! " মেয়ে মুখ টিপে বলল, "কেন তুমি!"
বর্ষাকালের এক সময় এক ভদ্র লোক তার মেয়ে ও জামাই কে সাথে নিয়ে কাদাময় রাস্তা দিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল আর বলছিল জামাই পা টিপে টিপে হাট নাইলে পড়ে যাবে, আস্তে আস্তে হাট নাইলে পড়ে যাবে, সাবধানে দেখেশুনে হাট নাইলে পড়ে যাবে বলতে বলতে নিজেই পা পিছলে রাস্তায় গড়াগড়ি দিয়ে চিৎকার দিয়ে বলে উঠল বাবাজি বাঁচাও আমাকে বাঁচাও। হা হা হা।