"ইউনিভার্সিটিতে কাটানো আমার প্রথম দিন"
নমস্কার
ইউনিভার্সিটিতে কাটানো আমার প্রথম দিন:
অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম ইউনিভার্সিটিতে যাবো।কিন্তু ভাবনা করেও পূজা এবং নানা ঝামেলায় যাওয়া হয়ে ওঠেনি।তাই মন স্থির করলাম সোমবার যাবোই যাবো।কেননা রোল ঠিক না হলেও এম, এ এর ক্লাস কিন্তু পূজার আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে।আর 5 টি করে ক্লাস ভালোই হচ্ছে তাই রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লাম ছাতা মাথায়।বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলো দূরে বাস স্ট্যান্ড সেখানে গিয়েই টোটো ধরতে হয়।কিন্তু ভাগ্যক্রমে কিছুটা পথ গিয়েই একজন টোটোওয়ালাকে শুধোতেই সে বললো স্টেশন যাবে।তাই চেপে বসলাম ট্রেন স্টেশনের উদ্দেশ্যে,এরপর টিকিট কেটে সোজা ট্রেনে করে চলে এলাম বর্ধমান স্টেশন।
যেদিন ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন হয়েছিল সেই এক দিনেই গিয়েছিলাম বর্ধমান ইউনিভার্সিটিতে।অনেক শাখা রয়েছে এই ইউনিভার্সিটির কিন্তু আমি মেইন ক্যাম্পাসেই চ্যান্স পেয়েছি এম, এ এর জন্য।আমাদের বর্ধমান দুটি ভাবে বিভক্ত।পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান তবে এই ইউনিভার্সিটি রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের গোলাপবাগে অবস্থিত।বর্ধমান স্টেশন নেমে হেঁটে চলে গেলাম টোটো স্ট্যান্ড এ।তারপর কেউ কেউ বললো গোলাপবাগের মোড়ে নামিয়ে দেবে তাতে বেশ খানিক হাটতে হবে।তাই একটু অপেক্ষা করার পর একটা টোটো পেলাম যেটা ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট গেটে নামবে।তো বর্ধমান ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট গেটে এসে পৌঁছালাম আমি,যেটা ইউনিভার্সিটির প্রথম গেট।এটাকে আবার রবীন্দ্র গেটও বলে।এই গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকেই বিশাল বড় একটা রবীন্দ্রনাথের মূর্তি চোখে পড়বে।তারপর নিরিবিলি ও নির্মল পরিবেশ।শান্ত পরিবেশের চারিদিকে বড় বড় গাছের সমাহার।রাস্তার দুইপাশে সারি সারি গাছ রয়েছে আর মাঝখান দিয়ে পিচের পরিচ্ছন্ন রাস্তা।কোথাও কোথাও মন্দির আবার কোথাও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট রয়েছে।
প্রথমে গেটের ভিতরে ঢুকেই দেখাতে হচ্ছে ভর্তি হওয়ার টাকার বিলটি।সেটা দেখাতে না পারলেই সিগনেচার দিতে হচ্ছে খাতায়।যাইহোক আমাদের বিল্ডিংটা বেশ খানিক হেটে তবে যেহেতু একবার মাত্র এসেছিলাম আগে।তাই ফোন করে জেনে নিলাম ঠিক কোথায় ক্লাস হবে!একজন নতুন মেয়ের সঙ্গে নিচে পরিচিত হয়েই জানতে পারলাম আমরা একই ডিপার্টমেন্ট এর।এইজন্য যেখানে ক্লাস হবে তিনতলায় কর্নারের রুমে সেখানে সিঁড়ি ভেঙে পৌঁছালাম।গিয়ে দেখলাম তখনো রুমে তালা ঝুলছে তখন আরো একজনের সঙ্গে পরিচিত হলাম।যে সবাইকে ক্লাসের গ্রূপে এড করে দিচ্ছে তাই সেই মেয়ের কাছ থেকে এক এক করে সব গ্রূপে এড হয়ে গেলাম ও রুটিনটাও নিয়ে নিলাম।
দুটি ম্যামের ক্লাস শেষে শুনলাম আর কোনো ক্লাস হবে না তাই বাড়ি ফিরবো বলে বের হলাম চেনা দুইজনের সঙ্গে।তখনই এই ছবি দুটি তুললাম,একজন বন্ধুর সুবিধার্থে গোলাপবাগ মোড় অব্দি হেঁটে চলে গেলাম।তারপর আরেকজনের সঙ্গে বর্ধমান স্টেশনের উদ্দেশ্যে টোটো ধরলাম।প্রথম দিন তাই খুব একটা ঘোরাঘুরি করা হয়নি,ধীরে ধীরে ভিতরে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করবো।তো আমার ইউনিভার্সিটির প্রথম দিন এভাবেই কাটলো,আজ এই পর্যন্তই।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
প্রথমেই অভিনন্দন জানাই এম এ তে ভর্তি ও ক্লাসে যাবার জন্য। আমি বর্ধমান ইউনিভার্সিটি কখনো যাইনি বা দেখিওনি। তোমার পোস্টটা বেশ ভালো করে পড়লাম এবং ছবিগুলো দেখলাম সবকিছুই কেমন চোখের সামনে ভেসে উঠলো। গোলাপবাগ নামটা খুব সুন্দর। তোমার আগামী পথ সুগম হোক এই কামনা করি।
দিদি,400 একর নিয়ে গঠিত এই ইউনিভার্সিটি তাই কখনোই সম্ভব নয় সবকিছু ঘুরে দেখার।তবে চেষ্টা করবো একটুখানি ঘুরে দেখার আমাদের বিল্ডিং এর আশেপাশে।
আপনি এম, এ তে উত্তীর্ণ হয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।আর আপনি ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন এর দিন আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন, জেনে বেশ ভালো লাগলো।আর আপনার বিশ্ববিদ্যালয় টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুন্দর। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস টি বেশ অসাধারণ।
হুম ভাইয়া, অনেক সুন্দর ।যদিও আমি এখানে ঘুরে দেখিনি তবে রাজা ও রানীর অনেক ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই বর্ধমানে।
বর্ধমান ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস আমার কাছে খুব প্রিয়। আমি বর্ধমান গেলেই এই ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে গিয়ে বসে থাকি। একবার নেট পরীক্ষা দিতে এই ইউনিভার্সিটিতে ভেতরেও ঢুকেছিলাম। এর পাশেই একটা বিজ্ঞান মঞ্চ আছে না? এমনকি একটা ডিয়ার পার্কও আছে। সব মিলিয়ে দারুন লাগে গোলাপ বাগের এই ক্যাম্পাসটা। তোমার আগামী বছরগুলোর জন্য অনেক শুভকামনা রইল বোন।
দাদা অনেকটা এরিয়া নিয়ে তৈরি।তার উপরে আমি নতুন ভর্তি হয়েছি তাই কোথায় কি রয়েছে সেটা ঠিক জানা নেই তবে অনেক কিছু আছে এটা জানি।যাইহোক আপনার এটা নিয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।