আমার স্বরচিত কবিতা"ক্ষরিত মস্তিষ্ক"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আবারো হাজির হলাম নতুন একটি ভিন্ন ধরনের কবিতা নিয়ে আপনাদের মাঝে।সেটি হলো -"ক্ষরিত মস্তিষ্ক"।
মানুষ সর্বদা পরিবর্তনশীল।মানুষের মন,আচার-আচরণ যখন তখন পরিবর্তিত হয়।আমার মতে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে তার মন ও মস্তিষ্কের উপর।কিন্তু কোনো কোনো সময় মানুষের মুখ থেকে শোনা এমন কিছু শব্দ বা বাক্য আমাদের মস্তিষ্ক সহজভাবে নিতে পারে না বা খুবই ভাবিয়ে তোলে। পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে যাওয়ার মতো অবস্থা।শরীর কাঁপতে থাকে,হৃদয় চঞ্চল হয়ে যায় যেটা মৃত্যু যন্ত্রণার থেকে কম নয়।মানুষ শুধু দেহ ত্যাগ করেই মৃত্যুবরণ করে এমনটা নয়, প্রতি পদে পদে মানুষের মনের জমা আঘাত ,ক্ষরিত মস্তিষ্ক মৃত্যুর মতো যন্ত্রণাদায়ক বলে মনে হয় আমার কাছে।কিন্তু যদি অনুভূতিহীন,বুদ্ধিহীন জন্তু হয়ে জন্মানো যেত তাহলে এই মানুষের দেওয়া কষ্ট বা ভাবাবেগ থাকত না ।শুধুই প্রশান্তি থাকতো অনুভবের পাতায়।
যাইহোক এই ভাবনায় লিখে ফেললাম কয়েকটি লাইন।আশা করি ভালো লাগবে কবিতাটি আপনাদের কাছে।তো চলুন শুরু করা যাক----
ক্ষরিত মস্তিষ্ক
কিছু শব্দ,কিছু বাক্য অকল্পনীয়
যা তীরবিদ্ধ হয় মনের মণিকোঠায়,
শরীরের মধ্যে সৃষ্টি হয় কম্পন
হৃদয় উদ্বেলিত হয় চঞ্চলতায়।
মনে হয় হিম হয়ে আসে অসার দেহ
পরতে পরতে নির্গত হয় অশ্রুকনা,
অনুভূত হয় ভাঙা হৃদয়ের
জীবিত হয়েও মৃত্যুর যন্ত্রনা।
যদি জন্তুর মতো হতো মন
দেখা পেতাম হদিশহীন অন্তর্বর্তী ঠিকানার,
তাহলে কষ্টগুলো প্রতিফলিত হতো না
হতো না ভাবাবেগে মিশে ক্ষরিত মস্তিকের।
পাথরের হৃদয়ে বড্ড অভাব জলের
তৃষ্ণারা তাই খেলা করে অদর্শনীয়ভাবে,
ব্যথা দেওয়ার দৈত্যরা হতো গায়েব
মিশে যেতাম এক প্রশান্তির অনুভবে।।
আশা করি আমার আজকের লেখা কবিতাটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
মানুষ হয়ে যেহেতু জন্মেছি তখন এই কষ্ট ভালোলাগা থাকবেই। কিন্তু এই কষ্টগুলোকে দূরে সরিয়ে রেখে ভালোলাগাগুলোকে নিয়েই থাকতে হবে। কষ্ট গুলোকে নিয়ে বেশি ভাবলেই খারাপ লাগে। যাইহোক আপনার কবিতাটি কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি লাইন খুব চমৎকারভাবে উপলব্ধি করে লিখেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু।আপনার কাছে কবিতাটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পাথরের বড্ড জলের অভাব তাই তারা খেলা করে অদীশনীয়ভাবে, চমৎকার লিখেছেন দিদি। আসলে কথা এমন এক জিনিস। মাঝে মাঝে মানুষজন এমন কথা বলে হৃদয় থেকে যেন রক্তক্ষরণ বের হয়ে যায়। চোখের কোণে জমা জল নিমিষেই গড়িয়ে পরতে থাকে। মনটা যদি জন্তুর মতো হতো তাহলে কষ্টগুলো বুকের ভেতর যেন চাপা থেকে যেত, কেউ জানতো না কোনোদিন। ভালো লিখেছেন দিদি 😍
কবিতাটি ঠিকভাবে অনুভব করে মতামত জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি নমস্কার,
জানি এই মানব জীবনে সবকিছু থাকবে দুঃখ কষ্ট আনন্দ বেদনা সবই ৷ কিন্তু দিনশেষে তো আমরা সবাই মানুষ ৷ আমাদের এই সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা এমন ভাবে কথা বলে ৷ যা সত্যি অকল্পনীয় ৷ যেটা মৃত্যু চেয়েও কম নয় ৷
আপনি যথার্থই বলেছেন কিছু কথা যা মনের গহীনে আঘাত করে ৷
যা হোক আপনার লেখা কবিতাটি অনেক সুন্দর ছিল ৷
ধন্যবাদ দিদি
অনুভূতিগুলি ঠিক বুঝেছেন আপনি। অনুভব করে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনার লেখা কবিতা মনে হয় এই প্রথমবার পড়লাম। অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। বিশেষ করে এই লাইনগুলোতো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
আপনার আগামী দিনগুলোর জন্য শুভকামনা রইল।
দাদা, আপনি আগে আরো দুটি কবিতা পড়েছিলেন আমার-"রঙ্গমঞ্চের শুন্যে" ও "দৃশ্য অবলোকন"।যাইহোক আপনি আমার কবিতাগুলো পড়ে উৎসাহ দেন এবং আপনার কাছে ভালো লেগেছে কবিতাটি জেনে আমি খুবই খুশি।উৎসাহ পেলাম, ধন্যবাদ আপনাকে।
ও হ্যা তাই তো। ভুলে গেছি কেনো। হা হা হা...😁
😊😊
এমন অনেক যন্ত্রণা আসে যা মৃত্যু থেকে যন্ত্রণাদায়ক ।আর এই যন্ত্রনা গুলো আমাদের মত রক্তে মাংসে গড়া মানুষ থেকেই পেয়ে থাকি ।
একদম ঠিক বলেছেন আপু,মানুষ মানুষকে বেশি যন্ত্রনা দেয়।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ ভালো লিখেছো বোন। এটা একদমই ঠিক। কিছু মানুষের কিছু অপ্রীতিকর কথা সত্যিই আমাদের নাড়িয়ে দেয়। যদি কাছের মানুষ না হয় তবে যদিও বা ঘুরিয়ে দুটো উত্তর আমরা দিতে পারি কিন্তু কাছের মানুষ হলে নির্বিকার হতে বাধ্য হই।
একদম সঠিক বলেছেন দিদি।অনেক ধন্যবাদ, আপনার সুন্দর মতামত তুলে ধরার জন্য।